মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০

দুর্গা পুজো২০২০

দুর্গা পুজো ২০২০


আইনকানুন তোমরা সব অন্য কোথাও খুঁজো
বঙ্গদেশে বুক বাজাবে কর্পোরেটের পুজো
কোটি টাকার বাজেট কি আর আকাশ থেকে পড়ে
কোভিড'১৯ থোড়াই কেয়ার বিজ্ঞা-পুজোর গড়ে
আবেদন আর পাল্টাতেই এবার পুজো শেষ
মামলা লড়ার পুঁজিটাও গুছিয়ে জমবে বেশ
তোমরা হলে দাবার বোড়ে , ছড়াবে মারণরোগ
হাতি-ঘোড়া-রাজা-মন্ত্রীমশাই পোহাবে না দুর্ভোগ
বাড়ির লোককে কাঁদিয়ে যখন পড়বে জীবনে দাঁড়ি
বুঝবে তখন কতটা বিপদ , কেন বলে অতিমারি ।



করোনা মহামারি ও দুর্গা পুজো

অতিমারি নিয়ে কবিতা


বাংলা কবিতা রোমান্টিক

বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা ক্যাপশন

বাংলা কবিতার লাইন



বাংলা কবিতা প্রেমের

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

জীবনযাপন

 পরিবর্তন 

আড্ডা থেকে পালাই পালাই , বাড়ির দিকে মন 

বন্ধুরা সব নিয়ম মতই সংসারী এখন ।


ঘুম 

অজাতশত্রু নই তো আমি , কেউকেটা নই অতি 

কাল সকালে ঘুম না ভাঙলে , কার কী এমন ক্ষতি 

বলবে তুমি চেষ্টা করে , কষ্ট পাবে বেশ 

আসলে কিন্তু চোখ বুজলেই , সবটা আমি শেষ 

তবু আলো দেখব বলেই জানলায় চোখ রাখি 

জেগে ওঠা অভ্যেস হতে অনেকটা পথ বাকি ।  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_20.html






বাংলা কবিতা রোমান্টিক

বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা ক্যাপশন

বাংলা কবিতার লাইন



বাংলা কবিতা প্রেমের


গল্প এইটুকুই

 দাবদাহ 


পুষ্ট দেহ হৃষ্ট চিত্ত 

নব্য বঙ্গ মধ্যবিত্ত 

লোডশেডিঙয়ের জ্বালায় নিত্য 

উত্তেজনায় ঝরান পিত্ত । 


যাঁর পকেট যত স্থূল 

ততগুলি ঘর বাতানুকূল 

প্রতি পরিবারে না বলা রুল 

গিন্নি যেন থাকেন কুল ! 


বাসে-ট্রেনে-পথে অফিসে হায় 

তেতে ওঠা মন বিষ ওগরায় 

জল-শরবতে শান্তি চায় 

ক্লান্ত দেহ , ভিজে গায়ে । 


দিনগত পাপক্ষয় 

যাঁরা ভাবেন , ঠিক নয় 

বাড়ি ফিরে যারা মেঝেতে শুই 

তাদের গল্প এইটুকুই । 

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/04/pub-9792609886530610_78.html




ছড়া


ছড়া কবিতা

ছড়া বাচ্চাদের বাংলা


ছড়া কাকে বলে






রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

জলপাইগুড়িতে সুভাষ চন্দ্র বসু

 

জলপাইগুড়িতে সুভাষ চন্দ্র বসু

 

            উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্তর্গত উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে বেশ কিছু দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য ছবি এবং বিরল তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছেন ‘জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ মিউজিয়াম ও কালচারাল ফাউন্ডেশন’ , এই শহরে সুভাষ চন্দ্র বসুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের পঁচাত্তর বর্ষপূর্তিতে । জলপাইগুড়িতে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস সম্মেলন (১৯৩৯) উপলক্ষে এসেছিলেন নেতাজি । ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রধান কার্যালয়ের পাশে , পাওয়ার হাউসে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি সুভাষ বসুর ছবি আছে এখানে । আছে , এই শহরে অবস্থানকালে বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির সামনে রাজা প্রসন্নদেব রায়কতের সঙ্গে ছবি ।  প্রসন্নদেব রায়কতের নামে বর্তমানে শহরে একটি মহিলা কলেজ আছে । এই অধিবেশনে ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ , রাত সাড়ে আটটায় বক্তৃতা দিতে উঠে সুভাষ চন্দ্র বসু ঘোষণা করেন ---- “আজ পরিষ্কারভাবে বলিবার সময় আসিয়াছে , কোন পথে আমরা চলিব , আমরা কোন কৌশল অবলম্বন করিব , কী ভাবে চলিলে অদূর ভবিষ্যতে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করিতে পারিব । আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই যে , যে সুবর্ণ সুযোগ এতদিন পরে উপস্থিত হইয়াছে , তাহা গ্রহণ করিয়া যদি আমরা জাতীয় দাবি উপস্থিত করি এবং তাহার পশ্চাতে আসন্ন সংগ্রামের সমস্ত আয়োজন তৈয়ারি রাখি , তাহা হইলে অতি শীঘ্র আমাদের অভীষ্ট --- পূর্ণ স্বাধীনতা আমরা লাভ করিতে পারিব ।“ এই অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাব ছিল --- “ইংরেজ রাজশক্তিকে ছয় মাসের চরমপত্র(ULTIMATUM) প্রদান করিতে হইবে ।“

            সম্মেলনটি হয়েছিল জলপাইগুড়ি টাউন রেল স্টেশনের কাছে , বোদা রোডের পাশে , হরিজনদের বাসস্থানের জন্য চিহ্নিত ৩০ বিঘা জমিতে , পুরসভার অনুমতিসাপেক্ষে । সম্মেলন স্থলটির নামকরণ করা হয় জেলা কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি স্বর্গীয় জগদীন্দ্র দেব রায়কতের স্মরণে , ‘জগদীন্দ্র নগর’ হিসেবে । ৩ – ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ সম্মেলন হয়েছিল । নেতাজি আসেন শরৎ চন্দ্র বসু – সহ অন্যান্য প্রাদেশিক ও সর্বভারতীয় নেতাদের নিয়ে ৪ তারিখে । ‘রাষ্ট্রপতি’ সুভাষকে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ‘গার্ড অব অনার’ দেন । তাঁকে নিয়ে শহরে শোভাযাত্রা হয় এবং তাঁদের দেখতে বিপুল জনসমাগম ঘটে । এরপর সম্মেলনস্থলে শ্রী আশরাফউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন । রাষ্ট্রপতি সুভাষ চন্দ্র বসুকে আর্যনাট্য সমাজ সভাঘরে পুরসভা ও অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় । এরপর অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ডাঃ চারুচন্দ্র সান্যাল স্বাগত ভাষণ দেন । তারপর একে একে ভাষণ দেন শরৎ চন্দ্র বসু এবং সুভাষ চন্দ্র বসু । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , শহরের ‘মাদ্রাসার মাঠ’ বলে পরিচিত মাঠটিতেও নেতাজি ও অন্যান্য প্রাতঃস্মরণীয় জাতীয় নেতারা বক্তৃতা করেছেন । পুরসভা থেকে জায়গাটি চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে শহরে দিনবাজারে সান্যাল বাড়ির রাস্তাটির নাম রাখা হয়েছে চারুচন্দ্র সান্যাল সরণি । তাঁর ছেলে হীরেন(মানিক) সান্যালও স্বনামধন্য বামপন্থী সাংসদ – রাজনীতিক ছিলেন ।

            এই সম্মেলনের আয়োজনও ছিল সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মনে রাখার মত । ৩২ টি জেলার জন্য বাঁশ ও ভাবুনী দিয়ে ৩২ টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল । ৮০০ জনের রোজ খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল । উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তালিকায় মুজাফফর আহম্মদের নামটি কৌতূহলোদ্দীপক ! যাঁর নামে মুজাফফর আহম্মদ ভবন কলকাতায় , তিনি আর ইনি কি অভিন্ন ব্যক্তি ? প্রশ্ন থেকে যায় । কারণ তালিকার অনেকেই পরে বামপন্থী দলে যোগ দিয়েছিলেন । এই সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন শরৎচন্দ্র বসু । সম্মেলনের খবর ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রকাশিত হয়েছিল অমৃতবাজার পত্রিকায় । লেখা হয়েছিল ---- “THE PRESIDENT TOOK HIS SEAT ON THE DIAS WHICH WAS DECORATED WITH FLOWERS AND FOLIAGE , PICTURES OF MAHATMA GANDHI , PANDIT JAWAHARLAL AND SJ. SUBHASH CHANDRA BOSE WERE HUNG UP PROMINENTLY . AS ALSO SOME QUOTATIONS FROM THE POETICAL WORKS OF RABINDRANATH TAGORE. DR. CHARUCHANDRA SANYAL , CHAIRMAN OF THE RECEPTION COMMITTTEE WELCOMED THE DELEGATES. HIS WELCOME TO SJ. SUBHASH CHANDRA BOSE, THE PRESIDENT—ELECT OF THE INDIAN NATIONAL CONGRESS, WAS LOUDLY CHEERED BY THE ENTIRE ASSEMBLY. “

           এই সম্মেলনে সুভাষ চন্দ্র বসু বলেন --- “বন্ধুগণ , আমি মনে করি এখানকার প্রাদেশিক সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত হইয়াছে , আশাতীতভাবে সাফল্যমণ্ডিত হইয়াছে । “ এই গ্যালারিতে জেলার তৎকালীন বিশিষ্ট চা – শিল্পপতি , তারিণী প্রসাদ রায়ের বাবু পাড়ার বাড়িতে , অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শরৎ ও সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবি আছে ।

 

ঋণ  : ‘জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ মিউজিয়াম ও কালচারাল ফাউন্ডেশন’ ।




















Subhas Chandra Bose

https://g.co/kgs/4ig33R




ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example







ইতিহাসের অলিগলি

 

ইতিহাসের অলিগলি

 

           ফেলুদা বলে --- জব নয় , জোব চার্নক । তো , সেই জোব চার্নকের সমাধি দেখতে একদিন রাজভবনের মূল ফটক ছাড়িয়ে , আরও একটু এগিয়ে ঢুকেই পড়লাম সেন্ট জন’স চার্চে । এখানে স্বীকার করে নেওয়া ভাল , যে কলকাতার পুরনো সমাধিস্থান ঘিরে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছে  সত্যজিৎ রায়ের ‘গোরস্থানে সাবধান’ পড়ার পর থেকে । যাইহোক , ঢুকতে দশ টাকার টিকিট কাটতে হল , যে টাকা ব্যয় হবে গোটা কলকাতা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ধরণের পুরাতাত্ত্বিক স্মারকগুলি সংরক্ষণে এবং কলকাতার দুঃস্থ শিশুদের কল্যাণে । লম্বা লম্বা থামের উপর দাঁড়িয়ে থাকা চার্চটির চূড়া ছুঁচলো ধরণের । একে বোধহয় ইন্দো-গথিক স্থাপত্যরীতি বলা হয় । গেট দিয়ে সোজাসুজি এগিয়ে গেলে ডানদিকে প্রথম বাঁকটির পরে , প্রথম চোখে পড়ে লর্ড ব্রেবোর্নের সমাধি । এর ঠিক পিছনেই একই সারিতে কালানুক্রমিকভাবে এই চার্চের বিভিন্ন পাদ্রিদের সমাধি । তার পাশেই কুখ্যাত অন্ধকূপ হত্যার স্মরণে একটি নাতিদীর্ঘ মিনার । এর ফলকে যদিও বলা হয়েছে , ঠিক এইখানেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল , তথাপি আদতে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত সত্য হল , এমন কিছু আদৌ ঘটেইনি । স্বয়ং ওয়ারেন হেস্টিংসও এই মিথ্যেটা ধরতে পেরে আসল মিনারটি ভেঙে দেন । এখন যেটি দেখা যায় , সেটি অনেক পরে আবার তৈরি হয়েছে বলেই কলকাতা-গবেষকেরা মনে করেন । আর একটু নাক বরাবর এগিয়ে গেলেই জোব চার্নকের সমাধিমন্দির । বাংলা সিনেমায় এই জায়গাটা বহুবার দেখেছি , তাই খুব চেনা । কিন্তু যেটা দেখিনি , সেটা হল এর ভেতরে চার্নকের সমাধিফলক । সেখানে লেখা ওঁর মৃত্যু হয়েছিল জানুয়ারি, ১৬৯২ খৃস্টাব্দে । কিন্তু ইতিহাসে যে পড়েছি , তারিখটা ১০ ই জানুয়ারি ১৬৯৩ ! কোনটা ঠিক ? ইতিহাসের শিক্ষক এক বন্ধু বলল – দু’টোই । তখন বছর মার্চ মাস থেকে গোনা হত । এর ঠিক পিছনেই , চার্চের পিছনের গেটের পাশে যে সমাধিমন্দিরটি আছে , তার ফলক পড়ে জানা গেল, এই পরিবারটিকে সাবেক কলকাতার আদি বাসিন্দা বা বলা ভাল প্রথম নথিভুক্ত ব্রিটিশ বাসিন্দা মনে করা হয় । ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছিলেন --- “রাতে মশা দিনে মাছি / এই নিয়ে কলকাতায় আছি ।“ ঘুরতে ঘুরতে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম , সাবেক আর আধুনিক কলকাতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরির কাজটা দিনের বেলাতেও মশা ভালভাবেই পালন করছে ! চার্চের প্রার্থনাকক্ষের ঠিক পিছন দিকে আছে লেডি ক্যানিং(লেডিকেনি খ্যাত)- এর সমাধি । যেন যিশুর চরণাশ্রিত । মৃত্যুর পরে লেডি ক্যানিংকে সমাধি দেওয়া হয়েছিল ব্যারাকপুরে , ভাইসরয় হাউসের কাছে , গঙ্গার পাশে তাঁরই হাতে তৈরি বাগানে । পরে ব্যারাকপুরের সমাধিটির প্রতিরূপ অক্ষত রেখে দেহাবশেষ এখানে নিয়ে আসা হয় । একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছিলাম ঘুরতে ঘুরতে যে , এই প্রাঙ্গণে সেকালের ব্রিটিশ রাজন্যবর্গের বাইরে আর কারও ঠাঁই হয়নি । মৃত্যুর পরেও সুসভ্য ব্রিটিশ সমাজে সামাজিক অবস্থান প্রদর্শনের ইচ্ছা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত প্রবল ছিল , এ কথাটা বুঝতে অসুবিধে হয়না । ভগবানের বাড়িতেও ফার্স্ট ক্লাস – সেকেন্ড ক্লাস ! গির্জার ভেতরটা অলঙ্করণে দেখার মত । যিশুর মূর্তির পাশেই লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘দ্য লাস্ট সাপার’- এর একটি অসাধারণ প্রতিরূপ আছে । তৈলচিত্রটি মনে রাখার মত । চোখ আটকে যায় গোটা হল জুড়ে রঙিন কাচের কাজেও । বাইরে থেকে আসা আলোয় রঙিন কাচের ওপর ক্রুশবিদ্ধ যিশুর ছবি দর্শককে যেন বাইরের সদাব্যস্ত মহানগর থেকে দূরে কোনও অচেনা আনন্দলোকে নিয়ে যায় । দৃষ্টিনন্দন শার্সির থেকে ভিতরে চোখ ফেরালে বহু পুরনো, একটি বৃহদাকার বাইবেল দেখা যায় । পাতাগুলো খোলা , যেন কেউ পড়তে পড়তে  এইমাত্র উঠে গেছে । কনফেশন বক্সের কাছে দু’টি সোনালি দেবদূতের মূর্তি আছে । এতটাই জীবন্ত , যে মনে হয় এখনই ডানা মেলে উড়ে যাবে । প্রার্থনাকক্ষ সংলগ্ন একটা ছোট ঘরে ঢুকেই চমকে গেলাম ! কাচের শো- কেসের মধ্যে রাখা      ওয়ারেন হেস্টিংসের চেয়ার । গদির জরাজীর্ণ অবস্থা , তবু কেন যেন অদ্ভুত রোমাঞ্চ হচ্ছিল । এই ঘরেই রাখা আছে বুক সমান সেকেলে বাতিদান , আছে সুদৃশ্য কাঠের ফ্রেমে হেস্টিংসের টেবল ক্লক । আছে  প্রাচীন কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলের পেন্সিল স্কেচ , তৈলচিত্র , ব্রিটিশ রাজপুরুষদের প্রতিকৃতি । কৌতূহল বাড়ায় বহু পুরনো সিন্দুক , সুন্দর কারুকাজ করা কাঠের স্ট্যান্ড থেকে ঝোলানো হ্যাঙ্গার । একটি সমাধিফলকে খুঁজে পেলাম --- ‘INDOSTAN’ শব্দটি । এক ইংরেজি শিক্ষক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করায় সে বলল , সে সময়ে এই ধরণের ফলকগুলি লেখা হত মূলত ল্যাটিনে এবং দৈনন্দিন জীবনে এই ধরণের বহু মিশ্র শব্দ ব্যবহারের দৃষ্টান্ত ইতিহাসে আছে । এক্ষেত্রে যেমন INDIA আর HINDUSTAN – এর মিলিত রূপ এই শব্দটি । চার্চ থেকে বেরিয়ে , ওই ফুটপাত ধরে হেঁটে আসার সময় চোখে পড়ল , প্রাচীন স্থাপত্যরীতিতে তৈরি একটি বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাড়ির গায়ে লেখা --- ‘ওয়েলেসলি প্লেস’ । সাহেব – বিবি – গোলামের কলকাতা দেখার একটা ছোট্ট বৃত্ত সম্পূর্ণ হল যেন !
























































Job Charnock's Mausoleum

warren hastings ghost



ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example




কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...