"ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
সে অনেকদিন আগের কথা ----- ১৯৫৫
-৫৬ সাল হবে । আমি সে সময় কলেজের ছাত্র । তখন জলপাইগুড়ি
বাবু পাড়া পাঠাগারের বার্ষিক উৎসব খুব আকর্ষণীয় ছিল । প্রতি
বছর সংস্কৃতি জগতের কোনও না কোনও লব্ধপ্রতিষ্ঠ প্রতিভাকে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত
থাকার আমন্ত্রণ জানানো হত । সেবার আমন্ত্রিত ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । তাঁকে
দেখার জন্য যুবক- যুবতীদের আগ্রহ তখন তুঙ্গে । প্রসঙ্গত ,
বাবুপাড়া
পাঠাগারের ওই বার্ষিক অনুষ্ঠানের দৌলতে জলপাইগুড়িবাসী সে সময় অনেক বিখ্যাত প্রতিভাকে
সামনাসামনি দেখবার এবং তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন । ডঃ ত্রিগুণা
সেন , উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
, ‘কত অজানারে’র
সন্ধানী মণিশংকর মুখোপাধ্যায় , লৌহকপাট অবারিত
করে দেওয়া জরাসন্ধ , ‘অচলপত্র’কে সচল রাখতে সমর্থ নীলকণ্ঠ , পবিত্র
গঙ্গোপাধ্যায় , ডঃ রমা চৌধুরী – এ রকম
অনেকেই পাঠাগারের বার্ষিক অনুষ্ঠানকে গৌরবমণ্ডিত করেছিলেন । উত্তরাধিকার
- কালপুরুষ – কালবেলা তখনও সমরেশ মজুমদারের লেখনীতে
আসেনি । এখন অবশ্য আমরা গর্ব করে বলতেই পারি যে , তখনও অবিকশিত অর্ক'র স্রষ্টা আমাদের
পাঠাগারেরই সভ্য ছিলেন । আমরা যারা পাঠাগারের নিয়মিত কর্মী তাদের ,
সম্পাদক
সুনীল পাল আগেরদিন সতর্ক করে দিলেন --- আমরা যেন বিকেল
পাঁচটার মধ্যেই বান্ধব নাট্যসমাজে উপস্থিত হই , কারণ অনুষ্ঠান শুরু হবে ঠিক সন্ধে ছ' টায় । আমি আর
আমার দুই বন্ধু – ভক্ত এবং জয়ন্ত পাঁচটারও মিনিট দশেক আগে পৌঁছে যেতেই সুনীলদা
হাসিমুখে এগিয়ে এসে বললেন --- “তোরা এসে গেছিস , বেশ বেশ। জানিস
সুনীল গাঙ্গুলী না একেবারে মোহিতের মত দেখতে ----- চেহারা
- গড়ন - হাসি ,
এমনকি
মাথার চুলগুলোও মোহিতের মত ।“ ভক্তকে সুনীলদা ওর পোশাকি নাম ধরেই ডাকতেন । ইতিমধ্যে
প্রথম দর্শক ডাক্তারবাবুকে ধুতির কোঁচা হাতে ঝুলিয়ে থপথপ করে আসতে দেখা গেল । ডাক্তারবাবু
এমবিবিএস , শোনা যায় গোল্ড মেডেলিস্টও । কিন্তু
ডাক্তারি নয় , করতেন স্কুল মাস্টারি । কেন ?
সে অন্য
প্রসঙ্গ । এমন শিশুসুলভ সদাহাস্যময় মানুষ জগতে বেশি দেখা যায় না । তিনি
আমাদের সবার প্রিয় মাস্টারমশাই ছিলেন । ওঁর একটা
বৈশিষ্ট্য ছিল যে , শহরের প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের অন্তত আধঘণ্টা
আগে উপস্থিত হতেন । কি কর্মস্থলে , কি নর্মস্থলে
ডাক্তারবাবুকে লেট-লতিফ কখনও ভাবাই যেত না । এর পরপরই
সুনীল গাঙ্গুলীকে নিয়ে পাঠাগারের সভাপতি অধ্যাপক রেবতীমোহন লাহিড়ী উপস্থিত হলেন । উদ্বোধনী
অনুষ্ঠান , সুনীল গাঙ্গুলীর ভাষণ , আর তারপর নাটক । এই নাটকের
জন্যও পাঠাগারের সভ্যদের সুনাম ছিল । প্রসাদ মুখোপাধ্যায় , বিভূতি
সিংহ , প্রবীর রায়
,
প্রাণহরি
করঞ্জাই , শরণ চট্টোপাধ্যায়রা অভিনয়ে দড় ছিলেন । -- অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে সাড়ে ন'টা হয়ে গেল । বাবুপাড়া
পাঠাগারের বার্ষিক অনুষ্ঠানের আর একটি অপরিহার্য অঙ্গ ছিল অনুষ্ঠান শেষে সাজঘরে প্রধান
অতিথির সাথে সব সদস্যের পঙক্তিভোজন । খুব উপভোগ্য হত এই পর্বটি । সুনীল
গাঙ্গুলীও খুব উপভোগ করলেন এই বাড়ির মত এক সাথে বসে খাওয়া । তারিফ
করলেন বারবার । পৌনে এগারোটা নাগাদ রেবতীবাবু , টুলুদা
আর গজদা প্রধান অতিথিকে তাঁর আবাসস্থলে পৌঁছে দিতে রওনা হলেন । সব গোছগাছ
করতে করতে সাড়ে বারোটা বেজে গেল । অনুষ্ঠান খুব ভালো হয়েছে বলে আনন্দ আর ধরে না , আমাদের গল্পও ফুরোয় না । আরও মিনিট
কুড়ি পরে অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে বলে সুনীলদা – অজয়দারা
আমাদের জোর করে বাড়ি রওনা করে দিলেন । কদমতলা
পর্যন্ত সাইকেল নিয়ে হেঁটে এসে জয়ন্ত বাড়ির দিকে রওনা হল । উকিল
পাড়ায় ভক্ত বাড়ির গলিতে ঢুকে যাবার পর থেকে রাস্তায় আমি একেবারে একা । হাল্কা
কুয়াশা পড়েছে । একটুদূরে বেগুনটারি মোড় পর্যন্তও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না । আমার
কিছুটা সামনে এক ভদ্রলোক দ্রুত পায়ে এগিয়ে চলেছেন । আরও একটু
এগিয়ে সামনের ভদ্রলোক বাঁ দিকে মোহন্ত পাড়ার রাস্তায় ঢুকে গেলেন ,
আমিও ওদিকেই যাব । তখনও
মোহন্ত পাড়া , মুহুরিপাড়া , সার্কুলার রোড , বিবেকানন্দ পাড়ায় বৈদ্যুতিক লাইন যায় নি । অনেক
দূরে দূরে কেরোসিন ল্যাম্পপোস্ট । তাতে কুয়াশা মাখা মধ্যরাতের অন্ধকার দূর হয় না ,
পথনির্দেশ
হয় মাত্র । মোহন্ত পাড়ায় ঢুকে কয়েক পা এগিয়েই ভদ্রলোক বাঁ দিকের গলিতে ঢুকে
গেলেন । এ গলির মুখে একটা ল্যাম্পপোস্ট । মোহন্ত
পাড়ায় দ্বিতীয় ল্যাম্পপোস্টটা ডান পাশের ডোবা পেরিয়ে কালী মন্দিরের সামনের কোণে । সেটাও
পেরিয়ে গেলাম । সুনসান গোটা রাস্তা । আমার
সেদিকে মন নেই । আমি তখন দিবাস্বপ্নে বিভোর , ওই বয়সে
যেমনটা হয় ! আমার কবিতা 'দেশ' , ' আনন্দবাজার ', ' কবিতা'
– পত্রিকায়
বেরোচ্ছে , কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আমাকে দেখার জন্যে ব্যাকুল !
বাবুপাড়া
পাঠাগার আমাকে প্রধান অতিথি করে এনেছে ! ইতিমধ্যে কালী
বাড়ির পাশের গলি দিয়ে মুহুরি পাড়ায় এসে পড়লাম । বোস বাড়ির
কাছে মোড় ঘুরে ঝা'দের বাড়ির গেটের কাছে চলে এসেছি । গোবিন্দ
ঝা'দের বাড়ি অনেকটা জমির ওপর --- বাঁশের
উঁচু বেড়া দিয়ে ঘেরা । বাঁশের বেড়া শেষ হলেই
আমি বাঁ দিক ঘুরে ওই বেড়া ঘেঁষে সার্কুলার রোডের দিকে যাব । ওই বাঁকে
একটা কেরোসিন বাতি টিমটিম করছে । তার পাশ দিয়ে ডান দিকে কেরানি পাড়ায় যাওয়ার রাস্তা । তার ডান
পাশে একটা রাস্তা থেকে বেশ নিচু বড় মাঠ , তারপর
শিবমন্দির । আমি মনে মনে কী ভাষণ দেব তার খসড়া তৈরি করছিলাম !
ঝা'দের বাড়ির
গেট পেরিয়েছি , এমনসময় খেয়াল করলাম সম্পূর্ণ উলঙ্গ কালো রোগা একটা দশ-
বারো বছরের ছেলে কেরানি পাড়ার দিক থেকে এসে সার্কুলার রোডের দিকে হাঁটা দিল । অবাক
হলাম স্বাভাবিকভাবেই । এত রাতে একা একটা বাচ্চা ছেলে কোথায় যাচ্ছে ?
কোন বাড়ির
ছেলে ? বাড়ির লোক খেয়াল
করলোনা ? পেছন থেকে ডাক
দিয়ে দাঁড়াতে বললাম । ছেলেটা দাঁড়ালোওনা , উত্তরও
দিলনা । ওই গলির মাঝামাঝি রসিকদার বাড়ি , ভাবলাম
ছেলেটাকে ধরে রসিকদার জিম্মায় দিয়ে তারপর বাড়ি যাব । না হলে
তো ছেলেটা বিপদে পড়বে । আবার ডাকলাম । তবু ছেলেটা দাঁড়ালোনা , একইভাবে চলতে
লাগলো । আমার রোখ চেপে গেল । পা চালিয়ে
গিয়ে ছেলেটাকে প্রায় ধরে ফেলব এমন সময়ে হঠাৎ বাঁ পাশে ঝা বাড়ির বেড়ায় হেলান দিয়ে ছেলেটা
দাঁড়িয়ে পড়লো । আমি ওর দুই কাঁধ হাত দিয়ে ধরতে গিয়ে চমকে উঠলাম । ছেলেটার
গা মাথা দিয়ে জল ঝরছে এমনভাবে যেন সদ্য স্নান করেছে । আমি ছেলেটাকে
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি , অথচ হাতে স্পর্শ
পাচ্ছি বাঁশের বেড়ার । এ কেমন করে সম্ভব ? চিৎকার
করে রসিকদাকে ডাকতে গেলাম , কিন্তু গলা দিয়ে
আওয়াজ বেরোলনা । ছেলেটার মুখে কোনও অভিব্যক্তি নেই , স্থির
দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে । পরস্পরের দিকে তাকিয়ে কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়েছিলাম বলতে পারবো
না । আমার হুঁশ ছিল না । হঠাৎ
সারা শরীরে অদ্ভুত একটা শিহরণ অনুভব করলাম । এরপর
হুঁশ যখন ফিরল তখন আমি ঊর্ধ্বশ্বাসে সার্কুলার রোডের দিকে ছুটছি । ল্যাম্প
পোস্টের কাছে পৌঁছে দৌড়তে দৌড়তেই একবার পিছন ফিরে গলিটার দিকে দেখলাম ছেলেটা আসছে কি
না । জমাট বাঁধা অন্ধকারে কিছুই ঠাহর করতে পারলামনা । তখন তো
এতবাড়িঘর ছিল না , ফাঁকা মাঠের মাঝে কিছুটা দূরে দূরে এক- একটা
বাড়ি । তখন আর থামবার সাহসটুকুও নেই । খানা-
খন্দ , ঝোপঝাড় পেরিয়ে আমি প্রাণপণে ছুটছি । আরও একবার
সাহস করে পেছনের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে যেন মনে হল ছেলেটা একইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে
আছে , একই ছন্দে আমার পেছন পেছন আসছে ।
বিবেকানন্দ পাড়ায় বাড়িতে পৌঁছে দরজায় দুমদুম আঘাত করে পাড়া জাগানো
শব্দ সৃষ্টি করলাম । বাবা ব্যস্ত হয়ে দরজা খুলতেই বাবাকে জড়িয়ে ধরে তাঁর বুকে মাথা
রাখলাম । ঘন মেঘের গর্জন তখন আমার বুকে । বাবা
আমাকে জড়িয়ে ধরা অবস্থাতেই আস্তে আস্তে ঘরের ভিতরে গিয়ে তাঁর বিছানায় বসিয়ে আমার গায়ে –
মাথায়
হাত বুলাতে লাগলেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমার
বুকের ভিতর হাতুড়ি পেটানোর শব্দ বন্ধ হল
, শ্বাস-প্রশ্বাস
স্বাভাবিক হয়ে এল । তখন বাবা
বললেন --- “খুব ভয়
পেয়েছিস দেখছি , এখন তো ঘরে আমার সাথে আছিস , আর ভয় নেই তো ? খেয়েছিস ?” আমি সায় দেওয়ার পর বললেন , “একটু
জল দিই , জল খা “ ------- বলে বাবা
একটু সরতেই তখনও খোলা দরজা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে মনে হল ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে । ভয় পেয়ে
বাবাকে ডাকতে গেলাম , কিন্তু শুধু একটা বিকৃত ধ্বনি বেরিয়ে এল । বাবা
ঘুরে দাঁড়াতেই মুখে কিছু বলতে পারলামনা ------ খোলা
দরজার বাইরে অন্ধকারের দিকে আঙুল তুললাম । বাবা
বললেন – “ বড্ড ভয় পেয়েছিস
, দাঁড়া
আমি দেখছি “ ----- বলে বালিশের
পাশ থেকে টর্চটা নিয়ে বারান্দায় বেরিয়ে এদিক ওদিক আলো ফেলে দেখতে লাগলেন । তারপর
আমাকে বললেন ----“ আয় , দেখে যা । কোথাও কিচ্ছু নেই ।“ কিন্তু বাবা
ডাকা সত্ত্বেও আমার বাইরে যাওয়ার সাহস হলনা । তখনও
আমি চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ,
একটা
কালো – রোগা
ছেলে শীতল দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে । আমার
সারা শরীর আবার শিউরে উঠলো । সে রাতে বাবা আমার পাশে শুয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন । একটা
নিশ্চিন্ত আশ্রয় পেয়ে কখন যেন আমি ঘুমিয়ে পড়লাম । পর দিন
সকালে কেন আমি রাতে অত ভয় পেয়েছিলাম জানতে
চাইলে মা – বাবাকে ঘটনাটা খুলে বললাম । মা শুনে শিউরে উঠে ওই গলি দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করলেন। তারপর
বাবা কে জিজ্ঞেস করলেন গলির পাশের নিচু জমিতে , যেটা বর্ষাকালে ডোবা হয়ে যায় সেখানে , ওই বয়সী কোনও ছেলে কোনওদিন ডুবে মরেছে কি না খোঁজ নিতে । বাবা
একটু বিরক্তি প্রকাশ করলেন , তারপর আমাকে বললেন ----- “অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই । পেছনের
ল্যাম্প পোস্টের আলোয় তোর নিজের ছায়াই বেড়ার ওপর পড়েছিল ।“ অভ্যেস
নেই বলে বাবার কথার প্রতিবাদ করলাম না , কিন্তু আমি যে নিশ্চিত জানি ওটা আমার
ছায়া নয় । পেছনের আলোর ছায়া পড়লে সামনের রাস্তায় পড়তো , পাশের বেড়ায় নয়।
বছর খানেক পর যখন ভয়টা প্রায় কেটেই গেছে তখন ওই অঞ্চলে খোঁজ
নিয়ে জানলাম , কোনও বাচ্চা ছেলের ডুবে মারা যাওয়ার
কথা কেউ শোনেননি । তবে কী শিববাড়ির পুকুরে কেউ ডুবেছিল ? ঘটনাটা
নিয়ে পরে অনেক ভেবেছি।সেদিন তো আমার মনে ভয়ের লেশ মাত্রও ছিলনা ,ছিলনা
অন্ধকার নির্জনতায় গা ছমছমানি ভাব । তবে ? আমি সেদিন কী দেখেছিলাম ? জানিনা।
আমার কাছে কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই ,শুধু এটুকু বলতে পারি জীবনের উপান্তে এসে সেদিনের কথা যখন লিখছি আমার
সারা শরীরে রোমহর্ষণ হচ্ছে।একটা
সম্পূর্ণ উলঙ্গ শিশু , সারা গা – মাথা জলে ভেজা, বেড়ায় হেলান
দিয়ে আমার চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে ... ।
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_15.html
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/11/pub-9792609886530610_49.html
ভয়ংকর ভূতের গল্প বাংলায়
ভূতের গল্প বাংলাতে
ভয়ানক ভূতের গল্প
ভয়ংকর ভূতের গল্প
সত্য ভূতের গল্প
ভূতের গল্প বাংলায়
Ghost story https://g.co/kgs/BNc4QD
ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
ভয়ংকর ভূতের গল্প
ভয়ানক ভূতের গল্প
রোমান্টিক ভূতের গল্প
একটি ভূতের গল্প
একটা ভুতের গল্প
ছোটদের ভূতের গল্প
ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
ভয়ংকর ভুতের গল্প
রোমান্টিক ভূতের গল্প
ভয়ানক ভূতের গল্প
ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প বলো
সত্যি ভূতের গল্প কার্টুন
একটি ভূতের গল্প
ভয়ংকর ভুতের গল্প
তুমি একটি ভূতের গল্প বলো
ভুতের গল্প সত্য ঘটনা
একটি ভূতের গল্প শোনাও
Kub upobhoge korlam, Kolkata ta thakao, choker samne elaka ta poriskar vesa uth6e
উত্তরমুছুনজেনে ভাল লাগলো । ধন্যবাদ ।
মুছুন