"দিনলিপিরপাতা" লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
"দিনলিপিরপাতা" লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

হাল্লা চলেছে যুদ্ধে এবং হল্লা । রাশিয়া বনাম ইউক্রেন ।

 হল্লা


রাশিয়া মানে খুব ছোটবেলায় আমার কাছে আর্ট পেপারে ছাপা 'মিশা' পত্রিকা । ইন্দ্রজাল কমিক্সের মত , কিন্তু ভাষাটা ইংরেজি । বাবা পড়ে শোনাতেন , মানে বোঝাতেন । যতদূর মনে পড়ে পত্রিকাটি রাশিয়া থেকেই প্রকাশিত হত । রাশিয়া মানে আরেকটু বড় হয়ে আমার কাছে ভস্তক , রাদুগা প্রকাশনীর বই । তারপর যখন কাগজ পড়া শুরু করলাম একটু একটু করে , তখন কাগজে দু'টি শব্দ দেখতাম প্রায়ই -- 'গ্লাসনস্ত' আর 'পেরেস্ত্রোইকা' । মিখাইল গর্ভাচভ আর এই নীতি সমার্থক । মনে আছে , আমি বাবাকে বলতাম ,ওনার চকচকে টাকে ওরকম দাগ কেন ? চা পড়ে গেছিল ? ! দু'বছর আগেও ভুলে গেলে বাবার কাছে জেনে নিতাম 'গ্লাসনস্ত' কথাটির অর্থ হল মুক্ত চিন্তা আর 'পেরেস্ত্রইকা' মানে হল পুনর্গঠন । কমিউনিস্ট রাশিয়াকে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত করতে চেয়ে এই নীতি প্রবর্তন করেছিলেন গর্ভাচভ ।
কিন্তু আজ ? রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের কথাই শেষ কথা । চিন - উত্তর কোরিয়া-ব্রাজিল-ভারত-মায়ানমার সর্বত্র একই ছবি । যায় যদি যাক প্রাণ , হীরকের রাজা ভগবান । এর অন্যথা ঘটলেই তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে মস্তিষ্ক প্রক্ষালন যন্ত্রে । মস্তিষ্ক প্রক্ষালক ? আহাম্মক ! মগজ ধোলাই ? আজ্ঞে, ঠিক তাই !
এল ডোরাডোর খোঁজ যেখানে পেয়েছে মানুষ , সেখানেই পরস্পরের সঙ্গে লড়াইয়ে মেতেছে । অল্পেতে সাধ মেটেনা , এ স্বাদের ভাগ হবে না ! রাশিয়া আর ইউক্রেন , যে দু'টি দেশের মধ্যে লড়াই বেধেছে , তার কারণ একটাই , খনিজ সম্পদে ঠাসা এলাকাগুলির দখল নেওয়া , যা বেচে রাশিয়া বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র । ভালয় ভালয় দিয়ে দিলে ল্যাটা চুকে যেত , দিলি না তো , এবার সামলা কার্পেট বম্বিং । কিছু নিরপরাধ মানুষ অবশ্য মরবে দু'দেশেই , ওটাকে কূটনীতিতে বলে 'সমান্তরাল ক্ষতি' । সভ্যতা আমাদের শিখিয়েছে ওটুকু মেনে নিতে হয় , মানিয়ে নিতে হয় ।
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাশিয়া গিয়েছিলেন এ বি পি আনন্দের প্রতিনিধি সুমন দে । ঘুরে দেখিয়েছিলেন , মস্কোর মেট্রো চলাচল ব্যবস্থা , যা কিনা পৃথিবীতে সবচেয়ে পুরনো পাতালরেল পরিষেবা । আজ সেই মেট্রো স্টেশনগুলিকেই বাঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ , প্রাণের দায়ে , বোমারু বিমান থেকে রক্ষা পেতে । সুমন দে 'মেট্রো টু'-এর কথাও বলেছিলেন , আদতে এটি একটি উপন্যাস । কিন্তু অনেকের মনেই স্থির বিশ্বাস এ এক চূড়ান্ত গোপনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা , যার মাধ্যমে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছড়িয়ে থাকে বিভিন্ন প্রান্তে । কোনটা ঠিক , কতটুকু ঠিক--- কে জানে ? আমরা তো কেবল যুদ্ধের ফুটেজ দেখে যাব এবং গ্যাসের আর জিনিসপত্রের দাম মেটাতে নাকানিচোবানি খাব ।
sankhamanigoswami.blogspot.com


ইউক্রেন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তি,
ইউক্রেন এর সামরিক শক্তি,
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণ,
ইউক্রেন দেশের পরিচিতি,
রাশিয়া বনাম ইউক্রেন,
রাশিয়া বনাম,
ন্যাটো বনাম রাশিয়া


সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

দিল সে দিয়া জ্বলে । দীপাবলি ২০২১ উপলক্ষে এইচ পি-র বিজ্ঞাপন এবং একটি অভিজ্ঞতা ।

এইচ পি-র একটা বিজ্ঞাপন দেখে মন ভরে গেল । ফলের রস বলতে অবশ্য আমার ধর্মতলার ফলের রসের দোকানের কথা মনে পড়ে । যাইহোক , আসল গল্পে আসি । রাণাঘাটের এক ভাতের হোটেলে এক দোকান মালিককে দেখেছিলাম , তাঁর কথা শুনেছিলাম । মনে হয়েছিল , কোনও দিন যদি কোনও দোকানের মালিক হই , এঁর মত হব । আমি ভাতের অর্ডার দিয়ে বসে আছি , পূর্বোক্ত ভদ্রলোক দোকানে এসে ঢুকলেন , রুটি-তরকা দিতে বললেন । দোকান মালিকের সঙ্গে কথাবার্তায় বোঝা গেল , এই এলাকারই ব্যবসায়ী , হৃদ্যতা আছে । ভদ্রলোকের লম্বা - পেটানো চেহারা । পালিশ করা চেহারা , চোখমুখ দেখে বোঝা যায় উচ্চ শিক্ষিত ব্যবসায়ী । খেতে খেতে হোটেল মালিকের সঙ্গে গল্প করছিলেন , প্রাসঙ্গিক অংশটুকু যতটা সম্ভব অবিকৃতভাবে তুলে ধরছি ---

---- আজ দোকানে এক কাস্টমার এসেছিল বুঝলে । বলা নেই , কওয়া নেই , হঠাৎ আমার দোকানের এক কর্মচারীকে চড় কষিয়ে দিল । ঝামেলা দেখে আমি উঠে দেখতে গেলাম কী ব্যাপার । লোকটার কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে বললাম , ওর ভুল হয়েছে , কিন্তু আপনি ওর গায়ে হাত দিলেন কেন ? এমন ইতর লোক বুঝলে , বলে --- বেশ করেছি । আমারও এবার গেল মাথাটা গরম হয়ে । বললাম --- আরেকবার আমার সামনে 'বেশ করে' দেখান । লোকটা এখানে সুবিধে করে উঠতে পারবেনা বুঝে পিঠটান দিল । ভাতের হোটেলের মালিক সবটা শুনে বললেন --- কী আর করবে বল , আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হবে । দোকান মালিকের কথার মর্মার্থ ছিল ব্যবসাটা সবাইকে নিয়েই করতে হয় , সবাই মিলে করতে হয় , একা করা যায় না । এই বিজ্ঞাপনের বার্তাও সেটাই । যাঁর মাথা থেকে এই বিজ্ঞাপনের আইডিয়াটা বেরিয়েছে দীপাবলি উপলক্ষে , তাঁকে অভিবাদন জানাই ।





#httpssankhamanigoswami








দীপাবলি 2021      

দীপাবলি কি
দীপাবলি রচনা

দীপাবলি ২০২১

দীপাবলি লক্ষ্মী পূজা

দীপাবলি শব্দের অর্থ

diwali 2021 date kolkata

দেওয়ালি ২০২১ , diya,


বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

মহাসপ্তমীর_সন্ধ্যায়_ঘুরতে_বেরিয়ে_দেখলাম --12-10-2021

 #মহাসপ্তমীর_সন্ধ্যায়_ঘুরতে_বেরিয়ে_দেখলাম --

১) তখন তোমার একুশ বছর বোধহয় , আমি তখন অষ্টাদশী ছোঁয়ায় । দুই জনে রিক্সায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে । একুশ বছর অন্যদিকে তাকিয়ে খুব কায়দা করে বাঁ হাতটা অষ্টাদশীর কাঁধে রেখেছিল । মেয়েটা মুখটা খুব গম্ভীর করে, কড়া গলায় বলল --- "হাতটা সরাও ।" ছেলেটা বিরস বদনে হাত সরিয়ে নিল ! আহা রে ! ২) একটা পুজোর এবার পঁচাত্তর বছর । বড় ক্যানভাসে ঘিয়ে রঙের ওপর লাল ফুল দিয়ে বিরাট করে লেখা --- '৭৫ তম বর্ষ' । দেখলাম সেটার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে এক তরুণী ! সব ছবিরই একটা মানে থাকে । পঁচাত্তর বছর বয়সে সবাইকে যদি এত তাজা লাগত , কেমন দাঁড়াত ব্যাপারটা ? ৩) বয় ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছে অনেকে । তাদের কারও হাত বাইক চালকের বুক খামচে রয়েছে , কারও হাত চালকের কাঁধের ওপর । ঝোড়ো হাওয়ায় শ্যাম্পু করা চুল উড়ছে , প্যান্ডেলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় গান বাজছে --- "দেখি , তোমার চুলের মত মেঘ সব ছড়ানো / চাঁদের মুখের পাশে জড়ানো / মন হারাল , হারাল, মন হারাল সেই দিন ।" এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে , সাজুগুজু করলে মেয়েদের মুখের ওপর বারে বারে চুল এসে পড়ে কেন , আর সেগুলোকে আঙুল দিয়ে ঢেউ আঁকার মত সরানোরই বা প্রয়োজন হয় কেন ? ৪) এদিকওদিক ছোটার ফাঁকে মণ্ডপের পাশে দাঁড়িয়ে সপ্তমী পুজোর ভোগ খাচ্ছেন জম্যাটো ডেলিভারি বয় । যিনি ঘড়ির কাঁটা ধরে সবাইকে খাবার সরবরাহ করেন , তিনি তৃপ্ত হচ্ছেন পুজোর ভোগ খেয়ে । এই দিনে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কী হতে পারে ।


www.httpssankhamanigoswami.xyz


দুর্গা পূজা ২০২১ তারিখ

দুর্গা পূজা ২০২১ বাংলা তারিখ

দুর্গা পূজা ২০২১ সময় সূচি

দুর্গা পূজা ২০২১ আগমন

দুর্গা পূজা কবে ২০২১

দুর্গা পূজার তারিখ ২০২১

durga puja 2021

durga puja 2021 date

durga puja 2021 date kolkata

durga puja 2021 photo


durga puja 2021 kolkata pandal


durga puja 2021 calendar

বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

খ্যাতির বিড়ম্বনা

আনন্দবাজার পত্রিকার রিসেপশনে বসে থাকলেও যে কত বিচিত্র ঘটনার সাক্ষী থাকা যায় । একদিন বসে আছি , ভিতরে ঢুকে এক ভদ্রমহিলা রিসেপশনে জানালেন অপর্ণা সেনের সাথে দেখা করতে চান । আজই , এখনই । তাঁকে রিসেপশনের ভদ্রমহিলা জানালেন , উনি এভাবে দেখা করেন না , অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় । তবু ওই ভদ্রমহিলা নাছোড়বান্দা । একই কথা বলে চলেছেন । একবার রিসেপশনিস্টকে বললেন , -- আপনি একটু ব্যবস্থা করে দিন না । উত্তর এলো -- ওরা আমাদের পাত্তাই দেয় না , আমি কী ব্যবস্থা করব ! মরিয়া হয়ে এবার ভদ্রমহিলা এক অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন ! ৫০০ টাকার একটা নোট টেবিল পেরিয়ে রিসেপশনিস্টের হাতে গুঁজে দিতে গেলেন । ব্যস , আমার চোখের সামনে যেন ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবনের একটা ঘটনার পুনরাভিনয় ঘটল । বিবেকানন্দ একবার ঠাকুরকে পরীক্ষা করে দেখার জন্য তাঁর বিছানার তোষকের নীচে টাকা রেখে দিয়েছিলেন । মনে মনে বলেছিলেন -- খুব তো টাকা মাটি , মাটি টাকা -- বলেন ! আজ একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাক ! পরীক্ষার ফল মারাত্মক হয়েছিল বলে কথিত । রামকৃষ্ণ বিছানায় বসেই --- জ্বলে গেলুম , পুড়ে গেলুম বলে ছিটকে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন , বহুক্ষণ লেগেছিল তাঁর জ্বালা জুড়োতে ।


প্রসঙ্গান্তরে গেলাম শুধুমাত্র ওই জ্বলে গেলুম পুড়ে গেলুম দৃশ্যটার প্রায় পুনরাভিনয় কীভাবে আমাদের চোখের সামনে হয়েছিল , সেটা বোঝাবার জন্য । রিসেপশনের ভদ্রমহিলা দু'পাশে হাত উঠিয়ে তড়াক করে উঠে দাঁড়ালেন ! বললেন --- টেবিল থেকে টাকাটা তুলুন , নাহলে সিকিওরিটির লোকেদের ডাকতে বাধ্য হব । ঘটনাটা অনেকদিন আগের , তখন এমন বাড়িতে বাড়িতে সি সি টি ভি ক্যামেরা থাকত না । যাইহোক , কথা না শোনাতে শেষ পর্যন্ত এক মহিলা নিরাপত্তাকর্মী ওঁকে বাইরে নিয়ে গেলেন ।
খ্যাতির বিড়ম্বনা কাকে বলে , সেদিন স্বচক্ষে দেখলাম । প্রসঙ্গত , তখন অপর্ণা সেন সম্ভবত সানন্দা'র সম্পাদক ছিলেন ।

Courtesy: Sjta. Aparna Sen.


অপর্ণা সেন আনন্দবাজার পত্রিকা, অপর্ণা সেন আনন্দবাজার, অপর্ণা সেন এর জীবন কাহিনী, Aparna Sen
Indian film director,  https://g.co/kgs/VFkTdx, aparna sen anandabazar, অপর্ণা সেন পরিচালিত সিনেমা, অপর্ণা সেন অভিনীত সিনেমা, অপর্ণা সেনের বিতর্কিত ছবির নাম

রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শিক্ষক দিবস ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্লাস টেন । ভোলাবাবুর বাংলা ক্লাসে টেক্সট বই সামনে খুলে রাখা বাধ্যতামূলক । এ আর বি সেকশন একসাথে ক্লাস হচ্ছে । ক্লাসরুম ছাত্রে ঠাসা । আমি লাস্ট বেঞ্চের আগেরটায় বসেছি , ভালো ছেলে , টেক্সট বই এনেছি । অকারণে নয় , একটু ট্যাঁ ফো করলে স্যরেরা ভয় দেখাতেন , সোনাউল্লা স্কুলে বাবার কাছে ফোন যাবে । যাইহোক , ঠিক পিছনের বন্ধু হঠাৎ ছোঁ মেরে বইটা তুলে নিল , কারণ ও বই আনেনি । আমিও ততোধিক সপ্রতিভ ভাবে পাশের বন্ধুর বই টেনে নিলাম , আর ও কিছুক্ষণ আমার দিকে কটমটিয়ে তাকিয়ে ব্যাগের থেকে অঙ্ক বই বের করে খুলে বসল গম্ভীর ভাবে । স্যর রোল কল করলেন , তারপর মাথা নীচু করেই হুঙ্কার ছাড়লেন --- "গোস্বামী , তোমার পাশের জনকে দাঁড়াতে বলতো ।" আমি ওকে বাধ্য ছাত্রের মত চোখের ইঙ্গিত করলাম । আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভোলাবাবু মুখে হাসি টেনে বাজখাঁই গলার আওয়াজেও বলে উঠলেন --- "তুমি কাকে টুপি পড়াচ্ছো বাবা ? হাতে ওটা কী বই ? ওটা নিয়ে একবার এদিকে এসো তো বাবা !" বন্ধুটির মাথায় অতঃপর টকাটক কতগুলো গাঁট্টা পড়ল , ভোলাবাবুর শাস্তি দেওয়ার পদ্ধতি । যারা ভোলাবাবুকে দেখেননি , তাঁরা বাম আমলের মন্ত্রী প্রতিম চট্টোপাধ্যায়কে মনে করতে পারেন , অনেকটা মিল আছে । একটা বিরাট ঘরে একজনকে হাতেনাতে কীভাবে স্যর ধরলেন , সেটা এখনও আমার কাছে একটা রহস্য ।


ক্লাস ইলেভেন । আমাদের ডানা গজাচ্ছে , কারণ আশপাশে প্রচুর ডানাকাটা পরী ঘুরে বেড়াচ্ছে । আমরা মূর্তিতে পিকনিকে যাব । সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে যাবেন দিলীপ বাবু আর জয়দেব বাবু । সদর গার্লস কবে মূর্তিতে পিকনিকে যাবে , সেটা জেনেই সব ঠিক করা হয়েছে । আয়োজন মসৃণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে । আমরা নির্দিষ্টও দিনে পূর্ব নির্দিষ্ট সময়ে মূর্তি পৌঁছলাম । খবর পেলাম সদর গার্লস আগেই পৌঁছেছে , কারণ ওরা আলো থাকতে থাকতেই ফিরে যাবে । ঠাকুর রান্না করবে , আমরা আর বসে থেকে কী করবো , একটু মূর্তি নদীর , পাহাড়ের প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করবো না ! সবিনয়ে সকলে মিলে স্যরেদের কাছে অনুমতি চাইলাম ---- "স্যর , আমরা একটু ঘুরে আসি ?" দু'জন স্যরই একসাথে বললেন ---"এসো ।" আমরা একটু এগোতেই পিছন থেকে ডাকলেন , কাছে এলে কেটে কেটে দিলীপ বাবু বললেন ---- "এখানে তোমরা এমন 'কিছু' করো না, যাতে স্কুলের সুনাম নষ্ট হয় ।" আমরা হাঁ ! বোঝা গেল , আমরা ডালে ডালে চললে , স্যরেরা চলেন পাতায় পাতায় !
কলকাতার একটা বাংলা দৈনিকে শিক্ষানবিশি করছি তখন । কাগজের তৎকালীন কার্যনির্বাহী সম্পাদক (পরে সম্পাদক) ডেকে পাঠালেন । একটা বইয়ের রিভিউ লিখতে হবে। ওনার ঘরে ঢোকার পর
বসতে বলে আমার হাতে একটা প্রিন্ট আউট ধরিয়ে দিয়ে বললেন -- আমি শুরু করেছিলাম লিখতে । হঠাৎ একটা জরুরি কাজে কলকাতার বাইরে থাকব , তাই তোমাকে ডাকা । তুমি নিজের মত করে লিখবে । যদি রাখা প্রয়োজন মনে করো, তবে আমার লেখা অংশটুকু রাখবে, অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে ফেলে দেবে। ফেলে দেবে-- শব্দ দুটো শুনে আমি তখন হতবাক। বাংলায় একটা আপ্তবাক্য আছে, ---- বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে। ওনার কথা শুনে সেদিন এই কথাটাই মনে হয়েছিল প্রথমে । একজন শিক্ষানবীশ ছোকরার সামনে ওই পদমর্যাদার একজন মানুষ , এতটা বিনয়ী , এতটা উদার হতে পারেন তা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। নিজেকে যে কয়েকজন সাংবাদিকের ভাবশিষ্য বলে মনে করি, উনি তাঁদের মধ্যে একজন । শিক্ষক দিবস আমার কাছে এই গুরুস্থানীয়দের বারবার স্মরণ করার দিন ।
sankhamanigoswami.blogspot.com



শিক্ষক দিবস রচনা


শিক্ষক দিবস কবে পালিত হয়


শিক্ষক দিবস সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা


শিক্ষক দিবস কবে

শিক্ষক দিবস কার জন্মদিন


শিক্ষক দিবস ২০২১

শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দেখা । দিনলিপির পাতা ।

                           দেখা 

 

         ফেলুদা সিধু জ্যাঠাকে বলেছিল , আপনি গোয়েন্দাগিরি করলে আমাদের ভাত মারা যেত । উত্তরে সিধু জ্যাঠা বলেছিলেন – আমি অনেক কিছু করলেই , অনেকের ভাত মারা যেত ফেলু , তাই শুধু মনের দরজা-জানলাগুলো খুলে বসে থাকি । মনের দরজা – জানলাগুলো একটু ফাঁক করে রাখলেই মাঝেমধ্যে এমন সব অভিজ্ঞতা হয় যা চেতনাকে রীতিমত ঝাঁকুনি দিয়ে যায় । মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে একটা দৃষ্টান্ত দিই । ‘প্রাক্তন’ ছবিটা আমরা অনেকেই দেখেছি । এখানে অপরাজিত আঢ্য অভিনীত চরিত্রটি এমনভাবে আঁকা হয়েছে যাকে আপাতদৃষ্টিতে তুলনায় স্বল্প শিক্ষিত , জোরে জোরে এবং বেশি কথা বলা এমন একজন বিরক্তিকর মহিলা বলে মনে হয় , যার বুদ্ধিতে কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে । অথচ ঠিক সময়ে সে নিজেই বুঝতে পারে তাঁর স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গেই সে ট্রেনযাত্রায় মিতালি পাতিয়েছে । ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার আগে প্রাক্তন স্ত্রী, বর্তমান স্ত্রীর ঠিকানাটা চায় বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে উপহার পাঠানোর জন্য । বর্তমান স্ত্রী অপরাজিতা আলতো করে , প্রাক্তন স্ত্রীর গালে হাত বুলিয়ে বলেন – তুমি তো আমাকে , তোমার জীবনের সেরা গিফটটা দিয়েই দিয়েছ দিদিভাই , আমার স্বামী ! প্রাক্তন স্ত্রী হাঁ , দর্শক হাঁ , পরিচালকদ্বয়ের মাস্টারস্ট্রোক এবং অপরাজিতার অসাধারণ অভিনয়ে, কিস্তি এবং মাত ! কাজেই কে আসলে কী, সহজে বোঝা সহজ নয় ।    

         এক ব্যাঙ্ক পিয়নের সঙ্গে পরিচয় আছে । তাঁকে ফোন করে জানতে চাইলাম , কাল কি ব্যাঙ্ক বন্ধ নাকি গো ? – কেন ? রাজ্য সরকার দেখলাম পয়লা জুলাই ছুটি ঘোষণা করেছে । -- কিসের ? ডক্টরস ডে । --- আমরা ডক্টর থোরি না আছি । তাহলে ব্যাঙ্ক খোলা ? – হ্যাঁ ,হ্যাঁ খোলা । এবার আসল গল্প । আমি ফোন করতেই কোভিড বাণীর পরে কলার টিউন বাজা শুরু হল – “অ্যাই ছেলেটা , নাম কী তোর ? আমি বললাম – ফুসমন্তর ।“ ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় জয় গোস্বামীর ‘মেঘবালিকার জন্য রূপকথা’ । আমি হাঁ ! সত্যি কথা বলতে কী , কি বলব সেটাই গুলিয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য । শিখলাম , মুখের ভাষা দিয়ে রুচির বিচার করতে নেই , পেশা , সামাজিক অবস্থান দিয়েও না । হয়ত ওই লাইনদুটোই ওর ভাল লেগেছে । কিন্তু সেই ভাল লাগাটুকুর জন্যও একটা সংবেদনশীল মন তৈরি থাকা দরকার । অথচ আপাতদৃষ্টিতে ওই পিয়নকে দেখে কিন্তু এটা বোঝার উপায় নেই । আমরা একজন মানুষকে দেখে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ কেমন হতে পারে , বুদ্ধিসুদ্ধি , বিচার-বিবেচনা , বিচক্ষণতা কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে মনে মনে একটা ধারণা তৈরি করে ফেলি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা মিলেও যায় । এক উচ্চপদস্থ সাংবাদিক দাদাকে চিনি , গত ষোল বছর ধরে যাঁর কলার টিউন বেঠোফেনের একটা সিম্ফনি । কিন্তু আজকের ঘটনায়, আমার মনের অবচেতনে আগে থেকে সেই পিয়ন সম্বন্ধে তৈরি হয়ে থাকা ধারণাটাতো মিলল না । এটা আমার কাছে একটা বড় শিক্ষা । বাবা বলতেন , খবরের কাগজ , পত্রপত্রিকার চিঠিগুলো অবশ্যই পড়বি । দেখবি , কত অজ পাড়া-গাঁ থেকে কেমন তথ্যসমৃদ্ধ সব চিঠি আসে । সত্যিই তাই । আমি কোনওদিন গ্রামে থাকিনি । কিন্তু খবরের কাগজ ও পত্রিকার চিঠি পড়ে আমার মনে গ্রাম সম্পর্কে আগে থেকে তৈরি হয়ে থাকা অনেক ধারণা পাল্টেছে ।

          ক্লাস সিক্সে আমাদের একটা ইংরেজি গদ্য পাঠ্য ছিল – ‘রাইট জাজমেন্ট’ । সঙ্গে একটা ছবি , অর্ধেকটা জলে ভরা একটা কাচের পাত্রের মধ্যে একটা কাচের দণ্ড ডোবানো । বাইরে থেকে দণ্ডের ডোবানো অংশটা দেখতে বাঁকা লাগছে , কিন্তু আসলে সেটা দেখার ভুল । এভাবে দণ্ডটাকে দেখে সেটা আদতে বাঁকা ভাবা সঠিক বিচার নয় , রাইট জাজমেন্ট নয় । সঠিকভাবে দেখতে হলে দণ্ডটাকে জল থেকে তুলে চোখের সামনে আনতে হবে । পরে জেনেছি বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ঘটনাকে প্রতিসরণ(Refraction) বলে । ছোটবেলার অনেক শিক্ষা বড় হয়ে হঠাৎ করে কাজে লেগে যায় । আজকের ঘটনা আমাকে বলছে --- “দেখো রে , নয়ন মেলে , জগতের কী বাহার !”    


  

sankhamanigoswami.blogspot.com


দিনলিপি

দিনলিপি রচনা

দিনলিপি লিখন

দিনলিপি কাকে বলে


দিনলিপি অর্থ

দিনলিপি কি

দিনলিপি মানে কি

diary

diary writing

diary meaning

open diary

diary entry







শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

ইন্দ্রিয়জ

 ইন্দ্রিয়জ


'অন্ধাধুন' দেখছিলাম । যাঁদের পঞ্চেন্দ্রিয়ের মধ্যে যে কোনও একটি ইন্দ্রিয়ের প্রতিবন্ধকতা থাকে , তাঁদের সাধারণত অন্য একটি ইন্দ্রিয় ভীষণ প্রখর হয় । এ ব্যাপারে আমার ছোট পিসির কথা বলতে হয় । ছানি পড়ে একটা সময়ে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন । অপারেশনে ভীতি ছিল । ফলে বেশ কয়েক বছর পুরোপুরি অন্ধ অবস্থায় কাটান । পরে বাবা কাগজ দেখে রাসল স্ট্রিটে ডাঃ পাহাওয়ার সন্ধান পান । উনি কলকাতায় প্রথম লেজার( একটু বিদ্যে ফলাই । পুরো কথাটা হল --- Light Amplification by the Stimulated Emission of Radiation) রশ্মি দিয়ে ছানি অপারেশনের প্রযুক্তি এনেছিলেন । আমার ভাই পরম ধৈর্য সহকারে বুয়া , মানে আমার ছোট পিসিকে বুঝিয়ে অপারেশনে রাজি করায় । কলকাতায় বুয়ার অপারেশন হয় আশির দশকের শেষ লগ্নে । তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ছোট পিসি চশমা ছাড়াই ভাল দেখতে পান ।

এটা আসল গল্প নয় । গল্প ওই ইন্দ্রিয় নিয়ে । অন্ধ অবস্থায় থেকেও পিসি বাড়িতে মাছ কাটার দায়িত্বটা যেচে নিজের ঘাড়ে নিয়েছিলেন । বাবা বাজারে যাওয়ার সময় বলে দিতেন কই মাছ আনলে, না কাটিয়ে আনতে । কোনও আপত্তি খাটত না । এখন বুঝি বুয়া চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালোবাসতেন । আর জলপাইগুড়ির কই মাছের সুখ্যাতি তো স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করে গেছেন --- "আনবে কটকি জুতো , মটকিতে ঘি এনো / জলপাইগুড়ি থেকে এনো কই জিয়নো !" যাঁরা কই মাছ কাটেন , তাঁরা যানেন কই মাছের কাঁটা সাংঘাতিক জিনিস , জ্যান্ত কই মাছ কাটা খুব কঠিন কাজ । খুব সতর্কতার সাথে কাজটা করতে হয় । আমার ছোট পিসি কিন্তু আমাদের চোখের সামনে জ্যান্ত কই মাছের প্রাণ কেড়েছেন দিনের পর দিন । মাছ কাটার আগে মা পাশে একটু সংগ্রহ করে আনা কোলবলের ছাই আর নুন দিতেন । নুনটা মাছের ওপর ছড়িয়ে , আর ছাইটা হাতে মেখে শুরু হত বুয়ার মাছ কাটা । হাতের কৌশলে অদ্ভুত কায়দায় মাছকে কাবু করতেন , ব্যাপারটা বলে বোঝানো অসম্ভব । আজকালকার ঘটনা হলে , এত শব্দ খরচ না করে , ফেসবুক বা ইউটিউব লাইভ করতাম ! ভাল কথা , বুয়া কিন্তু সে সময়ে সন্ধেবেলা সেতারও বাজাতেন ।


wikipedia





মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

পচা

কলকাতায় ইকো পার্কে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কার কেমন জানিনা , তবে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ । বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পার্কটিতে একবার ঢোকা মানে প্রতি পদে পদে অনর্থক টাকার অপচয় । অন্তত আমার তা-ই মনে হয়েছে । তিন বছর আগে শেষবার গিয়েছিলাম । একটা রেস্তরাঁয় মোমো খেতে ঢুকলাম । ভিতরের পুরটা পুরো পচা । মালিককে বলাতে বলল , এটাই তো সবাই খাচ্ছে । কী করে খাচ্ছিল যে সবাই, কে জানে ! অগত্যা দাম মিটিয়ে বেরিয়ে এলাম । ভেবেছিলাম গাইবো --- মোমো , আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা , তুমি আমারই , তুমি আমারই --- নাহ , সে যাত্রা তা আর হলনা ! মনে মনে শুধু বললাম , জলপাইগুড়ির ছেলেকে তুমি মোমো চেনাচ্ছো বাওয়া !


না , শুধু ইকো পার্ক নয় , ফুচকার জলও অনেক সময় পচা থাকে , গেঁজিয়ে ওঠে । তবে সেটা ধরার জন্য অভিজ্ঞ ফুচকাখোর হতে হয় !২০০৫ সালে একবার এরকম পচা খাবার জিনিস গলার জোরে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা এক দোকান মালিককে উচিত শিক্ষা দিতে দেখেছিলাম দুই বন্ধুকে । আমি সেদ্ধ ছোলা মাখা খাচ্ছি পাশে দাঁড়িয়ে , দেখলাম ওরা পিৎজা অর্ডার করল । তারপর মুখে দিয়েই --- ওয়াক ! পচা , সঙ্গে ভেতরে পোকা । ওদের দাবি পয়সা ফেরত চাই । ন্যায্য দাবী । এদিকে দোকান মালিক কিছুতেই মানবে না , ওগুলো নষ্ট হয়ে গেছে । তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি দুই পক্ষের মধ্যে । সবার সাথে আমিও রগড় দেখছি , আর তারিয়ে তারিয়ে ছোলা চিবোচ্ছি । হঠাৎ দেখলাম , এক বন্ধু আচমকা খুব শান্ত হয়ে গেল । প্রমাদ গুনলাম । একটু এগিয়ে গিয়ে দেখলাম মালিক পরমানন্দে নিজের দোকানের জয়গান গাইতে গাইতে পিৎজার ট্রে-টা বার করেছে । কারণ ওই শান্ত হয়ে যাওয়া ছেলেটি বাকি পিৎজাগুলোও নেবে বলেছে । মালিক ওগুলো বাক্সবন্দী করার জন্য পিছনে ফিরতেই , দেখি ছেলেটা বিলকুল ফুচকার আলুসেদ্ধ মাখার মত পিৎজাগুলো চটকাচ্ছে । মালিক রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে ছেলেটার কলার ধরতেই , ছেলেটা কেটে কেটে বলল --- আর একটাও শব্দ করলে রেল পুলিশ ডাকবো , স্টেশন মাস্টারকে খবর দেব , আর মিডিয়াকে জানিয়ে দেবো । ছেলেটার ওই রূপ দেখে ওই কনফেকশনারির মালিক আর কথা বাড়াননি সেদিন । ওহ , বলতে ভুলেই গেছি দোকানটা ছিল শিয়ালদার এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের শৌচাগারের পাশে ।

www.httpssankhamanigoswami.xyz



পচা খাবার

পচা খাবার english


পচা অর্থ কি


পচা অর্থ


পচা আলু

পচা ডিমের গন্ধ

পচা কলা




বুধবার, ২ জুন, ২০২১

চলার পথে জীবন রথে । দিনলিপি

 চলার পথে জীবন রথে


(১)
জীবনে কতরকম কাজই না করলাম ! প্রেমিক এবং আমার বন্ধু তখন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে , দমদমে মেসে থাকে । মেসের মালিক সম্ভবত মেয়েদের ফোন পেলে চটে যেতেন । তাই , প্রেমিকা অর্থাৎ আমার বান্ধবী এস টি ডি(সঠিক অর্থে) বুথে আমাকে নিয়ে যেত । আমার কাজ ছিল ফোন করে বন্ধুটিকে ডেকে দিতে বলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা । কেউ আমাকে কোনওদিন দূরে গিয়ে দাঁড়াতে বলেনি , কিন্তু কাবাব মে হাড্ডি কে-ই বা হতে চায় । সেই বুথ আর নেই , সেই প্রেমও আর নেই । দু'জনেই আমার বন্ধু তালিকায় আছে কিন্তু ওদের সংসার আলাদা ।
(২)
গ্রীষ্মকাল । তিস্তার স্পারে হাওয়া খেতে গেছি । মানে "হাওয়া" খেতে গেছি । তো দেখি গোটা স্পারে আমি আর একটা আড়াআড়িভাবে রাখা ভেস্পা স্কুটার ছাড়া আর কেউ নেই স্পারের মাথায় । একটু এগিয়ে দেখলাম স্কুটারের আড়ালে আমারই এক বন্ধু ও বান্ধবী । মনের দুঃখে ধীরে ধীরে ধুমোদ্গীরণ করছি চেষ্টা করে অন্যদিকে তাকিয়ে , এমন সময়ে বন্ধুটি হঠাৎ প্যান্ট ঝাড়তে ঝাড়তে উঠে আমাকে দেখে খুব আশ্চর্য হওয়ার চেষ্টা করে বলল --- ও , তুই ! আমি বললাম -- আজ ঠেকে আর যাবিনা , তাই তো ?
(৩)
ভাই তখন প্যাঙ্ক্রিয়াটাইটিস হয়ে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে , অবস্থা সংকটজনক , চোখে অন্ধকার দেখছি । কিছু কাজ সেরে রাতে আবার শিলিগুড়ি ফিরে যাব । এমন সময় ল্যান্ড ফোনটা বেজে উঠল । ব্যস্ত ছিলাম , দু'বার বেজে গেল । তৃতীয়বার রিসিভার তুলতেই এক লাস্যময়ীর গলা শোনা গেল --- আপনি এতো বোকা কেন , কিছু বোঝেন না ? ঠিক সেই মুহূর্তে আমার প্রেম পাচ্ছিল না । জিজ্ঞেস করলাম --- কে বলছেন ? উত্তরে আবার খিলখিল হাসি । হঠাৎ মাথায় যেন দপ করে আগুন জ্বলে উঠল । বললাম , দেখুন , আমার ভাই গুরুতর অসুস্থ । আমরা পরে কথা বলি ? (কথাটা বলার কারণ হল এক বান্ধবী এই ঘটনার কয়েকদিন আগে আভাস দিয়েছিল কেউ একজন আমার প্রতি অনুরক্ত , কিন্তু কে , সেটা ভাঙেনি ।) এর উত্তরটা মেয়েটির পক্ষে বিপজ্জনক ছিল । সে প্রায় ধরা গলায় উত্তর দিল --- এসব তো জীবনে লেগেই থাকবে । ... ... ... তার পরের কিছুক্ষণ ফোন বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে অবধি বাংলায় যাকে কষে ঝাড় দেওয়া বলে , সেটাই দিয়েছিলাম । যাদের খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে , তারা জানে স্বাদ কেমন ! নিজের মুখে নিজের কথা আর কি-ই বা বলি । এমন কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বন্ধু আমার চরিত্র বিশ্লেষণ করেছিল যে ভাষায় সেটা আমার খুব প্রিয় --- বুদ্ধিমত্তা আর দানবসত্তার অদ্ভুত মিশেল !

সব গল্পেরই উপসংহার থাকে , এই গল্পেরও আছে । এই ঘটনার কিছুদিন পরে কলেজে আমাদের এক সহপাঠিনীর মাস দুয়েক দেখা নেই । তারপর একদিন কলেজে ঢুকেই মাঠে দেখলাম একটি বাইকের সিটে তিনি এয়োস্ত্রীর বেশে বসে আছেন । আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকলেন , গেলাম । বললেন --- বিয়েটা করেই ফেললাম , বুঝলি । তারপর তিনি এক অদ্ভুত ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে । দুইয়ে দুইয়ে চার হল , আমার গল্পটি ফুরলো , নটে গাছটি মুড়োল ! সাধেই কী আর শাস্ত্রে বলেছে --- স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেবা না জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ !

diary


দিনলিপি


দিনলিপি লিখন


দিনলিপি রচনা


দিনলিপি কাকে বলে

দিনলিপি অর্থ

ডায়েরি





কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...