মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০

সত্যজিৎ রায়ের ছিন্নমস্তার অভিশাপ ফেলুদা কাহিনি অবলম্বনে সৃজিত মুখোপাধ্যা...








ছিন্নমস্তার অভিশাপ,chhinomostar obhishap,novel by satyajit ray,ছিন্নমস্তার অভিশাপ movie,ছিন্নমস্তার অভিশাপ web series,ছিন্নমস্তার অভিশাপ মুভি,ছিন্নমস্তার অভিশাপ গল্প,ছিন্নমস্তার অভিশাপ সত্যজিৎ রায়,Satyajit Ray Indian film director,Srijit Mukherji Indian film director,review,chhinnomostar ovishap review







রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

রাজযোটক

 

            বেশ কিছুদিন হল একটা বাঙালি ঘটকালির ওয়েবসাইটে নাম লিখিয়েছে অমিতাভ । এখনও পর্যন্ত পাত্রী জোটেনি , তাই অমিতাভ ভেতরে ভেতরে একটু অস্থির হয়ে আছে , একটু রেগে আছে । তবে উপকারও হয়েছে কিছু । বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে গেছে । সমাজটা  যে অনেকটা পাল্টে গেছে সেটা বেশ বুঝতে পারছে অমিতাভ । যে বয়স পেরোলে চালসে ধরে , সে সেই বয়স পেরিয়ে এসেছে । তার স্কুল-কলেজের বান্ধবীরা একেকজন এখন পাক্কা গৃহিণী , টিনএজার ছেলেমেয়ের মা । কথায় বলে মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি । সেই ধারণাটা যে সামাজিক ভাবে একদম পাল্টে গেছে , সেটা বেশ বোঝা যায় এই সাইটে চোখ বোলালে । যাঁদের বয়স পঁয়ত্রিশের ওপরে এবং যাঁরা স্বাবলম্বী বা কিছু করেন না , তাঁদেরও যেন বিয়ে করার বিশেষ তাড়া নেই , পাত্রের বয়স চল্লিশের ওপর হলেও দিব্যি চলবে । বোঝা যায় পাত্রী এবং তাঁদের বাবা-মাদের চিন্তাধারা অনেক পাল্টেছে । পাত্রস্থ হওয়া বা করাতেই মোক্ষলাভ , এমনটা আর ভাবছেন না সকলে । অনেক পাত্রীই আবার নিজের চেয়ে বয়সে ছোট পাত্র চাইছেন , এটা অমিতাভের বিয়ে সম্পর্কে ধারণায় একটা বড়সড় ধাক্কা ! অনেক বাবা-মা আবার ঘরজামাই পাত্র চাইছেন , কিন্তু কেউ কী রাজি হবে ? নিশ্চয়ই হবে , এবং হচ্ছে আজকাল ! অমিতাভ ভেবেছিল তার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও পাত্রী আর বসে নেই , কিন্তু দেখল দিনকাল পাল্টেছে । অনেক দুই কুড়ি পাত্রী আছেন । তবে, বেশ ভাল লাগছে এটা দেখে যে গোত্র-রাশি-জাত নিয়ে অনেকেরই আর মাথাব্যথা নেই । এক ভদ্রমহিলার ছবি দেখেছে অমিতাভ যিনি পেশায় শিক্ষিকা । বাড়ি কলকাতায় , কর্মসূত্রে থাকেন বহরমপুরে । তিনি নিজের জন্য পাত্র চাইছেন এটা জানিয়ে যে তাঁর আগে কখনও বিয়ে হয়নি , কিন্তু তাঁর পুরনো সম্পর্কের চিহ্নস্বরূপ একটি তিন বছরের সন্তান আছে । অমিতাভ বুঝছে সমাজ মেনে নিতে , মানিয়ে নিতে শিখেছে অনেকখানি , নইলে ওই ভদ্রমহিলা প্রকাশ্যে এত কথা বলতে পারতেন না । অমিতাভ দেখেছে  অ্যাসিড আক্রান্ত পাত্রীরা নিজেদের ছবি দিতে দ্বিধা করছেন না । এমনকি পাত্রী হিসেবে ছবি আপলোড করেছেন সমকামীরাও । এগুলো পর্যবেক্ষণ করে ওর ভাল লেগেছে ।

               কিন্তু ভেতরে যে অদম্য পুরুষ সত্তাটি রয়েছে , সেটি ঘুণ পোকার কুরে কুরে খাওয়ার মত অমিতাভকে সমানে খেপিয়ে চলেছে । কারণটা আর কিছুই নয় , অমিতাভর প্রস্তাবকে অনেক পছন্দের পাত্রী বাতিল করেছে । কেউ ভদ্রতা বজায় রেখে , কেউ একেবারে মাছি তাড়াবার ভঙ্গীতে । এটা অমিতাভর একেবারে সহ্য হচ্ছে না । সত্যজিৎ রায়ের 'গুপী গায়েন বাঘা বায়েন' ছবির ক্লাইম্যাক্সে গুপীর বিয়ে পছন্দের রাজকন্যার সাথে ঠিক হয়ে যেতে দেখে , যেমনভাবে বাঘা ফুঁসে উঠেছিল এই বলে যে ---- "কেন , আমি কম কীসে ?" --- সেই প্রশ্নটা অমিতাভরও পাত্রীদের খোলাখুলি জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে খুব , কিন্তু পারেনা । গুপীর মত পত্রপাঠ কেউ জবাব দেয়নি বটে --- "এই অ্যাত্তোখানি !" --- কিন্তু অমিতাভর কেন যেন মনে হয় পাত্রীরা নীরবে সেই কথাটাই বলতে চায় , এবং এটাই ওর একেবারে অসহ্য লাগে । তাই অমিতাভ রাগের চোটে বিবাহোন্মুখ পাত্রীদের কিছু খামতি খুঁজে বের করেছে । যেমন এক , মদ্যপান করেন কিনা , সেই প্রশ্নের জবাবে অনেক পাত্রীই লিখেছেন --- "সোশ্যালি ইয়েস ।"  সোশ্যালি ইয়েস ! কোন সোসাইটির কথা বলতে চাইছেন ওঁরা ? মদ খেয়ে রাস্তায় আছড়ে পড়লে, যে সোসাইটি ফিরেও তাকাবে না , সেই সোসাইটি ? সোসাইটি ! মাই ফুট ! কিছুদিন আগে কাগজে একটা খবর পড়েছিল অমিতাভ এবং স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল । সম্ভবত খবরটা তাকে আমৃত্যু তাড়া করবে । কলকাতার রাজপথে একজন যুবক গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন , রাজধানী শহরে প্রতিদিনই অনেকে এভাবে প্রাণ হারান । ওসব কেউ ধর্তব্যের মধ্যে আনেনা । দুর্ঘটনার খবরটা অমিতাভর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল খবরের আসল অংশটা পড়ে । ভদ্রলোক শুধু গাড়িতে পিষ্ট হননি , তার প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার পর, একের পর এক গাড়ি অবলীলায় চলে গেছে তাঁর দেহাবশেষের ওপর দিয়ে , যেমন ছুঁচো, মেঠো ইঁদুর , কুকুর , বেড়ালের দেহের ওপর দিয়ে যায় । কেউ থামেনি । একসময় ওঁর শরীরের অবশেষ বলেও আর কিছু রাস্তায় পড়ে থাকেনি রক্ত ছাড়া । তবু এক মুহূর্তের জন্যও সদাব্যস্ত কলকাতা শহর ওঁকে চিঁড়েচ্যাপটা করে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি । মৃতের মায়ের আকুল প্রশ্ন ছিল --- "কেউ কি একবারও একটা আস্ত মানুষকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলেন না , একবারও ভাবলেন না , আগামীকাল তাঁরও ওই হাল হতে পারে ?" এই প্রশ্নের কী উত্তর দেবে সো কলড সোসাইটি , যেখানে কারও কারও মদ্যপান --- ইয়েস ! 


                   আরও একটা দিক অমিতাভকে ভাবিয়েছে । ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত , স্বাবলম্বী , সরকারি বা বেসরকারি মোটা মাইনের চাকুরে পাত্রীরা তো বটেই , এমনকি যারা উপার্জন করেন না তাঁরাও অনেকে চান পাত্রের আয় যেন ছয় লাখ থেকে শুরু হয় , তারপর যত ওঠা যায় , ততটাই উঠতে চান প্রায় সকলে । ছয় লাখ ! মানে, মাসে নগদে পঞ্চাশ হাজার ! পশ্চিমবঙ্গের ক'টা লোক রোজগার করে মামণি ? পয়সা কী গাছে ফলে ? নাকি, অনেক ছেলেরা যেমন তোমাদের শুধু সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র মনে করে , পাল্টা তোমরাও তেমনি ছেলেদের কলুর বলদ নয়ত টাকা উৎপাদনের যন্ত্র মনে করো ? সংসারে টাকা উৎপাদন আর ব্যয় ছাড়া তাদের আর কোনও জীবন নেই ? থাকতেও নেই ? টাকার ট্যাঁকে ছেলেরা পোরা , খুচরো ছেলে খরচ হয় ? 

                   অমিতাভ সঠিক পাত্রীর সন্ধানে আছে । আপনাদের জানাশোনা কেউ থাকলে জানাবেন , নইলে সে পাড়ার ল্যাম্পপোস্টে পাত্রীর জন্য বিজ্ঞাপন দেবে ! কী বললেন ? অবাস্তব ? আজ্ঞে না , এমনটাও দেখা যাচ্ছে অতিমারির বাজারে । একসময় আপনাদের সামনে সচিত্র প্রমাণ উপস্থিত করা যাবে 'খন ! 

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_65.html 



পাত্রী চাই সরাসরি 2021

হিন্দু পাত্র চাই সরাসরি

পাত্র পাত্রী চাই আনন্দবাজার






হিন্দু পাত্রী চাই 2020

পাত্র চাই বিজ্ঞাপন 2020

        

হঠাৎ বিয়ে ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক প্রেমের গল্প ১৮+

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

বিয়ের পর ভালোবাসার গল্প






রোমান্টিক গল্পের লিংক

খুনসুটি ভালবাসার গল্প

প্রতিশোধের বিয়ে

রোমান্টিক স্ট্যাটাস       


ভালোবাসার গল্প ২০২০

আবেগি ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প কাহিনী

খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প





ভালোবাসার গল্প 2020

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প ছবি

বিয়ের পর ভালোবাসার গল্প


আপনারা কী রাজযোটক!



INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY. 21ST FEBRUARY.

 In 1948, Urdu was declared the national language in present-day Bangladesh and then East Pakistan. The Bengali-speaking people there were outraged by this decision. Many politicians and common people gathered with the students of Dhaka University in a protest meeting. Four students of Dhaka University --- Salam, Barkat, Rafiq, and Jabbar were killed when police opened fire to quell the protest. The day was February 21, 1952.

      This tragic incident had a profound effect on the national life of then East Pakistan. As a result of intense protests and language movement, the government was forced to recognize Bengali as the official language in 1956. Kabir Sumon wrote the song titled 'Ekushey February' ----

                          The language for which salam-Barkat and friends gave blood

                          Fifty-two years of fighting, I was born

                          That language is my song, your drink, my promise;

                          I'm so excited about the language ...


                          Let the West be enlightened in that inauguration of the East

                          Ekushey February is my light, my eyes.


       The West has been enlightened, apparently. On 16 November 1999, UNESCO declared 21st February as International Mother Language Day, and every year since 2000, the day has been celebrated around the world as Mother Language Day. Rebel poet Kazi Nazrul Islam, the national poet of Bangladesh, is fast asleep on the premises of the traditional Dhaka University.

        According to a survey conducted by a website called 'Visual Capitalist' in 2020, Bangla is at number 7 in the list of the most spoken languages ​​in the world. The Bengalis of West Bengal celebrate this day every year. This wonderful sculpture bears that testimony. This language-martyr memorial has been erected on Jawaharlal Nehru Road in Kolkata under the supervision of renowned artist Yogen Chowdhury. The pin code of this place is also significant ----- Kolkata - (7000) 71.

                                                               -------------------------



paragraph international mother language day





international mother language day 2020



international mother language day theme 2020


international mother language day essay














why is international mother language day celebrated


international mother language day - wikipedia


international mother language day in bengali


write a report on international mother language day

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

কবিতাগুচ্ছ । বাংলা কবিতা সমূহ

 অতুলনীয়া 


সব গোলাপের পাপড়িতে তোমার নাম থাকবে 

আর সব কাঁটা তোমার ছোঁয়ায় ফুল হয়ে যাবে 

তোমাকে দেখলে ঘাতক ফুলকে আদর করবে

আর তোমার জন্য আগুন রঙে আকাশ আয়না হবে 

তোমাকে দেখলে মাঠ ভরা ধান আলতো হাওয়ায় নাচবে 

তুমি চাইলে মেঘ তোমায় বৃষ্টি দিয়ে যাবে 

তোমার জন্য ঝরনার ধারে পর্ণকুটীর হবে 

ঘুম পেলে , পাখিরা এসে ঘুম পাড়িয়ে যাবে 

তুমি গাছের ডালে দোলনা বেঁধে শুধু দোল খাবে 

আর মাটি তোমার কোমল পায়ে রঙ মাখিয়ে যাবে 

তোমার জন্য নতুন ভাবে কবিতা লেখা হবে 

তোমার তুলনা ? প্রিয়তমা তুমি অতুলনীয়া হবে । (29-06-1998)


স্বপ্ন 

 

জ্যোৎস্নায় ভিজছে আমার ক্লান্ত হৃদয় বালুচরে শুয়ে 

শহর থেকে অনেক দূরে , যেখানে সব কিছুই  অকৃত্রিম চারপাশে 

প্রকৃতি যেন দু'হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে , নিজেকে বিলিয়ে দিতে 

এখন , পাশেই বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীর কুল কুল শব্দ মিশে যাক 

তোমার মুক্তো ঝরানো হাসির স্মৃতিতে 

এই মুহূর্তে পালকের মত হালকা ভালবাসা ভেসে বেড়াক হাওয়ায় , থমকে থমকে 

আর তার মাঝে , ভিজে মাটির গন্ধে 

ঘুম আসুক আমার , তোমার কোলে । (১০ -০৭- ১৯৯৮)


স্তুতি


কৃষ্ণভামিনী মনমোহিনী চপল চরণে ধায় 

তারই সাথে অলি সুরভি কাকলি কুহূতান ভেসে যায় 

দোলে অঙ্গ বাজে মৃদঙ্গ নৃত্যের তালে ওঠে তরঙ্গ 

চমকিত হয় বহিরঙ্গ , রঙ্গিনী তুমি লভো আসঙ্গ ! (২৫-০৯-১৯৯৮)  


অসুখের দিন


ভালবাসি বেশি করে অসুখের দিনে 

মগজে ভর্তি বিকট স্বপ্ন , চেতনার ওপার থেকেও 

একটা হাত চেনা লাগে, অসুখের দিনে ।

চোখ খুললেই মিষ্টি হাসি 

গভীর ক্ষতে আরাম দেয় --- অসুখের দিনে 

চোখের কোণে পিঁচুটি , আর বিশ্রস্ত চূর্ণ চুলে ভরা আমাকে 

একজন ভালবাসতে পারে অসুখের দিনে 

শুকনো জিভ আর ফাটা ঠোঁটে তোমার অভাব 

বড় বেশি করে অনুভূত হয় , অ-সুখের দিনে ।(১৭-০২-২০০১)


অব্যক্ত


অনেকগুলো বছর চলে গেছে পিছনে 

ফুল থেকে যেভাবে পাপড়ি ঝরে পড়ে 

তুমি তো আসোনি

এই ফাঁকে আমি চিতার আগুনে সেঁকে নিয়েছি মন 

তপ্ত লৌহশলাকায় অন্ধ করেছি কামনার চোখ 

তারপর তোমায় হন্যে হয়ে খুঁজেছি জনারণ্যে ,

ভিড় ঠেলে সামনে তুমি তো আসোনি 

বৃষ্টিরাতের লাল আকাশে আমি দু'টো চোখ দেখেছি 

শান্তি আর আশ্রয় পেতে আমারই অজান্তে 

স্বপ্নভেজা ইচ্ছেরা সব ডুব দিয়েছে তাতে 

তবু তো এতগুলো বছর , তবু তো এতগুলো বসন্ত 

চিরঘুমের আগে তবু , তুমি কি আসবে না ? (০৭-১০-২০০১)


দুঃখ 


সব হাসি নিভে গেলে পরে 

মেঘেরা দুঃখের দেশে উৎসব করে । 


দহনবেলা


তাকিয়ে আছি অথচ চোখ দু'টো যেন বন্ধ 

আর মৃদুমন্দ হাওয়া , আর হাসনুহানার গন্ধ । 



পথিক


যতদূর চোখ যায় , হেঁটে যাব আমি তত দূর 

এ জীবনে আমার সাকিন দিকশূন্যপুর 

বাতাসে কান পেতে যারা পাখিদের শিস শোনে 

আমার আত্মীয়-বন্ধুরা সব ওখানে 

এলোমেলো ভেবে যাব , মন যেমন চায় 

ইটের পাঁজরেও তো চারাগাছ জন্মায় 

এইটুকু বুঝি শুধু পল-অণুপল 

শব্দ সাজানোটাই আজ শেষ সম্বল । (০২-০৬-২০১৬) 


মুক্তমনা 

কসাই ছুরিতে দিচ্ছে শান 

লেখক তুমি সাবধান ! 

এ দেশেও কোনও মুক্তমনা 

খ্যাপাদের হাতে ছাড় পাবেনা 

স্তব্ধ হবে অন্য স্বর 

খ্যাপামি অতি ভয়ঙ্কর 

আমরা ছিলাম , আমরা আছি 

তোমরা মরো , আমরা বাঁচি ।


উড়তা পঞ্জাব 

চাটুকার - হঠাৎ রাজা জ্যাঠামশাই আজ 

নিত্যনতুন খেল দেখাবেন গজেন্দ্র - পহ্লাজ 

কার গলাতে মুক্তোর মালা একদম বেমানান 

সেটুকুনি খবরও কি দিল্লিশ্বর পান ?


সংসারী 

আড্ডা থেকে পালাই পালাই , বাড়ির দিকে মন 

বন্ধুরা সব নিয়মমতো সংসারী এখন !


বর্ষা  

কালকের দিনটা আবার এমনি সাজিয়ে দিস 

গায়ে বৃষ্টি আর মাথায় , মেঘের উষ্ণীষ ।


প্রেম  


গজদন্ত আর চিবুক ভোরের স্বপ্নে আসে 

হৃদয় আমার অস্থির হতে বড্ড ভালবাসে !


সহাবস্থান

 

কালকে রাতে ঘুমের মাঝে হঠাৎ হাতে সুড়সুড়ি 

জেগেই দেখি , তেঁতুলে বিছের ইতস্তত ঘোরাঘুরি 

দু'জনে মিলে সন্ধি হল , আমিও থাকি - তুইও থাক 

আমার মাথা বালিশেতেই , ও বরং দূরেই যাক !


মাঝরাত 


মন আমার আনচান, চোখের পাতা তোমায় কামনা করে 

নিদ্রার সাথে দেখা হবে , আজকে স্বয়ম্বরে 

তার গল্পই একটু করে লিখি আমি রোজ 

গভীর স্বপ্নে শুধুই তার আলিঙ্গনের খোঁজ !


সম্প্রীতি 


ভালবাসা গুছিয়ে নাও, বেরাদরি বাড়াও আরও 

কাল থাকবে আদাব আর, ফেরত আসবে নমস্কারও 

মসজিদের পাশ দিয়ে, গড়িয়ে যাবে রথের চাকা 

রামের কপালে চন্দন আর, রহিমের চোখ সুর্মা আঁকা 

এমন কোনও শক্তি আছে, যে আমাদের করবে জবাই 

আমি আর কালাম যদি, পুজোর প্রসাদ ভাগ করে খাই ?

আসলে সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই একসাথে 

কবেই জানি তফাৎ নেই , দোয়া আর প্রার্থনাতে ।


ফেসবুক


চারিদিকে এত হইচই 

এত্তো লেখা, পাঠক কই ? 

এক বন্ধু বলল এসে 

পড়েই যাব ভালবেসে ।


অ্যাক্রস্টিক 


রাত জমেছে অনেকটাই 

ড়তে চাইছি বলেই নদী 

তীরে তোমার এসে দাঁড়াই । 


জলছবি 


মেঘের পরে বৃষ্টি আসে, বৃষ্টির পরে মেঘ 

শীতল জলেতে উপশমে কত, তপ্ত ক্ষত - আবেগ 

জানলার কাচে বারি বিন্দুতে পৃথিবী আবছা হয় 

ভেজা ভেজা পথ, আলো ঠিকরে, আজ বড় মায়াময় ।


ভূমিকম্প 


ধরণী কি হবেই দ্বিধা 

স্থির থাকতে অসুবিধা ?

সব আবার উঠল দুলে 

যেমন শিশু , মায়ের কোলে 

এবার নাকি মায়ানমার 

কলকাতাও পায়নি ছাড় !


নার্সিসাস 


আমাকে দেখুন - আমাকে দেখুন দশ দিকে কলরব 

নিজস্বীতে মজে আছি সদা, তাবড় বীরপুঙ্গব 

প্রতিবিম্বতে ডুবে থাকা অতি, ক্ষতিকর কিছু নয় 

যদি না থাকে কেবলই নিজেকে হারিয়ে ফেলার ভয় । 


অমৃত 


দাবদাহে তপ্ত দিনে, বারিবিন্দু মম 

নেমে এসো ওষ্ঠে আজ, স্বেদ-বিন্দুসম 

এ জীবন মন্থনে যে , বিষ তৈরি হয় , 

সেই সব ক্লেদ ধুয়ে ফেলে দিতে জল বড় নির্দয় । 


হোলি 


পলাশ ফুল, আবীর আর তোমায় ভালবেসে 

মানসভ্রমণে যাব কাল, জলপরীর দেশে 

কালকে আবার আগুন রঙে আকাশ আয়না হবে 

কথায়-সুরে- প্রগলভতায় বসন্তোৎসবে 

স্বেদবিন্দু মুছিয়ে দেওয়া আলতো হাওয়ার রেশ 

মেখে নিয়ে পরস্পরে তাকাবো নির্নিমেষ 

তিস্তা নদীর তীরে যদি রাত বেড়ে যায় 

একসাথে বসে জ্যোৎস্না মাখব দোলপূর্ণিমায় । 


কাজী নজরুল ইসলাম


কালোত্তীর্ণ কবেই তাঁর 

জীবনযাপন লেখার ধার 

ত নয় , উচ্চ শির 

ন্ম দিলেন বিদ্রোহীর 

রুদ্ররূপেও ছন্দোবদ্ধ 

ক্ষ্যে , সুর --- সম্প্রীতির 

ঙ্গিত নয় , যেন চাবুক 

পাটে শব্দ দোলায় বুক 

লালচে হওয়া পুবের কোণের 

ন্ত্রে বলে , আশা থাকুক । 

( এই ধরণের কবিতাকে অ্যাক্রস্টিক বলে । এটি এক ধরণের ছন্দোবদ্ধ ধাঁধা । এই প্রকারের কবিতায় প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষরগুলি পরপর যোগ করলে , একটা নাম বা অর্থ তৈরি হয় । এক্ষেত্রে , যেমন বিদ্রোহী কবির নামটি ফুটে উঠেছে । ইংরেজিতে লুই ক্যারল এই ধরণের কবিতা লেখার জন্য প্রসিদ্ধ । বাংলায় কবিতার এই ধারাটিতে মাইলফলক তৈরি করে গেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত । )


সে  


মন যদি দেয় সায় 

বেহিসেবী হওয়াই যায় 

যেমন নদী স্রোতস্বিনী 

তেমন যদি কারেও চিনি । 


শুভরাত্রি  


এখন ঘুমাব আমি, ছাদের দিকে চোখ 

স্বপ্নেরা সব লাইন ধরে, ভোরের দিকে চলে 

এবার মগজ ঘিরে, রাতপাহারা হোক 

নতুন দিন ডাকছে আমায় , আসি তাহলে ?


এ দাবদাহে  


পুষ্ট দেহ, হৃষ্ট চিত্ত 

নব্য বঙ্গ মধ্যবিত্ত 

লোডশেডিঙয়ের জ্বালায় নিত্য 

উত্তেজনায় ঝরান পিত্ত ।


যার পকেট যত স্থূল 

ততগুলি ঘর বাতানুকূল 

প্রতি পরিবারে না বলা রুল 

গিন্নি যেন থাকেন কুল ! 


বাসে-ট্রেনে-পথে অফিসে হায় 

তেতে ওঠা মন বিষ ওগরায় 

জল-শরবতে শান্তি চায় 

ক্লান্ত দেহ, ভিজে গায়ে ।


দিনগত পাপক্ষয় 

যাঁরা ভাবেন , ঠিক নয় 

বাড়ি ফিরে যারা মেঝেতে শুই 

তাদের গল্প এইটুকুই । 


পুজো


শিউলি ফুলের গন্ধ আর কাশের দোলা দেখে 

হাতের কাছে এসেই গেল, খুশির আতর মেখে 

বাজার বড় ব্যস্ত এখন, ঢাকের ভীষণ দর 

মনের সাথে মনের যোগের সেরা অবসর ।


চতুরঙ্গ 


আসলে খেলে ছক , আমরা ক্রীড়নক 

চৌষট্টি খোপ , প্রতিটাই টোপ । 


মহাভারত২০২১


ধর্মরূপী বক ঃ কোনটি ভদ্রজনোচিত কাজ ?

যুধিষ্ঠির ঃ আজ্ঞে , sabotage ! 



দোল 


নিয়ম থেকে ছুটি নিয়ে রঙে আর রঙ্গে 

আজ বঙ্গজনে নাম লেখালেন ছদ্মরূপী সঙ্ঘে !

হেথায়-সেথায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছো বন্ধু যত 

মিষ্টান্নেই ভরিয়ে নিও , মনের জ্বালা , ক্ষত । 



এলোমেলো 


বাউল বাতাস হয়ে যদি আছড়ে পড়ি বুকে 

শুকনো পাতার শব্দ হোয়ও , চঞ্চলতার সুখে 

তোমায় পেয়ে শান্তি পেত তৃষ্ণার্ত নদী 

ভিজে বালির ওপর রাঙা পা রাখতে যদি । 



নামহীন 


সারা রাত বৃষ্টি ভেজা, সদ্য ফোটা ফুল 

হাতটি ধরে ভাললাগা , শেখায় নির্ভুল ।

(২)

যদিও আমি অঙ্কে কাঁচা

কিন্তু বুঝি সরলরেখা , এবং বুঝি এটাই বাঁচা । 

(৩)

রাত্রি অনেক গভীর হয়ে এলে

একা আঁধারে নিশির ডাক শুনি 

আধেক জীবন সদ্য গিয়েছে চলে 

বাকি আধখানা শুরু হবে এক্ষুণি । 

(৪)

আমার যখন রাগ হয় খুব , মনে হয় কিছু করি 

একলা আমি , একলা বসে , একলা কলম ধরি ।


বিরুষ্কা১১-০১-২০২১


দুই থেকে তিন 

বিরাটের দিন 

এবারে অসি বধ

ঠেকানো কঠিন !

( প্রসঙ্গ : অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য ও জঘন্য স্লেজিং-এর শিকার ভারতীয় ক্রিকেট টিম । প্রতিবাদে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রাখেন তাঁরা । দুর্দান্ত খেলোয়াড়ি মনোভাব দেখিয়ে টিম ইন্ডিয়ার পাশে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক । স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা অন্তঃসত্ত্বা থাকায় টিমের সঙ্গে যাননি বিরাট কোহলি । এদিন তাঁদের একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে । আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দলের সাথে যোগ দেবেন বিরাট । সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ১১-০১-২০২১)


শীত ২০২১


শীত মানে প্রকৃতি শিশির-স্নাতা 

ডাল থেকে ঝোল , সব পদে ধনেপাতা ।


চিঠি

অনেক দূরে সরে এসেছি আমি
হারিয়ে গিয়েছি তোর জীবন থেকে
দিনগুলো থমকে থাকেনা কারও
না পাওয়ার যত কষ্ট মনে রেখে
তবু তোর কথা বড্ড পড়ছে মনে
সেই হেঁটে আসা , সেই করলা নদী
যেখানে থাক, একটু রাখিস মনে

হঠাৎ ডুকরে কান্না আসে যদি ।


পয়লা বৈশাখ

যাদের সাথে আড়ি হয়েছে , যারা হয়েছে পর
তাদের কাছে আনুক এই নতুন বছর
যারা ভাল আছো , আর যারা থাকতে চাও
অপরকে চেনো , আর বন্ধুতা বাড়াও ।



গ্রীষ্ম


সারাটা দিন কাঠফাটা রোদ তেতে ওঠা প্রতিক্ষণ
সন্ধেবেলা গঙ্গা-হাওয়ায় খানিক জুড়ায় মন
চাতক পাখির মত এখন আকাশ পানে চাই
এক পশলা বৃষ্টি হলে , যেন বর্তে যাই ।

আকাঙ্ক্ষা

শান্ত ছাদের নির্জনতায় তোমায় ঈশাণ কোণে
বৃষ্টির মত পেতে চাইছি , আমার তপ্ত মনে ।


পুজো
একটু খুশি কিছুতেই না হাত ফস্কে যায়
এমনভাবে দু'হাত ভরে আলো মাখছি গায়ে
মনের সাথে মনের যোগের এমন অবসর
আসবে আবার ঘুরলে বছর , অনেকদিন পর ।

তোর কথা

অনেক দূরে সরে এসেছি আমি
হারিয়ে গিয়েছি তোর জীবন থেকে
দিনগুলো থমকে থাকেনা কারও
না পাওয়ার যত কষ্ট মনে রেখে ।

তবু তোর কথা বড্ড পড়ছে মনে
সেই হেঁটে আসা , সেই করলা নদী
যেখানেই থাক , একটু রাখিস মনে
হঠাৎ ডুকরে কান্না আসে যদি ।


জলপরী

আমাদের দেখি এই মহানগরের পথেঘাটে
ওরা যখন একে অপরের আঙুল জড়িয়ে হাঁটে
সবাই আসলে আমাদেরই প্রতিবিম্ব শুধু
এ ফুল থেকে ও ফুল ঘুরে , ঠোঁটে মাখে মধু
চোখে চোখে নীরবে যে বার্তা বিনিময়
তাতে আসলে বারে বারে আমাদের কথা হয়
দিগন্তে ওই বিভাবসু এইতো দিল ডুব
জলপরী তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুউব ।

শান্ত ছাদের নির্জনতায় তোমায় ঈশাণ কোণে
বৃষ্টির মত পেতে চাইছি আমার তপ্ত মনে ।

শান্ত ছাদের নির্জনতায় তোমায় ঈশাণ কোণে
বৃষ্টির মত পেতে চাইছি আমার তপ্ত মনে ।
শান্ত ছাদের নির্জনতায় তোমায় ঈশাণ কোণে
বৃষ্টির মত পেতে চাইছি আমার তপ্ত মনে ।


জীবন

রাত্রি অনেক গভীর হয়ে এলে
একলা আঁধারে নিশির ডাক শুনি
আধেক জীবন সদ্য গিয়েছে চলে
বাকিটুকু আজ শুরু হবে এক্ষুনি ।



                                                             পাঞ্জা   

                       

প্রতিটি সকাল- দুপুরবেলায় ,
প্রতিটি সন্ধ্যা- রাতে

জীবন ডাকে , লড়ে নিবি আয়
পাঞ্জা আমার সাথে ।








https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/12/pub-9792609886530610_26.html


বাংলা কবিতা রোমান্টিক

 বাংলা কবিতা ক্যাপশন

বাংলা কবিতা সমূহ


বাংলা কবিতা প্রেমের


কবিতা বাংলা


প্রেমের কবিতা


ভালোবাসার কবিতা



ভালবাসা কবিতা

বাংলা শর্ট কবিতা

বাংলার কবিতা

বিখ্যাত কবিতা

নতুন কবিতা

কবিতা সমগ্র

প্রেমের কবিতা

  







কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...