রবিবার, ১০ মে, ২০২০

নিমফুলের গুণাগুণ


নিমগাছ নিম পাতা নামটা শুনলেই মুখ যেন তেতো হয়ে যায় ! তিতকুটে হয়ে যায় মেজাজটাও বিগড়ে যাওয়া মেজাজ ঠিক করতে সম্রাট আকবরের ভঙ্গীতে নিম ফুলের সুঘ্রাণ নেওয়া যেতেই পারে সাদাটে নিম ফুল খেতে তো ভালই , একই সাথে বহু রোগ নিরাময়কারীও যাঁদের বাড়িতে বা কাছেপিঠে নিম গাছ আছে , তাঁরা জানেন জুঁইয়ের মত সুগন্ধী নিম ফুল সন্ধেবেলা বা রাতে কীভাবে চারিদিক আমোদিত করে রাখে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে বিভিন্ন পদে এই ফুলের ব্যবহার বেশি একটু ধুয়ে নিয়ে শুধু নিম ফুল খাওয়াও শরীরের পক্ষে খুব ভাল কতগুলি অসুখে পথ্য হিসেবে নিম ফুল অব্যর্থ যেমন --- অ্যানোরেক্সিয়া বা খাদ্যে অরুচি , বমিভাব , ঘন ঘন ঢেকুর ওঠা , পেটে কৃমির সমস্যা , পেটের অভ্যন্তরে ক্ষত , শরীরের বাইরে কোনও ক্ষত , কুষ্ঠ রোগ , ঘামাচি , নানান ধরণের চর্মরোগ , খুস্কি ইত্যাদি ২০০৮ সালের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিম ফুলের নির্যাস গর্ভ নিরোধক এবং পুরুষদের পক্ষেও জন্ম - নিয়ন্ত্রক হিসেবে ফলপ্রসূ রক্ত পরিশোধক হিসেবে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার হাতে বা পায়ে কড়া পড়লে নিম ফুল বাটা ওই জায়গায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে খুবই উপকার পাওয়া যায় পেটের গোলমাল এবং শ্লেষ্মা বা কফ বুকে জমে গেলেও কাজ দেয় শুকনো নিম ফুল নিম ফুল শুকিয়ে এবং একটু তাতিয়ে নিয়ে রোজ চোখে লাগালে চোখ ভাল থাকে এবং দৃষ্টিশক্তিও বাড়ে এই ফুলে বিভিন্ন খনিজ উপাদান , ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে ফুলটি ধুয়ে , তারপর শুকিয়ে নিয়ে মধু দিয়ে নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এছাড়া গলার সংক্রমণ এবং মধুমেহ রোগেও এই ফুল খুব ফলদায়ী মাথাব্যথা বা কানেব্যথা হলে গরম জলে নিম ফুল দিয়ে তোয়ালে বা গামছার ঘেরাটোপে , সেই বাষ্প নাকে টানলে ব্যথা কমে যায় জ্বরের পরে বেশ কিছুদিন টানা নিম ফুল খেয়ে গেলে শরীর দ্রুত সবল হয়ে ওঠে এই ফুল মেশানো জলে স্নান করলে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে অ্যারোমাথেরাপির সঙ্গে নিম ফুলের তেল ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে এছাড়া প্রসাধনী দ্রব্য হিসেবেও নিম ফুলজাত বিভিন্ন পণ্য বাজারে জনপ্রিয়  
        নিম গাছের বৈজ্ঞানিক নাম 'অ্যাজাডির‍্যাকটা ইন্ডিকা' শুধু ভারতে নয় , মায়ানমার পাকিস্তানেও এই গাছ দেখা যায় বহুবিধ গুণাবলী থাকার কারণে এই গাছকে ওষধি বৃক্ষ বলা হয় সংস্কৃতে নিম গাছকে বলা হয় 'অরিষ্ট' -- যার অর্থ , যা দুর্বলতা দূর করে সারা দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য এবং আমজনতার কাছে বিপুল ভাবে জনপ্রিয় ব্যবহার্য হওয়ায় এই গাছকে 'গ্রামীণ ঔষধালয়ও' বলা হয়  
        অজীর্ণ বা বদহজম , জন্ডিস , বুক - জ্বালা , হাইপার অ্যাসিডিটি , মুখের ঘা , অকাল বার্ধক্য রোধ , বিভিন্ন ভাইরাস - ব্যাকটিরিয়া - ছত্রাকজনিত সংক্রমণ , শ্বাসকষ্ট এবং তা থেকে জন্ম নেওয়া বিভিন্ন অসুখ , যক্ষ্মা , ইত্যাদি বিভিন্ন অসুখে ভীষণ উপকারী এই ফুল নিম ফুল এমনকি ওজন কমাতেও কার্যকরী নিম ফুল - লেবু - মধু মেশানো চা নিয়মিত খেলে ওজন কমে এটি অত্যধিক জল তেষ্টা পাওয়া এবং ক্লান্তি অবসাদ কমায় এই ফুলের ব্যবহারে স্তন - ক্যানসার এবং লিভার ক্যানসারের প্রকোপ কমে বলেও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা দাবি করেন (তথ্য :  আন্তর্জাল)







নিম ফুলের উপকারিতা


নিম ফুলের গন্ধ


নিম ফুলের

নিম ফুলের মতন


নিম ফুলের রেসিপি




জিভে সেবা । রাবড়ি ও তালের বড়া ।


 জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ ভাবে তৈরি রাবড়ি(৩০০ টাকা / কে জি, বছরের অন্য সময়েও পাওয়া যায় ) এই দোকানের জন্মাষ্টমীর রাবড়ি-তালের বড়া যাঁরা খাননি , তাঁদের জীবনের বারো আনাই বৃথা কালিঝুলি মাখা দোকানের হতশ্রী জরাজীর্ণ চেহারা দেখলে প্রাথমিক ভাবে অশ্রদ্ধা জাগবে , সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু মিষ্টান্নটি যে মুহূর্তে জিভের স্পর্শ পাবে , স্বাদ কোরকগুলি অনেক দিন পর আবার চঞ্চল হয়ে উঠবে , ওমনি সাময়িক হতচ্ছেদ্দা ভাব বদলে যাবে গভীর শ্রদ্ধায় , এমনই তার গুণ চকচকে নয় , এমন অনেক কিছুও যে সোনা হয় তার প্রমাণ এই বহু পুরনো দোকানটি যাঁরা চেনেন , তাঁরা কেনেন যুগের হাওয়ার ঠিক উল্টো পথে হেঁটে, এই প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কোনও নাম নেই কোনও সাইনবোর্ড নেই যদি নাম জিজ্ঞেস করেন , দোকানের কর্ণধার প্রচ্ছন্ন গর্বে উত্তর দেবেন ---- " জলুয়ার দোকান বললেই হবে "(ব্যারাকপুরের সুরেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রোডে , স্টেশনের প্রধান প্রবেশ পথের ঠিক উল্টো দিকে )
      শুধু ছবিটাই ভাগ করে নেওয়া গেল , দুঃখিত
















ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...