যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ডিপ্লোমা কোর্স করছিলাম ২০০৫ সালে । সন্ধেবেলা ক্লাস হত। একদিন টয়লেট থেকে বেরিয়েই দেখি এক সহপাঠিনী দাঁড়িয়ে আছে । পাশেই মেয়েদেরটা । ওর বাথরুম যাওয়ার দরকার পড়েছিল । আমাকে বললো , ----" আমাদেরটা তে কেউ গেছে । দরজা খুলছেনা । তোদের বাথরুমে কি কেউ আছে ?" বললাম , --- "না" । ও বললো , --- "আমি একটু যাচ্ছি । দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেব , কেউ আসলে একটু বলিস ।" মাথা নেড়ে সায় দিলাম । ও বেরনোর আগেই দু'জন সহপাঠীর যাওয়ার প্রয়োজন হল । ফলে ব্যাপারটা তাদের খুলে বলতেই হল । কিন্তু তারপরেই শুরু হল আদিরসাত্মক রসিকতা । ওই বয়সে খুব স্বাভাবিক , কিন্তু সেদিন আমার ভাল লাগেনি । মনে হয়েছিল এটা করা ছাড়া ওই মুহূর্তে ওই সহপাঠিনীর কাছে অন্য কোনও বিকল্প তো ছিলনা । পাশের বিভাগে যেতে হলেও অনেকটা সময় লাগতো । এই অবস্থায় আমি কী করতাম ? এই অবস্থায় আমরা , ছেলেরা , যেটা জনবহুল জায়গায় করে থাকি , সেটা না বলাই ভাল !
ঘটনাটা বহুদিন পরে মাথায় খেলে গেলো আধা শহর (সেমি আরবান , এস বি আই ) ব্যারাকপুরের একটি ওষুধের দোকানে এই বিজ্ঞাপনটি দেখে । সেই ব্যারাকপুরে
, যেখানে মন্দিরে মহিলাদের 'ভর' ওঠে , তাঁরা মাথা নাড়িয়ে অপ্রকৃতিস্থের মত করতে থাকেন কালী পুজোর সময় , আর মন্দিরের পেছন দিক দিয়ে তীব্রবেগে চলে যায় ই এম ইউ ট্রেন । তাই ব্যারাকপুরের এক ওষুধের দোকানে এই বিজ্ঞাপনকে ঠাই দেওয়াটা আমার খুব , খুব ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ মনে হয়েছে । দ্বিতীয়ত বিজ্ঞাপনটি অভিনব । গণমাধ্যমে এমন পণ্যের বিজ্ঞাপন আমি আগে দেখিনি ।
লেখা বা ছবিতে যদি কোথাও শালীনতার সীমা অতিক্রম করে থাকি , তবে ক্ষমা করবেন ।
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/11/pub-9792609886530610_32.html


