সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১

বিভীষিকা

            অনিরুদ্ধ , মানে আমাদের অনির বাবা ডব্লিউ বি সি এস অফিসার ছিলেন , মা স্কুল শিক্ষিকা । অনিও লেখাপড়ায় ভালই ছিল , কিন্তু বেশ কয়েকবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পায়নি । অনির ছোট থেকেই ছবি তোলার হাত ভাল , তাই ওর মা ওকে একটা ডি এস এল আর ক্যামেরা কিনে দিয়েছেন । অনি কিছুকাল শখে ছবি তোলার পর ঠিক করে নিয়েছে ও কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করবে । পরিচিত মহলে বলা আছে , বিয়েবাড়ি , কোম্পানির মিটিং , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য অনি এখন নিয়মিত ডাক পায় ।

          একজন পরিচিতের মাধ্যমেই প্রস্তাবটা এল । শব ব্যবচ্ছেদের , গোদা বাংলায় বললে ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে । মোটা টাকা পাওয়া যাবে । একটা খুনের কেসে কোর্ট ময়না তদন্তের ভিডিও কোর্টে পেশ করতে বলেছে । তাই ফরেন্সিক তদন্তের খুঁটিনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ক্যামেরায় ধরে রাখতে হবে । অনি ভাবল, এ আর কী এমন শক্ত কাজ , পরিশ্রম কম , পারিশ্রমিক বেশি । যেটা অনি ভাবল না , সেটা হল পারিশ্রমিকটা কেন বেশি । তো, একদিন সকালবেলা অনির ডাক পড়ল মর্গে । ট্রাইপড মানে স্ট্যান্ড আর ক্যামেরা নিয়ে যথাসময়ে অনি হাজির । উদ্দেশ্য সব সেট করে , ক্যামেরা চালু করে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকবে । কিন্তু কাটাছেঁড়া শুরু হওয়ার পর বুঝল , কাজটা এতটা সহজ হবে না । দু’মিনিট পরপর নির্দেশ আসছে ফোকাস পরিবর্তন করবার , জুম ইন করবার , এমনকি একেবারে কাছে এসে ছবি তোলার । কিছুক্ষণ এভাবে কাজ চলার পরেই অনির মুখে যেন অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে এল । কিন্তু পুলিশ কেস , ও সব জেনেবুঝেই কাজটা নিয়েছে । শেষ করতেই হবে , পালাবার উপায় নেই । এইজন্যই বোধহয় ডোম-সহ উপস্থিত সকলে আকণ্ঠ মদ খেয়ে আছে , মনে হল অনির । সেদিন মুখে রুমাল বেঁধে , বমি চাপতে চাপতে কোনওমতে কাজটা শেষ করে , অনি টলতে টলতে বাড়ি ফিরে এসেছিল । দু’দিন খেতে পারেনি , রাতে দুঃস্বপ্নে বারবার ঘুম ভেঙে গেছে । এক সপ্তাহ বাদে কোনওমতে নিজেকে সামলে , নাকে খত দিয়ে অনি প্রতিজ্ঞা করেছে , আর কোনওদিন ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করবে না । 

flash fiction


অণুগল্প

অণুগল্প কাকে বলে 




কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...