"নিবন্ধ" লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
"নিবন্ধ" লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

নরওয়েরকিংবদন্তীদাবাড়ুমাগনুসকার্লসেন: এক বিস্ময়কর যাত্রা

 #নরওয়েরকিংবদন্তীদাবাড়ুমাগনুসকার্লসেন: এক বিস্ময়কর যাত্রা


দাবা বিশ্বের কিংবদন্তী নামগুলির মধ্যে একজন হলেন নরওয়ের মাগনুস কার্লসেন (Magnus Carlsen)। ১৯৯০ সালে জন্ম নেওয়া এই দাবাড়ু আজকের দিনে বিশ্ব দাবা তথা বুদ্ধিমত্তা ও কৌশলের খেলায় এক অপ্রতিরোধ্য প্রতিপক্ষ। তার খেলা ও অর্জনগুলি শুধু নরওয়ে বা ইউরোপেই নয়, বিশ্বজুড়ে দাবাপ্রেমীদের কাছে এক বিশেষ মর্যাদার জায়গা অধিকার করেছে।

### প্রাথমিক জীবন ও শখ

মাগনুস কার্লসেন ১৯৯০ সালের ৩০ নভেম্বর নরওয়ের তুনসে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিল একটি সাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত পরিবার, যেখানে তার বাবা হেন্সি কার্লসেন ছিলেন একটি সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার এবং মা, সেভেন মাগনসেন, ছিলেন এক ধরনের মাল্টি-স্পোর্টস অ্যাথলেট। মাগনুসের দাবায় আগ্রহ ছিল খুব ছোটবেলা থেকেই। মাত্র ৮ বছর বয়সে দাবায় তার প্রথম পরিচিতি হয়, আর কিছুদিনের মধ্যে তিনি দাবার প্রতি এক গভীর অনুরাগ তৈরি করেন। তার বাবা-মা তাকে শখের খেলায় আগ্রহী করে তোলেন এবং নিয়মিত তাকে দাবা খেলার সুযোগ দেন। খুব শীঘ্রই তার বিশেষ প্রতিভা ফুটে ওঠে এবং মাত্র ৯ বছর বয়সে সে আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করে।

### প্রফেশনাল দাবায় অভিষেক

মাগনুস কার্লসেনের জন্য দাবার জগতে প্রবেশের যাত্রা অত্যন্ত দ্রুততর ছিল। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার (GM) তকমা লাভ করেন, যা তখন একটি বিশ্ব রেকর্ড ছিল। এটি তার প্রাথমিক কীর্তির মধ্যে অন্যতম এবং তাকে বিশ্ব দাবা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে।

### বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে

মাগনুস কার্লসেনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো ২০১৩ সালে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা। ২০১৩ সালে তিনি ভারতীয় কিংবদন্তী বিশ্বনাথ আনন্দকে পরাজিত করে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হন। তার পর থেকে তিনি ২০১৪, ২০১৬, ২০১৮, এবং ২০২১ সালে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন পদটি রক্ষা করেন। এই দীর্ঘ সময় ধরে তার অবস্থান বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নের আসনে, প্রমাণ করেছে যে তার খেলা কেবল কৌশলগত দক্ষতায় নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তায়ও এক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে।

### খেলার ধরন এবং কৌশল

মাগনুস কার্লসেনের খেলা বিশ্লেষণ করতে গেলে তার অভ্যন্তরীণ কৌশল এবং খেলার গভীরতার প্রতি তার অনুপ্রেরণা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তিনি কোনো নির্দিষ্ট ওপেনিং বা কৌশলকে কেন্দ্র করে খেলতে পছন্দ করেন না। বরং, তার খেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তার পরিসরের মানসিক তীক্ষ্ণতা এবং খেলোয়াড়ের ভুল ধরতে পারার ক্ষমতা। তার অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ এবং ডিফেন্সিভ মেন্টালিটি একে তাকে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রতিটি পদক্ষেপে এক পা এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে।

### বিশ্বসেরা রেটিং

কার্লসেন যে তার সময়ের অন্যতম সেরা দাবাড়ু, তা তার ফিডে রেটিংও প্রমাণ করেছে। ২০১৪ সালে, তিনি ২৮৮২ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেন, যা তখনকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেটিং ছিল। এখনও পর্যন্ত তার রেটিং ২৮০০ এর উপরে থাকে, যা তাকে বিশ্বে সর্বোচ্চ রেটিংধারী দাবাড়ু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে।

### কার্লসেনের অবদান এবং প্রভাব

মাগনুস কার্লসেন শুধু খেলার ক্ষেত্রেই অসাধারণ নন, তিনি দাবা এবং অন্যান্য বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক খেলার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নরওয়ে এবং অন্যান্য দেশে তার খেলা, তাকে দাবার নতুন মহিমায় পৌঁছে দিয়েছে এবং দাবাকে একটি জনপ্রিয় খেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। শুধু তা-ই নয়, তিনি বিভিন্ন দাবা অ্যাপ এবং প্ল্যাটফর্মেও আগ্রহী, এবং তার মেধা ও কৌশলকে শিখিয়ে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন।

মাগনুস কার্লসেন একমাত্র বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই পরিচিত নয়, তিনি আধুনিক দাবা জগতের একটি আদর্শ, যেখানে প্রজ্ঞা, মনস্তাত্ত্বিক দৃঢ়তা, এবং নিরলস পরিশ্রমের সম্মিলন ঘটেছে। তার খেলা, তার যাত্রা, এবং তার অবদান আগামী প্রজন্মের দাবাড়ুদের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তার মতো একজন প্রফেশনাল দাবাড়ুর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

#ভারতীয়দাবাড়ুপ্রজ্ঞানন্দ: একজন প্রতিভাবান তরুণ

ভারতীয় দাবার জগতে একজন বিশেষ নাম উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে, তিনি হলেন প্রজ্ঞানন্দ, যার সম্পূর্ণ নাম **প্রজ্ঞানন্দ হে.**। ২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া এই তরুণ দাবাড়ু শুধু ভারতেই নয়, বিশ্ব দাবার অঙ্গনে অত্যন্ত পরিচিত। মাত্র ১৮ বছর বয়সে, প্রজ্ঞানন্দ তাঁর খেলার দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। তার খেলার শৈলী, মনোযোগী বিশ্লেষণ, এবং নিরলস পরিশ্রম তাকে শুধু ভারতীয় দাবার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র নয়, বরং আন্তর্জাতিক দাবা দুনিয়ার এক উদীয়মান তারকায় পরিণত করেছে।

### প্রাথমিক জীবন ও শখ

প্রজ্ঞানন্দ হে. জন্মগ্রহণ করেন ২০০৫ সালের ১০ আগস্ট ভারতের তামিলনাড়ুর চিদামবরম শহরে। তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কাউকে দাবায় বিশেষ আগ্রহ ছিল না, তবে প্রজ্ঞানন্দ ছোটবেলা থেকেই শখের দাবা খেলোয়াড় ছিলেন। ৫ বছর বয়সে তার বাবা তাকে দাবা খেলতে শেখান এবং তার প্রতিভা খুব তাড়াতাড়ি ফুটে ওঠে। প্রজ্ঞানন্দকে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পাঠানো হয়, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। তার শৈশব থেকে এই খেলা সম্পর্কে গভীর আগ্রহ এবং একাগ্রতা তাকে দ্রুত রেটিংয়ে উন্নীত করেছিল।

### প্রফেশনাল দাবায় পদার্পণ

প্রজ্ঞানন্দের পেশাদার দাবার যাত্রা শুরু হয় খুব তাড়াতাড়ি। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি **আন্তর্জাতিক মাস্টার (IM)** তকমা লাভ করেন, যা তাকে দাবার শিখরে পৌঁছানোর পথ পরিষ্কার করে দেয়। ২০১৮ সালে, মাত্র ১৩ বছর ১০ মাস বয়সে, তিনি **গ্র্যান্ডমাস্টার (GM)** তকমা লাভ করেন, যা তাকে ভারতীয় দাবা ইতিহাসের অন্যতম তরুণ গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে পরিচিতি দেয়। এই অর্জনটি শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং বিশ্ব দাবা জগতে প্রজ্ঞানন্দের প্রতি আগ্রহের সূচনা ছিল।

### আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সফলতা

প্রজ্ঞানন্দ দ্রুতই আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্টগুলোতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেন। তার খেলা কৌশলগত বিচক্ষণতা, বিশ্লেষণী দক্ষতা, এবং বিরল মনোযোগের জন্য পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি **ফিদে বিশ্ব দাবা কাপ**-এ নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখান, যেখানে তিনি বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন **মাগনুস কার্লসেন**সহ বেশ কিছু শীর্ষ দাবাড়ুর বিরুদ্ধে ভালো খেলা দেখান। তার সৃজনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিপক্ষের দুর্বলতাগুলো ধরার ক্ষমতা তাকে এক অপ্রতিরোধ্য খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত করেছে।

### খেলার ধরন এবং কৌশল

প্রজ্ঞানন্দের খেলার ধরন অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ। তিনি কৌশলগতভাবে শক্তিশালী এবং কখনোই আবেগের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন না। তার খেলা সাধারণত ঠান্ডা মাথায় এবং সতর্কতার সাথে চালিত হয়। তিনি ওপেনিং থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তকে বিশ্লেষণ করেন এবং প্রতিপক্ষের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর মনোযোগ দেন। তার খেলা মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য যেমন অপেশাদার এবং ভুলের প্রতি অদ্বিতীয় মনোযোগ, সেগুলোর মাধ্যমে তিনি সবসময়ই প্রতিপক্ষের কৌশল এবং ভুল ধরতে সক্ষম হন।

প্রজ্ঞানন্দের বিশেষ কৌশল হলো—তিনি নির্দিষ্ট একটি ওপেনিং বা স্ট্র্যাটেজিতে আটকে থাকেন না। পরিবর্তে, তিনি প্রতিটি ম্যাচের জন্য উপযুক্ত কৌশল নির্বাচন করেন, যা তার বুদ্ধিমত্তা এবং অবিচল মনোভাবের পরিচয় দেয়।

### পরবর্তী লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ

প্রজ্ঞানন্দ, এখনো তরুণ, তার পেশাদার ক্যারিয়ারে অনেক বড় অর্জনের পথে রয়েছেন। আগামী বছরগুলোতে, তিনি আরও বড় মঞ্চে নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করবেন, এবং তার লক্ষ্য বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষস্থান দখল করা। ইতিমধ্যেই তার অগ্রগতি এবং বিশ্ব দাবা দুনিয়ায় অবদান তাকে বিশ্বসেরা দাবাড়ুদের মধ্যে স্থান দিয়েছে।

প্রজ্ঞানন্দের জন্য ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল বলে মনে করা হচ্ছে। তার একাগ্রতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, এবং খেলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা তাকে আরও অনেক বড় সাফল্য অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে।

প্রজ্ঞানন্দ শুধু একটি প্রতিভাবান দাবাড়ু হিসেবে পরিচিত নয়, তিনি ভারতীয় দাবার ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করছেন। তার কঠোর পরিশ্রম, দক্ষতা, এবং বুদ্ধিমত্তা তাকে বিশ্ব দাবার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়দের মধ্যে স্থান দিয়েছে। তরুণ বয়সেই বিশ্বশ্রেণির দাবাড়ু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত প্রজ্ঞানন্দের খেলা ভবিষ্যতেও অনেক দেশ, শহর এবং দাবাপ্রেমীদের মনে থাকবে। তার কৃতিত্ব এবং অর্জন নতুন প্রজন্মের দাবাড়ুদের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে, এবং তিনি নিশ্চয়ই দাবা জগতে আরও অনেক বড় কীর্তি রচনা করবেন।

#ভারতীয়দাবাড়ুগুকেশ: তরুণ প্রজন্মের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

ভারতীয় দাবার ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে তরুণ দাবাড়ু **গুকেশ** এর মাধ্যমে। ২০০৬ সালে জন্মগ্রহণ করা গুকেশ ডি. (Gukesh D) এক আশ্চর্য প্রতিভা, যার খেলা ও কৌশল দাবার দুনিয়ায় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক দাবা জগতে নিজেকে এক শীর্ষ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গুকেশের খেলা, তার দক্ষতা, এবং দ্রুত উন্নতির গতি তাকে শুধুমাত্র ভারতীয় দাবার গর্বিত প্রতিনিধি নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ দাবাড়ু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

### প্রাথমিক জীবন এবং দাবায় আগ্রহ

গুকেশের জন্ম ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই শহরে। ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন খেলায় আগ্রহী ছিলেন, তবে দাবার প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। তার পরিবারের সদস্যদের কেউ বিশেষ দাবা খেলোয়াড় না হলেও গুকেশের প্রতি দাবার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। মাত্র ৫ বছর বয়সে, গুকেশ দাবা খেলা শিখতে শুরু করেন, এবং শীঘ্রই তার প্রখর মেধা এবং খেলার প্রতি আগ্রহ তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে। খুব কম বয়সেই তার খেলার দক্ষতা এবং কৌশল চোখে পড়ার মতো হয়ে ওঠে।

### আন্তর্জাতিক মাস্টার (IM) এবং গ্র্যান্ডমাস্টার (GM) হওয়া

গুকেশের দাবা যাত্রা শুরু হয় তার অসাধারণ শৈশব প্রতিভা দিয়ে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি **ফিদে আন্তর্জাতিক মাস্টার (IM)** তকমা লাভ করেন, যা তখন ভারতের জন্য একটি বড় কীর্তি ছিল। তার পরে, ২০১৯ সালে মাত্র ১২ বছর ৫ মাস বয়সে তিনি **গ্র্যান্ডমাস্টার (GM)** তকমা লাভ করেন, যা তাকে ভারতের অন্যতম তরুণ গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করে। গুকেশের এই দ্রুত উন্নতির পেছনে ছিল তার অবিচলিত পরিশ্রম, দক্ষ প্রশিক্ষণ, এবং খেলা বিষয়ে গভীর আগ্রহ।

### আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সফলতা

গুকেশ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তার পারফরম্যান্স দিয়ে সমগ্র দাবা জগতকে মুগ্ধ করেছেন। তিনি বিশ্বের শীর্ষ দাবাড়ুদের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য কৌশল এবং জয়ের জন্য পরিচিত হয়েছেন। ২০২১ সালে, গুকেশ **স্লোভেনিয়া ওপেন**-এ প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং একই বছর **উন্নত রেটিং অর্জন** করেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও পরিচিত করে তোলে।

গুকেশের খেলার শৈলী বিশেষভাবে আক্রমণাত্মক এবং সৃজনশীল। তিনি যখন কোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলেন, তখন তার খেলার মধ্যে প্রতিটি পদক্ষেপের গভীর বিশ্লেষণ এবং পরিপূর্ণ কৌশল থাকে। প্রতিপক্ষের ভুল ধরার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা তাকে অনেক ম্যাচে বিজয়ী করেছে।

### খেলার ধরন এবং কৌশল

গুকেশের খেলার ধরন নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তিনি নিজে বলেন, "আমি সাধারণত অনেক বড় পরিসরের কৌশল নিয়ে খেলতে পছন্দ করি এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা আমার শক্তি"। তার খেলার মধ্যে একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তার **আক্রমণাত্মক শৈলী** এবং **ব্রিলিয়ান্ট ওপেনিং** কৌশল। তিনি সাধারণত খেলোয়াড়দের চাপের মধ্যে ফেলে তাদের ভুল বের করে আনেন। তার প্রতিটি পদক্ষেপে সৃজনশীলতার ছাপ থাকে এবং প্রতিপক্ষের কাছে তিনি এক অবর্ণনীয় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠেন।

এছাড়া, গুকেশ খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন। তার খেলার মধ্যে কোনো একটি নির্দিষ্ট ওপেনিং বা স্ট্র্যাটেজি নেই, বরং তিনি প্রতিটি ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল তৈরি করেন, যা তাকে প্রতিটি ম্যাচে শীর্ষস্থান দখল করতে সহায়ক হয়।

### ভবিষ্যতের লক্ষ্যে

গুকেশের ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। তার বয়স কম হলেও, আন্তর্জাতিক দাবা দুনিয়ায় তার সুনাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি আরো বড় অর্জনের পথে। আগামী বছরগুলোতে তিনি আরও বড় মঞ্চে নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করবেন এবং তার লক্ষ্য হবে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থান দখল করা।

তিনি তার ক্যারিয়ারে একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন শীর্ষ দাবাড়ুর বিপক্ষে জয়লাভ করেছেন, যা তার ভবিষ্যত অর্জনের প্রতি আস্থা জোগায়। গুকেশের কঠোর পরিশ্রম এবং খেলার প্রতি নিষ্ঠা তাকে এক সফল ভবিষ্যত এনে দেবে।

গুকেশ ভারতীয় দাবা জগতের এক নতুন যুগের প্রতিনিধি। তার খেলা, কৌশল, এবং মনোযোগের প্রতি নিবেদন তাকে বিশ্ব দাবার অন্যতম উজ্জ্বল তারকা হিসেবে পরিচিত করেছে। ভারতের পরবর্তী দাবা কিংবদন্তী হওয়ার পথে গুকেশ অনেক বড় মাইলফলক অর্জন করবেন, এবং তার উদাহরণ ভবিষ্যত প্রজন্মের দাবাড়ুদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তাকে শুধুমাত্র ভারতের নয়, আন্তর্জাতিক দাবা দুনিয়াতেও শীর্ষস্থানে নিয়ে যাবে, এবং তার প্রতিভা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হবে।

রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২

মমিফিকেশন- মিশরে কিভাবে মমি বানানো হত? বীর চৌধুরী

"মমিফিকেশন- মিশরে কিভাবে মমি বানানো হত?"

- মিশর নামটা শুনলেই যেটা সবচেয়ে আগে মাথায় আসে তা হল "মমি"। ছোটবেলায় সিনেমায় দেখতাম মমিদের ভুত হিসেবে দেখানো হত, খুব ভয়ও লাগত ওরকম বীভৎস চেহারা বা রুপ দেখে। তারপর আরেকটু বড় যখন হলাম তখন জানলাম মমি হল আসলে মিশরের রাজপরিবারের কোন মৃত লোককে সহস্র বছর ধরে সংরক্ষন করে রাখা, মানে যাতে সেই মৃত শরীর কঙ্কাল না হয়ে যায়। তখন মনে প্রশ্ন জাগল যে কিভাবে কোন মৃত শরীরকে কয়েক হাজার সাল ধরে সংরক্ষন করা যায়? আর কেনই বা করা হতো!! তারপর এই নিয়ে পড়াশুনো করতে শুরু করলাম, আর জানলাম মমিফিকেশন বা মমি বানানোর সেই দুর্দান্ত প্রক্রিয়ার ব্যাপারে। আর মমি কেন করা হত সেই ব্যাপারে পৌরানিক অনেক কাহিনীও জানলাম। আজ আমরা এই লেখায় মমিফিকেশন ও মমি করার সমস্ত মাইথোলজিকাল কারন সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক:-

*** মমিফিকেশন এর ব্যাপারে জানার আগে চলুন জেনে নি এই মমির উৎপত্তির ব্যাপারে যত পৌরানিক গল্প জড়িত আছে সেগুলো সম্পর্কে --

- মিশর পুরানের একদম প্রথমদিকে ওসাইরিস, আইসিস ও সেথ নামের তিন দেবদেবী ছিলেন। তারা ভাইবোনও ছিলেন। দেবতা ও মিশরের সম্রাট ওসাইরিস বিয়ে করেন তার বোন আইসিসকে, এদিকে ভাই সেথ যিনি ছিলেন ধ্বংসের দেবতা, তিনি ওসাইরিসকে মারতে চাইতেন। একদিন ওসাইরিসকে চালাকি করে মেরে তিনি বিয়াল্লিশটা টুকরো করে সমগ্র মিশরে। দেবী আইসিস সেই টুকরোগুলো একটা বাজপাখির রুপ নিয়ে খুঁজে খুঁজে বার করে এক একটা করে জোড়া লাগালেন। যদিও ওসাইরিসের লিঙ্গ পাওয়া গেলনা, সে জায়গায় সোনার লিঙ্গ বানালেন আইসিস। দেহ তো প্রতিস্থাপন হল কিন্তু প্রানসঞ্চার কিভাবে হবে? এগিয়ে এলেন নরক ও মৃত্যুর দেবতা আনুবিস, ঠিক হল আনুবিসই ওসাইরিসের দেহের সংরক্ষন করে তাতে প্রান ফিরিয়ে আনবেন। মিশর ইতিহাসের সর্বপ্রথম মমি বানানো হল দেবতা ওসাইরিসের। তারপর ওসাইরিসের পুনর্জন্ম হল। এরপর ওসাইরিস আর আইসিসের এক পুত্র জন্মায় যার নাম হোরাস। এই হোরাস সেথের বিরুদ্ধে তার বাবার প্রতি হওয়া অন্যায়ের বদলা নেয়, যা ছিল মিশর পুরানের সর্বপ্রথম মহাযুদ্ধ। সেই গল্প অন্য একদিন শোনাব তোমাদের। যাইহোক তো, আনুবিসের এর পরে নতুন পরিচয় হল, তার নাম হল মমিফিকেশনের দেবতা। ওসাইরিস নতুন জীবন পেয়ে পাতাললোকে রাজত্ব করতে চলে গেলেন, তিনি হলেন মৃত্যুর পরের জগতের দেবতা। এই ছিল মমি বানানোর পিছনের পৌরানিক গল্প। যাইহোক, পুরান তো মানুষই বানিয়েছে, আর সেটা তো শুধু একটা গল্পই, কিন্তু এই গল্প বাস্তবে পরিনতি পেয়েছিল। অর্থাৎ মমিফিকেশন মিশরে চালু হয়েছিল।
মমি বানানোর পিছনে প্রাচীন মিশরের মানুষদের বেশ কিছু বিশ্বাস ছিল। যেমন তারা মনে করত মৃত্যুই জীবনের শেষ নয়, মৃত্যুর পরেও আরেকটা জগত থাকে যেখানে আত্মারা জীবিতদের মতই জীবনযাপন করে। তার মমি বানানোর সময় তারা কফিনে জল, খাবার, সাজগোজের জিনিস, পোষাক, মুদ্রা সবই রাখত। আত্মা নিয়ে তাদের মনে প্রচুর বিশ্বাস ছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রধান যে বিশ্বাসটা কাজ করত তা হল, মিশরীয়রা মানতো যে মানুষের শরীরের ভিতরে যে আত্মাটা আছে তার নাম "কা", এই কা এর জন্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। তাই মৃত্যুর পরেও যদি কা-কে বাচিয়ে রাখতে হয় তাহলে শরীরটাকেও সতেজ রাখতে হবে, অর্থাৎ সংরক্ষন করতে হবে। এই বিশ্বাস থেকেই মমিফিকেশনের জন্ম হয়। এরপর মিশরে চালু হয় মমি বানানোর প্রক্রিয়া। এবার সেই পয়েন্টে যাব আমরা--

•• মমিফিকেশনঃ- মিশর খুবই শুষ্ক দেশ। মমিফিকেশন চালু হওয়ার আগে তারা মৃতদেহকে বালির নীচে কবর দিত। বালির নীচে রাখার ফলে বডিগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত কিন্তু পচতো না। এভাবে তারা মৃতদেহ সংরক্ষন করত। কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে মিশরের ফ্যারাওরা খুশি ছিলেন না। তারা মনে করতেন যে তাদের কবর হবে সাধারন মানুষের থেকে অনেক স্পেশাল ভাবে, কারন তারা রাজপরিবারের। এই ভাবনা থেকেই ফ্যারাওদের জন্যে সমাধি বানানোর ব্যবস্থা শুরু হল। কিন্তু বালির নীচে যেমন বডি পচেনা, সমাধিতেও তো সেরকম ব্যবস্থা করতে হবে নইলে সংরক্ষন কিভাবে হবে? এদিকে ব্যাকটেরিয়া থেকেও বডিকে রক্ষা করতে হবে। এই নিয়ে পন্ডিতরা ভাবতে বসল। অনেক বছর ভাবনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে সমাধিকে উন্নত না করে মৃতদেহগুলিকে পচনশীল হওয়া থেকে আটকাতে হবে। তবেই সংরক্ষন সম্ভব হবে। এই চিন্তা থেকেই মমিফিকেশন পদ্ধতির জন্ম হল। আস্তে আস্তে সেটাকে উন্নত করতে বহু বছর আরো সময় লাগল। এরপর মিশরীয়রা মমিফিকেশন পদ্ধতি আস্তে আস্তে রপ্ত করে ফেললো।

** "ফাদার অফ হিস্ট্রি" পন্ডিত হেরোডটাসের লেখাতে এই মমিফিকেশন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। তিনি লিখেছিলেন এই মমিফিকেশন যারা জানত তাদের সমাজে সম্মান ছিল প্রচুর, এবং এই মমি বানানোর কাজটা করার জন্যে অনেক ওয়ার্কশপও বানানো হয়েছিল। তবে প্রথমদিকে এই মমি বানানো শিখতে মিশরীয়দের কালঘাম ছুটে গেছিল। কারন একদম প্রথমে তাদের মানুষের শরীর নিয়ে অত জ্ঞ্যান ছিল না। তারা সিম্পলি মৃতদেহগুলিকে পাটের কাপড়কে রজন নামে এক আঠালো গাছের রস দিয়ে ভিজিয়ে তা দিয়ে বডিটাকে ভালভাবে মুড়িয়ে রাখতেন। কিন্তু পচন আটকাতে এই পদ্ধতি অসক্ষম হয়েছিল। কাপড়ের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া থেকেই যেত, যার ফলে বডিটা কঙ্কালে পরিনত হত। এরপর মিশরের পন্ডিতরা আরো পড়াশুনা করা শুরু করে। অনেক পরীক্ষানিরীক্ষার পর তারা বোঝে যে মৃতদেহগুলি আসলে পচে না, পচে যায় বডির ভেতরে থাকা অঙ্গগুলি। তাই বডিকে না পচিয়ে সংরক্ষন করতে হলে খুব সাবধানভাবে আগে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো বার করে নিতে হবে। এই কাজটা করার জন্যে তারা চমৎকার এক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিস্কার করে। এটিই মমিফিকেশন নামে বিখ্যাত। এবার আমরা সেই মমিফিকেশন পদ্ধতির ব্যাপারে জানব, কিভাবে ধাপে ধাপে সেটা করা হত:-
**** মৃতদেহকে প্রথমেই আনা হত ওয়ার্কশপের প্রথম ঘরে, যার নাম "ইবু" বা বিশুদ্ধিকরন ঘর। এখানে প্রথমে দেহটিকে সুগন্ধী তাড়িজাতীয় তরল দিয়ে ভাল করে ধোয়ানো হত। তারপর পবিত্র নীল নদের জল দিয়ে দেহটিকে তিনদিন ধরে সঠিক ভাবে পরিস্কার করা হত। এরপর বডিটিকে আনা হত পরের ঘর অর্থাৎ "পার নেফার" এ, এই ঘরটিকে মমিকরণ কক্ষও বলা হত। এই ঘরেই মমি বানানোর আসল কাজগুলি হত। এই ঘরে আনার পর দেহটিকে লম্বা এক কাঠের টেবিলে শোওয়ানো হত। মূল পুরোহিত তার সাগরেদদের নিয়ে মমিফিকেশনের কাজ করার জন্যে আসতেন এখানে। এই পুরোহিত আনুবিসের মুখোশ পড়ে থাকতেন। এই পুরোহিতকে বলা হত "হেরি সেশতা"। মমিফিকেশন এর শুরুতেই দেহটিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে অঙ্গ অপসারনের কাজ শুরু করা হত। এই কাজের শুরু হত মস্তিস্ক দিয়ে। পুরোহিত দেহটির নাকের ফুটোর ভেতর দিয়ে তীক্ষ্ণ ও সরু একটা আঁকশি ঢুকিয়ে খুলি অব্দি নিয়ে যেত। এরপর সেই তামার আঁকশিটি দিয়ে তারা পুরো মস্তিষ্কটা কুরে কুরে বার করে আনত নাক দিয়েই। পুরোটা বার করা সম্ভব হতনা, অবশিষ্ট অংশ তারা লম্বা একটি সরুমুখওলা চামচ দিয়ে বা জল স্প্রে করে বার করে দিত। মজার ব্যাপার হল, এত কষ্ট করে তারা মস্তিস্কটা বার করত, কিন্তু সেটার সংরক্ষন তারা করত না। কারন প্রাচীন মিশরীয়রা জানতোই না মস্তিষ্ক কতটা দামী বা মস্তিষ্ক ঠিক কি কি কাজে লাগে। তারা জানত মৃত্যুর পরের জগতে এই মস্তিষ্ক কোন কাজে লাগেনা, তাই মস্তিষ্কটা তারা বেমালুম নষ্ট করে ফেলত। এই কাজটা পুরোহিত করত, কিন্তু পরের কাজ অর্থাৎ বাকি অঙ্গগুলো অপসারণের কাজগুলি বাকিরা করত। তারা অবসিডিয়ান নামক শক্ত এক পাথরের ব্লেড দিয়ে দেহটির বাম পাশে লম্বালম্বিভাবে চিরে একে একে বার করে আনত যকৃত, ফুসফুস, পাকস্থলী ও অন্ত্র বার করে আনতেন। হৎপিন্ড প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে খুবই পবিত্র ও দামী অঙ্গ ছিল। তারা মনে করত হৎপিন্ড না থাকলে ওসাইরিসের বিচারসভায় মৃত ব্যক্তির বিচার সম্ভব হবেনা এবং আত্মা কোনদিনই পরকালের জগতে যেতে পারবেনা। তাই হৎপিন্ড তারা শরীর থেকে বার করত না। ওটা যথাস্থানে সুরক্ষিতভাবে থাকত। এবার এই অপসারিত অঙ্গগুলি তারা ভাল করে ধুয়ে, রজনের প্রলেপ দিয়ে, পাটের কাপড়ে মুড়ে এক বিশেষ পাত্রে সংরক্ষন করতেন। এই পাত্রগুলিকে "ক্যানোপিক জার" বলা হত। এই পাত্রগুলি মমির সাথেই তার সমাধিতে রাখা হত।
এই ক্যানোপিক জার নিয়েই অল্প কিছু তথ্য দিয়ে দি। মানুষের মাথার মত দেখতে জারটির নাম "ইমসেটি", এটিতে যকৃত রাখা হত। বেবুনের মাথার মত দেখতে জারটির নাম "হাপি", এতে ফুসফুস রাখা হত। শিয়ালের মাথার মত দেখতে জারের নাম "ডুয়ামেতেফ", এতে পাকস্থলী রাখা হত। আর বাজপাখির মাথার মত দেখতে জারের নাম ছিল "কেবেহসেনুয়েফ", এতে অন্ত্র রাখা হত।
এবার শরীরের অঙ্গগুলি বার করার পরে যে ফাঁকা জায়গা হত তাতে সেখানে ধূপ ও অন্যান্য পদার্থ ঢুকিয়ে দেওয়া হত যাতে চামড়া ভিতরের দিকে না ঢুকে যায়। এরপর দরকার হত শরীরের সমস্ত জল বার করে নেওয়ার, কারন জল থাকলেই পচন হবে। এজন্যে শরীরটিকে "ন্যাট্রন" নামক এক লবনের চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে রাখা হত। এই ন্যাট্রন শরীরের চামড়ার রং না বদলে বা দেহটিকে স্টিফ না করেই শরীরের সমস্ত জল শুষে নিত। এই কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্যে দেহটিকে প্রায় ৩৫-৪০ দিন এই ন্যাট্রনে ডোবানো থাকত। এই চল্লিশ দিন পর দেখা যেত বডিটি একদম শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। এরপর এই দেহটিকে আনা হত "ওয়াবেত" নামক ঘরে, এখানে দেহটির ভিতরে ঢুকানো সব পদার্থগুলি বার করে ন্যাট্রন, রজনে ভেজানো পাটের কাপড়, বালি এসব দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হত। এরপর সেই কাটা জায়গা গুলি সেলাই করে দেওয়া হত। এরপর দেহ থেকে বাজে গন্ধ যাতে না বেরোয় তাই সিডার অয়েল, নানা মশলা মিশ্রিত রজন ইত্যাদি দিয়ে দেহটিতে ভাল করে প্রলেপ লাগানো হত। এরপর দেহটিকে ব্যান্ডেজ করার কাজ শুরু হত। এই ব্যান্ডেজ করার কাজটি ছিল বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। মাথা ও গলা প্রথমে ব্যান্ডেজ করে তারপর হাত পা সহ গোটা শরীরটাকে ব্যান্ডেজে মুড়িয়ে ফেলা হত। ও এরমাঝে চোখদুটি তুলে সে জায়গায় সাদা পাথরের উপর আকা চোখ বসানো হত। নাকের ও কানের ফুটোয় মোম দিয়ে বুজিয়ে দেওয়া হত। এরপর দ্বিতীয় স্তরের ব্যান্ডেজের কাজ শুরু হত। এই দ্বিতীয় স্তর করার সময় মাঝের জায়গাগুলি আঠা দেওয়া হত। এই সময় আরেকজন পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারন করতেন পাশে দাঁড়িয়ে। এবং মমির উপর রাখা হত নানান মন্ত্রপূত কবচ এবং কিছু মন্ত্র লিখে রাখা প্যাপিরাসের পাতা। হাতদুটো জড়ো করে বুকের কাছে রাখা হত। সেখানেও কবচ রাখা থাকত। এরপর মমিটিকে কাঠের এক কফিন বা সমাধিতে ঢোকানো হত। এই কফিনের গায়ে লেখা থাকত মমিটির পরিচয় এবং বুক অফ ডেডের কিছু বাণী। এরপর কাঠের কফিনটি পাথরের আরেক কফিনে ঢোকানো হত যার নাম "সারকোফেগাস"। ও এর মাঝে দেহটির মুখের উপর এক মুখের আকারের মুখোশ পড়ানো হত যেটি দেখতে মিশরীয় কোন দেবতার মুখের মত হত। এই সারকোফেগাস বানানো হত লাইমস্টোন দিয়ে, এর ফলে কফিনের ভেতর যে আবহাওয়া হত সেটা দেহের সমস্ত মাংসগুলিকে শুকিয়ে দিত। ব্যান্ডেজের নীচে শুধু শুকিয়ে যাওয়া মমিটির দেহ পাওয়া যেত। কিন্তু পচতো না মমিগুলো।
এভাবেই একটি মৃতদেহকে মমি বানানো হত। অবশ্য এই মমিফিকেশন নিয়ে আরো গল্প আছে। যেমন শুধু কি ফ্যারাওরাই বানাত এই মমি?? মিশরীয় বা মানবজাতি কি মমিগুলি সু সংরক্ষন করতে আদোও পেরেছিল?? এই সব গল্পগুলো আরেকদিন হবে। আজ এই অব্দিই থাকুক।
** কেমন লেগেছে অবশ্যই জানিও। মমিফিকেশন নিয়ে এই লেখাটা খুবই স্পেশাল একটা লেখা। পারলে শেয়ার করে বন্ধুদেরও দেখিও। ধন্যবাদ


httpssankhamanigoswami.xyz

মমি কিভাবে তৈরি হয়,
মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ফারাওরা কি বিশ্বাস করতেন , মমি রহস্য, বিখ্যাত মমি, পিরামিড কি, মিশরীয়রা পিরামিড তৈরি করেছিল কেন, ফারাও কাদের বলা হয়, মমি বলতে কি বুঝায়, মমি ছবি, মমি রহস্য,মমি অর্থ কি

শনিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২২

২০২২ সালে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপযোগিতা

 গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফ থিংস (AIoT) মার্কেট 2021 প্রতিযোগিতামূলক ল্যান্ডস্কেপ এবং মূল বিক্রেতাদের উপর গবেষণা বিশ্লেষণ, 2027 সালের পূর্বাভাস

মার্কেটওয়াচ নিউজ বিভাগ এই বিষয়বস্তু তৈরির সাথে জড়িত ছিল না।

 

ডিসেম্বর 19, 2021 (Comtex এর মাধ্যমে CDN নিউজওয়্যার) -- গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফ থিংস (AIoT) মার্কেট রিসার্চ রিপোর্ট 2021-2027 শিরোনামের এই রিপোর্টের সাথে, MarketQuest.biz-এর গবেষণা বিশ্লেষকরা আমাদের ক্লায়েন্টদের বিনিয়োগ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ডেটা উপস্থাপন করতে সাহায্য করে শিল্পে বৃদ্ধির সুযোগ। প্রতিবেদনে সর্বশেষ বাজারের প্রবণতা, বিকাশের সুযোগ এবং ব্যবসার বৃদ্ধির বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। বৃদ্ধির জন্য প্রয়োগ করা ব্যবসায়িক কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অব থিংস (AIoT) শিল্পের আর্থিক কাঠামো সহ অত্যাবশ্যক এবং গুরুত্বপূর্ণ বাজারের দিকগুলি কভার করে।

 

অধ্যয়নটি ড্রাইভিং ফ্যাক্টর এবং প্রতিরোধের কারণ, চ্যালেঞ্জ যা বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AIoT) বাজারের ভবিষ্যত বৃদ্ধিকে সংজ্ঞায়িত করবে এমন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে কয়েকটি হল ওভারভিউ, বৃদ্ধির কারণ, বিভাজন, আঞ্চলিক বিশ্লেষণ এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্লেষণ।

 

 

প্রতিবেদনটিকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করার লক্ষ্য হল প্রতিটি প্যারামিটারের গভীরভাবে মূল্যায়ন করা এবং আমাদের ব্যবহারকারীদের বর্তমান ল্যান্ডস্কেপে বিদ্যমান সবচেয়ে সম্ভাব্য এবং এমনকি সেরা প্রবণতা বুঝতে দেওয়া। প্রতিবেদনে কোম্পানির প্রোফাইল, পণ্যের স্পেসিফিকেশন, উৎপাদন ক্ষমতা/বিক্রয়, রাজস্ব, মূল্য এবং গ্রস মার্জিন সহ গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফ থিংস (AIoT) শিল্পের মূল খেলোয়াড়কে কভার করে।

 

বিশ্ব বাজারে নেতৃস্থানীয় নির্মাতাদের বিশ্লেষণ:

 

AISPEECH

আইবিএম

ইন্টেল

গোফার প্রোটোকল

মাইক্রোন প্রযুক্তি

ShiftPixy Inc.

Twilio Inc.

গভীর দৃষ্টি

ALCES

সেভা

বাই-প্রোডাক্ট প্রকার, রিপোর্ট কভার করে:

 

বাই-অ্যাপ্লিকেশন, রিপোর্ট কভার করে:

 

স্মার্ট হোম

যানবাহন সিস্টেম

স্মার্ট রোবট

স্মার্ট ফোন

অন্যান্য

 

রাজস্ব দ্বারা আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি দেশগুলিকে কভার করে যথা:

 

উত্তর আমেরিকা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো)

ইউরোপ (জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইতালি এবং বাকি ইউরোপ)

এশিয়া-প্যাসিফিক (চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া)

দক্ষিণ আমেরিকা (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং বাকি দক্ষিণ আমেরিকা)

মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা (সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাকি মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা)

বাজার সংজ্ঞা বিভাগটি গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফ থিংস (AIoT) বাজার চালক এবং বাজারের সংযম অধ্যয়ন করে। এই প্রতিবেদনের সময় পরিচালিত গবেষণা এবং বিশ্লেষণগুলি আমাদের ক্লায়েন্টদের বিশ্বব্যাপী বাজার গবেষণা বিশ্লেষণের সহায়তায় একটি উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগ, বাজারের শেয়ারের সম্প্রসারণ, বা প্রতিস্থাপন পণ্যের সাফল্যের প্রকল্প করতে সহায়তা করে।

 

গ্লোবাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফ থিংস (এআইওটি) বাজারের প্রবণতা এবং আয় বিশ্লেষণ এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাজার বিশ্বব্যাপী ভাড়া হবে কিভাবে একটি পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি দেবে. এই সমীক্ষাটি বেশ কয়েকটি বাজারের সম্ভাবনাও দেখে, যেমন সুবিধা, উত্পাদনশীলতা, পণ্যের মূল্য, ক্ষমতা, সরবরাহ, চাহিদা এবং বৃদ্ধির হার, সেইসাথে পূর্বাভাস (2021-2027) প্রতিবেদনের উপসংহারে একটি নতুন প্রস্তাবের একটি PESTEL এবং SWOT বিশ্লেষণ, সেইসাথে একটি বিনিয়োগ রিটার্ন বিশ্লেষণ রয়েছে।

 

 

 

02

ক্লুপেন তার প্রথম পরিবেশগত, সামাজিক এবং শাসন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ("ESG রিপোর্ট")

বেইজিং, 15 ডিসেম্বর, 2021 /পিআরনিউজওয়্যার/ -- 15ই ডিসেম্বর, ক্লোপেন ("ক্লুপেন" বা "কোম্পানি") (এনওয়াইএসই: RAAS), চীনের একটি শীর্ষস্থানীয় বহু-ক্ষমতাসম্পন্ন ক্লাউড-ভিত্তিক যোগাযোগ সমাধান প্রদানকারী, তার পরিবেশগত সমাধান প্রকাশ করেছে , 2020 সালের সামাজিক ও শাসন প্রতিবেদন এবং 2021 সালের প্রথমার্ধ (এরপরে "ESG রিপোর্ট" বা "প্রতিবেদন" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে)। ESG ডিসক্লোজার স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে এটি ক্লোপেন কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিবেদন, সেইসাথে পরিবেশের প্রথম পদ্ধতিগত প্রকাশntal, সামাজিক এবং শাসনের দিক। প্রতিবেদনটি ব্যবসায়িক নৈতিকতা, পণ্যের দায়িত্ব এবং উদ্ভাবন, গোপনীয়তা এবং তথ্য সুরক্ষা, সবুজ এবং কম কার্বন, মহামারী বিরোধী এআই, দাতব্য, মানব পুঁজি উন্নয়ন এবং ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্লোপেনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং সাফল্যগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং ব্যাপকভাবে প্রদর্শন করেছে।

 

ক্লুপেনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মিঃ চ্যাংক্সুন সান রিপোর্টে বলেছেন: "আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে এন্টারপ্রাইজগুলির দায়িত্ব রয়েছে সমাজে অবদান রাখা এবং একজন ভাল 'কর্পোরেট নাগরিক' হওয়ার। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সকলের যৌথ প্রচেষ্টায়, আমাদের পৃথিবী অবশ্যই ভালো হয়ে উঠবে।"

 

সর্বদা সকলের জন্য প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলি অনুসরণ করুন এবং "উষ্ণ যোগাযোগ" বজায় রাখুন

 

ইএসজি রিপোর্ট অনুসারে, ক্লোপেন "প্রতিদিনের যোগাযোগের অভিজ্ঞতা এবং এন্টারপ্রাইজগুলির জন্য কার্যক্ষম উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য" প্রতিষ্ঠা করেছে, সর্বদা তার পণ্য প্রযুক্তি নীতি হিসাবে "মানবতার সাথে উচ্চ দক্ষতার সমন্বয়" সমর্থন করেছে, উষ্ণ এবং নীতিগত যোগাযোগের উপর জোর দিয়েছে, এবং ক্রমাগত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সুবিধার প্রচার।

 

চীনের "কমিউনিকেশন+এআই" এর পথপ্রদর্শক হিসাবে, ক্লোপেন এন্টারপ্রাইজ যোগাযোগ শিল্পের অগ্রগতি প্রচারের জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সময় প্রতিটি কর্মচারীর মূল্য আনতে উদ্যোগগুলিকে সাহায্য করে। স্মার্ট ভার্চুয়াল ব্যাঙ্কিং কাউন্টার, বুদ্ধিমান ভয়েস রোবট, বুদ্ধিমান এজেন্ট সহকারী এবং বুদ্ধিমান প্রশিক্ষণ রোবট সহ একাধিক পণ্য প্রয়োগ করে, ক্লোপেন "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা + ছোট গ্রাহক পরিষেবা দল" এর মোডে বৃহৎ গ্রাহক পরিষেবা দলের ঐতিহ্যগত মোডকে অপ্টিমাইজ করেছে। অর্থ, সরকারী বিষয় এবং অন্যান্য শিল্পকে অফলাইন অপারেশনের প্রথাগত মোড থেকে মানব-কম্পিউটার সহযোগিতার দূরবর্তী অপারেশনে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। এন্টারপ্রাইজ যোগাযোগ কেন্দ্রগুলির পুনরাবৃত্তিমূলক আপগ্রেডিং, খরচ হ্রাস এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচার করার সময়, এটি এন্টারপ্রাইজ এবং তাদের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আরও সম্ভাবনার ক্ষমতা দেয় এবং শিল্প ইন্টারনেট তরঙ্গের অধীনে AI প্রযুক্তি দ্বারা আনা লভ্যাংশ ভাগ করে নিতে, আকার নির্বিশেষে উদ্যোগগুলিকে সক্ষম করে।

 

গল্প চলতে থাকে

 

ক্লুপেন উদ্যোগ এবং কর্মচারীদের ক্ষমতায়নের চেয়ে আরও বেশি কিছু করে, কিন্তু পেশাদার দক্ষতার সাথে সমাজকে ফিরিয়ে দেয়। 2020 সালে কোভিড-19 প্রাদুর্ভাবের পর থেকে, ক্লোপেন সক্রিয়ভাবে জনকল্যাণমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে যেমন মহামারী প্রতিরোধ এবং দাতব্য তহবিলের সাথে সহযোগিতা করা, সরকার, চিকিৎসা সংস্থা, উদ্যোগ, সামাজিক কল্যাণ সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য সমাধান প্রদান করা। Cloopen's 7Moor Omnichannel Intelligent Customer Service System সিচুয়ান প্রদেশের প্রায় 11 মিলিয়ন মানুষকে দ্রুত "স্বাস্থ্য কোড" এর জন্য আবেদন করতে সাহায্য করে, AI মহামারী প্রতিরোধ রোবট ইয়াংজু মহামারী প্রতিরোধের সদর দফতরকে "লাইফ চ্যানেল" তৈরি করতে সহায়তা করে, ভিডিও গ্রাহক পরিষেবা ক্যান্সার হাসপাতালের অনলাইন পরামর্শের গ্যারান্টি দেয়। চাইনিজ একাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, ইত্যাদি। ক্লোপেন স্মাইল অ্যাঞ্জেল ফাউন্ডেশনের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, এটিকে বিনামূল্যে কল সেন্টার প্ল্যাটফর্ম পরিষেবা প্রদান করে এবং সাহায্য ও যত্নের প্রয়োজনে লোকেদের আরও ভালভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি মানক এবং স্থিতিশীল কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। সারা দেশে.

 

তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং তথ্য সুরক্ষা সুরক্ষা একীভূত করুন

 

ক্লাউড কম্পিউটিং, বড় ডেটা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ বিস্তৃত যোগাযোগ এবং উন্নত ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানকারী একটি উদ্যোগ হিসাবে, ক্লোপেন সক্রিয়ভাবে তথ্য সুরক্ষা অবকাঠামো কমিয়ে দেয়, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ডেটা সুরক্ষা-সম্পর্কিত আইন ও প্রবিধানগুলি কঠোরভাবে মেনে চলে এবং একটি প্রতিষ্ঠা করে। তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা প্রবিধান সংখ্যা. ইতিমধ্যে, এটি গ্রাহকদের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার গোপনীয়তার বাধ্যবাধকতাগুলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, যাতে প্ল্যাটফর্মগুলিতে ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থাপনাকে মানক করা যায় এবং সিস্টেমের নিরাপদ অপারেশন নিশ্চিত করা যায়। তথ্য সুরক্ষার পদ্ধতিগত ব্যবস্থাপনার ক্রমাগত উন্নতি করে, ক্লোপেন তথ্য সুরক্ষা প্রযুক্তি এবং জরুরী প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার আপগ্রেডিংকে জোরালোভাবে প্রচার করে, মেধা সম্পত্তি অধিকারের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করে, সমস্ত কর্মীদের তথ্য সুরক্ষা সচেতনতা এবং পেশাদার দক্ষতা ক্রমাগত উন্নত করে এবং তথ্য সুরক্ষায় সহায়তা করে শিল্প নির্মাণ।

 

ক্লোপেন তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা সুরক্ষাকে কোম্পানির পণ্য বিকাশ এবং বিতরণের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করে৷ অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, এনক্রিপশন মেকানিজম এবং গোপনীয়তা বর্ধিতকরণ প্রযুক্তি সক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার সময় ব্যক্তিগত তথ্য লঙ্ঘন প্রতিরোধ করে। উদাহরণস্বরূপ, "ভার্চুয়াল ইন্টারমিডিয়েট নম্বর" এর মাধ্যমে, ভার্চুয়াল নম্বরগুলি ব্যবহারকারীদের এবং এন্টারপ্রাইজগুলিকে বরাদ্দ করা হয় এবং প্রকৃত সংখ্যাগুলি লুকানো হয়, যাতে বিশাল O2O পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের গোপনীয়তা সুরক্ষা উপলব্ধি করা যায়। "স্মার্ট ভার্চুয়াল ব্যাঙ্কিং কাউন্টার" এর মাধ্যমে, আর্থিক নিরাপত্তা সুরক্ষা প্রভাব অর্জন করা হয়, যা নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। 2020 সালে, ক্লুপেনের "বুদ্ধিমান ভয়েস রোবট" অর্জনচায়না ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং চায়না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স দ্বারা জারি করা "ট্রাস্টেড এআই" সার্টিফিকেশনের প্রথম ব্যাচ, ইঙ্গিত করে যে পণ্যটি সিস্টেম নিরাপত্তা, পরিপক্কতা, স্থিতিশীলতা, ডেটা বিষয় গোপনীয়তা সুরক্ষার মতো প্রায় 20টি সূচকের মান পৌঁছেছে। , ডেটা সুরক্ষা, পণ্যের চাহিদা বৈচিত্র্য, ব্যাপক প্রশিক্ষণ ডেটা এবং অ্যালগরিদম ন্যায্যতা, যাতে উদ্যোগগুলি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে AI ব্যবহার করতে পারে।

 

গণমুখী নীতি মেনে চলুন এবং একটি বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলুন

 

ক্লুপেন সর্বদা লোকমুখী এবং কর্মীদের ভাল আচরণ করার দায়িত্বের ধারণাকে মেনে চলেন, প্রতিভা কৌশলকে দৃঢ়ভাবে প্রচার করেছেন এবং কর্মীদের বৈচিত্র্য এবং সমান সুযোগগুলি সম্পূর্ণরূপে বিবেচনা করেছেন। প্রতিভা দলকে শক্তিশালী করার সময়, এটি ক্রমাগত কল্যাণ ব্যবস্থা এবং যত্নশীল ব্যবস্থার উন্নতি করে এবং প্রতিটি কর্মচারীর বৃদ্ধির সাথে থাকে।

 

মিঃ চ্যাংক্সুন সান রিপোর্টে জোর দিয়েছিলেন: "আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে উদ্যোগগুলিকে সবার আগে রাখা উচিত এবং আমরা 'ক্লুপেন ফ্যামিলি'র পক্ষে। আমরা কোনো স্কেল ছাঁটাই না করার জন্য জোর দিয়েছি এবং সাধারণ কর্মচারীদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার কোনো হ্রাস নেই। 2020 থেকে 2021 পর্যন্ত, আমরা কর্মীদের স্কেল ক্রমাগতভাবে প্রসারিত করি; কর্মচারীদের সুবিধা বৃদ্ধি করি যেমন মেডিকেল পরীক্ষা, সম্পূরক বাণিজ্যিক চিকিৎসা বীমা; এবং পুনরায় লিজ এবং সংস্কার করা উহানে কর্মরত 100 টিরও বেশি কর্মচারীকে স্বাগত জানাতে উচ্চমানের অফিস ভবন।"

 

সবুজ এবং কম কার্বন বজায় রাখুন এবং টেকসই উন্নয়নের ব্যবসায়িক দর্শনকে ব্যাপকভাবে গড়ে তুলুন

 

একজন কর্পোরেট নাগরিক হিসাবে, ক্লোপেন তার পরিবেশগত দায়িত্ব সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন। এটি টেকসই উন্নয়নের জাতীয় ধারণার প্রতি সক্রিয়ভাবে সাড়া দেয়, সবুজ অফিসের উদ্যোগকে জোরালোভাবে প্রচার করে, বিভিন্ন দূষণকারী পদার্থের নিঃসরণকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শক্তির সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করে, যাতে এন্টারপ্রাইজগুলির টেকসই উন্নয়নের ব্যবসায়িক দর্শনকে ব্যাপকভাবে তৈরি করা যায়।

 

ইতিমধ্যে, ক্লুপেনের "সবুজ পণ্য"--এআই ভিশন স্মার্ট কমিউনিটি এবং পার্ক সলিউশন, কম্পিউটার ইমেজ ভিশন বিশ্লেষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশকে উপলব্ধি করে এবং শিখা এবং ধোঁয়া সনাক্তকরণ, তরল এবং গ্যাসের লিকেজ সনাক্তকরণ, জল জমে শনাক্তকরণ, সবুজ বেল্ট তদারকি এবং আবর্জনা বসানো সনাক্তকরণ. কোনো অনিয়ম বা জরুরী ক্ষেত্রে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথমবার একটি অ্যালার্ম দেবে, যা সম্প্রদায় এবং পার্কের পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ এবং আবর্জনা তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণভাবে সহায়তা করে এবং একটি সুন্দর বাড়ি তৈরিতে অবদান রাখে।

 

2013 সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে, ক্লোপেন সক্রিয়ভাবে তার সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছে, সামগ্রিকভাবে উদ্যোগ, পরিবেশ এবং সমাজের সমন্বিত এবং টেকসই উন্নয়নের প্রচারের উপর জোর দিয়েছে, জাতিসংঘের 17টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে সম্পূর্ণরূপে সাড়া দিয়েছে এবং গভীরভাবে SDG10 প্রচার করেছে। (Reduced Inequalities), SDG11 (টেকসই শহর ও সম্প্রদায়), SDG12 (দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন) এবং SDG17 (লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবী রক্ষা এবং সবার জন্য সমৃদ্ধি অর্জনের বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলির নির্দেশনায়।

 

কোম্পানির যোগাযোগ:

 

ক্লোপেন গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড ইনভেস্টর রিলেশনস ই-মেইল: ir@yuntongxun.com

 

সিশন

 

মূল বিষয়বস্তু দেখুন:https://www.prnewswire.com/news-releases/cloopen-released-its-first-environmental-social-and-governance-report-esg-report-301445538.html

 

সোর্স ক্লুপেন গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড



www.httpssankhamanigoswami.xyz

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক কে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক ক্ষেত্র


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক ক্ষেত্র সমূহ




মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

কাবুলিওয়ালার দেশের কথা

           কাবুলিওয়ালার দেশের কথা

 

          আফগানিস্তান -সভ্য তালিবান জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে খুবই দুঃখের কথা প্রতিবেশী দেশে ভারত কোন একটা বন্দর তৈরি করে দিয়েছিল শুনেছিলাম ইরান থেকে আফগানিস্তান হয়ে ভারতে গ্যাসের পাইপলাইন আসার একটা খবরও পড়েছিলাম সেই সম্ভাবনাগুলোও শেষ মন্দির পুড়লে দেবালয় রক্ষা পায়না , প্রতিবেশী দেশের জল-জমি-আকাশ জঙ্গিদের দখলে চলে গেলে ভারতের চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে ইমরান খান এই ঘটনাটিকে আফগানিস্তানের মুক্তি পাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন ! একজন প্রথমসারির প্রাক্তন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের মুখে এমন অখেলোয়াড়োচিত মন্তব্য হতবাক করে দেয়

 

           পৃথিবীর প্রতিটি জঙ্গি সংগঠনই কোনও না কোনও ভাবে বৃহৎ শক্তির দ্বারা মদতপুষ্ট , সরাসরি বললে স্পনসরড । আইসিস হোক বা তালিবান – কোনও মহাশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনা । পারেনা আফগানিস্তানের মত একটা গোটা দেশ দখল করতে । আমেরিকা দু’দশক আফগানিস্তানকে রক্ষা করে এসেছে এমনি এমনি নয় , সে সময়ে এ গ্রহের দাদা ছিল আমেরিকা । হালে খুব সূক্ষ্ম ভাবে পৃথিবীর দাদা যে পাল্টাচ্ছে, সেটা মোটের ওপর আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট । আমেরিকার কাছেও । তাই তারা হাত গুটিয়ে নিচ্ছে । এদিকে তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ায় উল্লসিত পাকিস্তানের সর্বাধিনায়ক ইমরান খান । সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের খুব বন্ধু রাষ্ট্র চিন , এ গ্রহের নয়া দাদা । তালিবানরা যে চিনের পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে এই কথাটা বুঝতে খুব বেশি বুদ্ধি খরচ করতে হয়না । এই মুহূর্তে চিন একমাত্র রাষ্ট্র যে , তার সীমানার কাছাকাছি থাকা প্রত্যেকটি দেশের সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া শুরু করেছে গত কয়েক মাসে । একটা নির্বাচিত সরকারকে অঙ্গুলিহেলনে নাচানোর চেয়ে তালিবানদের সাহায্য করার কাজটা অনেক সহজ চিনের পক্ষে , দাদাগিরি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ।   



          যেটা হচ্ছে খুব খারাপ হচ্ছে, সন্দেহ নেই বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তির ধ্বংস হওয়ার মত আরও কিছু বর্বরতার ছবি আমরা আগামী দিনে যে দেখব তাতেও সংশয় নেই প্রতিবেশী দেশের বিপদ নিয়ে চিন্তা খুবই ভাল , আরও ভাল নিজেদের দেশ নিয়ে আগে চিন্তা করা বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তির মত অত প্রাচীন না হলেও লুটিয়েন্স দিল্লির স্থাপত্যের একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে , শোভা আছে সেটাকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে মোদীর শাসনকালের প্রতীকস্বরূপ সেন্ট্রাল ভিস্টার কাজ চলার মধ্যে তালিবানিজম নেই ? মোগলসরাই স্টেশনের নাম পরিবর্তনের মধ্যে তালিবানি চিন্তা-ভাবনার ছাপ নেই ? পশ্চিমবঙ্গের মত বরাবর পরমতসহিষ্ণু রাজ্যে সশস্ত্র রামনবমীর মিছিল করার মধ্যে তালিবান জঙ্গিদের ছায়া নেই ? রামনবমীর মিছিলে বাচ্চাদের হাতে তরোয়াল ধরিয়ে দেওয়ার মধ্যে সেই একই জঙ্গিপনা নেই ? প্রতিবাদ অনেকেই করেন , কিন্তু কেউ তো বলেন না ----রাজা তোর কাপড় কোথায় , কেউ তো স্পষ্ট ভাষায় বলেন না , যারা বাচ্চাদের হাতে তরোয়াল ধরিয়ে দেয় ,তারা কখনও সমাজের হিতাকাঙ্ক্ষী হতে পারেনা



          দিল্লি - মোগলসরাই অনেক দূর , ঘরের কাছে মুর্শিদাবাদ আছে মোগল আমলের চিত্তাকর্ষক ইতিহাসের বেশ কিছু স্মৃতিচিহ্ন এখনও সেখানে অটুট মুর্শিদ কুলি খাঁ- নামে মুর্শিদাবাদ আগামিদিনে যদি মুর্শিদাবাদের নাম বদল হয় , তখন প্রতিবাদ করার মত জোর পাবেন তো তাঁরা , যাঁরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই চিন্তিত ? বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি আমি চোখে দেখিনি , কিন্তু তার অনেক গল্প শুনেছি , গল্প শুনে আর ভিডিও দেখে আমি তাকে ভীষণ ভালবেসে ফেলেছি খুব ভাল কথা কিন্তু আমরা প্রায় সবাই যে স্বচক্ষে খোসবাগে সিরাজের সমাধি দেখেছি , মুর্শিদ কুলি খাঁ' সমাধি দেখেছি আগামিদিনে যদি ভারতে মুসলিম শাসনের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এগুলি ভেঙে ফেলা হয় , গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় , মুর্শিদাবাদের নাম পাল্টে দেওয়া হয় , তবে আমার অন্তত বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংস হতে দেখার চেয়েও বেশি কষ্ট হবে । আর ভবিষ্যৎ কাল কেন , ঘটমান বর্তমানে আসি । তালিবানরা ঐতিহাসিক কাবুল গেট ভেঙেছে , আর আমাদের দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগ জেনারেল ডায়ারের কুখ্যাত হত্যাকাণ্ডের ঐতিহাসিক স্মৃতির ক্ষত বয়ে চলার বদলে হয়ে উঠছে ঝাঁ চকচকে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো । এখন আর দেওয়ালে বুলেটের ক্ষত নয় , কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল আরও বেশি দ্রষ্টব্য হয়ে উঠবে বলে খবর । বিশিষ্ট ইতিহাসবিদেরা বলছেন , কুখ্যাত হত্যাকাণ্ডের স্মারক হিসেবে বিষণ্ণতা নয় , নবনির্মিত জালিয়ানওয়ালাবাগ দর্শক-শ্রোতাদের মনে আনন্দ ও ফুর্তি জোগাবে । ছোটবেলায় ইতিহাস বইয়ে আমরা পড়েছি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে 'নাইটহুড' ত্যাগ করেছিলেন । খুব আনন্দে কাজটা করেছিলেন কি ? একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি । আমরা আগ্রা দুর্গ দেখতে গিয়ে দেওয়ান-ই-আম এবং দেওয়ান-ই-খাসের দেওয়ালে , দুর্গের আনাচকানাচে অমুক প্লাস অমুক , তমুক প্লাস তমুক দেখেছিলাম ২০০৩ সালে । তখনও দিল্লির মসনদে এন ডি এ , থুড়ি বিজেপি সরকার । খুব কষ্ট হয়েছিল ঐতিহাসিক একটি স্থাপত্য রক্ষায় সরকারের অসীম উদাসীনতা দেখে । ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে হিন্ধু মহাসভার ভূমিকা খুব ইতিবাচক নয় বলেই কি এই ঔদাসীন্য ?  

           এককথায় বললে , কেপটাউনে জল জমলে লেক টাউনের কী ? তালিবান অনেক দূরে আছে , ঘাড়ের কাছে শ্বাস ফেলছে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা , এবং ক্রমশ তা শক্তিশালী হয়ে উঠছে এই অপশক্তি নিয়ে আরও বেশি চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই আমার মনে হয়



www.httpssankhamanigoswami.xyz


তালিবান শব্দের অর্থ

তালিবান আফগানিস্তান

তালিবান আফগানিস্তানের যুদ্ধ

তালিবান খবর


তালিবান নিউজ

তালিবান সংবাদ

তালিবান মিনিং ইন বাঙ্গালী


talibanism in india 2021

 

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...