মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

ভারত সেবাশ্রমের সাথে --- ভ্রমণ


বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে মন একবার চলো যাই বললেই হল ! তারপর শুধু হুট বলতে ছুটে বেরিয়ে পড়া , কখনও বা দিকশূন্যপুরে ! আর বেড়াতে গিয়ে নিরাপদে থাকা আর সাধ্যের মধ্যে মনমত আশ্রয়ের খোঁজ কে না করে ? বিশেষত , গয়ার মত তীর্থস্থানে , যেখানে পাণ্ডাদের দৌরাত্ম্যের কথা সর্বজনবিদিত শুধু তাই বা কেন , দক্ষিণ ভারতে , মুম্বইয়ে চিকিৎসা করাতে যান যারা তাদেরও কাজে আসবে এই বইটি দিল্লিতে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে থাকার সময় একবার কলকাতার 'বহুরূপী ' নাট্যদলের সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল কুমার রায় , দেবেশ রায়চৌধুরীদের সঙ্গে একই ছাদের তলায় ছিলাম আমরা তাজমহল দেখতে যাবার দিন অনিবার্য কারণে ফিরতে ফিরতে রাত দেড়টা হয়ে গেল ভাগ্যিস ওঁদের ফোন নম্বরটা সাথে ছিল তাজমহল থেকে বেরিয়েই আমরা ফোন করে দিয়েছিলাম দু' একবার ডাকতেই ওঁরা গেট খুলে দিলেন , নইলে দিল্লির ওই শীতের রাতে খুব বিপদে পড়তে হত আমাদের আবালবৃদ্ধবনিতা সমস্ত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই কলকাতা বইমেলা - ২০১৯ - ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে প্রকাশিত হয়েছে 'ভ্রমণ' নামক বইটি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীকা হয়ে পোর্ট ব্লেয়ার পর্যন্ত এবং বিদেশেও (লন্ডন , গায়না - দক্ষিণ আমেরিকা , নিগ , ত্রিনিদাদ , নিউ ইয়র্ক , শিকাগো , ইলিনয় , নিউজার্সি , কানাডা , ওনটারিও , ফিজি) যে সব জায়গায় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শাখা রয়েছে , এবং থাকার ব্যবস্থা রয়েছে , সেখানকার ঠিকানা - ফোন নম্বর - ফ্যাক্স নম্বর - মেল আই ডি ইত্যাদি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য এই বইয়ে পরিবেশিত হয়েছে যত্ন সহকারে পৃষ্ঠার মান , প্রচ্ছদ , ছাপা লেখার সঙ্গের আলোকচিত্রগুলিও চোখ টানে বইটি লিখেছেন স্বামী সারস্বতানন্দ বইটির দাম দেড়শ টাকা প্রকাশক জানাচ্ছেন , দেশের সর্বত্র বই পাঠানো হয় বইয়ের দাম এবং ডাকব্যয় বাবদ পঞ্চাশ টাকা দিয়ে মোট টাকা পোস্ট অফিস থেকে এম করে পাঠালে রেজিস্টার্ড পোস্টে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় বই পাঠিয়ে দেওয়া হবে  
                               
                                বিহার , উত্তরপ্রদেশ , ওড়িশা , উত্তরাখণ্ড , হরিয়ানা , দিল্লি , ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ , অসম , মেঘালয় , অরুণাচলপ্রদেশ , নাগাল্যান্ড , মহারাষ্ট্র , গুজরাত , ছত্তিসগড় , তামিলনাড়ু , কর্ণাটক , কেরালা , অন্ধ্রপ্রদেশ , জম্মু- কাশ্মীর , ত্রিপুরা , রাজস্থান , আন্দামান- নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ , এবং পশ্চিমবঙ্গ ----- প্রভৃতি রাজ্যে এই প্রতিষ্ঠানের যে সব এক বা একাধিক শাখা রয়েছে , সেখানে থাকার সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য অতিথিশালার ছবিগুলি বইয়ের দু' মলাটের মধ্যে সঙ্কলিত হয়েছে রয়েছে নেপাল , বাংলাদেশের মত পড়শি দেশের শাখার যাবতীয় তথ্যও সবমিলিয়ে পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের সংগ্রহে রাখার মত বইটি পেতে যোগাযোগ করতে হবে ---------- প্রকাশক স্বামী সারস্বতানন্দ , ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ , ২১১, রাসবিহারী এভিনিউ , কলকাতা - ৭০০০১৯ মোঃ - ৯২৩১৮৭৮১১১/ ৯০৮৮৯৬৫৮১৮ মেল  swamisaraswatananda@gmail.com 
এবং সঙ্ঘের সব শাখা কার্যালয়ে





Bharat Sevashram Sangha

Indian charitable trust

https://g.co/kgs/SzT5kv


bharat sevashram sangha kolkata



ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


বাঙালির রসবোধ


       সহনাগরিকদের রসবোধ মাঝেমধ্যে তাক লাগিয়ে দেয় এই আজকেই যেমন ,--- শ্রীরামপুর থেকে ভুটভুটিতে (মোটর বোট) গঙ্গা পেরোচ্ছি ফেরি ঘাটের সামনে দাঁড়িয়েও নৌকা জেটিতে ভিড়তে পারছেনা , আরও একটি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ওই নৌকা খালি হল , আবার ওপারের যাত্রীরা উঠলেন সে নৌকা সরলো ,- তারপর জেটি ফাঁকা হল এই পুরো সময়টা আমাদের ভুটভুটি গঙ্গায় বৃত্তাকারে পাক খাচ্ছিল পাড় থেকে একটু দূরে অধৈর্য হয়ে এক যাত্রী শেষমেশ মাঝির উদ্দেশে সরস টিপ্পনী ছুঁড়ে দিলেন : " দাদা , আর কতক্ষণ ? সাত পাক তো হয়ে গেলো !" সবাই হোহো করে হেসে উঠলেন , মহিলারাও !  
         কিছু কিছু যাত্রী লোকাল ট্রেনে ক্লান্তিবশত ঘুমিয়ে পড়েন , অক্লেশে মাথা রাখেন অন্যের কাঁধে । বেশিরভাগই মেনে নেন , কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেন । আমার সামনের জন এইভাবেই দিব্যি ঘুমোচ্ছিলেন । কয়েকবার কাঁধ ঝাঁকিয়ে কাজ না হওয়াতে পাশের জন মোলায়েম সুরে তাঁকে ডেকে বললেন -- "দাদা , একটা বালিশ দেবো !"
          আরেকদিনের কথা । গরমকালে কলকাতার লোকাল ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিত্যযাত্রীরা দরজার সামনে দাঁড়াবার সময় মুখোমুখি লাইন করে দাঁড়ান , যাতে মাঝখান দিয়ে ফুরফুরে হাওয়া চলাচল করে , এবং একটু স্বস্তি পাওয়া যায় । এটাই এ সময়ের অলিখিত নিয়ম । কিন্তু নিয়মিত যাতায়াত করেন না , এমন কেউ কেউ নিয়ম ভেঙে দাঁড়িয়ে পড়েন মাঝেমধ্যে । সেদিনও এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক তেমনই  হাওয়া আটকে দাঁড়িয়ে পড়লেন । প্রথামাফিক তাঁকে নিত্যযাত্রীরা সমবেতভাবে অনুরোধ করলেন ঠিক করে দাঁড়াতে । কিন্তু বিধি বাম , উল্টা বুঝলি রাম ! ভদ্রলোক খেঁকিয়ে উঠে বললেন --- "কেন , সরে দাঁড়াব কেন ? আমি টিকিট কেটে উঠেছি ।" এরপর কয়েক মুহূর্ত সব চুপচাপ । তারপর, নিত্যযাত্রী দলের একজন সঙ্গীকে বললেন --- "ওরে , ছেড়ে দে । আমাদের টিকিটে হাওয়া লেখা নেই !" 
              কামরায় ভুসভুসিয়ে হাসির রোল উঠল ! 

এবার একটা ছবির গল্প । বাঙালির রসবোধ সত্যি মাঝে মাঝে তাক লাগিয়ে দেয় । এই ফেসবুকেই একখানা ছবি দেখেছিলাম । এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে পোস্ট করেছিলেন । #নাটোর স্টেশনের ফলকের উপর দুই হাতের পাতা জড়ো করে , তার উপরে চিবুক রেখে ছবিটা তোলা হাসিমুখে , ক্যাপশনের জায়গায় জিজ্ঞাসা চিহ্ন ! কয়েক হাজার জন একটাই নাম লিখেছে কমেন্ট বক্সে --- #বনলতাসেন ! এর মধ্যে রসবোধটা কোথায় ? ওই যে , ছবির ক্যাপশনে জিজ্ঞাসা চিহ্ন লিখে ছেড়ে দেওয়ার পরিমিতিবোধ , সেটাই ।





বাঙালির রসবোধ

রসবোধ


রসবোধের


good sense of humour meaning in bengali

humour meaning in bengali


sense of humour meaning






কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...