শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

ইন্দ্রিয়জ

 ইন্দ্রিয়জ


'অন্ধাধুন' দেখছিলাম । যাঁদের পঞ্চেন্দ্রিয়ের মধ্যে যে কোনও একটি ইন্দ্রিয়ের প্রতিবন্ধকতা থাকে , তাঁদের সাধারণত অন্য একটি ইন্দ্রিয় ভীষণ প্রখর হয় । এ ব্যাপারে আমার ছোট পিসির কথা বলতে হয় । ছানি পড়ে একটা সময়ে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন । অপারেশনে ভীতি ছিল । ফলে বেশ কয়েক বছর পুরোপুরি অন্ধ অবস্থায় কাটান । পরে বাবা কাগজ দেখে রাসল স্ট্রিটে ডাঃ পাহাওয়ার সন্ধান পান । উনি কলকাতায় প্রথম লেজার( একটু বিদ্যে ফলাই । পুরো কথাটা হল --- Light Amplification by the Stimulated Emission of Radiation) রশ্মি দিয়ে ছানি অপারেশনের প্রযুক্তি এনেছিলেন । আমার ভাই পরম ধৈর্য সহকারে বুয়া , মানে আমার ছোট পিসিকে বুঝিয়ে অপারেশনে রাজি করায় । কলকাতায় বুয়ার অপারেশন হয় আশির দশকের শেষ লগ্নে । তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ছোট পিসি চশমা ছাড়াই ভাল দেখতে পান ।

এটা আসল গল্প নয় । গল্প ওই ইন্দ্রিয় নিয়ে । অন্ধ অবস্থায় থেকেও পিসি বাড়িতে মাছ কাটার দায়িত্বটা যেচে নিজের ঘাড়ে নিয়েছিলেন । বাবা বাজারে যাওয়ার সময় বলে দিতেন কই মাছ আনলে, না কাটিয়ে আনতে । কোনও আপত্তি খাটত না । এখন বুঝি বুয়া চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালোবাসতেন । আর জলপাইগুড়ির কই মাছের সুখ্যাতি তো স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করে গেছেন --- "আনবে কটকি জুতো , মটকিতে ঘি এনো / জলপাইগুড়ি থেকে এনো কই জিয়নো !" যাঁরা কই মাছ কাটেন , তাঁরা যানেন কই মাছের কাঁটা সাংঘাতিক জিনিস , জ্যান্ত কই মাছ কাটা খুব কঠিন কাজ । খুব সতর্কতার সাথে কাজটা করতে হয় । আমার ছোট পিসি কিন্তু আমাদের চোখের সামনে জ্যান্ত কই মাছের প্রাণ কেড়েছেন দিনের পর দিন । মাছ কাটার আগে মা পাশে একটু সংগ্রহ করে আনা কোলবলের ছাই আর নুন দিতেন । নুনটা মাছের ওপর ছড়িয়ে , আর ছাইটা হাতে মেখে শুরু হত বুয়ার মাছ কাটা । হাতের কৌশলে অদ্ভুত কায়দায় মাছকে কাবু করতেন , ব্যাপারটা বলে বোঝানো অসম্ভব । আজকালকার ঘটনা হলে , এত শব্দ খরচ না করে , ফেসবুক বা ইউটিউব লাইভ করতাম ! ভাল কথা , বুয়া কিন্তু সে সময়ে সন্ধেবেলা সেতারও বাজাতেন ।


wikipedia





মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

বিষকন্যা

             করোনা ভাইরাস এসে যৌনকর্মীদের ভাতে মেরেছে । আদিম রিপুর দংশনের চেয়েও মানুষের প্রাণের মায়া বেশি । আরও অনেকের মত দিনবাজারের মানসীর লোকের দয়ায় পেট ভরছে । সরকারের থেকেও রেশন মিলছে , কিন্তু সংসারে নগদ টাকার চাহিদা কী এসবে মেটে ? সংসার ! হাসি পায় মানসীর । সংসারের করার স্বপ্নে বিভোর হয়েই মালবাজারের বাড়ি থেকে বিপ্লবের সাথে পালিয়েছিল সে । দু'দিন ফুর্তির পরে বিপ্লব তাকে অন্য লোকের হাতে বেচে দিয়েছে । প্রথমটায় বিপ্লবের এই আচমকা পরিবর্তন বিশ্বাসই করতে পারেনি সে । যতদিনে বিশ্বাস হল , ততদিনে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়ে এই পাড়ায় ঠাঁই পেয়েছে । 

               খিদে বড় বালাই , দেড় বছর ধরে লকডাউনের ধাক্কা মানসীর জীবনেও ভালভাবেই এসে লেগেছে । এমন একটা দুনিয়ায় তাকে ছুঁড়ে ফেলেছে সমাজ, যে বিকল্প জীবিকা খোঁজার পথটাও খুব কঠিন । ইদানীং খদ্দের আসছে , তবে হাতে গোনা । মানসী তাই এই পরিস্থিতির ওপর , সমাজ-সংসারের ওপর বেজায় খাপ্পা । তার মনে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে ওঠে । ইচ্ছা করে গোটা পুরুষ জাতটাকে উচিত শিক্ষা দিতে । বছর কুড়ি আগে , স্কুলে পড়তে কাগজে একটা নষ্ট মেয়ের কথা পড়েছিল মানসী । ঘটনাটা অভিনব । মেয়েটি এইচ আই ভি পজিটিভ ছিল । কন্ডোম ছাড়া একাধিক যৌন সংসর্গে যে এইডস , সিফিলিস , গনোরিয়ার মত অসুখ অনিবার্য, মানসী সেটা জানত । ভাগ্যের কী নিষ্ঠুর পরিহাস , জীবন বিজ্ঞানে মাধ্যমিকে লেটার মার্কস ছিল তার । আজ লোকে সে কথা শুনলে হাসবে । তো, সেই মেয়েটা একটা অদ্ভুত খেলা খেলেছিল সমাজের সাথে । যে সমাজ , যে পুরুষ তাকে এই মারণ ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছে , তাঁদের সঙ্গে সঙ্গমের সময় সে নিজের অসুখের কথা বেমালুম লুকিয়ে ফেলত । সেই সময়েও কন্ডোম নিয়ে এত সচেতন ছিলনা মানুষ । ফলে ওই একজন মেয়ের থেকেই বহু পুরুষ এইচ আই ভি - তে আক্রান্ত হয় । ব্যাপারটা এত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল যে পুলিশি তদন্ত শুরু হয় । দেখা যায় আক্রান্তদের সকলের যৌনপল্লীতে যাতায়াত ছিল । তদন্ত আরও এগোতে দেখা যায় , আক্রান্তরা সবাই কোনও না কোনও সময়ে ওই মেয়েটির কাছে গিয়েছে । শেষে মেয়েটিকে জেরা করে গোটা ঘটনাটা জানা যায় । 

             যদি বিপ্লবকে হাতের কাছে পাওয়া যেত , ভাবে মানসী , আর নিষ্ফল আক্রোশে ফুঁসতে থাকে । লাইনের অন্য মেয়েরা খেয়াল করেনা ,  মানসীর চোয়াল ক্রমশ শক্ত হচ্ছে । 




www.httpssankhamanigoswami.xyz


Flash fiction

Literary genre

https://g.co/kgs/2YSzsF

বিষকন্যা পুলিশ ফাইল

বিষকন্যা

বিষকন্যা কি

বিষকন্যা দাও



     










বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১

রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় । ek chhoti si love story.





raj chakraborty,raj chakraborty first wife,raj chakraborty movie,raj chakraborty baby,raj chakraborty song,raj chakraborty lifestyle,raj chakraborty tmc,raj chakraborty interview,raj chakraborty house,raj chakraborty halisahar house,raj chakraborty new movie,raj chakraborty wedding video,raj chakraborty family,raj chakraborty entertainment,subhashree ganguly,subhashree ganguly baby,subhashree ganguly wedding,subhashree ganguly marriage

বসন্ত এসে গেছে লগ্নজিতা চক্রবর্তী। বসন্ত এসে গেছে অনুপম রায় ।








বসন্ত এসে গেছে লগ্নজিতা,বসন্ত এসে গেছে অনুপম রায়,অনুপম রায়ের গান বসন্ত এসে গেছে,লগ্নজিতা চক্রবর্তী বসন্ত এসে গেছে,বসন্ত এসে গেছে গান,বসন্ত এসে গেছে lyrics,বসন্ত এসে গেছে song,বসন্ত এসে গেছে সং,বসন্ত এসে গেছে বাংলা গান,bosonto ese geche lagnajita,bosonto ese geche anupam roy,bosonto ese geche,bosonto ese geche song,bosonto ese geche lyrics,bosonto ese geche karaoke

সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে । সুচিত্রা মিত্র । দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায...




আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে,আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে lyrics,আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে লিরিক্স,আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে হারমোনিয়াম,আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে karaoke,দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না লিরিক্স,দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না,দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়,Suchitra Mitra Indian singer,https://g.co/kgs/8Dxe6F,Dwijen Mukhopadhyay Indian composer,https://g.co/kgs/yUnkBR

সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১

বিভীষিকা

            অনিরুদ্ধ , মানে আমাদের অনির বাবা ডব্লিউ বি সি এস অফিসার ছিলেন , মা স্কুল শিক্ষিকা । অনিও লেখাপড়ায় ভালই ছিল , কিন্তু বেশ কয়েকবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পায়নি । অনির ছোট থেকেই ছবি তোলার হাত ভাল , তাই ওর মা ওকে একটা ডি এস এল আর ক্যামেরা কিনে দিয়েছেন । অনি কিছুকাল শখে ছবি তোলার পর ঠিক করে নিয়েছে ও কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করবে । পরিচিত মহলে বলা আছে , বিয়েবাড়ি , কোম্পানির মিটিং , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য অনি এখন নিয়মিত ডাক পায় ।

          একজন পরিচিতের মাধ্যমেই প্রস্তাবটা এল । শব ব্যবচ্ছেদের , গোদা বাংলায় বললে ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে । মোটা টাকা পাওয়া যাবে । একটা খুনের কেসে কোর্ট ময়না তদন্তের ভিডিও কোর্টে পেশ করতে বলেছে । তাই ফরেন্সিক তদন্তের খুঁটিনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ক্যামেরায় ধরে রাখতে হবে । অনি ভাবল, এ আর কী এমন শক্ত কাজ , পরিশ্রম কম , পারিশ্রমিক বেশি । যেটা অনি ভাবল না , সেটা হল পারিশ্রমিকটা কেন বেশি । তো, একদিন সকালবেলা অনির ডাক পড়ল মর্গে । ট্রাইপড মানে স্ট্যান্ড আর ক্যামেরা নিয়ে যথাসময়ে অনি হাজির । উদ্দেশ্য সব সেট করে , ক্যামেরা চালু করে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকবে । কিন্তু কাটাছেঁড়া শুরু হওয়ার পর বুঝল , কাজটা এতটা সহজ হবে না । দু’মিনিট পরপর নির্দেশ আসছে ফোকাস পরিবর্তন করবার , জুম ইন করবার , এমনকি একেবারে কাছে এসে ছবি তোলার । কিছুক্ষণ এভাবে কাজ চলার পরেই অনির মুখে যেন অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে এল । কিন্তু পুলিশ কেস , ও সব জেনেবুঝেই কাজটা নিয়েছে । শেষ করতেই হবে , পালাবার উপায় নেই । এইজন্যই বোধহয় ডোম-সহ উপস্থিত সকলে আকণ্ঠ মদ খেয়ে আছে , মনে হল অনির । সেদিন মুখে রুমাল বেঁধে , বমি চাপতে চাপতে কোনওমতে কাজটা শেষ করে , অনি টলতে টলতে বাড়ি ফিরে এসেছিল । দু’দিন খেতে পারেনি , রাতে দুঃস্বপ্নে বারবার ঘুম ভেঙে গেছে । এক সপ্তাহ বাদে কোনওমতে নিজেকে সামলে , নাকে খত দিয়ে অনি প্রতিজ্ঞা করেছে , আর কোনওদিন ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করবে না । 

flash fiction


অণুগল্প

অণুগল্প কাকে বলে 




মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

পচা

কলকাতায় ইকো পার্কে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কার কেমন জানিনা , তবে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ । বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পার্কটিতে একবার ঢোকা মানে প্রতি পদে পদে অনর্থক টাকার অপচয় । অন্তত আমার তা-ই মনে হয়েছে । তিন বছর আগে শেষবার গিয়েছিলাম । একটা রেস্তরাঁয় মোমো খেতে ঢুকলাম । ভিতরের পুরটা পুরো পচা । মালিককে বলাতে বলল , এটাই তো সবাই খাচ্ছে । কী করে খাচ্ছিল যে সবাই, কে জানে ! অগত্যা দাম মিটিয়ে বেরিয়ে এলাম । ভেবেছিলাম গাইবো --- মোমো , আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা , তুমি আমারই , তুমি আমারই --- নাহ , সে যাত্রা তা আর হলনা ! মনে মনে শুধু বললাম , জলপাইগুড়ির ছেলেকে তুমি মোমো চেনাচ্ছো বাওয়া !


না , শুধু ইকো পার্ক নয় , ফুচকার জলও অনেক সময় পচা থাকে , গেঁজিয়ে ওঠে । তবে সেটা ধরার জন্য অভিজ্ঞ ফুচকাখোর হতে হয় !২০০৫ সালে একবার এরকম পচা খাবার জিনিস গলার জোরে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা এক দোকান মালিককে উচিত শিক্ষা দিতে দেখেছিলাম দুই বন্ধুকে । আমি সেদ্ধ ছোলা মাখা খাচ্ছি পাশে দাঁড়িয়ে , দেখলাম ওরা পিৎজা অর্ডার করল । তারপর মুখে দিয়েই --- ওয়াক ! পচা , সঙ্গে ভেতরে পোকা । ওদের দাবি পয়সা ফেরত চাই । ন্যায্য দাবী । এদিকে দোকান মালিক কিছুতেই মানবে না , ওগুলো নষ্ট হয়ে গেছে । তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি দুই পক্ষের মধ্যে । সবার সাথে আমিও রগড় দেখছি , আর তারিয়ে তারিয়ে ছোলা চিবোচ্ছি । হঠাৎ দেখলাম , এক বন্ধু আচমকা খুব শান্ত হয়ে গেল । প্রমাদ গুনলাম । একটু এগিয়ে গিয়ে দেখলাম মালিক পরমানন্দে নিজের দোকানের জয়গান গাইতে গাইতে পিৎজার ট্রে-টা বার করেছে । কারণ ওই শান্ত হয়ে যাওয়া ছেলেটি বাকি পিৎজাগুলোও নেবে বলেছে । মালিক ওগুলো বাক্সবন্দী করার জন্য পিছনে ফিরতেই , দেখি ছেলেটা বিলকুল ফুচকার আলুসেদ্ধ মাখার মত পিৎজাগুলো চটকাচ্ছে । মালিক রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে ছেলেটার কলার ধরতেই , ছেলেটা কেটে কেটে বলল --- আর একটাও শব্দ করলে রেল পুলিশ ডাকবো , স্টেশন মাস্টারকে খবর দেব , আর মিডিয়াকে জানিয়ে দেবো । ছেলেটার ওই রূপ দেখে ওই কনফেকশনারির মালিক আর কথা বাড়াননি সেদিন । ওহ , বলতে ভুলেই গেছি দোকানটা ছিল শিয়ালদার এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের শৌচাগারের পাশে ।

www.httpssankhamanigoswami.xyz



পচা খাবার

পচা খাবার english


পচা অর্থ কি


পচা অর্থ


পচা আলু

পচা ডিমের গন্ধ

পচা কলা




সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

It is raining cats and dogs.




"It is raining cats and dogs.","Raining cats and dogs",https://g.co/kgs/E2MFse,"it is raining cats and dogs which type of sentence","it is raining cats and dogs meaning in hindi","raining cats and dogs meaning idiom","its raining cats and dogs meaning in hindi","its raining cats and dogs meaning in urdu","raining cats and dogs metaphor","raining cats and dogs synonym","raining cats and dogs idiom meaning in hindi"

শনিবার, ৫ জুন, ২০২১

কাঁকড়া

 কাঁকড়া

অভিজ্ঞতাটা এক সাংবাদিক বন্ধুর কাছ থেকে শোনা । বিভাগীয় প্রধান দুপুরের দিকে একটা লেখার দায়িত্ব দিয়েছেন , পরদিন সকালে অফিসে ঢুকেই লেখা জমা দিতে হবে । বন্ধুটি খুব খেটেখুটে লেখাটা ওয়ার্ড ফাইলে, ডি ড্রাইভে সেভ করে সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ অফিস ছাড়ল । কাগজের অফিসে এরপর নাইট শিফটের সাংবাদিকরা ঢুকবেন । প্রত্যেকের কম্পিউটার আলাদা । প্রত্যেকের পাসওয়ার্ড আলাদা , সে ছাড়া অন্য কেউ কম্পিউটার চালাতেই পারবেনা । পরদিন অফিসে বন্ধুটি ঢোকার পর বস লেখাটা ওনার কম্পিউটারে পাঠিয়ে দিতে বললেন । পা দোলাতে দোলাতে বন্ধুটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারটি খোলার পরেই হাঁ , লেখাটা নেই । নেই মানে একেবারে নেই , ভ্যানিশ ! এদিকে লেখাটার কোনও কপিও করা নেই । হতভম্ব হয়ে বন্ধুটি টলতে টলতে গিয়ে বসকে গোটা ঘটনাটা বলল । এবং ভয়ঙ্কর ঝাড় , থুড়ি বকুনি খেল । তার কারণও আছে । লেখাটা রবিবারের ক্রোড়পত্রে যাবে , সেই লেখা এবং পেজ লে আউট তৈরি করে জমা দিতে হয় বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে । এবং ঘটনাচক্রে সেই দিনটাও ছিল বৃহস্পতিবার । যে বস সহজে রাগেন না , তিনি কঠোর গলায় বললেন , আজ লেখা জমা দিয়ে অফিস ছাড়বে । কথাটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতন । কারণ লেখাটা জমা দিতে হবে , সেদিনের রুটিন কাজগুলো করার সাথে সাথে । যাদের অভিজ্ঞতা আছে , তাঁরা বুঝবেন কাজটা কী অসম্ভব চাপের । যাইহোক , বন্ধুটি সেদিন আবার যারপরনাই পরিশ্রম করে আবার লেখাটা তৈরি করল , এবং অপেক্ষমাণ বসকে লেখাটা জমা দিল । তারপর দু'টো প্রতিজ্ঞা করল , এরপর থেকে পেন ড্রাইভে প্রতিটি লেখার কপি রাখবে , আর দুই এই কাগজের অফিসের চাকরিটা ছাড়বে । তারপর কোথা থেকে কী হইয়া গেল , বন্ধুটির আর চাকরিটা ছাড়া হয়ে উঠল না । তার হারিয়ে যাওয়া লেখাটা কোন মন্দার বোস ভ্যানিশ করল তাও জানল না । শুধু বসের সমবয়স্ক এক কলমচির কোনও লেখা পরবর্তী তিন বছর ওই কাগজে দেখা যায়নি । লেখা মানে সিগনেচারড কলাম , যাতে লেখকের নাম থাকে । বন্ধুটির সন্দেহ হওয়ায় বছর দুয়েক পর সে খোঁজ নিয়ে জেনেছিল , ওই শাস্তিপ্রাপ্ত কলমচি লেখাটা হারানোর সন্ধেয় নাইট শিফটে ছিলেন !

flash story


বুধবার, ২ জুন, ২০২১

চলার পথে জীবন রথে । দিনলিপি

 চলার পথে জীবন রথে


(১)
জীবনে কতরকম কাজই না করলাম ! প্রেমিক এবং আমার বন্ধু তখন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে , দমদমে মেসে থাকে । মেসের মালিক সম্ভবত মেয়েদের ফোন পেলে চটে যেতেন । তাই , প্রেমিকা অর্থাৎ আমার বান্ধবী এস টি ডি(সঠিক অর্থে) বুথে আমাকে নিয়ে যেত । আমার কাজ ছিল ফোন করে বন্ধুটিকে ডেকে দিতে বলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা । কেউ আমাকে কোনওদিন দূরে গিয়ে দাঁড়াতে বলেনি , কিন্তু কাবাব মে হাড্ডি কে-ই বা হতে চায় । সেই বুথ আর নেই , সেই প্রেমও আর নেই । দু'জনেই আমার বন্ধু তালিকায় আছে কিন্তু ওদের সংসার আলাদা ।
(২)
গ্রীষ্মকাল । তিস্তার স্পারে হাওয়া খেতে গেছি । মানে "হাওয়া" খেতে গেছি । তো দেখি গোটা স্পারে আমি আর একটা আড়াআড়িভাবে রাখা ভেস্পা স্কুটার ছাড়া আর কেউ নেই স্পারের মাথায় । একটু এগিয়ে দেখলাম স্কুটারের আড়ালে আমারই এক বন্ধু ও বান্ধবী । মনের দুঃখে ধীরে ধীরে ধুমোদ্গীরণ করছি চেষ্টা করে অন্যদিকে তাকিয়ে , এমন সময়ে বন্ধুটি হঠাৎ প্যান্ট ঝাড়তে ঝাড়তে উঠে আমাকে দেখে খুব আশ্চর্য হওয়ার চেষ্টা করে বলল --- ও , তুই ! আমি বললাম -- আজ ঠেকে আর যাবিনা , তাই তো ?
(৩)
ভাই তখন প্যাঙ্ক্রিয়াটাইটিস হয়ে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে , অবস্থা সংকটজনক , চোখে অন্ধকার দেখছি । কিছু কাজ সেরে রাতে আবার শিলিগুড়ি ফিরে যাব । এমন সময় ল্যান্ড ফোনটা বেজে উঠল । ব্যস্ত ছিলাম , দু'বার বেজে গেল । তৃতীয়বার রিসিভার তুলতেই এক লাস্যময়ীর গলা শোনা গেল --- আপনি এতো বোকা কেন , কিছু বোঝেন না ? ঠিক সেই মুহূর্তে আমার প্রেম পাচ্ছিল না । জিজ্ঞেস করলাম --- কে বলছেন ? উত্তরে আবার খিলখিল হাসি । হঠাৎ মাথায় যেন দপ করে আগুন জ্বলে উঠল । বললাম , দেখুন , আমার ভাই গুরুতর অসুস্থ । আমরা পরে কথা বলি ? (কথাটা বলার কারণ হল এক বান্ধবী এই ঘটনার কয়েকদিন আগে আভাস দিয়েছিল কেউ একজন আমার প্রতি অনুরক্ত , কিন্তু কে , সেটা ভাঙেনি ।) এর উত্তরটা মেয়েটির পক্ষে বিপজ্জনক ছিল । সে প্রায় ধরা গলায় উত্তর দিল --- এসব তো জীবনে লেগেই থাকবে । ... ... ... তার পরের কিছুক্ষণ ফোন বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে অবধি বাংলায় যাকে কষে ঝাড় দেওয়া বলে , সেটাই দিয়েছিলাম । যাদের খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে , তারা জানে স্বাদ কেমন ! নিজের মুখে নিজের কথা আর কি-ই বা বলি । এমন কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বন্ধু আমার চরিত্র বিশ্লেষণ করেছিল যে ভাষায় সেটা আমার খুব প্রিয় --- বুদ্ধিমত্তা আর দানবসত্তার অদ্ভুত মিশেল !

সব গল্পেরই উপসংহার থাকে , এই গল্পেরও আছে । এই ঘটনার কিছুদিন পরে কলেজে আমাদের এক সহপাঠিনীর মাস দুয়েক দেখা নেই । তারপর একদিন কলেজে ঢুকেই মাঠে দেখলাম একটি বাইকের সিটে তিনি এয়োস্ত্রীর বেশে বসে আছেন । আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকলেন , গেলাম । বললেন --- বিয়েটা করেই ফেললাম , বুঝলি । তারপর তিনি এক অদ্ভুত ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে । দুইয়ে দুইয়ে চার হল , আমার গল্পটি ফুরলো , নটে গাছটি মুড়োল ! সাধেই কী আর শাস্ত্রে বলেছে --- স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেবা না জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ !

diary


দিনলিপি


দিনলিপি লিখন


দিনলিপি রচনা


দিনলিপি কাকে বলে

দিনলিপি অর্থ

ডায়েরি





কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...