"travelogue" লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
"travelogue" লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

চা ফুল

 

            ট্রিপল টি --- টি , টিম্বার আর টোব্যাকো জলপাইগুড়ি জেলা তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির অভিজ্ঞান ছিল একসময় । সে রাম নেই , সেই অযোধ্যাও আর নেই । নেই নগদের বদলে পারিশ্রমিক এবং বিনিময় মূল্য হিসেবে টি-টোকেনের ব্যবহার । এখন টিমটিম করে ধুঁকতে ধুঁকতে কয়েকটি চা বাগান টিকে আছে শুধু । তারই মধ্যে একটি, জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে করলা ভ্যালি চা বাগানে ঘুরতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হল , তাতে উইলিয়াম শেক্সপীয়রের ‘হ্যামলেট’ নাটকের সেই জগদ্বিখ্যাত উক্তিটি মনে পড়ছিল --- “There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy.” “দুনিয়ায় কত আছে দেখবার / কত কী জানার , কত কী শেখার” ভেবে, অনেকটা গুগাবাবার মতই পৌঁছে গিয়েছিলাম করলা ভ্যালিতে । যতদূর দু’চোখ যায় , পাহাড়ের কোলে ততদূরই শুধু ঢেউ খেলানো চা গাছের সবুজ পাতার সমারোহের নয়নাভিরাম দৃশ্য তো খুব পরিচিত , খুব চেনা । চা গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস । ‘ক্যামেলিয়া’ শব্দটি এসেছে জীববিজ্ঞানী জোসেফ ক্যামেলের নাম থেকে । যদিও চা গাছ আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাঁর নয় । আর ‘সিনেনসিস’ কথাটার মানে, যা চিন থেকে এসেছে । করোনা-কালে পাঠক এবার ভেবে দেখতে পারেন , চা খাওয়া বাদ দেবেন কিনা ! উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন টি-এস্টেটগুলি দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি , কোচবিহার , কিসানগঞ্জ এবং উত্তর দিনাজপুরে ছড়িয়ে রয়েছে । শিলিগুড়ি চা-নিলাম কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী দার্জিলিঙের পাহাড়ি এলাকা , তরাই , ডুয়ার্সে অন্তত সাড়ে চারশো চা-বাগান রয়েছে । উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাকে তাই চা-বাগানের দেশ বললেও অত্যুক্তি হয়না । নবীনতম চা বাগান বলতে যে চিনচুলা চা বাগান , রায়মাটাং চা বাগান এবং কালচিনি চা বাগানের নাম আসবে , সেগুলিও বয়সের দিক থেকে বাহাত্তুরে । উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় চা-বাগান সামসিং টি-এস্টেট (১২৫৬.৬০হেক্টর) । ইতিহাস বলে উত্তরবঙ্গে চা চাষ শুরু হয় অন্তত দেড়শ বছর আগে , পরাধীন ভারতে । ১৮৪০ সাল নাগাদ দার্জিলিং এবং সন্নিহিত এলাকায় চা চাষের প্রমাণ পাওয়া যায় । ছোট চা-বাগানগুলি সমতলে ছড়িয়ে রয়েছে , করলা ভ্যালি তার অন্যতম । পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই ধরণের ছোট চা-বাগানের সংখ্যা উত্তরবঙ্গে প্রায় ত্রিশ হাজার । সাধারণত এক একর জমিতে ছ’হাজার চারা লাগানো যায় , যা থেকে উৎপাদিত চা পাতার পরিমাণ দশ হাজার কেজির মত । স্বাদে ও গন্ধে দার্জিলিং চায়ের খ্যাতি ভুবনবিদিত । চা উৎপাদনের নিরিখেও সবচেয়ে এগিয়ে ডুয়ার্স অঞ্চল ।

            এই ইতিহাস ও প্রাকৃতিক শোভা কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা এবং চেনা । কিন্তু যেটা ততটা চেনা নয় , তা হল চা গাছের ফুল । নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে গোটা শীতকালটা ডুয়ার্স , বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চলগুলি সূর্যমুখী ফুলে ছেয়ে থাকে । মনে হয় যেন আগুন লেগেছে  পাহাড়ে , পাকদণ্ডী পথের দু’পাশে । এই সময়ে করলা ভ্যালি চা বাগানে গিয়ে দেখলাম , গোটা চা বাগান ফুলে ফুলে ছেয়ে রয়েছে । প্রজাপতি এসে বসেছে চা ফুলের ওপরে । উপর থেকে চা গাছগুলি দেখলে কিচ্ছুটি বোঝার উপায় নেই । কিন্তু একটু ভাল করে ঠাহর করলেই দেখা যায় , চা গাছগুলির একটু নীচের দিকে , ঠাসবুনট সবুজ চা পাতা আর লিকলিকে ডালপালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে ফুলগুলি । সবুজে সবুজ চা বাগানের পটভূমিতে , সাদা পাপড়ি আর হলুদ পরাগরেণুর ফুলগুলির রূপ যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে ।   

            আমার অবাক হওয়ার পালা তখনও কিছুটা বাকি ছিল । দেখছিলাম স্থানীয় বেশ কয়েকজন আদিবাসী মহিলা আর ছোট ছোট মেয়েরা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ভর্তি করে ফুল সংগ্রহ করছেন বাগানে ঢুকে গিয়ে । কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম  --- ফুলগুলি কী কাজে লাগবে ? উত্তরে ওঁরা জানালেন , অত্যন্ত সুস্বাদু এই ফুল দিয়ে রান্নার সময়ে নানা রকম পদ তৈরি হবে । সরলভাবে চা ফুলের একটা ছোট ক্যারিব্যাগ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন --- “বাড়িতে নিয়ে যান , খেয়ে দেখবেন ।“ এ কথা বলেই , নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে করতে আবার কাজে মন দিলেন । আর আমি ভাবলাম , ক-ত অজানা রে !

            চা-ফুল খেয়েছেন কখনও ? না খেয়ে থাকলে , ফুল কাপ চা আপনি এখনও খাননি !   









চা গাছের ফুল



চা ফুল

ফুলের চা

গোলাপ ফুল চা

অপরাজিতা ফুলের চা

জবা ফুলের চা









শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

ঘুরে ট্যুরে

 

২০০২ -এর পুজোর সময় আমরা সপরিবারে গেছিলাম হরিদ্বারে চারটে অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভোলার নয়



) আমরা উঠেছিলাম ভোলাগিরি ধর্মশালায় বেশ শীত কলের জল কনকনে ঠাণ্ডা দাঁত মাজছি , আর নীচে হর কি পউরী ঘাটে লোকের যাতায়াত দেখছি হঠাৎ কোথা থেকে একটা হনুমান এলো কল খুলে , আঁজলা ভরে জল খেল পেট ভরে , এবং যাওয়ার সময় প্যাঁচ ঘুরিয়ে কল বন্ধ করে গেল ! দেখলাম মানুষ ভুলে যায় , ওরা ভোলে না ! স্বচক্ষে না দেখলে এমন দৃশ্য যে বাস্তবে সম্ভব তা আমিও বিশ্বাস করতাম না



) দাদা - বৌদির হোটেলের নিরামিষ রান্না খাওয়ার শুরুটা গাওয়া ঘি দিয়ে আর রান্নার স্বাদ ? আহা , যাহা খাইলাম তাহা জন্ম -জন্মান্তরেও ভুলিব না --- বলতেই হবে খাওয়ার পরে দোকানের উপরে বড় বড় করে লেখা --- নৈহাটির লোকের দোকান



) মনসা পাহাড় থেকে চণ্ডী পাহাড়ে আমরা যাচ্ছি রোপওয়েতে বাড়ির সবাই একটা বাক্সয় আর আমার সাথে অপিরিচিত এক বাঙালি আরেকটায় ঠিক মাঝপথে গিয়ে পাওয়ার কাট রোপওয়ে থেমে গেল বহুউউউ নীচে সরু সুতোর মত গঙ্গা নদী বয়ে চলেছে ,আড়চোখে দেখলাম পরিস্থিতিটা উপভোগ করার মত অবস্থায় একেবারেই ছিলাম না , বলাই বাহুল্য ;কারণ আমাদের নিয়ে বাক্সটা প্রবল হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছিল ! হয়ত মিনিট দু'য়েক চলাচল বন্ধ ছিল , কিন্তু আমার মনে হয়েছিল কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক যুগ !

) ঘুরতে বেড়িয়ে খুব পরিচিত কারও দেখা পেলে একরকম আবিষ্কারের আনন্দ হয় একদিন আমরা 'নৈহাটির লোকের দোকানে' খাচ্ছি , হঠাৎ দেখি আমাদের সামনের টেবিলে এসে বসলেন আমার এক সহপাঠী -- বুবুনের(শুভজিৎ সাহা) বাবা - মা - বোন কোথায় জলপাইগুড়ি আর কোথায় হরিদ্বার ! মেলালেন, তিনি মেলালেন কাছাকাছি অভিজ্ঞতা হয়েছিল আগ্রায় তাজমহল দেখার ঘোর তখনও কাটেনি , আমরা সবে বাইরে বেরিয়েছি এমন সময় হঠাৎ ইলেকট্রিক ব্লু কালারের একটা মার্সিডিজের ভেতর থেকে মনে হল স্যর - স্যর বলে কেউ ডাকছে টিন্টেড গ্লাস , তাই প্রথমে কাউকে দেখতে পাইনি তারপর পাওয়ার উইন্ডো নেমে একজন ভদ্রলোকের মুখ বেরিয়ে এল , তারপর তিনি নিজেই বেরিয়ে এলেন বাবার ছাত্র জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা হাই স্কুলে পড়েছেন , বাবা ক্লাস টিচার ছিলেন ভদ্রলোক এখন নয়ডায় থাকেন , আমাদের বাড়ি নিয়ে যাবেনই কিন্তু আমরা নিরুপায় , সেদিনই দিল্লি ফিরতে হবে আবেগঘন দৃশ্যের শেষে দেখলাম ছাত্র - শিক্ষক দু'জনের চোখেই জল

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_49.html


 






হরিদ্বার ভ্রমণ


হরিদ্বার ভ্রমণ কাহিনী



haridwar trip experience


taj mahal visit experience

বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

ব্যারাকপুরের অন্নপূর্ণা মন্দির


কুকথায় পঞ্চমুখ কণ্ঠ ভরা বিষ
কেবলই আমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব অহর্নিশ ।।
---- রায়গুনাকর ভারতচন্দ্র

                           উত্তর চব্বিশ পরগনার চানক তথা ব্যারাকপুরে কলকাতার জানবাজারের রানি রাসমণিদেবীর কনিষ্ঠা কন্যা জগদম্বাদেবী তাঁর স্বামী মথুরামোহন বিশ্বাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নির্মিত শিবশক্তি - অন্নপূর্ণা মন্দিরে , অন্নপূর্ণা নীল পুজো হল ১৩/০৪/২০১৯ তারিখে রানি রাসমণির স্বপ্নের ফসল এই দ্বিতীয় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরটির ইতিহাস ঘাঁটলে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসে । ‘চানক’ জায়গাটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় বিপ্রদাস পিপিলাইয়ের ‘মনসাবিজয় কাব্য’ – তে(১৪১৭ শকাব্দ / ১৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ) । এখনও এখানকার জমির খাজনার রসিদে চানক মৌজা উল্লিখিত হয় । এই মন্দিরের বিগ্রহটি অষ্টধাতুর । দেবী অন্নপূর্ণার বাঁ হাতে অন্নপাত্র , ডান হাতে, হাতা । পাশে দাঁড়িয়ে শিব খেতে চাইছেন । দেবীর পায়ের নীচে গরুড়ের মূর্তি । গর্ভগৃহের মেঝে মার্বেলের । মন্দিরের প্রবেশ ফটকের উপরে আছে একটি সিংহ মূর্তি । মন্দিরে ঢুকেই বাঁদিকে নাটমন্দির , ডান দিকে দফতরখানা । মন্দিরের পিছনের গেটের দু’পাশে, সম্ভবত ছিল দারোয়ানের ঘর । এই মন্দির চত্বরে ছ’টি শিব মন্দিরও আছে । দক্ষিণেশ্বর ও অন্নপূর্ণা মন্দিরের নির্মাণশৈলী হুবহু এক । তবে, তুলনায় অন্নপূর্ণা মন্দিরটি সামান্য উঁচু । রামকৃষ্ণ পরমহংস মোট চারবার এই মন্দিরে এসেছেন । প্রথমবার , মন্দিরের জমি কেনার সময় , তারপর ভিতপুজো উপলক্ষে । তৃতীয়বার ১৮৭৫ সালের ১২ এপ্রিল মন্দিরের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার দিন , আর শেষবার মূল বিগ্রহটি দেখতে । রানির জামাই মথুরামোহনবাবুই সব কাজের তদারকি করতেন । যদিও এই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন তিনি দেখে যেতে পারেননি । ১৮৭১ সালের ১৬ জুলাই তিনি মারা যান । এই মন্দিরটি তৈরি করতে সেই সময়েই খরচ হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা । শেষবার এসে রামকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে বেলতলায় কিছুক্ষণ বসেছিলেন উল্টোরথের দিন । ‘রামকৃষ্ণ কথামৃত’তে এই মন্দিরের উল্লেখ আছে । শেষবার এখানে এসে রামকৃষ্ণ, রানি রাসমণি ঘাটে স্নান করেছিলেন । মন্দির তোরণে সিংহমূর্তি স্থাপন নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে ব্রিটিশদের বিরোধ বাধে । তারা একেবারেই চায়নি ব্রিটিশদের শৌর্যের প্রতীক সিংহ মন্দির – তোরণে ঠাঁই পাক । এই নিয়ে মামলা হয় এবং ব্রিটিশরা হেরে যায় । এই মন্দিরে আমিষ ভোগ হয় । রানির উত্তরপুরুষেরাই বিগ্রহের সেবা করেন । রোজ ভোর পাঁচটায় মঙ্গলারতি , দশটায় পুজো , বারোটায় ভোগ ও আরতি , বিকেল চারটেয় বৈকালিক ও গীতাপাঠ , এবং সন্ধ্যায় আরতি হয় - শীতে সাড়ে ছ’টা ও গ্রীষ্মে সাতটায় । এরপর ভোগ সাড়ে সাতটায় । মন্দিরটি বি টি রোডের কাছে , গান্ধীঘাটের রাস্তায় । (তথ্যসূত্র : ‘ব্যারাকপুরের সেকাল – একাল’ , প্রথম খণ্ড , সম্পাদনা : কানাইপদ রায় ।)   

                           স্থানিয়েরা তো বটেই , পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি থেকেও এই দিনটিতে প্রতিবছর বহু মানুষ আসেন পুজো দিয়ে ভোগ নিতে বছরও তার অন্যথা হয়নি অন্যান্যদিন মন্দিরের পিছনের গেটটি পুরোপুরি বন্ধ থাকে , এবং সামনের গেটটিও মানুষ চলাচলের মত ফাঁক রেখে শেকল দিয়ে বাঁধা থাকে একমাত্র পুজোর দিনটিতেই বিরাট জনসমাগমের কারণে ফটক দু 'টি খুলে দেওয়া হয় দেবোত্তর এস্টেটের পক্ষ থেকে মন্দিরে ঢুকতেই ডানদিকে টিটাগড় পুলিশের তাঁবু বাঁ দিকে ভোগ রান্না বিতরণের এলাহি আয়োজন দেবোত্তর এস্টেটের ব্যাজ পরা স্বেচ্ছাসেবকেরা মূল মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছিলেন , যাতে সকলে সুষ্ঠুভাবে পুজো দিতে পারেন গর্ভগৃহে ঢোকার লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে অনেকেই গঙ্গাজল-ফুল- বেলপাতা - প্রণামি বন্ধ দরজার সামনেই দিয়ে যাওয়াতে শান বাঁধানো চাতালটা জলে থইথই করছে একটু অসতর্ক হলেই পা হড়কে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা অন্নপূর্ণা ঘাটে গঙ্গায় স্নান করে এসে পেছনের ফটক দিয়ে ঢুকে পরপর 'টি শিবমন্দিরে পুজো দিচ্ছেন অনেকে সিক্ত বসনে নাট মন্দিরে অনেকগুলি পেডেসটাল পাখা রাখা যাতে প্রচণ্ড গরমে পুণ্য করতে আসা মানুষেরা একটু স্বস্তি পান এর মধ্যেই হঠাৎ সরে যান , সরে যান রব সস্ত্রীক পুজো দিতে এসেছেন পুলিশ কমিশনার নাট মন্দিরের সামনে বস্তা ভর্তি নকুলদানা বিলি করছিলেন এক বৃদ্ধ এক সিভিক ভলান্টিয়ার দু' হাত ভরে নকুলদানা নিয়ে ঢেলে দিলেন কমিশনারের স্ত্রী - এর রেকাবিতে ওনাদের সঙ্গে যে সব পুলিশ আধিকারিকেরা এসেছিলেন , তাঁরা নিচেই দাঁড়িয়ে রইলেন ওঁরা যেমনভাবে এসেছিলেন তেমনই পুজো দিয়ে বেরিয়ে গেলেন  

                           স্নান করে ভেজা কাপড় মন্দিরপ্রাঙ্গণেই ঘাসে শুকোতে দিয়েছেন মহিলারা পিছনের ফটক দিয়ে নাক বরাবর অন্নপূর্ণা ঘাটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তায় থিকথিকে ভিড় প্রতি বছরের মতই সে রাস্তার ওপর বিক্রি হচ্ছে পুজোর নানা উপকরণ আর ঘাটের সামনেটায় আর পাঁচটা তীর্থস্থানের মতই সারিবদ্ধভাবে হাত পেতে বসে ভিখিরিরা মায়েরা ছেলেমেয়েদের হাত দিয়ে দান সামগ্রী ঢেলে দিচ্ছেন ভিক্ষাপাত্রে গত দেড়শ বছরের মধ্যে বোধহয় এই দৃশ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি দেশের অন্যান্য তীর্থস্থানের মতই গঙ্গার ঘাটে পুজো দেওয়া স্নান করার পরিচিত ভিড় পর্যন্ত যা কিছু চোখে পড়েছে তার মধ্যে বিসদৃশ কিছু নেই বিশৃঙ্খলা শুধু একটি ক্ষেত্রেই ---------- গঙ্গায় স্নান করে উঠে নানা বয়সী মেয়ে মহিলারা প্রকাশ্যেই ঘাটের একপাশে নাটমন্দিরে পোশাক পরিবর্তন করছেন সামান্য আড়ালটুকুও নেই যিনি নকুলদানা বিলি করছিলেন তাঁকে ব্যাপারটা বললাম উত্তর এল , "মায়ের মন্দিরে লজ্জা কীসের ? সবাই তো এভাবেই ... যদি একান্তই অসুবিধে হয় তবে শিবমন্দিরের পিছন দিকটায় চলে যেতে বলুন " বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ , তর্ক করতে ইচ্ছে করলনা , শুধু মনে মনে বললাম , মায়ের মন্দিরে লজ্জা করতে নেই তো বুঝলাম , কিন্তু এতশত ক্যামেরাকে বাধা দিতেও কি নেই ? তাছাড়া এত লোকের মাঝে মন্দিরে তো চুরির ভয়ও থাকা উচিৎ না তাহলে প্রণামির বাক্সটা সিঁড়ির হাতলের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা কেন ? লজ্জা পেতে মানা অথচ চুরির ভয় পেতে মানা নেই ------ এটাই বা কেমনতর কথা ? এই ঘাটে নেমে ডানদিকে তাকালে গান্ধিঘাট সেখানে যে মহিলাদের আলাদা কাপড় পাল্টানোর ব্যবস্থা আছে তাই- নয় , ভি আই পি শৌচাগারও আছে দস্তুরমত পাশাপাশি দু' টি ঘাটের ব্যবস্থাপনায় এমন বৈষম্য কেন ? আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এত মানুষ স্নান করছেন , অথচ কোন বিপদ মোকাবিলা বাহিনি নেই কেন , রিভার ট্র্যাফিক পুলিশই বা নেই কেন ? কেন নেই লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা বা টিউব ? ঘাটে প্রশাসনিক ঘোষণার কোন ব্যবস্থাও নেই কোথাও  জোয়ার এলে কী হবে ?


                          কিছুদিন আগেই এক সমীক্ষায় দেখা গেছে গঙ্গাজলে অত্যন্ত বিপজ্জনক মাত্রায় কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া রয়েছে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অথচ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারি বা বেসরকারি কোনরকম উদ্যোগই চোখে পড়ল না   অন্নপূর্ণা মন্দির দক্ষিণেশ্বর মন্দির রানি রাসমণির মাধ্যমে একই সূত্রে বাঁধা অন্নপূর্ণা মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বর থেকে সামান্য উঁচু   রামকৃষ্ণ পরমহংসের নামটি দু' টি মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ------ তবুও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জন্য বরাদ্দ তৎপরতা , আর অন্নপূর্ণা মন্দিরের জন্য শুধুই উদাসীনতা কেন ?

                           সন্ধেবেলায় আলোর সাজে মন্দিরের অন্যরূপ ভিড়টা হালকা , ঘাট সুনসান বেশ কিছু বিত্তবান মানুষ পুজো দিয়ে প্রচুর মিষ্টি বিলি করলেন সবার মধ্যে যাকে বলে মধুরেন সমাপয়েৎ !


































annapurna temple barrackpore,

annapurna temple varanasi,annapurna temple karnataka,annapurna temple tirwa kannauj,annapurna temple horanadu,annapurna temple indore,annapurna temple kashi,annapurna temple in india,annapurna temple kannauj,annapurna temple ambasan,annapurna temple trimbakeshwar,annapurna temple surat,annapurna temple in south india,annapurna temple mehsana


কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...