শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

চিরন্তন

 

#চিরন্তন

শিয়ালদা স্টেশনে নিত্যনতুন - যে গল্পের সাক্ষী হতে হয় ! এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় , এই গল্পগুলো খুব মিস করছি একদিন সন্ধেবেলায় দেখা একটা ঘটনা বলি অফিসফেরতা মানুষের ভিড়ে যথারীতি স্টেশন যেন উপচে পড়ছে স্টেশনে ঢুকতে ঢুকতে ডিসপ্লে বোর্ড দেখে , যে ট্রেনে উঠবো ভেবেছিলাম , দেখলাম সেটাতে ঠিকমত দাঁড়ানোও যাবে না সেই ট্রেনটা ছেড়ে দিয়ে , পরেরটার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি ট্রেন হুইসল দিয়ে আস্তে আস্তে চলতে শুরু করেছে এমন সময়ে এক ভদ্রলোক কোথা থেকে দৌড়তে দৌড়তে এসে, এই চলন্ত ট্রেনটা লক্ষ্য করেই ছুটলেন ভদ্রলোকের পোশাক , সঙ্গের চামড়ার ব্যাগ দেখে আপাতভাবে মনে হল, ভাল চাকরিই করেন সম্ভবত ওনার শার্টের বুক পকেটে বেশ কিছু কয়েন ছিল দৌড়ের ঝাঁকুনিতে সেগুলো টুংটাং করে প্ল্যাটফর্মে ছিটকে পড়তে থাকল সবাই চেঁচিয়ে উঠল --- "আপনার পয়সা পড়ছে !" ভদ্রলোক কোনওমতে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে বেশ জোরেই বললেন --- "লাগবে না " এক হকার আসছিলেন ভদ্রলোকের পাশ দিয়ে এবার তিনি অপেক্ষমাণ যাত্রীদের উদ্দেশে বললেন --- "আপনারা সবাই শুনেছেন ওনাকে বলতে , যে পয়সাগুলো ওনার লাগবেনা কিন্তু ওগুলো আমার লাগবে , আমি নিলাম " হকার প্ল্যাটফর্মে পয়সা কুড়োচ্ছেন , আর আমরা দাঁড়িয়ে সমাজের দুটি শ্রেণি দেখছি ---- হ্যাভস আর হ্যাভ নটস যাঁদের পয়সা আছে , আর যাঁদের নেই আর দেখছে শিয়ালদা স্টেশন দেখেই চলেছে

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/04/pub-9792609886530610_26.html





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


ঘুরে ট্যুরে

 

২০০২ -এর পুজোর সময় আমরা সপরিবারে গেছিলাম হরিদ্বারে চারটে অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভোলার নয়



) আমরা উঠেছিলাম ভোলাগিরি ধর্মশালায় বেশ শীত কলের জল কনকনে ঠাণ্ডা দাঁত মাজছি , আর নীচে হর কি পউরী ঘাটে লোকের যাতায়াত দেখছি হঠাৎ কোথা থেকে একটা হনুমান এলো কল খুলে , আঁজলা ভরে জল খেল পেট ভরে , এবং যাওয়ার সময় প্যাঁচ ঘুরিয়ে কল বন্ধ করে গেল ! দেখলাম মানুষ ভুলে যায় , ওরা ভোলে না ! স্বচক্ষে না দেখলে এমন দৃশ্য যে বাস্তবে সম্ভব তা আমিও বিশ্বাস করতাম না



) দাদা - বৌদির হোটেলের নিরামিষ রান্না খাওয়ার শুরুটা গাওয়া ঘি দিয়ে আর রান্নার স্বাদ ? আহা , যাহা খাইলাম তাহা জন্ম -জন্মান্তরেও ভুলিব না --- বলতেই হবে খাওয়ার পরে দোকানের উপরে বড় বড় করে লেখা --- নৈহাটির লোকের দোকান



) মনসা পাহাড় থেকে চণ্ডী পাহাড়ে আমরা যাচ্ছি রোপওয়েতে বাড়ির সবাই একটা বাক্সয় আর আমার সাথে অপিরিচিত এক বাঙালি আরেকটায় ঠিক মাঝপথে গিয়ে পাওয়ার কাট রোপওয়ে থেমে গেল বহুউউউ নীচে সরু সুতোর মত গঙ্গা নদী বয়ে চলেছে ,আড়চোখে দেখলাম পরিস্থিতিটা উপভোগ করার মত অবস্থায় একেবারেই ছিলাম না , বলাই বাহুল্য ;কারণ আমাদের নিয়ে বাক্সটা প্রবল হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছিল ! হয়ত মিনিট দু'য়েক চলাচল বন্ধ ছিল , কিন্তু আমার মনে হয়েছিল কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক যুগ !

) ঘুরতে বেড়িয়ে খুব পরিচিত কারও দেখা পেলে একরকম আবিষ্কারের আনন্দ হয় একদিন আমরা 'নৈহাটির লোকের দোকানে' খাচ্ছি , হঠাৎ দেখি আমাদের সামনের টেবিলে এসে বসলেন আমার এক সহপাঠী -- বুবুনের(শুভজিৎ সাহা) বাবা - মা - বোন কোথায় জলপাইগুড়ি আর কোথায় হরিদ্বার ! মেলালেন, তিনি মেলালেন কাছাকাছি অভিজ্ঞতা হয়েছিল আগ্রায় তাজমহল দেখার ঘোর তখনও কাটেনি , আমরা সবে বাইরে বেরিয়েছি এমন সময় হঠাৎ ইলেকট্রিক ব্লু কালারের একটা মার্সিডিজের ভেতর থেকে মনে হল স্যর - স্যর বলে কেউ ডাকছে টিন্টেড গ্লাস , তাই প্রথমে কাউকে দেখতে পাইনি তারপর পাওয়ার উইন্ডো নেমে একজন ভদ্রলোকের মুখ বেরিয়ে এল , তারপর তিনি নিজেই বেরিয়ে এলেন বাবার ছাত্র জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা হাই স্কুলে পড়েছেন , বাবা ক্লাস টিচার ছিলেন ভদ্রলোক এখন নয়ডায় থাকেন , আমাদের বাড়ি নিয়ে যাবেনই কিন্তু আমরা নিরুপায় , সেদিনই দিল্লি ফিরতে হবে আবেগঘন দৃশ্যের শেষে দেখলাম ছাত্র - শিক্ষক দু'জনের চোখেই জল

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_49.html


 






হরিদ্বার ভ্রমণ


হরিদ্বার ভ্রমণ কাহিনী



haridwar trip experience


taj mahal visit experience

খেজুরে আলাপ

 

#খেজুরে_আলাপ

 

ট্রেনে যাতায়াতের সময় আমি কখনও কাগজ বা ম্যাগাজিন পড়ি না প্রকৃতি দেখি , মানুষ দেখি কত বিচিত্র ধরণের মানুষ যে দেখা যায় যাত্রাপথে ! কিছু কিছু মানুষ আছেন খুব দিলখোলা টাইপের গল্প করতে ভালবাসেন ট্রেন যাত্রার একঘেয়েমি কাটাতে যেচে আলাপ করেন তেমনই এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হয়েছে পাকুড়ে নামবেন সবাই নিশ্চয়ই জানেন , পাকুড় পশ্চিমবঙ্গ আর বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ভদ্রলোক বললেন , "বুঝলেন দাদা , জায়গাটা আমার জীবনের সঙ্গে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে " আমি বললাম , "কীভাবে ?" বললেন , "আমার একটু পানের অভ্যেস আছে বুঝলেন , এদিকে নিতীশজি তো বিহারে এসব খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ভালই করেছেন , কিন্তু আমার মত মানুষদের কী হবে , যাদের কিঞ্চিৎ পানের অভ্যেস আছে ?" আমি জিজ্ঞাসু চোখেই তাকিয়ে রইলাম জমিয়ে বসে আবার বলতে শুরু করলেন ভদ্রলোক ---- "আমি একটা বুদ্ধি বার করেছি বুঝলেন আপনার রাজ্যের এক ভদ্রলোকের সাথে বেরাদরি পাতিয়েছি সৌভাগ্যক্রমে তিনিও সুরাসক্ত আর আপনি তো নিশ্চয়ই জানেন , সঙ্গী পেলে আসর জমে ভাল তো আমি করি কি , বিহার থেকে ফোন করে দিনক্ষণ ঠিক করে নিই , বাংলায় ঢুকি , রাতে ঢুকুঢুকু করি বন্ধুর বাড়িতেই রাতটা কাটাই সকালবেলা , একটু বেলার দিকে ঘুম ভাঙলে বাইকে করে কর্মস্থলে ফিরে আসি হে , হে , হে , হে ! রাস্তায় পুলিশ ধরবে ? ধরুক না ! ব্রেদ আনালাইজারের বাপের সাধ্যি নেই আমাকে মাতাল প্রমাণ করে !" ওনাকে বলে লাভ নেই , বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ মনে মনেই বললাম , এত পরিশ্রম যদি নেশাটা ছাড়াবার কাজে লাগাতেন , তবে একটা কাজের মত কাজ হত

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_98.html





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


কে। --- সত্য ভূতের গল্প

মেট্রোর সি রেকের এই দরজার পাশে দাঁড়ানোর জায়গাটা খুব পছন্দের অনসূয়ার পার্ক স্ট্রিটের আগে এদিককার দরজাটা খুলবে না , আর শুভ্র আর নামবে রবীন্দ্র সদনে দু'জনে আঙুলে আঙুল ছুঁইয়ে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়েই গল্প করছিল মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সময় বিশেষে খুব প্রখর হয়ে ওঠে সেই কারণেই কি না কে জানে , অনসূয়ার চোখ হঠাৎ চলে গেল বিদ্যুৎবেগে ছুটে চলা মেট্রোর কাচের দরজার বাইরে অন্ধকারের দিকে আর তারপরেই যা চোখে পড়ল , তাতে হৃদপিণ্ডটা এক লাফে যেন গলার কাছে উঠে এল মেট্রোর অন্ধকার টানেলে লাইন ধরে উল্টোদিকে হাঁটছে জামা-প্যান্ট পরা একটা লোক জামা গুঁজে পরা , হাতে চামড়ার ব্যাগ , মুখ মাটির দিকে অনসূয়া প্রচণ্ড ভয় পেয়ে শুভ্রর দিকে তাকাতেই দেখল , তারও চোখ লোকটার দিকে শুভ্রর হাত এখন বরফের মত ঠাণ্ডা সে শুকনো গলায় কোনওমতে অনসূয়াকে বলল -- "চাঁদনি চক আসলে নেমে মোটর ম্যানকে বলবো " ওদের আর সেদিন অ্যাকাডেমিতে নাটক দেখা হল না দু'জনেই বাড়ি ফিরে গেল



পরদিন বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকের পাঁচের পাতায় ছোট্ট করে একটা খবর বেরোল এই মর্মে --- "সেন্ট্রাল আর চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের মাঝে , রেল লাইন ধরে এক ব্যক্তিকে উল্টোদিক বরাবর হাঁটতে দেখে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানান দুই যাত্রী ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে দুই প্রান্ত থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় , কিন্তু কারও দেখা মেলেনি "

একমাত্র অনসূয়া আর শুভ্র জানে তারা ভুল দেখেনি

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/04/pub-9792609886530610_57.html





ভয়ংকর ভূতের গল্প বাংলায়


ভূতের গল্প বাংলাতে



ভয়ানক ভূতের গল্প



ভয়ংকর ভূতের গল্প


সত্য ভূতের গল্প

ভূতের গল্প বাংলায়










কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...