শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

স্বপ্নে প্রতিদিন । কল্যাণী মিত্র ঘোষ । প্রেমের গল্প । ভালবাসার গল্প ।

আমি এখন একটা প্রজাপতি হয়ে অরণ্যের লিভিং রুমে ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছি। আমি রোজ রাতেই এরকম কিছু একটা হয়ে যাই, হয় হামিং বার্ড, নয় রোলি পোলি অথবা হানি বি। এই আমেরিকার পোকা মাকড় গুলো বাচ্চাদের খুব প্রিয়, কেউ এদের মারে না, আলতো করে হাতে নিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাদের চাল চলন দেখে। তাই আমিও যখন খুশী এই সব রূপ ধারণ করি, খুন হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না। আমার নাম সিক্তা।

আর আমাকে প্রজাপতি করে তুলেছে তো অরণ্যই, কি সুন্দর সুন্দর কথা দিয়ে ও আমাকে একটু একটু করে পরমা রূপবতী করে তুলেছে। নিজেকে আয়নায় দেখে তো আমি অবাক হয়ে যাই, কোথায় সৌন্দর্য্য? এতো এক সাধারণ মেয়ে! কিন্তু ও বলে, আমি পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে ও গোলাপের গন্ধ পায়, আমার টেক্সট মেসেজ ওকে মাতাল করে তোলে, আর যেদিন আমরা একান্তে দেখা করি সেদিন ও বুভুক্ষুর মতো আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পরে একটু একটু করে শুষে নেয় আমার ভেতরে ওর জন্য, শুধু ওরই জন্য জেগে ওঠা টই টুম্বুর প্রেম। মেঘের ভেলায় চেপে ভেসে যাই দুজনে। বৃষ্টি নামে, প্রবল।
ওর সঙ্গে আলাপ আমার ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি এখনও রিসার্চ করছি, ও এখন অবশ্য একটা চাকরীতে ঢুকেছে, পাশের শহরেই। ওর সঙ্গে যেদিন আমার দেখা সেদিন প্রবল তুষারপাত আমেরিকার পূর্ব রাজ্যে। আমি সবে এসেছি, রকম সকম কিছুই জানিনা, একটা স্নো বুট পর্য্যন্ত ছিলনা। ও তখন ল্যাব থেকে বেরিয়ে আমাকে দেখেই কেমন স্ট্যাচু হয়ে গেল। আমারও বুকটা হঠাৎ ধড়াস করে উঠলো। টানটান, মেদহীন লম্বা চেহারা আর মাথায় কাঁচা পাকা চুল। পরে জেনেছি ওটা জেনেটিক, অনেক আগেই নাকি ওর চুল পাকতে শুরু করেছিল। ওর ঠোঁটের কাছে কেমন একটা চুম্বকের আকর্ষণ। চোখ নামিয়ে নিই। অসম্ভব মায়াবী গলায় আহ্বান আসে,
"আপনি বাঙালী? একবার যেন দেখলাম মনে হলো ক্যাফেটেরিয়ায়? কবে এসেছেন? কোথায় উঠেছেন? আপনি তো সেরকম প্রস্তুত হয়ে আসেন নি দেখছি। চলুন আমি পৌঁছে দিচ্ছি আপনাকে।"
এবার কপালকুণ্ডলা নবকুমারের পশ্চাদ্ধাধাবন করিল।
দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল। অরণ্যকে ছাড়া আমি চোখে অন্ধকার দেখি। ও ই আমাকে ইউনিভার্সিটির কাছে একটা স্টুডিওর খোঁজ পাইয়ে দিয়েছে। সস্তায় ভদ্র পাড়ায়। ও এদেশে সেই ছাত্রাবস্থায় এসেছিল, আর ফেরেনি। মাস তিনেক পর জানলাম ও বিবাহিত। ও ই জানালো। কিন্তু অসম্ভব অসুখী, ওর বউ এর সাংঘাতিক সন্দেহবাতিক আর সেই থেকে গার্হস্থ্য হিংসা। ও বেচারা বাড়িতে নিঃশ্বাস নিতে পারেনা, একমাত্র কাজ ই ওকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অমায়িক, মৃদুভাষী, সুপুরুষ, দয়ালু মানুষটার দুর্গতিতে কোমল হৃদয়া আমি শোকাকুল হয়ে পড়ি।
"সেকি? এদেশেও এ রকম একটা সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে আছো? ডিভোর্স দাও না কেন? এখানে তো শুনেছি সব কিছুই খুব সহজ, এবং সবাই ন্যায় বিচার পায়। তুমিও শান্তিতে থাকো আর ও ও ভালো থাকুক।"
"দুর, যা সব সময় খবরে পড়ো তা ঠিক নয়। অনেক সমস্যা। আমার এত দিনের উপার্জনের অনেকটা বেরিয়ে যাবে, তাছাড়া আরো নানান হ্যাপা।"
"তাহলে মানিয়ে গুছিয়ে চললেই তো পারো!"
"আর তা পারিনা, এখন তোমার চোখে আমার সর্বনাশ দেখেছি যে!"
ওর সেই অসম্ভব আকর্ষণীয় ঠোঁট দুটো আস্তে আস্তে আমার মুখের ওপর নেমে এসে আমার সমস্ত যুক্তির অবসান ঘটায়।
আমি মেনে নিই এই সম্পর্ক টা সেই সঙ্গে পড়াশুনোতেও মন দিই। এদেশে কেউ কারোর ব্যাপারে মাথা ঘামায় না, পরের স্বামী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া টাইপের কোনো মন্তব্য ভেসে আসে না। কাজের জায়গায় আমরা যে যার নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকি আর ব্যক্তিগত জীবনে অপার স্বাধীনতা। ইতিমধ্যে অরণ্য পাশের শহরের বায়োটেক কোম্পানীর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে বেশ ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায়। আমাদের দেখা করা একটু অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ও আর তেমন টেক্সট করেনা। আমার ফাঁকা ফাঁকা লাগতে থাকে। দু একবার ওকে মেসেজ করেছি, ও বলেছে,
"নতুন চাকরিতে নাভিঃশ্বাস উঠছে। বাড়িও চেঞ্জ করে অফিসের কাছাকাছি এসেছি। এছাড়া জানোই তো আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা। খুব চাপে আছি, ডিপ্রেশনে। "
তা হবেও বা! তবু মন কেমন করে, এক লাইন টেক্সট করতে কি হয়! এর মধ্যে হঠাৎ একদিন শুভর সঙ্গে দেখা। আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনছি। যাঁর গাড়ি উনি সস্ত্রীক ভারতে ফিরে যাচ্ছেন, সত্যিই নামমাত্র দামে উনি গাড়িটি বলতে গেলে "দিয়ে যাচ্ছেন"। ওনার অ্যাড দেখে আমি উত্তর দিতেই উনি আমাকে ফোন করলেন,
" তুমি নিয়ে যাও গাড়িটা, যত্নে রেখো। আমিও ছাত্র হয়েই এদেশে এসেছিলাম, এখন মেয়েও এদেশে চাকরিতে ঢুকেছে, আমরা বুড়োবুড়ি দেশে ফিরছি, হয়তো তিন মাস করে এখানে মেয়ের কাছে বেড়াতে আসবো। তোমার এখন সামনে বিরাট স্ট্রাগল, আমি যদি এটুকু সাহায্য করতে পারি তাহলে ভালো লাগবে। আমি অন্য কাউকে এটা দিচ্ছিনা, কাল চলে এসো, আমাদের সঙ্গে লাঞ্চ করবে।"
কি আন্তরিক কণ্ঠস্বর, মনটা ভালো হয়ে গেলো। পরদিন ওনার বাড়ি গেলাম বাসে চেপে, আর ভাবতেই ভালো লাগছে যে ফিরবো আমার নিজস্ব বাহনে! গত তিনমাসে আমি ফাঁকে ফাঁকে গাড়ি চালানোর স্কুলে ভর্তি হয়ে হাত পাকিয়ে ফেলেছি। এদেশে ভীষণ কঠিন ফ্রী ওয়ে তে গাড়ি চালানো। খুব নার্ভাস লাগে, অবশ্য সেটা এড়াতে অনেক ঘুরপথেও যাওয়া যায়।
মিস্টার শর্মার ডোরবেল টা বাজাতে দরজা খুললো দেখি শুভ, আরে কি কান্ড! ও এনাকে চেনে নাকি? তাহলে তো দারুণ হবে। আমার সঙ্গে ও ফার্স্ট ইয়ারে পড়েছিল, তারপর আর আমাদের যোগাযোগ ছিলনা, শুনেছিলাম ও বিদেশে পড়তে চলে গেছে। শুভ হৈ হৈ করে উঠলো,
"আমি আঙ্কলের থেকে তোর নাম দেখেই বুঝেছি এই আমাদের সিক্তা, তারপর ফেসবুকে একবার তোর প্রোফাইল এ ঢুঁ মেরে শিওর হয়ে গেলাম। কি ভালো লাগছে রে তোকে দেখে!"
মিস্টার শর্মাও বেরিয়ে এলেন।
হিন্দীতে বললেন অনেক দিন ধরেই উনি শুভ কে চেনেন, আসলে এদেশে পুজো পার্বণ বা ঘরোয়া পার্টিতে গেলে পরিচয় হয়ে যায় আর সে থেকে অনেক সম্পর্ক প্রায় আত্মীয়তায় পর্যবসিত হয়। বিদেশে একা থাকা মানুষ গুলো খুঁজে নেয় প্রাণের দোসর। শুভ সেই থেকে ওনার ঘরের ছেলে হয়ে গেছে। উইকএন্ডে অনেক টা ড্রাইভ করে এসে দেখে যায় আঙ্কল আন্টি কে। ও একটুও বদলায় নি, সেই কথায় কথায় হা হা করে হাসি। আমিও নস্টালজিয়ায় ভেসে গেলাম।
শর্মা আন্টির হাতের রান্নার স্বাদই আলাদা। ওনারা নিরামিষ খান , মেনুতে ছিল আলু কা পরাঠা, ছোলে, রায়তা, চিলি পনীর আর গাজর কা হালওয়া, এলাহি কাণ্ড। আমি বহুদিন পর চেটে পুটে সব খেয়ে নিলাম। এরপর আঙ্কল বললেন,
"চলো, এবার আমার ছোট মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিই, আর তার আগে শেষ বারের মতো এক চক্কর দিয়ে আসি।"
টেস্ট ড্রাইভ, গাড়ি কেনার আগে এটা মাস্ট, কিন্তু আমার কোনো টেনশন ছিলনা, শুভ এনাদের চেনেন অতএব ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। নইলে অনেকেই দেখেছি লঝ্ঝড়ে গাড়ি বেমালুম গছিয়ে দেন ভুলভাল বিজ্ঞাপন দিয়ে। গ্যারাজে গিয়ে দেখলাম গাঢ় নীল রঙের একটা টয়োটা ক্যামরি, দেখেই ভালোবেসে ফেললাম, জলের দরে পাচ্ছি বলেই আমি কিনতে পারছি। খুব যত্নে রাখবো ওকে, শর্মা আঙ্কল কে বললামও সে কথা। এরপর আমরা চার জনে ঘুরে এলাম আধ ঘণ্টা একটা লেকের ধারে। এখন এ দিকে ফল কালার এসে গেছে, সবুজ গাছের পাতারা হলুদ, লাল, কমলা রং ধারণ করে নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে। সে সব দেখতে দেখতে আমরা লেকের পাশেই ঘুরে নিলাম। বাড়ি এসে আঙ্কল শেষ বারের মতো গাড়িটার গায়ে হাত বুলিয়ে চাবিটা আমার হাতে তুলে দিলেন, আমারও বুকের কাছটা মুচড়ে উঠলো, আমি আলতো করে আঙ্কলের হাতের ওপর হাত রাখলাম। ব্যাংক ট্রান্সফার আগেই করে দিয়েছি। এবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। শুভ বলল,
"আর দু ঘন্টা এটা আঙ্কলের গ্যারাজেই থাক, চল তোকে আমার এক কলিগের বাড়ি নিয়ে যাই পাশের শহরে, পনেরো মিনিটের ড্রাইভ। তারপর আবার তোকে এখানে নামিয়ে দেবো তুই এখান থেকে ড্রাইভ করে ফিরে যাস। রাত অভি বাকি হ্যায় ইয়ার।"
ওর জোরাজুরিতে রাজি হয়ে গেলাম, আজ শনিবার, কাল সকালে ওঠার তাড়া নেই। আঙ্কলদের বাই বলে আমি শুভর ফোর্ড এক্সপ্লোরার এ উঠে বসলাম। গাড়িতে বাজছে রাহাত ফতে আলীর " ইয়ে যো হাল্কা হাল্কা সুরুর হ্যায়, ইয়ে তেরি নজর কা কসুর হ্যায় ..."
শুভ বকবক করেই চলে,
" চল দেখবি দারুণ ভালো লাগবে, হেব্বি আড্ডাবাজ মানুষ ওরা, আমার কম্পানী তে এই সবে জয়েন করেছে। স্বামী স্ত্রী একদম লাভ বার্ডস, নইলে অন্য বউ রা বরদের বন্ধুদের যখন তখন বাড়ি এসে আড্ডা মারা পছন্দ করে না। আমি বৌদি কে ফোনে তোর কথা বলতেই তোকে নিয়ে যেতে বললো।"
বলতে বলতে গাড়িটা একটা সুন্দর তিনতলা বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো। ভদ্রলোক তার মানে বেশ ভালো পোস্টেই কাজ করেন। শুভ জোরে জোরে বেল বাজাতে লাগলো, বোঝা গেল এ বাড়িতেও ওর অবাধ যাতায়াত।
দরজা খুলে দিলেন এক মিষ্টি মুখের মহিলা, পূর্ণ গর্ভবতী। হাসতে হাসতে ধমক দিলেন শুভ কে,
"এই অবস্থাতেও আমাকে দৌড় করালে তো? দাঁড়াও তোমার দাদা আসুক, তোমার কি অবস্থা করে দেখো!"
"সে কি, দাদা নেই?"
"আরে একটু বিরিয়ানী আনতে পাঠালাম, তুমি আসছো, সঙ্গে বান্ধবী, একটু ভালো মন্দ খাওয়াবো না? এসো ভাই বসো।"
আমরা কিচেনের লাগোয়া ফ্যামিলি রুমটায় গিয়ে বসলাম। মহিলার যেমন মিষ্টি চেহারা তেমনি সুন্দর ব্যবহার। এদিকে আমার আবার একটু টয়লেটে যাবার প্রয়োজন হয়ে পড়লো। গৃহকর্ত্রী কে জিজ্ঞেস করতেই উনি ঘরের অন্য প্রান্তটি দেখিয়ে দিলেন। শুভ বললো,
"বৌদি, তোমাকে দৌড় করিয়েছি, অতএব শাস্তি স্বরূপ আমি চার জনের কফি বানিয়ে আনছি, ইউ প্লীজ রিল্যাক্স।"
টয়লেট থেকেই শুনতে পেলাম সদর দরজার লক খুলে কেউ ঢুকলো। গৃহস্বামী এলেন বুঝি। মুখে চোখে একটু জল দিয়ে চুলটা ঠিক ঠাক করে নিলাম। সারাদিন টই টই, উফ্ শুভর পাল্লায় একবার পড়লে .....
একি! এ কার কণ্ঠস্বর! আস্তে করে দরজাটা খুলে দেখি এ যে আমার অরণ্য, আমার! সেই দীর্ঘদেহ, কাঁচাপাকা চুল, হন্তদন্ত হয়ে লিভিং রুমের দিকে গেল। আমি কি স্বপ্ন দেখছি? তারপর হাতের ব্যাগ গুলো কিচেনের তাকে রেখেই ছুটে এলো মহিলার কাছে, তাকে এক হাতে জড়িয়ে গালে ঠোঁট ছোঁয়ালো, যে ভাবে আমার ঠোঁট থেকে সব রস শুষে নিতো, ঠিক সেই ভাবে! আমি যন্ত্রচালিতের মতো এক পা এক পা করে আলো আঁধারিতে ওদের সোফার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছি। স্থবির। অরণ্য মহিলার কানে কানে বলছে,
"মিসড্ ইউ।"
"খালি পাগলামো, এই আধ ঘণ্টায় ইউ মিসড্ মি? এমন মারবো না!"
"কখন মারবে? কি ভাবে মারবে? বলো না সোনা!"
চুমু খেতেই থাকে অরণ্য।
মহিলা বলেন, "ছাড়ো, শুভ কফি নিয়ে আসছে ...."
ঠিক এই সময় আমি একটু এগিয়ে গিয়ে আস্তে করে অরণ্যর কাঁধে হাত রাখি, আর ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো চমকে পেছন ফিরে তাকায়, মুখ ফ্যাকাশে! আমি কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে ওদের উল্টো দিকের সোফায় গিয়ে বসি, একটু হাসি। অরণ্যও হাসে। সম্পূর্ণ বিপরীত এই দুটো হাসি। আমার কান্না পায়, চীৎকার করতে ইচ্ছে করে, কিন্তু আমি হাসি।
শুভ কফি নিয়ে আসে।
"অরণ্য দা, এই আমার বন্ধু সিক্তা।"
সে রাতে আমি চেটেপুটে বিরিয়ানী খেয়ে বাড়ি এলাম নিজের টয়োটা ক্যামরি চালিয়ে। অরণ্য বেচারা বিরিয়ানী খেতেই পারলো না, বললো ওর মাথা ধরেছে। আহা রে। হয়তো এখন ও স্ত্রীর কোলে মাথা দিয়ে শুয়েছে, অথবা চোখ বন্ধ করে আমার কথা ভাবছে আর শিউরে উঠছে! আমি এই বেলা প্রজাপতি হয়ে ওর ঠোঁটের সেই মারাত্মক খাঁজে গিয়ে বসি, ফিসফিস করে ডাকি,
"রণ, আমার রণ ..."
ও শুনতে পায়, কিন্তু সাড়া দিতে পারেনা, আমাকে ছুঁতে চায় কিন্তু দেখতে পায়না, আর আমি ডানা ফরফরিয়ে ওর আসে পাশে উড়ে বেড়াই। কাল যাবো একটা ঘাস ফড়িং হয়ে, রোজ যাবো, স্বপ্নে।
সমাপ্ত
কল্যানী মিত্র ঘোষ

httpssankhamanigoswami.xyz




প্রেমের গল্প বাংলা,প্রেমের গল্প প্রেমের গল্প,প্রেমের গল্প রোমান্টিক,প্রেমের গল্প কাহিনী,

প্রেমের গল্প ভালোবাসার গল্প, প্রেমের গল্প দুঃখের , প্রেমের গল্প কষ্টের , ভালবেসে একটি মেয়ের আঘাত পাওয়ার গল্প



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...