রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

ইতিহাসের অলিগলি

 

ইতিহাসের অলিগলি

 

           ফেলুদা বলে --- জব নয় , জোব চার্নক । তো , সেই জোব চার্নকের সমাধি দেখতে একদিন রাজভবনের মূল ফটক ছাড়িয়ে , আরও একটু এগিয়ে ঢুকেই পড়লাম সেন্ট জন’স চার্চে । এখানে স্বীকার করে নেওয়া ভাল , যে কলকাতার পুরনো সমাধিস্থান ঘিরে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছে  সত্যজিৎ রায়ের ‘গোরস্থানে সাবধান’ পড়ার পর থেকে । যাইহোক , ঢুকতে দশ টাকার টিকিট কাটতে হল , যে টাকা ব্যয় হবে গোটা কলকাতা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ধরণের পুরাতাত্ত্বিক স্মারকগুলি সংরক্ষণে এবং কলকাতার দুঃস্থ শিশুদের কল্যাণে । লম্বা লম্বা থামের উপর দাঁড়িয়ে থাকা চার্চটির চূড়া ছুঁচলো ধরণের । একে বোধহয় ইন্দো-গথিক স্থাপত্যরীতি বলা হয় । গেট দিয়ে সোজাসুজি এগিয়ে গেলে ডানদিকে প্রথম বাঁকটির পরে , প্রথম চোখে পড়ে লর্ড ব্রেবোর্নের সমাধি । এর ঠিক পিছনেই একই সারিতে কালানুক্রমিকভাবে এই চার্চের বিভিন্ন পাদ্রিদের সমাধি । তার পাশেই কুখ্যাত অন্ধকূপ হত্যার স্মরণে একটি নাতিদীর্ঘ মিনার । এর ফলকে যদিও বলা হয়েছে , ঠিক এইখানেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল , তথাপি আদতে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত সত্য হল , এমন কিছু আদৌ ঘটেইনি । স্বয়ং ওয়ারেন হেস্টিংসও এই মিথ্যেটা ধরতে পেরে আসল মিনারটি ভেঙে দেন । এখন যেটি দেখা যায় , সেটি অনেক পরে আবার তৈরি হয়েছে বলেই কলকাতা-গবেষকেরা মনে করেন । আর একটু নাক বরাবর এগিয়ে গেলেই জোব চার্নকের সমাধিমন্দির । বাংলা সিনেমায় এই জায়গাটা বহুবার দেখেছি , তাই খুব চেনা । কিন্তু যেটা দেখিনি , সেটা হল এর ভেতরে চার্নকের সমাধিফলক । সেখানে লেখা ওঁর মৃত্যু হয়েছিল জানুয়ারি, ১৬৯২ খৃস্টাব্দে । কিন্তু ইতিহাসে যে পড়েছি , তারিখটা ১০ ই জানুয়ারি ১৬৯৩ ! কোনটা ঠিক ? ইতিহাসের শিক্ষক এক বন্ধু বলল – দু’টোই । তখন বছর মার্চ মাস থেকে গোনা হত । এর ঠিক পিছনেই , চার্চের পিছনের গেটের পাশে যে সমাধিমন্দিরটি আছে , তার ফলক পড়ে জানা গেল, এই পরিবারটিকে সাবেক কলকাতার আদি বাসিন্দা বা বলা ভাল প্রথম নথিভুক্ত ব্রিটিশ বাসিন্দা মনে করা হয় । ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছিলেন --- “রাতে মশা দিনে মাছি / এই নিয়ে কলকাতায় আছি ।“ ঘুরতে ঘুরতে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম , সাবেক আর আধুনিক কলকাতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরির কাজটা দিনের বেলাতেও মশা ভালভাবেই পালন করছে ! চার্চের প্রার্থনাকক্ষের ঠিক পিছন দিকে আছে লেডি ক্যানিং(লেডিকেনি খ্যাত)- এর সমাধি । যেন যিশুর চরণাশ্রিত । মৃত্যুর পরে লেডি ক্যানিংকে সমাধি দেওয়া হয়েছিল ব্যারাকপুরে , ভাইসরয় হাউসের কাছে , গঙ্গার পাশে তাঁরই হাতে তৈরি বাগানে । পরে ব্যারাকপুরের সমাধিটির প্রতিরূপ অক্ষত রেখে দেহাবশেষ এখানে নিয়ে আসা হয় । একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছিলাম ঘুরতে ঘুরতে যে , এই প্রাঙ্গণে সেকালের ব্রিটিশ রাজন্যবর্গের বাইরে আর কারও ঠাঁই হয়নি । মৃত্যুর পরেও সুসভ্য ব্রিটিশ সমাজে সামাজিক অবস্থান প্রদর্শনের ইচ্ছা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত প্রবল ছিল , এ কথাটা বুঝতে অসুবিধে হয়না । ভগবানের বাড়িতেও ফার্স্ট ক্লাস – সেকেন্ড ক্লাস ! গির্জার ভেতরটা অলঙ্করণে দেখার মত । যিশুর মূর্তির পাশেই লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘দ্য লাস্ট সাপার’- এর একটি অসাধারণ প্রতিরূপ আছে । তৈলচিত্রটি মনে রাখার মত । চোখ আটকে যায় গোটা হল জুড়ে রঙিন কাচের কাজেও । বাইরে থেকে আসা আলোয় রঙিন কাচের ওপর ক্রুশবিদ্ধ যিশুর ছবি দর্শককে যেন বাইরের সদাব্যস্ত মহানগর থেকে দূরে কোনও অচেনা আনন্দলোকে নিয়ে যায় । দৃষ্টিনন্দন শার্সির থেকে ভিতরে চোখ ফেরালে বহু পুরনো, একটি বৃহদাকার বাইবেল দেখা যায় । পাতাগুলো খোলা , যেন কেউ পড়তে পড়তে  এইমাত্র উঠে গেছে । কনফেশন বক্সের কাছে দু’টি সোনালি দেবদূতের মূর্তি আছে । এতটাই জীবন্ত , যে মনে হয় এখনই ডানা মেলে উড়ে যাবে । প্রার্থনাকক্ষ সংলগ্ন একটা ছোট ঘরে ঢুকেই চমকে গেলাম ! কাচের শো- কেসের মধ্যে রাখা      ওয়ারেন হেস্টিংসের চেয়ার । গদির জরাজীর্ণ অবস্থা , তবু কেন যেন অদ্ভুত রোমাঞ্চ হচ্ছিল । এই ঘরেই রাখা আছে বুক সমান সেকেলে বাতিদান , আছে সুদৃশ্য কাঠের ফ্রেমে হেস্টিংসের টেবল ক্লক । আছে  প্রাচীন কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলের পেন্সিল স্কেচ , তৈলচিত্র , ব্রিটিশ রাজপুরুষদের প্রতিকৃতি । কৌতূহল বাড়ায় বহু পুরনো সিন্দুক , সুন্দর কারুকাজ করা কাঠের স্ট্যান্ড থেকে ঝোলানো হ্যাঙ্গার । একটি সমাধিফলকে খুঁজে পেলাম --- ‘INDOSTAN’ শব্দটি । এক ইংরেজি শিক্ষক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করায় সে বলল , সে সময়ে এই ধরণের ফলকগুলি লেখা হত মূলত ল্যাটিনে এবং দৈনন্দিন জীবনে এই ধরণের বহু মিশ্র শব্দ ব্যবহারের দৃষ্টান্ত ইতিহাসে আছে । এক্ষেত্রে যেমন INDIA আর HINDUSTAN – এর মিলিত রূপ এই শব্দটি । চার্চ থেকে বেরিয়ে , ওই ফুটপাত ধরে হেঁটে আসার সময় চোখে পড়ল , প্রাচীন স্থাপত্যরীতিতে তৈরি একটি বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাড়ির গায়ে লেখা --- ‘ওয়েলেসলি প্লেস’ । সাহেব – বিবি – গোলামের কলকাতা দেখার একটা ছোট্ট বৃত্ত সম্পূর্ণ হল যেন !
























































Job Charnock's Mausoleum

warren hastings ghost



ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example




অ্যাক্রস্টিক। Acrostic poem

 

শুভাই

 

শুভ কাজে বেশি নাই দেরী আর

ভাল চন্দন চর্চিত

ইত্যবসরে সহোদর তুমি , আছাড় খেয়ে মূর্ছিত !

 

অন্তরা

 

অপূর্বতা সঙ্গী করে , দোটানায় বা দ্বন্দ্বে পড়ে

নয় শুধু নয় ভঙ্গী তোমার , যা ধন্দে ফেলে , আঁকড়ে ধরে;

তবু কেন দৃষ্টি হানা , মিষ্টি হেসে সঙ্গোপনে

রাখতে কথা আসতে হবে , আমার সাথে নীপবনে ।

 

১। শু – ভা – ই      ২। অ – ন – ত – রা ! অ্যাক্রস্টিক । এই ধরণের কবিতা বা ছড়ায় , প্রতিটি পঙক্তির প্রথম অক্ষরগুলি পরপর যোগ করলে একটি অর্থ বা নাম তৈরি হয় । এই ধারাটির চমৎকার দৃষ্টান্ত আছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সেই সময়’ – এ । মাইকেল মধুসূদনের বাড়িতে বন্ধু এসেছেন । মধু কবি কাগজ – কলম ধরিয়ে দিলেন তাঁর হাতে । পায়চারি করতে করতে তিনি এক –একটি লাইন বলছেন , আর বন্ধুবর লিখছেন । হঠাৎ পায়চারি থামিয়ে দিয়ে টিমোথি পেনপোয়েম মুচকি হেসে বললেন – প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষরগুলো পরপর পড় । শেষ লাইনটি পড়ার পরই দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধু অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন । দেখা গেল , সদ্য লেখা কবিতাটি একটি নাম তৈরি করেছে --- গৌ – র – দা – স – ব – সা – ক !

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_35.html






acrostic poem



acrostic poem meaning


acrostic poem on school


acrostic poem examples

অন্ত্যমিলে জলপরী

 

জলপরী

আমাদের দেখি এই মহানগরের পথেঘাটে

ওরা যখন একে অপরের আঙুল জড়িয়ে হাঁটে

সবাই আসলে আমাদেরই প্রতিবিম্ব শুধু

এ ফুল থেকে ও ফুল ঘুরে  ঠোঁটে মাখে মধু

চোখে চোখে নীরবে যে বার্তা বিনিময়

তাতে আসলে বারে বারে আমাদের কথা হয়

দিগন্তে ওই বিভাবসু এই তো দিল ডুব

জলপরী, তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব ।

 

অন্ত্যমিল

যতই পদ্যে সাড়া দাও তুমি অন্ত্যমিলের কাছে

জীবনে তোমার আষ্টেপৃষ্ঠে গদ্য জড়িয়ে আছে

প্রতিদিন শুধু ঠিক গুনে গুনে ভুল করে যাও তুমি

জীবন আসলে অতীতবিলাসী , স্বপ্ন – বধ্যভূমি ।

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_78.html




বাংলা কবিতা রোমান্টিক

বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা ক্যাপশন

বাংলা কবিতার লাইন



বাংলা কবিতা প্রেমের


স্বাধীনতা ৭৪ ও আমরা ।

 

৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে আমরা কোভিড – ১৯ – এর হাতে বন্দী । মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় আমাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রতি পদে । প্রতি মুহূর্তে ভয় – সংক্রমিত না হয়ে পড়ি । মরণাপন্নকে হাসপাতাল ভর্তি নিচ্ছে না , অসুস্থকে রাজপথে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সহনাগরিকের কোভিড- ভীতি । অন্যদিকে , সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের চোখ রাঙানি । তারই সাথে আগামিদিনের একটি চরম শক্তিধর রাষ্ট্র একসাথে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে ঢুকে পড়ার প্রবল চেষ্টা শুরু করেছে । লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় একটি স্বাধীন – সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভিতরে ঢুকে বসে রয়েছে চিন । উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে , অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাস্তব পরিস্থিতি দেশবাসীকে জানাতে প্রবল অনীহা । কিন্তু তিনিই আবার সগর্বে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান হয়েও হিন্দুদের অন্যতম প্রধান আরাধ্য রামলালার মূর্তির সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করছেন , সংবিধানের প্রস্তাবনাটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে । এদেশের জীবন রেখা বলা হয় রেল – যোগাযোগকে । সেই রেল চলাচল যেমন এখন জনসাধারণের জন্য বন্ধ বেশ কয়েক মাস ধরে , আমাদের স্বাধীনতার বোধও তেমনই এমতাবস্থায় প্রায় লুপ্ত ।

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_35.html



HERCULE POIROT. A DETECTIVE CHARACTER CREATED BY AGATHA CHRISTIE. DIGITAL DRAWING.

 







Hercule Poirot

Fictional character

https://g.co/kgs/7K8T2z


hercule poirot books

hercule poirot movies


hercule poirot character




কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...