পুপুর বড় শাশুড়ি মা
১)
বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে পা দিতে না দিতেই পুপু পড়লো মহা বিপদে...সারাদিন কেউ যেন তাকে চোখে চোখে রাখে...সে কি করছে,কি খাচ্ছে,কোথায় যাচ্ছে-সব একজন কেউ নজরে রাখছে কিন্তু পুপু তাকে দেখতেই পাচ্ছেনা...এত বড় বাড়িতে আর কারুর দিকেই যেন তার নজর নেই...শুধু পুপুর উপর নজর রাখাই তার কাজ যেন...এইদিকে পুপুর তো একেই মন খারাপ নিজের বাড়ি ছেড়ে আসতে হয়েছে তাকে এই বাড়িতে...বাবা-মা-ভায়ের জন্য খুব কষ্ট হয়...আর রাগ হয় রমেশ মানে তার স্বামীর ওপর...কি দরকার ছিল তাকে বিয়ে করার...একটা বিয়ে বাড়িতে তাকে দেখে রমেশ ও তার বাড়ির লোকজন সব যেন গলে গেলো...উল্টো দিকে রমেশের এত বড় বাড়ি,বড় ব্যবসা,বনেদী ব্যাপার দেখে তার বাড়ির লোকজনও আর না করেনি এই বিয়েতে...পুপুর আপত্তি থাকলেও সেটা টিকলোনা...তার ভাই রুপুটাও মহা পাজী...বলে কিনা : দিদি,তাড়াতাড়ি বিয়েটা কর...তোদের ওই বাড়িতে গিয়ে তাহলে আমি মাছ ধরবো!...শুনেই রাগে সারা শরীর জ্বলে গেছিল পুপুর...রুপুর কানটা মুলতে যেতেই লাফিয়ে পরে হাসতে হাসতে পালিয়ে গেল...আর তারপর বিয়ে হয়ে চলে এলো সে এই চাঁপাদীঘিতে...একদম পছন্দ হয়নি জায়গাটা পুপুর....কি রকম জঙ্গুলে জায়গা রে বাবাঃ!! শুধু গাছ আর গাছ,পুকুর,বাগান,গরু,বাছুর,মুরগি,ধান,চাল,ক্ষেত,চাষ-বাস এইসব নিয়েই এরা দিন কাটিয়ে দেয়...তাকে কোনো কাজ করতে হয়না,পায়ের উপর পা দিয়েই বসে থাকে কিন্তু তাতে একটুও ভালো লাগে না পুপুর...কিছু করতে পারলে হয়তো সময়টা কাটতো...বই পড়ে,ঘুমিয়ে আর গল্প করে এদের সাথে আর কাহাতক সময় কাটানো যায়? তার বরটাও যেন কি রকম...পুপুর সব কথা মেনে নেয়...সব কিছুতেই সায় দেয়...একটু ঝগড়া করলেও না হয় সময় কাটতো তার....ধুস্!পাতি হয়ে গেল পুপুর জীবনটা যেন...আর সব হয়েছে রমেশের জন্য...তাই ভারী রাগ করে সে রমেশের ওপর…একদিন ইচ্ছে করে সব ছেড়ে পালিয়ে যাবে...সেটারই চেষ্টা করতে থাকে সে...একদিন সুযোগও মেলে...রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমাচ্ছিল তখন চুপিসারে পা টিপে টিপে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ে পুপু...সিঁড়ি দিয়ে সোজা নেমে আসে নীচে.…শীতের রাত-সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন...দারোয়ানটাও সদর দরজার সামনে বসে ঘুমাচ্ছে...পুপু খুব সাবধানে সদর দরজাটা খুলে সবে এক পা বাড়িয়েছে বাড়ির বাইরে...তখনই হঠাৎ কোথা থেকে একটা ঠান্ডা হাওয়া এসে তাকে ঘিরে ধরে...পুপু নিজের গায়ের চাদরটা ভালো করে মাথা দিয়ে জরিয়ে এগিয়ে যেতে চায় আর ঠিক সেই সময় তার হাতটা কেউ চেপে ধরে আর সে শুনতে পায় একটা খ্নখ্নে গলায় কেউ বলছে : কোথায় যাচ্ছিস্ রে ছুড়ি?আয় ভেতরে আয় বলছি!
২)
নিজের মনে গুনগুন করে একটা হিন্দি ছবির গান গাইছিল পুপু বিকেলবেলায় ছাদে ঘুরতে ঘুরতে...তখনই এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া তাকে ছুঁয়ে গেল...পুপুর এখন এইসব গা সওয়া হয়ে গেছে...পুপু জানে যে তার বড়-শাশুড়িমা এসে গেছেন...বড়-শাশুড়িমা মানে তার শাশুড়ির শাশুড়ি...যেদিন রাতে পুপু বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিল সেদিনই এঁনার সাথে তার প্রথম আলাপ হয়...তার আগে নাকি পুপুকে চোখে চোখে রাখতেন উনি...পুপুকে নাকি প্রথম দিন দেখেই উনি বুঝে গেছিলেন 'এ বউ সুবিধার না...পালালো বলে'...আর তাই দায়িত্ব নিয়ে তিনি পাহারা দিতেন পুপুকে...চোখের আড়াল করতেন না...তার এত সাধের সংসার পুপুর জন্য ভেঙে যাবে,কষ্ট পাবে তার প্রিয় নাতি সেটা তিনি কি করে হতে দেবেন!...তাই তো সেদিন কোনো উপায় না দেখে নিজেই নেমে এলেন বাড়ির বাগানের আম গাছটা থেকে,পুপুর পথ আটকালেন...পুপু নেহাত সাহসী মেয়ে তাই ভয় পায়নি...অন্য কেউ হলে অক্বা পেত...চোখের আড়াল থেকে সাদা থান দেখে পুপু বললো : এসেছেন তো অনেকক্ষন..বলেই ফেলুন যা বলবেন?
বড় শাশুড়ি মা : ওলো, অ কি গান গাইছিস রে নাত বউ? এ আবার গান নাকি?
পুপু : এই গান গুলোই চলে আজকাল...আপনি তো অনেকদিন আগেই আমাদের টাটা করে চলে গেছেন তাই জানেন না
বড় শাশুড়ি মা : কি? আমি জানি না?তুই কতটুকু জানিস রে ছুড়ি? এ সব গান নাকি? ছোঃ ছোঃ!...গান তো ছিল আমাদের সময়...কি সব গান...আহাঃ ...একটা গাই শোন তবে..
পুপু : থাক! আপনি আর দয়া করে গান ধরবেন না...আমি ছাড়া অন্য কেউ শুনলে ভিমরি খাবে...তাছাড়া আপনার যা গলার ছিড়ি !!!
বড় শাশুড়ি মা : কি বললি? আমার গলা ভালো না তো কি তোর গলা ভালো?গাস এবার গান...দেবো গলায় নিম পাতা ঢেলে
পুপু হেসে ফেলে...তার এই বড় শাশুড়ি মাকে রাগাতে তার ভারী ভালো লাগে...খুনসুটি করে ওনার সাথে খুব মজা লাগে...তার সময়টাও কাটে বেশ...যখন-তখন, সময়-অসময়ে, যেখানে-সেখানে এঁনার আসাটা ভারী উপভোগ করে সে...পুপু শুনেছে নিজের শাশুড়ির থেকে যে জীবিতকালে নাকি খুব রাশভারী মহিলা ছিলেন,দাপুটে ও ছিলেন বেশ,সব কিছু চোখে চোখে রাখা তাঁর অভ্যাস ছিল...সেই স্বভাব গত হওয়ার পর ও ছাড়তে পারেনি...সব বিষয়ে নাকটা তাঁকে গলাতেই হবে...বিশেষ করে পুপুর ব্যাপারে...পুপু কিছু বলেনা কাউকে...সে জানে যে ওনার কোনো বাজে উদ্দেশ্য নেই...পুপুকে হাসতে দেখে রাগ করে চলে যান তিনি...তবে একটু পরে ফিরে আসেন...
বড় শাশুড়ি মা : বলছি একটু সেজে গুজে থাকবি,স্বামী এলে আসে পাশে ঘুরবি...গানের গলা তো ভালো...গান শোনাবি
পুপু : টুইস্ট করবো তারপর
বড় শাশুড়ি মা : আ্যঁ!
পুপু : টুইস্ট...একটি নাচ...নাচবেন?
বড় শাশুড়ি মা : কেন রে আপদি? আমি কি বাজারে নাকি?
পুপু : আজকাল সবাই নাচে...আপনিও নাচুন না
বড় শাশুড়ি মা : তুই নাচবি না ওই সব বাজারি নাচ বলে দিলাম
পুপু : এই যে বুড়ি বেশী বললে আপনার নাতিকেও নাচাবো
বড় শাশুড়ি মা : তোর মুখে নুড়ো জ্বেলে দেবো
এই বলে রেগে গিয়ে উঁনি চলে গেলেন..আর পুপু হাসতে হাসতে নীচে নিজের ঘরে নেমে এলো
৩)
ঘরে এসে পুপু দেখে যে রাগ করে উনি তার ঘরেই বসে আছেন তার খাটের ওপর...এই ঘরটা নাকি তাঁর ছিল...ওঁনার মৃত্যুর পর তার আদরের নাতি এই ঘরটায় থাকতে আসে...তাতে অবশ্য এঁনার কোনো অসুবিধা নেই...নাতি কাছাকাছি আছে তাতেই এঁনার বেশ আমোদ হয়...পুপুকে দেখে রাগ দেখিয়ে তিনি দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসেন...পুপু তার রাগ কমানোর জন্য তার সাথে কথা বলতে চেষ্টা করে...শেষে আমের আচারের লোভ দেখিয়ে সেদিনের মত তাঁর রাগ কমে....পুপুকে তার শাশুড়ি মায়ের ঘর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁর জন্য আচার ও নিয়ে আসতে হয়....খাটের ওপর পা ছড়িয়ে বসে আয়েস করে আচার খেতে খেতে পুপুর সাথে কথা বলতে থাকেন
পুপু : ঠাকুরদার সাথে বিয়েটা হয়েছিল কিভাবে?
বড় শাশুড়ি মা : সে অনেক কথা...আমাদের বাড়ির পুরুত ঠাকুর আর এদের বাড়ির পুরুত ঠাকুর ছিলেন দুই ভাই...আমার বাবা আমার জন্য ছেলের খোঁজ করছিলেন আর এরা খুঁজছিল তোর ঠাকুরদার জন্য মেয়ে....বিয়ে করে আসি যখন তখন আমার বয়স ১২ আর ওনার ২২
পুপু : বাপরে!!!এত বড়?
বড় শাশুড়ি মা : তখন তাই হত রে নাতবউ...তা আমি ওনাকে পেতুম খুব ভয়...একঘরেও থাকুত না...তা বিয়ের ২মাস পর তিনি পড়াশোনার জন্য চলে যান দিল্লি...
পুপু : আপনাকে একা ফেলে?
বড় শাশুড়ি মা : ওমা!!! একা কোই রে পাগলি! বাড়িতে কত লোকজন ছিল..আমার শ্বশুর-শাশুড়ি,দেওর,জা,ননদরা,কাজের লোকজন...কত লোক...সংসার মানে কি আর শুধু কপোত-কপোতি রে?সবাইকে নিয়েই সংসার...যত লোকজন তত ভালোবাসা,তত দায়িত্ব,তত একে ওপরের সুখে-দুঃখে থাকা...তোরা আজকালকার মেয়েরা বুঝবিনা...সবার সাথে মিলে মিশে থাকতে পারাটাই যে কৃতিত্ব রে
পুপু অবাক হয়ে শোনে...এই ভদ্রমহিলা তার থেকে কত আগের প্রজন্মের...কিন্তু কি অবলীলায় একটা চরম সত্য কথা বলে গেলেন...আলাদা আলাদা যে কেউ থাকতে পারে তবে একসাথে থাকার ভেতর যে ভালোলাগাটা আছে সেটার স্বাদ পাওয়া যায়না
বড় শাশুড়ি মা : তারপর হঠাৎ একদিন একটা চিঠি এলো আমার নামে...আমার ছোট দেওর লুকিয়ে দিয়ে গেল আমায়...দেখি তোর ঠাকুরদা লিখেছেন...আমি তো লজ্জায় মিশে গেলাম...রাতে সবাই শুয়ে পড়লে পর আসতে আসতে দরজাতে খিল এঁটে চিঠিটা পড়লাম...
পুপু : তারপর?
বড় শাশুড়ি মা : চিঠি পড়তে পড়তে কেমন জানি একটা মায়া পরে গেল ওনার ওপর...নিজের বাড়ি ছেড়ে এত দূরে পরে আছেন...কি খান না খান কে জানে,কোথায় থাকেন,শরীর খারাপ হলে কে দেখে...এইসব ভেবে চোখে জল চলে এলো সেই প্রথম ওনার জন্য...তারপরের দিন আমিও সবাইকে লুকিয়ে একটা চিঠি লিখে আমার দেওরকে দিয়ে পোষ্ট করিয়ে দিলাম...এই রকম ভাবে আমাদের চিঠি পর্ব চলতে থাকলো সবাইকে লুকিয়ে...
পুপু : বলুন প্রেম পর্ব
বড় শাশুড়ি মা লজ্জা পেয়ে বললেন : ওই হলো
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ হলো আর রমেশ এসে ঘরে ঢুকলো...রমেশকে আসতে শুনেই বড় শাশুড়ি মা হাওয়াতে মিলিয়ে গেলেন...আচারের বাটি পরে রইলো খাটের ওপর...
রমেশ : পুপু
পুপু : বলো
রমেশ : আমাকে ব্যবসার কাজে কদিনের জন্য বাইরে যেতে হবে...আজকে রাতেই বেড়িয়ে যেতে হবে...
পুপুর খুব খারাপ লাগলো,তাকেও তো যেতে বলতে পারতো রমেশ তার সাথে...রমেশ তার দিকে এগিয়ে আসে...তার হাতটা ধরে বলে : রাগ করো না,তোমাকেও নিয়ে যেতে ইচ্ছে ছিল কিন্তু ওখানে কাজের অনেক চাপ থাকবে...তোমাকে সময় দিতেই পারবোনা..একা একা তুমি কি করবে? তার থেকে বরং এখানে সবার সাথে থাকা ভালো তোমার...
পুপুর কেন জানিনা খুব অভিমান হলো...রমেশকে একটা কথা বলতেও ইচ্ছে করলোনা...চুপ করেই থাকলো...স্যুটকেস গুছিয়ে রমেশ যখন দরজা দিয়ে বেড়িয়ে গেল তখনও রমেশের দিকে তাকিয়ে দেখলো না...রাতে যখন একা একা বিছানাতে শুয়ে ছিল তখন রমেশের কথা চিন্তা করতে করতে চোখের কোনায় নিজের অজান্তেই একটু জল চলে এলো...খুব অবাক হলো পুপু...রমেশকে তো তার তেমন ভালো লাগে না তাহলে ও চলে যেতে এত খারাপ লাগছে কেন তার? কানের পাশ থেকে শুনতে পেলো তার বড় শাশুড়ি মা বলছেন : ওলো! প্রেমে পড়েছিস্ যে আমার নাতির...
৪)
প্রায় মাসখানেক হয়ে গেল রমেশ বাইরে গেছে...খুব কাজের চাপ তার ওইখানে...রাতে নিয়ম করে ফোন করে সে পুপুকে...তবে ৫মিনিটের বেশী কথা বলতে পারেনা...ক্লান্ত থাকে,কথা বলতে বলতেই ঘুমিয়ে পরে...পুপুর ও রমেশকে বলে ওঠা হয়না তার না বলা কথা গুলো...সেদিন ছাদে ঘুরছিল পুপু আনমনে...বড় শাশুড়ি মাও ছিলেন...নানা কথা বলে পুপুর মন ভালো করার চেষ্টা করেন তিনি...পুপু যে রমেশের চলে যাওয়ার পর থেকেই কষ্টে আছে সেটা তিনি ভালোই বোঝেন...তাই তাঁর এখন একমাত্র কাজ পুপুকে সঙ্গ দেওয়া ও তাকে ভুলিয়ে রাখা...কিন্তু পুপুর মন তাতে সাময়িক ভালো থাকলেও একেবারে ভালো হয়ে যায়না...হঠাৎ বৃষ্টি এলো তেড়ে...পুপু ভিজতে থাকলো...তার মনে হলো বৃষ্টি তার সমস্ত কষ্ট দূর করে দেবে...বড় শাশুড়ি মা তাকে বারবার নিচে নামতে বলেন,পুপু শোনে না,ভিজতেই থাকে...তার ফলে মাঝরাতে এলো তার প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে জ্বর....সবাই ঘুমাচ্ছে,তা ছাড়া পুপুর ইচ্ছেও করলো না কাউকে ডাকতে...নিজেকে কষ্ট দিয়ে যেন রমেশের ওপর শোধ নিতে চাইলো সে...তবে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তার বড় শাশুড়ি মা...বারবার পুপুর গায়ে মাথায় হাত দিয়ে দেখতে থাকলেন,বিছানার চারিদিকে ঘুরতে থাকলেন আর বাড়ির বাকিরা পুপুর খোঁজ না নিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে বলে তাদের সকলকে আঙুল মটকে মটকে শাপ দিতে থাকলেন...কোনো রকমে রাতটা কাটলো...সকালবেলায় পুপুকে ডাকতে এসে তার এই হাল দেখে তার শাশুড়ি মা ঘাবরে গেলেন,নামী ডাক্তার এলেন,অনেক টেস্ট ও ওষুধ দিয়ে গেলেন...তবে পুপুর শরীর যে খারাপের সে খারাপই থেকে গেল...তখন রাত কটা পুপুর খেয়াল নেই,হঠাৎ একটা হাতের ছোঁয়াতে পুপুর ঘুম ভেঙে গেল...চোখ খুলে দেখে রমেশ...পুপু আর কিছু না দেখে জরিয়ে ধরে রমেশকে....রমেশ পুপুকে জরিয়ে ধরে তার মাথায় হাত বুলোতে থাকে...পুপু ঘুমিয়ে পরে...এর ঠিক দুদিনের মাথায় পুপু একদম সুস্থ হয়ে যায়..রমেশ ও পুপু ঘরে বসে গল্প করছিল,তখন পুপু জিজ্ঞাসা করে : তুমি সেদিন চলে এলে যে?
রমেশ : তোমার জন্য মন কেমন করছিল আর তা ছাড়া....
পুপু : কি?
রমেশ : ঠাকুমাকে দেখলাম ....
পুপু : মানে?
রমেশ : ঠাকুমাকে দেখলাম স্বপ্নে...আমাকে বললেন যে তোমার খুব শরীর খারাপ,আমি যেন তোমার কাছে ফিরে যাই তক্ষুনি...তার বলার ভেতর কি ছিল কি জানি...আমিও আর দেরী না করে যে ফ্লাইটটা আগে পেলাম সেটা নিয়েই তোমার কাছে চলে এলাম...আর এসে দেখি তোমার এই হাল!
পুপুর মনটা কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় ভরে যায় তার বড় শাশুড়ি মা থুড়ি তার ঠাকুমার জন্য...তাকে তিনি যে কতটা ভালোবাসেন সেটা বুঝতে পারে পুপু...সত্যিই সংসার সবাইকে নিয়েই হয়.…তাতেই বড় সুখ...চোখের কোন দিয়ে পুপু দেখতে পায় তাদের ঠাকুমা তাদের দিকে মায়া ভরা চোখে চেয়ে আছেন ও মিটিমিটি হাসতে হাসতে আমের আচার খাচ্ছেন।
ভূতের গল্প বাংলা, ভূতের গল্প , ভূতের গল্প শোনাও তো, ভূতের গল্প বই, ভূতের গল্প দাও, https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/belablog/30227703,https://bengali.momspresso.com/parenting/rumaar-ddaayyeri/article/styi-bhuuter-glp,https://blog.rokomari.com/book-review/chondrahoto/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.