সহনাগরিকদের রসবোধ মাঝেমধ্যে তাক লাগিয়ে দেয় । এই আজকেই যেমন ,--- শ্রীরামপুর থেকে ভুটভুটিতে (মোটর বোট) গঙ্গা পেরোচ্ছি । ফেরি ঘাটের সামনে দাঁড়িয়েও নৌকা জেটিতে ভিড়তে পারছেনা , আরও একটি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে । ওই নৌকা খালি হল , আবার ওপারের যাত্রীরা উঠলেন । সে নৌকা সরলো ,- তারপর জেটি ফাঁকা হল । এই পুরো সময়টা আমাদের ভুটভুটি গঙ্গায় বৃত্তাকারে পাক খাচ্ছিল পাড় থেকে একটু দূরে । অধৈর্য হয়ে এক যাত্রী শেষমেশ মাঝির উদ্দেশে সরস টিপ্পনী ছুঁড়ে দিলেন : "ও দাদা , আর কতক্ষণ ? সাত পাক তো হয়ে গেলো !" সবাই হোহো করে হেসে উঠলেন , মহিলারাও !
কিছু কিছু যাত্রী লোকাল ট্রেনে ক্লান্তিবশত ঘুমিয়ে পড়েন , অক্লেশে মাথা রাখেন অন্যের কাঁধে । বেশিরভাগই মেনে নেন , কেউ কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেন । আমার সামনের জন এইভাবেই দিব্যি ঘুমোচ্ছিলেন । কয়েকবার কাঁধ ঝাঁকিয়ে কাজ না হওয়াতে পাশের জন মোলায়েম সুরে তাঁকে ডেকে বললেন -- "দাদা , একটা বালিশ দেবো !"
আরেকদিনের কথা । গরমকালে কলকাতার লোকাল ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিত্যযাত্রীরা দরজার সামনে দাঁড়াবার সময় মুখোমুখি লাইন করে দাঁড়ান , যাতে মাঝখান দিয়ে ফুরফুরে হাওয়া চলাচল করে , এবং একটু স্বস্তি পাওয়া যায় । এটাই এ সময়ের অলিখিত নিয়ম । কিন্তু নিয়মিত যাতায়াত করেন না , এমন কেউ কেউ নিয়ম ভেঙে দাঁড়িয়ে পড়েন মাঝেমধ্যে । সেদিনও এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক তেমনই হাওয়া আটকে দাঁড়িয়ে পড়লেন । প্রথামাফিক তাঁকে নিত্যযাত্রীরা সমবেতভাবে অনুরোধ করলেন ঠিক করে দাঁড়াতে । কিন্তু বিধি বাম , উল্টা বুঝলি রাম ! ভদ্রলোক খেঁকিয়ে উঠে বললেন --- "কেন , সরে দাঁড়াব কেন ? আমি টিকিট কেটে উঠেছি ।" এরপর কয়েক মুহূর্ত সব চুপচাপ । তারপর, নিত্যযাত্রী দলের একজন সঙ্গীকে বললেন --- "ওরে , ছেড়ে দে । আমাদের টিকিটে হাওয়া লেখা নেই !"
কামরায় ভুসভুসিয়ে হাসির রোল উঠল !
আরেকদিনের কথা । গরমকালে কলকাতার লোকাল ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে নিত্যযাত্রীরা দরজার সামনে দাঁড়াবার সময় মুখোমুখি লাইন করে দাঁড়ান , যাতে মাঝখান দিয়ে ফুরফুরে হাওয়া চলাচল করে , এবং একটু স্বস্তি পাওয়া যায় । এটাই এ সময়ের অলিখিত নিয়ম । কিন্তু নিয়মিত যাতায়াত করেন না , এমন কেউ কেউ নিয়ম ভেঙে দাঁড়িয়ে পড়েন মাঝেমধ্যে । সেদিনও এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক তেমনই হাওয়া আটকে দাঁড়িয়ে পড়লেন । প্রথামাফিক তাঁকে নিত্যযাত্রীরা সমবেতভাবে অনুরোধ করলেন ঠিক করে দাঁড়াতে । কিন্তু বিধি বাম , উল্টা বুঝলি রাম ! ভদ্রলোক খেঁকিয়ে উঠে বললেন --- "কেন , সরে দাঁড়াব কেন ? আমি টিকিট কেটে উঠেছি ।" এরপর কয়েক মুহূর্ত সব চুপচাপ । তারপর, নিত্যযাত্রী দলের একজন সঙ্গীকে বললেন --- "ওরে , ছেড়ে দে । আমাদের টিকিটে হাওয়া লেখা নেই !"
কামরায় ভুসভুসিয়ে হাসির রোল উঠল !
এবার একটা ছবির গল্প । বাঙালির রসবোধ সত্যি মাঝে মাঝে তাক লাগিয়ে দেয় । এই ফেসবুকেই একখানা ছবি দেখেছিলাম । এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে পোস্ট করেছিলেন । #নাটোর স্টেশনের ফলকের উপর দুই হাতের পাতা জড়ো করে , তার উপরে চিবুক রেখে ছবিটা তোলা হাসিমুখে , ক্যাপশনের জায়গায় জিজ্ঞাসা চিহ্ন ! কয়েক হাজার জন একটাই নাম লিখেছে কমেন্ট বক্সে --- #বনলতাসেন ! এর মধ্যে রসবোধটা কোথায় ? ওই যে , ছবির ক্যাপশনে জিজ্ঞাসা চিহ্ন লিখে ছেড়ে দেওয়ার পরিমিতিবোধ , সেটাই ।
বাঙালির রসবোধ
রসবোধ
রসবোধের
good sense of humour meaning in bengali
humour meaning in bengali
sense of humour meaning
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.