মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

হিসেবনিকেশ


হিসেবনিকেশ   


কর্মফল বলে সত্যিই কি কিছু হয় ? প্রশ্নটা গত কয়েকদিন ধরে কুরে কুরে খাচ্ছে অতীশকে । সপ্তাহ তিনেক আগে জন্মেছে অতীশ –পারমিতার একমাত্র পুত্রসন্তান নীল । নামটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল , কিন্তু এখন ওর মনে হচ্ছে , যন্ত্রণার রঙও তো নীল । ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নীল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু । সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করবার পরেও এমনটা হল কেন, ভেবে কুল পাচ্ছে না অতীশ । আর যত ভাবছে, ততই যেন ওর গলা টিপে ধরছে এই প্রশ্নটা ।
     পৃথিবীতে একেবারে দাগী অপরাধী খুব কম । লৌহকপাটের অন্তরালে যাদেরকে যেতে হয়, তাদের অধিকাংশই তাৎক্ষণিক উত্তেজনার বশে মারাত্মক অপরাধ ঘটিয়ে বসে । তাদের কথা জানা যায়, পড়া যায় । কিন্তু তাছাড়াও প্রতিদিন এই দুনিয়ার আনাচকানাচে এমন অনেক অপরাধ নীরবে- নিভৃতে ঘটে চলে যার হদিশ কেউ রাখেনা , অথচ কারও কারও জীবনে যে অপরাধের ফল হয় সুদূরপ্রসারী ।
      সে প্রায় বিশ- পঁচিশ বছর আগেকার কথা । অতীশ তখন উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র । কয়েকজন বন্ধু মিলে তিস্তায় গেছে স্নান করতে । দীপঙ্করের ভাই সৌমেনও গেছিল ওদের সাথে । বাচ্চা ছেলে, সাঁতার জানে না, জলে নামতেও ভয় পায় । সেদিনও পেয়েছিল । কাঁদছিল । অন্য বন্ধুরা তা দেখে বলেছিল, ও যখন এত ভয় পাচ্ছে, তখন কী দরকার ওকে জোর করবার । ও বরং পাড়ে বসে থাক, সাইকেলগুলো দেখবে । আপত্তি করেছিল অতীশ , বাধ্য করেছিল সৌমেনকে জলে নামতে । কোনও কারণ ছাড়াই সেদিন কেমন যেন রোখ চেপে গিয়েছিল অতীশের । জেদ ধরে বলেছিল, জলে ওকে নামতে হবেই । হাত- পা ছুঁড়ে বাঁচার তাগিদেই সাঁতার শিখে যাবে । কেউ কেউ পারে হয়ত , কিন্তু সৌমেন পারেনি । সবাই যখন নদীতে সাঁতার কাটার আনন্দে মাতোয়ারা , তখন ওদের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে খাবি খাচ্ছিল সে । ডুবেই যেত সৌমেন সেদিন, যদি না শেষ মুহূর্তে ব্যাপারটা চোখে পড়ত তাপসের । নদী থেকে তুলে, সঙ্গে সঙ্গে পেট থেকে পাম্প করে জল বের করা এবং তারপর তড়িঘড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় সেযাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেছিল সৌমেন । আসল ক্ষতিটা বোঝা গিয়েছিল দু’দিন পরে , সুস্থ- স্বাভাবিক ছেলেটার মধ্যে নানারকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে । হাসপাতালের মনোবিদ নানারকমভাবে পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন , ভীষণ ভয়ে এমনটা হয়েছে । চিকিৎসা করালে আস্তে আস্তে কমে যাবে সমস্যাটা । কিন্তু তা হয়নি, সৌমেন সারা জীবনের মত পাল্টে গিয়েছিল । দীপঙ্কর কিছু বলে ওঠার আগেই সেদিন অন্য বন্ধুরা প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অতীশের ওপরে । সুব্রত যখন প্রচণ্ড রাগে ওর কাঁধ দু’টো ধরে ঝাঁকাচ্ছিল , তখন অতীশ কোনওমতে শুধু বলতে পেরেছিল --- “আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি রে, এরকমটা হবে ।“
      ওর কথা সেদিন কেউ বিশ্বাস করেনি । অতীশ নিজে কি নিজের কথা বিশ্বাস করেছিল ? রুক্ষ স্বভাব আর রূঢ় ব্যবহারের জন্য বন্ধুরা কিছুটা ভয়ই পেত ওকে । আর সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করত  অতীশ । সেদিন, ওর বেলাগাম স্বভাবেরই ফল ভুগতে হয়েছিল ছোট্ট সৌমেনকে । ভাল ছাত্র অতীশের ঘটনাটা ভুলে যেতেও বেশি সময় লাগেনি । তার জীবন তরতরিয়ে এগিয়ে চলছিল আর পাঁচজন সফল মানুষের মত । তারপর আচমকা এই বিনামেঘে বজ্রপাত ।
       জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার আগে সবাইকে নিজের কৃতকর্মের হিসেব মিটিয়ে যেতে হয় । কে যেন বলেছিল ওকে । তখন এক কান দিয়ে শুনে, কথাটা আরেক কান দিয়ে বের করে দিয়েছিল । কিন্তু আজ যেন কথাটার সারমর্ম চোখের জলের বিনিময়ে বুঝতে শিখল অতীশ চক্রবর্তী , কলকাতা শহরের দুঁদে ক্রিমিনাল ল'ইয়ার ।



অণুগল্প

অণুগল্প অর্থ কি

অণুগল্প বৈশিষ্ট্য

অনুগল্পের উদাহরণ

অণুগল্পের ইতিহাস

বনফুলের অণুগল্প

২০ শব্দের অনুগল্প

অনুগল্প লেখার নিয়ম


১০০ শব্দের ছোট গল্প

অণুগল্প pdf

২০ শব্দের গল্প

অনুবাদ অনুগল্প

সামাজিক অনুগল্প

রোমান্টিক অনুগল্প

৫০ শব্দের গল্প

ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্য




অণুগল্প

অণুগল্প কাকে বলে 


শিকড়


শিকড়


শৌভিকের সাথে তার বাবার সম্পর্কটা এখন একেবারে বন্ধুর মতন । কলেজে , আড্ডায় , বন্ধুমহলে , বান্ধবীমহলে যা ঘটে , শৌভিক প্রায় সবটাই বাবার সাথে ভাগ করে নেয় । আবার ওর বাবাও নিজের চারপাশে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে গল্প করেন ছেলের সাথে । এর মধ্যে শৌভিক একদিন হগ মার্কেটে গেছিল , যাকে সবাই এখন নিউ মার্কেট বলে । সেখানে গিয়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখেছে সে , রক্সি সিনেমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় । সেটা নিয়েই ও বাবার সাথে কথা বলছিল ---
জানত , ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই একটা বিরাট গাড়ি এসে থামল আমার ঠিক সামনে । অত বড় গাড়ি আমি কলকাতাতে খুব কম দেখেছি । নামধাম আমার অত মনে থাকে না , তবে মার্সিডিজ – বি এম ডাব্লিউ গোত্রের কিছু একটা হবে । আর গাড়ির থেকে নামলেন …
--- পাওয়ার উইন্ডো , অটো লক ছিল ? শৌভিকের কথার মাঝখানে  প্রশ্ন করলেন ওর বাবা ।
--- ওসব তো এখন পাতি গাড়িতেও থাকে , আলগা কেতা দেখানোর জন্য । ওসব নয় , আসল ঘটনা অন্য । দেখি , গাড়ির পিছনের সিট থেকে নামলেন এক ভদ্রলোক । এক্কেবারে কপি- পেস্ট ছবি বিশ্বাস । লম্বা , সুগঠিত চেহারা , শুধু দাঁড়ানোর মধ্যেই একটা আভিজাত্য আছে । দেখলেই সম্ভ্রম জাগে ।
--- হুম , বুঝেছি । তারপর ?
--- ভদ্রলোকের পরনে সরু পাড়ের পাটভাঙা ধুতি আর গিলে করা পাঞ্জাবি আর ধুতির কোঁচাটা গোঁজা পাঞ্জাবির বাঁ পকেটে । এরপরেই যেটা চোখে পড়ল , সেটা দেখে আচমকা বিরাট হোঁচট খেলাম । দেখি , ভদ্রলোকের বাঁ হাতের মুঠোয় একটা বিড়ির প্যাকেট আর দেশলাইয়ের বাক্স । ভাবা যায় ! এই ব্যাপারটা আমার জাস্ট মাথার ওপর দিয়ে গেল বাবা । ওরকম একজন মানুষের হাতে বিড়ি !
---- তোর মাথার ওপর দিয়ে গেল কেন ? এতো জলের মত সোজা ব্যাপার । ওটা ওনার শিকড় , ওই জায়গা থেকে আজ উনি অনেক বড় মানুষ হয়েছেন । কিন্তু নিজের অতীতটাকে ভুলতে চান না , তাই ফেলে আসা দিনকে হাতের মুঠোয় ধরে রাখেন । যাঁকে দেখেছিস , তিনি শুধুই বড়লোক নন , বড় মনেরও মানুষ । তোর ভাগ্য ভাল ।
সত্যিই তো ! এভাবে তো ভেবে দেখেনি শৌভিক । যে ঘটনাকে ভীষণ হাস্যকর মনে হচ্ছিল , সেটাই যেন বাবার দেখানো দৃষ্টিতে শিক্ষণীয় হয়ে উঠল শৌভিকের কাছে ।



অণুগল্প pdf

অণুগল্প অর্থ কি

অণুগল্প বৈশিষ্ট্য

অনুগল্পের উদাহরণ

অণুগল্পের ইতিহাস

বনফুলের অণুগল্প

২০ শব্দের অনুগল্প

অনুগল্প লেখার নিয়ম


১০০ শব্দের ছোট গল্প

অণুগল্প pdf

২০ শব্দের গল্প

অনুবাদ অনুগল্প

সামাজিক অনুগল্প

রোমান্টিক অনুগল্প

৫০ শব্দের গল্প

দশ শব্দের গল্প





অণুগল্প

অণুগল্প কাকে বলে 

বেচুবাবু


ঘটনাটি কয়েক বছর আগে এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বন্ধুর কাছ থেকে শোনা । একজন বয়স্ক ডাক্তারবাবু , যার পসারও বেশ ভাল, তিনি বেশ বেকায়দায় ফেলেছেন ওঁর কোম্পানিকে । অভাবী মানুষদের বুঝিয়ে বলছেন একই উপাদানে তৈরি অন্য নামের কম দামী ওষুধ কিনতে । কোথায় , কীভাবে গেলে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাবে , সে উপায় বাতলে দিচ্ছেন । সরকারি হাসপাতালে বদলি হয়ে এসে এক ধাক্কায় শহরে কোম্পানির ব্যবসা কমিয়ে দিয়েছেন অনেকখানি । এমতাবস্থায় , এ লাইনে আমার অভিজ্ঞ সহপাঠীটিকে ভদ্রলোকের কাছে পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি সামলাবার জন্য । রীতিমাফিক , প্রথমে অনুরোধ করার পরেও ডাক্তারবাবু নিজের অবস্থানে অনড় থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন , এ ওষুধের দাম অকারণে বেশি , তাই কিছুতেই তিনি রোগীদের তা কিনতে বলবেন না । এর পরেও কাউকে কাউকে রাজি করাতে যে ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করতে হয় , ধীরে ধীরে ইঞ্জেকশন দেওয়ার মত, ভদ্রতার মোড়কে সেই প্রলুব্ধ করানোর পালা চলছে এককথায় । ডাক্তারবাবু দু’- দু’ বার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রিফিউজ করেছেন । শেষ চেষ্টা হিসেবে একটা লোভনীয় টোপ দিতে যেতেই , প্রবীণ মানুষটি কয়েক সেকেন্ড সরাসরি নিষ্পলক তাকিয়ে রইলেন শীতল শান্ত চোখে । তারপর গলাটা যতটা সম্ভব খাদে নামিয়ে বললেন – “বাড়িতে  তোমার বয়সী আমার একটা ছেলে রয়েছে , তাই কিছু বলছি না । … … … বিফোর আই স্ল্যাপ ইউ … … … গেট আউট ।“
         বন্ধুটি বলেছিল ---- “জীবনে প্রথমবার অপমানিত হতে ভীষণ ভাল লেগেছিল সেদিন ।“










অণুগল্প pdf

অণুগল্প অর্থ কি

অণুগল্প বৈশিষ্ট্য

অনুগল্পের উদাহরণ

অণুগল্পের ইতিহাস

বনফুলের অণুগল্প

২০ শব্দের অনুগল্প

অনুগল্প লেখার নিয়ম



১০০ শব্দের ছোট গল্প

অণুগল্প pdf

২০ শব্দের গল্প

অনুবাদ অনুগল্প

সামাজিক অনুগল্প

রোমান্টিক অনুগল্প

৫০ শব্দের গল্প

ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্য





অণুগল্প

অণুগল্প কাকে বলে 











পুষ্পাঞ্জলি ট্র্যাভেলস


পুষ্পাঞ্জলি ট্র্যাভেলস


       ডুয়ার্সে এখন পর্যটকদের যে দলটা আসে কলকাতা থেকে, তাঁদেরকে নিয়ে ঘোরেন সৈকত । পরিভাষায় তিনি ট্যুর অপারেটর । অভিজ্ঞ মানুষ , মালিকের বিশ্বস্ত লোক । এদিককার ব্যবসা বকলমে তিনিই দেখেন । বকুল ওঁর শাগরেদ । নতুন ঢুকেছে , সঙ্গে থেকে কাজ শিখছে । ছেলেটার একটা ব্যাপার সৈকতের ভারী পছন্দ , শেখার ইচ্ছে । বয়স হচ্ছে বলে আজকাল মাঝেমাঝেই মেজাজ হারান সৈকত , কিন্তু কিছুই গায়ে মাখেনা ছেলেটা । তবে, খুব প্রশ্ন করে । বাজার করে নিয়ে এসে রান্নাঘরের দায়িত্ব বকুলকে বুঝিয়ে দিয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন সৈকত । দুপুরে লোকে একটু গুছিয়ে খায় , বেশি খায় । তাই , ভ্রমণ কোম্পানির কিঞ্চিৎ মাথাব্যথা থাকে, এই পর্বটা নিয়ে । তায় আজ মুরগির মাংস হচ্ছে । কম – বেশি সিদ্ধ হলেই খুঁত খুঁত করবে কিছু লোক । ঠিক সময়ে তাঁদের চুপ করাতে না পারলে ব্যবসার ক্ষতি । তাই টেনশনে আছেন সৈকত , ক্লান্তিটা কিছুটা সেই কারণেই ।
         কথায় বলে , যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই আগে সন্ধে হয় । ঘেমেনেয়ে হঠাৎ রান্নাঘর থেকে ছুটতে ছুটতে এলো বকুল । মুখ কালো করে বলল --- “দাদা মাংস সিদ্ধ হচ্ছে না ।“
--- “ক’টা সিটি দিয়েছিস ?” চোখ বন্ধ করেই প্রশ্ন করলেন সৈকত ।
--- “চব্বিশটা ।“
--- “বলিস কী রে ! আজ  ভোরে যে তোকে ফ্রিজ বন্ধ করে দিতে বলেছিলাম , করেছিলি ?” চোখ খুলে, ভ্রূ কুঁচকে, প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সৈকত ।
--- “হ্যাঁ তো । ঠিক সাড়ে তিনটের সময় ।“
--- “চল তো দেখি ।“ বকুলকে নিয়ে রান্নাঘরে এলেন সৈকত । বললেন, --- “চা পাতার কৌটোটা আর ছাঁকনি নিয়ে আয় । কেটলিতে জল গরম করতে বসা ।“
--- “অ্যাঁ !”
--- “যেটা বলছি সেটা কর ।“ বকুলের মাথার পিছনে আলতো চাঁটি মেরে বললেন সৈকত । তারপর স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন কিছুক্ষণ মাংসের ডেকচিটার দিকে । আর বকুল কথা না বাড়িয়ে চটপট সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে এলো । সৈকত কিছুটা চা পাতা ঢাললেন ছাঁকনির মধ্যে , তারপর সেটা বকুলের হাতে দিয়ে , নির্দেশ দিলেন --- “এবার অল্প অল্প করে গরম জল ঢালতে থাক মাংসের ওপর । কোনও জায়গা যেন বাদ না যায় । আর তাড়াহুড়ো করবিনা বলে দিলাম ।“
এভাবে সবটা জল ঢালা হয়ে গেলে, সৈকত বললেন,
--- “আবার সিদ্ধ করতে বসা । আমি ঘরে যাচ্ছি , পাঁচ মিনিট পরে আমায় গিয়ে বলবি কী অবস্থা । ঠিক আছে ?” উত্তরে, বাধ্য ছেলের মত মাথা নাড়ল বকুল । এবং তারপর ঠিক তিন মিনিটের মাথায় একমুখ হাসি নিয়ে উপস্থিত হল সৈকতের ঘরে ।
--- “দাদা , মাংস তো গলে পুরো মাখন । কিন্তু এটা হল কী করে !”
--- “বেশিক্ষণ ফ্রিজে রাখাতে মাংসের পেশিতন্তুগুলো শক্ত হয়ে গিয়েছিল । তাই সিদ্ধ হচ্ছিলনা । চায়ে যে ট্যানিন থাকে , সেটা তন্তুগুলোকে নরম করে দিল । ব্যস , কেল্লা ফতে !” সৈকতের মুখে তৃপ্তির স্মিত হাসি ।
--- “আপনি এত জানলেন কী করে দাদা ?” অবাক হয়ে প্রশ্ন করল বকুল ।
--- “স্কুলে পড়ার সময় তথ্যটা জেনেছিলাম । বিপাকে পড়ে বুদ্ধিটা কাজে লাগালাম । লাগলে তুক , না লাগলে তাক ! যদি আদৌ মাংসটা সিদ্ধ না হত , তাহলে আজ দুপুরে কী কেলোটা হত ভাবতে পারছিস ? চাপের মুখে থাকলে মাথাটা আপনিই খুলে যায় । ওসব কিছু না । কাজ করতে করতে তুইও শিখে যাবি ।“ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে আবার পরম নিশ্চিন্তে চোখ বুজলেন সৈকত ।
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/04/pub-9792609886530610_8.html


অণুগল্প pdf

গল্প কাকে বলে

অণুগল্পের ইতিহাস

অনুগল্প লেখার নিয়ম

২০ শব্দের অনুগল্প

অনুবাদ অনুগল্প

বনফুলের অণুগল্প

রহস্য অনুগল্প


১০০ শব্দের ছোট গল্প

অণুগল্প pdf

২০ শব্দের গল্প

অনুবাদ অনুগল্প

সামাজিক অনুগল্প

রোমান্টিক অনুগল্প

৫০ শব্দের গল্প

ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্য



অণুগল্প

অণুগল্প কাকে বলে 







কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...