রবিবার, ১০ মে, ২০২০

কেউ কথা রাখেনি । কেউ কথা রাখেনা । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা কেউ কথা রাখেনি


২৩ অক্টোবর ২০১২ , মহাষ্টমীর রাতে দিকশূন্যপুরে চলে গিয়েছিলেন নীললোহিত শ্রদ্ধা জানাবার জন্য ওঁর দেহ রবীন্দ্র সদনে রাখা ছিল সেই লাইনে যখন দাঁড়ালাম , তখন তা নন্দনের গেট ছুঁয়েছে আমার সামনের স্থূলকায় , পাজামা - পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলোকের হাতে ধরা পুষ্পস্তবকে বড় বড় করে লেখা -- 'নবজাগরণ' , তাঁর সামনের হাতে - মুখে শ্বেতি , জামা প্যান্ট পরা ভদ্রলোকের হাতের ফুলের তোড়ায় লেখা --- 'গণশক্তি' কিছুক্ষণ পর 'নবজাগরণ' কাউকে ফোনে বললেন --- "এই  রোদে দাঁড়াতে পারবোনা , ভেতরে ঢোকার ব্যবস্থা করো " 'গণশক্তি' আমার সামনেই ঘণ্টা দেড়েক দাঁড়িয়ে একটু একটু করে এগিয়ে চললেন এবং শ্রদ্ধা জানালেন । আমার খুব প্রিয়, কমল হাসান অভিনীত 'পুষ্পক' ছবিতে বিশিষ্ট উদ্যোগপতির মৃত্যুতে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জনের একটা দৃশ্য ছিল । কেন জানিনা সেটা মনে পড়ে গেল ।  "চোখ খোলা, তবু চোখ বুজে আছি -- কেউ তা দেখেনি " কবির পাশ থেকে চেঁচিয়ে একজন বললেন -- "এবার আমাদের এগোতে হবে বডি ডিকম্পোজ করতে শুরু করেছে " মনে হল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যদি 'বডি' হয়ে যান , তবে আমার কী দশা হবে ! মানে যতক্ষণ বাঁচি , ততক্ষণ আছি তারপর আর নেই , কিস্যু নেই । এক ভদ্রলোক নাবালক পুত্রকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন । সে প্রিয় লেখককে শেষ দেখা দেখবে বলে বায়না ধরেছিল । একথা শুনে তার বাবা দূরে সরে গেলেন । সাহিত্য আকাদেমি থেকে ওঁকে তখন বের করে আনা হয়েছে বেরিয়ে আসছেন স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ও হঠাৎ পিছন থেকে একজন ভদ্রলোক বললেন --- "স্বাতীদি , আবার আসবেন কিন্তু " ওই মুহূর্তে খুব তাৎপর্যপূর্ণ কথা , কিন্তু কথাটা বললেন মাত্র একজন । এক সময়ে যে কাগজের কর্মী ছিলেন , সেই অফিসেও ওনার দেহ নিয়ে যাওয়া হল । আরও অনেকের সাথে আমিও ছবি তুলছিলাম । শববাহী শকটের দরজার কাচ ভাঙা ছিল , খেয়াল করিনি পাশেই বসেছিলেন ওনার ছেলে ওই সময়েও একজন সম্পূর্ণ অচেনা মানুষকে সতর্ক করে বললেন --- "আস্তে হাত কেটে যাবে




Sunil Gangopadhyay

Indian poet

https://g.co/kgs/nmM5QC



সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা কেউ কথা রাখেনি


sunil gangopadhyay




ডাকঘরে জলপান


ভূপেন হাজারিকার গানটা মনে পড়ে যায় --- "মানুষ মানুষেরই জন্যে , জীবন জীবনেরই জন্যে , একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা , বন্ধু ..." সকালে কাজে বেরোতে হয়েছে চড়া রোদ , ভীষণ গরম তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ পরিচিত কারও বাড়িতে গিয়ে একটু জল খেতে চাইলেন তিনি ঠাণ্ডা জল তো এগিয়ে দিলেনই , সঙ্গে দু'টো বাতাসাও দিলেন , কারণ রোদে পুড়ে এসে খালি পেটে জল খেতে নেই , দিতেও নেই দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত সামাজিক সংস্কার ব্যারাকপুর রেলওয়ে স্টেশন পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ সেই কথাটাই মনে রেখেছেন শুধু লেখালিখির জন্য একটা কাঠের টেবিল , আর তার ওপর সরার ঢাকনা দেওয়া , কল লাগানো একটা মাটির কলসি , তার পাশে পরিষ্কার স্বচ্ছ মুখ বন্ধ কৌটোয়ে সাদা বাতাসা আর জলের বোতলের ব্যবস্থা রেখেছেন বারান্দায় , যেখানে গ্রাহকেরা অপেক্ষা করেন , এবং যে গ্রাহকদের সিংহভাগই প্রবীণ নাগরিক , যারা এই অস্বাভাবিক গরমে বাধ্য হয়ে সকালে কাজে বেরিয়ে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

হয়ত আপাতভাবে তুচ্ছ ব্যাপার , সামান্য খরচ , সামান্য আয়োজন , কিন্তু তবু পোস্ট অফিসটির এই আন্তরিক উদ্যোগে খুশি হচ্ছেন সবাই এই সামান্য , স্বাভাবিক বিষয়গুলিই তো এখন প্রায় অবলুপ্ত  
অন্য পোস্ট অফিসগুলিতেও এমন ব্যবস্থা রয়েছে কিনা দেখতে , শহরের সবগুলি উপ ডাকঘরে ঘুরলাম (ঘোষ পাড়া রোড , তাল্পুকুর , পান পাড়া , আনন্দপুরী , নোনা চন্দনপুকুর ) একমাত্র ঘোষ পাড়া রোডে জেনারেটরের ওপর দু'টি জলের বোতল দেখা গেলো আর দেওয়াল ঘেঁষে মুখবন্ধ অনেকগুলি জলের বড় জার রাখা রয়েছে শুধু অন্যগুলিতে এটুকুও নেই অথচ ব্যাঙ্কগুলিতে কিন্তু শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে
জল - বাতাসার শীতল শান্তিটুকু উপহার দেওয়ার জন্য তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাধুবাদ প্রাপ্য




www.httpssankhamanigoswami.xyz





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example









কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...