সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

বাবার ডায়েরি থেকে

"মানুষের মরণ আমাকে বড় আঘাত করেনা , করে মনুষ্যত্বের মরণ দেখিলে । এ যেন আমি সহিতেই পারি না ।"


------ শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , দশম অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/blog-post_30.html




Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay


রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

পিছুটান

নিয়তি বোধহয় একেই বলে । আজ যেন সৌগতর সঙ্গে দেখা হওয়ারই ছিল , দার্জিলিং মেলের বার্থে বসে ভাবছিলেন ষাটোর্ধ্ব  সুরঙ্গনা । সেই কলেজ জীবনের মত এখনও সৌগতকে দেখলেই বুকের রক্ত চলকে ওঠে , স্থির রাখতে পারেননা নিজেকে । আজই যেমন ভরা কামরায় সৌগতকে দেখে অষ্টাদশীর মত আনন্দে নেচে উঠেছিলেন , কী করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না । সৌগতর সঙ্গে আছে অনিন্দ্য , বাবার সাথে কলকাতার বড় কলেজে যাচ্ছে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে । আজকালকার ছেলেগুলো বড্ড ডেঁপো , কেমন সব বুঝে গেছি টাইপের হাসি ঠোঁটে টেনে রেখেছিল সুরঙ্গনার ছটফটানি দেখে । ও কি কিছু জানে ? কারও কাছ থেকে কিছু শুনেছে ? হতেও পারে । বড় হয়েছে , জানতেও পারে সৌগত- সুরঙ্গনার উথালপাথাল প্রেমের কথা । এই বয়েসে চিত্তদৌর্বল্য কী ভীমরতির লক্ষণ ? না । মানুষের মন স্বাভাবিক ভাবেই বহুগামী হয় , জানেন সুরঙ্গনা । ক'টা প্রণয়ের সম্পর্ক আর পরিণয়ের দিকে এগিয়ে যায় ! আজ থেকে দুই কুড়ি বছর আগেও ওঁদের কলেজের সহপাঠীরা জানত যে সৌগত আর সুরঙ্গনার বিয়েটা শুধু সময়ের অপেক্ষা । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ওদের দু'জনেরই বন্ধু বিজয় গিয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে সৌগতর মায়ের কাছে ওদের বিয়ের কথাটা পাড়তে । সম্ভাবনাটাকে এককথায় নাকচ করে দিয়েছিলেন কাকীমা , জাতপাতের কথা তুলে । এদিকে সৌগত মাতৃঅন্তপ্রাণ , কিছুতেই মায়ের বিরুদ্ধাচরণ করবে না । ফলে সুরঙ্গনার আর সৌগতর ঘরণী হওয়া হল না , কিন্তু দুর্বলতাটা রয়ে গেল । বিজয় আগে থেকেই সুরঙ্গনার প্রতি অনুরক্ত ছিল । এই ঘটনার পর , বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেরী করেনি । বিজয় - সুরঙ্গনার একমাত্র মেয়ে নবনীতা এখন পড়ছে যাদবপুরে । 

সৌগতর সঙ্গে আর দেখা না হলেই ভাল হত , পুরনো ক্ষত খুঁচিয়ে তুলে কী লাভ ? কিন্তু, এই যে জীবনসায়াহ্নে অন্যরূপে , পরিণত রূপে দেখা হওয়া , জীবনে সঞ্চয়ের খাতায় এইটুকু লিখে রাখলেই বা ক্ষতি কী ?  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/09/%20pub-9792609886530610_25.html







বাবার ডায়েরি থেকে

"একের মর্মান্তিক দুঃখ যখন অপরের কাছে উপহাসের বস্তু হইয়া দাঁড়ায় , তাহার চেয়ে ট্র্যাজেডি পৃথিবীতে আর আছে কি !" 

   ----------- শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , দশম অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।   

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/blog-post.html





Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay


বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০

মনুষ্যেতর' শব্দটি কি ভুল ?

আজ রাস্তায় একটা মর্মস্পর্শী দৃশ্য চোখে পড়ল । রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে  পুরসভার একটা ANIMAL MORTUARY VAN । আর তার পেছন পেছন ছুটছে সরবে , অন্তত দশ থেকে বারোটা রাস্তার কুকুর । 'বল হরি' বলছিল কি ? আমি বুঝতে পারিনি ওদের ভাষা । তবে এটুকু বুঝেছি ওদের কোনও নিকটাত্মীয় মারা গেছে । অথবা একই পাড়ার কুকুর । আগে - পরে খেয়াল করেছি, এমনটা প্রায়ই হয় । মানুষের ক্ষেত্রে শববাহী শকট হয় স্বচ্ছ , মৃতদেহ দেখা যায় বাইরে থেকে । অনেকে তা দেখে ঘন ঘন কপালে-বুকে ডানহাতের তর্জনী ছোঁয়ান । কিন্তু মানুষের চেয়ে ইতর প্রাণী যারা, তাদের দেহবাহী গাড়ি তো আগাগোড়া ঢাকা থাকে , তাহলে কুকুরেরা বোঝে কী করে স্বজাতির কেউ মারা গেছে ? নিশ্চয়ই গন্ধে । কুকুরের ঘ্রাণশক্তি এবং স্মৃতিশক্তির কথা তো সর্বজনবিদিত । সম্প্রতি রাজ্যে প্রাণীদেহ দাহ করার আলাদা শ্মশান হয়েছে , গোর দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে । সাধারণ কুকুরেরা কী সেই খবর জানে এবং শ্মশানযাত্রী হয় ? কে না জানে --- রাজদ্বারে-শ্মশানে চ য তিষ্ঠত স বান্ধব । মানুষ প্রভু মারা গেলে কুকুরকে কাঁদতে দেখেছি, গরুর কাঁদার গল্প শুনেছি, আর কুকুর মারা গেলে কুকুর কাঁদবে না , তাও কী হয় ? আসলে ইতরদের কান্নার ভাষা আমরা বুঝি না , চেষ্টাও করিনা ।  মনে পড়ল কয়েকদিন আগে ব্যারাকপুরে তথাকথিত সমাজ পরিত্যক্ত একজন পরিচিত মারা গেছেন । আমরা একসময়ে তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতাম । ওই ভদ্রলোকের জ্ঞাতি এবং এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এক ডাক্তারবাবু , যিনি শহরের একজন পুরনো বাসিন্দাও বটে , নিজে উদ্যোগী হয়ে ডাকাডাকি করেও রাতে শ্মশানযাত্রী হওয়ার জন্য তিন - চারজনের বেশি লোক পাননি । আবার আজ, স্টেশনে ঢোকার পথে দেখলাম একজন ট্রেনে কাটা পড়েছেন । মাঝেমধ্যেই পড়েন । পুলিশ-ডোম ঘিরে রয়েছে দেহটিকে । পুলিশ আধিকারিক দেহের উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন । ওঁদের তো এসব গাসওয়া , তবুও দেখে মনে হল, ওঁর ভেতরে কোথাও একটা অস্বস্তি কাজ করছে । আর দেখলাম কিছু অপেক্ষমাণ যাত্রী খুব আগ্রহ নিয়ে কাজটা দেখছেন, মধুর ওপরে পিঁপড়ে জমা হওয়ার মত করে , ঠিক যেমনটা দেখেন এসব ক্ষেত্রে । আচ্ছা, একটা কাটা পড়া মানুষের দেহ বিন্যস্ত করার প্রক্রিয়া ঠিক কতখানি দর্শনীয় হতে পারে ? সিগমুন্ড ফ্রয়েড বেঁচে থাকলে হয়ত এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন । বীভৎসতার প্রতি আগ্রহ-নির্মমতা বোধহয় মানুষের সহজাত । অবচেতনে সুপ্ত অবস্থায় থাকে , আর সুযোগ পেলে জেগে ওঠে ।  মানুষ নাকি বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন সামাজিক জীব ! কুকুর আর মানুষের সমাজের মধ্যে ফারাকটা দেখে ওদের মনুষ্যেতর বলতে লজ্জা হয় । ইতর কারা ? বিচার করে কে ?   

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/%20pub-9792609886530610_61.html


মনুষ্যেতর শব্দটি কি ঠিক ?




ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example



বাবার ডায়েরি থেকে

"ঐশ্বর্যের ক্ষমতা জিনিসটা এতই বিশ্রী যে সেটা পরের ধার করা হইলেও তাহার অপব্যবহারের প্রলোভন মানুষে সহজে কাটাইয়া উঠিতে পারেনা ।"


----- শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , নবম অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।

  https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/blog-post_30.html




Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay


বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

আমার কলকাতা

            সাবেক কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা দেখা আমার বহুদিনের ইচ্ছে ! এমন অদ্ভুত ইচ্ছের কারণ কী ? কাগজে পড়েছি সেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি কলকাতার ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি । ফলে সেই আমলে তৈরি ভূগর্ভস্থ দেওয়ালগুলিই এখনও বিরাট নালার কাজ করে মহানগরে । সেই দেওয়ালগুলোর চেহারা দেখা আমার বহুদিনের সাধ । এমনিতে উপায় নেই , এই সুযোগ একমাত্র মিলতে পারে ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা হলে । একদিন আচমকাই চাঁদনি চকের কাছে সেই সুযোগ হল । ম্যানহোলে নেমে কাজ করছিলেন পুরকর্মীরা । আমি উঁকি মেরে যতটা সম্ভব খুঁটিয়ে দেখছিলাম । উপরে যে সব পুরকর্মী দাঁড়িয়েছিলেন , তাঁদের একজন হঠাৎ আমাকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে অস্ফুটে বললেন ---- "সরি ।" খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই বললেন ---- "বিষাক্ত গ্যাসে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন ।" কিন্তু 'সরি' কেন ? উনি আমাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন তাই । ওঁর সৌজন্যবোধ আর উপস্থিত বুদ্ধি সেদিন লজ্জা দিয়েছিল আমায় । 


          ষোল বছর পার করেও কলকাতা আমার কাছে এখনও অচেনা । খুব চেনা রুট না হলে সাধারণত কন্ডাক্টরকে গন্তব্য জানিয়ে ডেকে দিতে বলি । সেদিন নামব ই. এম. বাইপাসে , ধাপার মাঠের কাছে । গন্তব্য আসার পর কন্ডাক্টর ডেকে তো দিলেনই , নেমে যাওয়ার পরে বললেন ---- "সাবধানে রাস্তা পার হবেন ।" শুধু এই একটি বাক্য খরচ করে উনি আমার মনের মণিকোঠায় স্থায়ী জায়গা দখল করে নিয়েছেন । 


         কলকাতার বন্ধুরা হাত ধরে চিনিয়েছিল ধর্মতলায় ডেকার্স লেনের 'চিত্তবাবুর দোকান' --- অফিস পাড়ার বাবুদের টিফিন করার খুব প্রিয় জায়গা । এখানে বিশেষ করে চোখে পড়ে কলকাতা হাইকোর্টের উকিলদের । খানদানি চায়ের কাপ - পেয়ালা , খাবার প্লেট তো আছেই , এই দোকানের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গেলে , বলতেই হয় ওঁদের বিরাট উঁচু কাঠের টুলটার কথা , যেটার উপর দোকানের মালিক বসে থাকেন । কাগজে ওঁদের বিরাট সুনামের কথা পড়েছি । সেটা কেন , বুঝলাম একদিন বৈকালীন জলযোগ সারতে গিয়ে । সেদিন দোকানের সামনে বসার জায়গায় তিল ধারণের জায়গা নেই । আমি, সত্যি কথা বলতে কী , কাঁধের ব্যাগ আর হাতের প্লেট সামলে , কিছুতেই মানিব্যাগটা ম্যানেজ করতে পারছিলাম না । হঠাৎ টুলের উপর থেকে দোকানের মালিক বাড়ির বড়দের মত শাসনের সুরে বললেন ---- "আঃ । অত তাড়ার কী আছে ! খেয়ে নিন আগে । পরে টাকা দেবেন ।" চিকেন স্টুটা কেন যেন অমৃত মনে হচ্ছিল সেদিন ।  জলপাইগুড়ি থেকে এসে পড়েছি এমন এক জনসমদ্রের কাছে , যেখানে আমাকে কেউ চেনে না । একটা দুর্ঘটনা ঘটলেও বাড়িতে খবর পৌঁছতে অন্তত ছয়- সাত ঘণ্টা সময় লাগবে । প্রথম প্রথম তাই বড্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম । এরকম আন্তরিক ব্যবহার পেতে পেতে , এখন একটু বুকে বল পাই । কবীর সুমন বোধহয় আমাদের মত মানুষদের কথা ভেবেই লিখেছিলেন ----- "লোকটা দেখল ঠিক দু'তিনটে হাত যায় জুটে ।"   

         অসংখ্য গল্প আছে । কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি ! ২০১২ সাল । জুলাই মাস । বাবা ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি । পরপর রাত জাগা চলছে । একদিন সকালে জরুরি কাজে ভাইকে হাসপাতালে রেখে লোকাল ট্রেনে ফিরে আসছি ব্যারাকপুরে । ট্রেনে ওঠার পর থেকে মাথাটা ঘুরছিলই , সোদপুরের কাছাকাছি এসে হঠাৎ ভীষণ বমি পেল । টলতে টলতে দরজার কাছে গিয়ে হাতলটা কোনওমতে ধরে বাইরে ঝুঁকে পড়লাম । অপ্রত্যাশিত ভাবে এক জোড়া হাত নেমে এল আমার কাঁধে । পিছনে তাকিয়ে দেখি , আমারই বয়সী এক ভদ্রলোক বলছেন --- বসে পড়ুন , নইলে পড়ে যাবেন । নিজেকে সামলে সিটে এসে গা এলিয়ে দিলাম । উনি হাত ধরে ব্যারাকপুরে আমাকে নামিয়ে দিলেন । বাড়িতে এসে ওষুধ খেয়ে একটু সুস্থ বোধ করার পর খেয়াল হল, ওঁকে একটা ধন্যবাদও জানানো হয়নি , উনি হারিয়ে গেছেন শহরতলির জনারণ্যে । 

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/%20pub-9792609886530610_16.html



কলকাতা , তুমিও হেঁটে দেখ ক-ল-কা-তা...





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example

বাবার ডায়েরি থেকে

স্নেহের গভীরতা কিছুতেই কালের স্বল্পতা দিয়ে মাপা যায় না ।"


---- শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , চতুর্থ অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/blog-post_27.html




Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay



মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

করোনাসুর বধ ! জয় দুর্গা মাউস ক্লিক ।

 

www.httpssankhamanigoswami.xyz




করোনা ও দুর্গাপূজা

corona durga drawing

corona and durga puja





অসংরক্ষিত

  এই ফেসবুক - হোয়াটস অ্যাপের যুগে আমি অনেক স্মার্ট হয়ে গেছি ! টুক করে ছবি তুলে টাক করে ফেসবুকে তুলে দিই , অনেক লোক দেখতে পায় । পছন্দ এবং অপছন্দ করে । লকডাউন চলাকালীন এই প্রবণতা বেড়েছে । অনেক প্রতিভার স্ফুরণ হচ্ছে । জানতে পারছি গোমড়াথেরিয়াম দাদাটি দুর্দান্ত স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান । যে মেয়ে জিন্স-টপ ছাড়া পরে না , সে দারুণ রবীন্দ্রসঙ্গীত গায় ওই পোশাকেই । কিন্তু এমনও তো সময় ছিল যখন খ্যাতি(এবং কুখ্যাতি) পাওয়া এত সহজ ছিল না । কেউ হয়ত ভাল সেতার বাজাতেন , কেউ সুন্দর গান করতেন , কিন্তু নিজেকে প্রকাশ করবার উপযুক্ত মঞ্চ পাননি । এমন অনেকেই আছেন আমাদের পরিবারে । স্মৃতি থেকে আমি সেই সময়ে দু'টি ঘটনা বলি । সুহৃদ লেন কালীবাড়ির পাশে , আমাদের খেলার মাঠে সরস্বতী পুজো হত । সেবার মূর্তি গড়ার দায়িত্ব পেলেন শিল্পী অশোকদা (সমাদ্দার) । মূর্তি তৈরি হবে কাগজের মণ্ড দিয়ে , এবং মূর্তি তৈরি হবে আমাদের সামনেই । এই কথাটা গুরুত্বপূর্ণ , কারণ খুব ছোটতে দুরন্তপনার জন্য আমাদের মাটির মূর্তি তৈরির স্টুডিওয় ঢুকতে দেওয়া হত না । অশোকদা সকাল - বিকেলে সুবিধেমত আসতেন আর আমাদের মত কচিকাঁচাদের নির্দেশ দিতেন যার বাড়িতে যত খবরের কাগজ আছে , সব নিয়ে আসতে । তখন জলপাইগুড়িতে কাগজ আসত পরের দিন । অতিউৎসাহে দু'একদিন সেদিনের কাগজও অশোকদার হাতে তুলে দিয়ে বাড়িতে বকা খেয়েছি । আমি - ভোলা এবং অন্যান্যরা সেইসব কাগজ কুচি কুচি করে ছিঁড়ে জলভরা বালতির মধ্যে চুবিয়ে রাখতাম । এক-দু'দিনের সেই নরম কাগজের সাথে ফেভিকল মিশিয়ে অশোকদা মণ্ড তৈরি করতেন । আসল কাজ তার পরে । বেশি দেরী করলে মণ্ড আঠায় শক্ত হয়ে যাবে বলে অশোকদা দ্রুত , দক্ষ হাতে বাঁশের কাঠামোর ওপর পরতে পরতে মণ্ড চড়াতেন । হাতের নিখুঁত চাপে তৈরি হত অবয়ব । এইভাবে শুধু মণ্ড দিয়ে আমাদের চোখের সামনে এক দুর্দান্ত সরস্বতী মূর্তি তৈরি হল । একেবারে জ্যান্ত যেন । মৃন্ময়ী(?) দেবীকে চিন্ময়ী করে তুলতে অশোকদা মূর্তিতে সোনালি রঙ করলেন । সবমিলিয়ে সে এক দেখার মত ভাস্কর্য তৈরি হল । খুব সকাল আর সন্ধ্যা নামার আগে হালকা কুয়াশার মধ্যে সে অনুপম সৃষ্টির সাক্ষী হতে পারা আমার জীবনের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা । গোটা পাড়া টিউবলাইট দিয়ে সাজানো হয়েছিল , শহর ভেঙে পড়েছিল আমাদের পাড়ার ঠাকুর দেখতে । ছোট ছিলাম , তাই সেই মূর্তির কী হল , জানিনা এখনও । কিন্তু বারবার মনে হয় , আর দশজনকে যদি ডেকে দেখাতে পারতাম । এ জিনিস দেখাও বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার । 


যদি খুব ভুল না করি , সে বছরই মুক্তি পেয়েছে শ্যাম বেনেগালের ছবি ---- 'সুরজ কে সাতওয়াঁ ঘোড়া' । সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই বাবার সহকর্মী , আমার আঁকার শিক্ষক অখিল স্যার প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে তৈরি করলেন সূর্যের সাতটি ঘোড়া । একেবারে জীবন্ত । যেন চোখের সামনে সূর্যের রথ টেনে নিয়ে চলেছে সাতটি সাদা ঘোড়া । দিশারী ক্লাবের দুর্গা পুজোর সেবার মূল আকর্ষণই হল সেই ভাস্কর্য । 

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/%20pub-9792609886530610_44.html



picture courtesy: ANANDABAZAR PATRIKA 






ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


বাবার ডায়েরি থেকে

"মানুষের কর্মই কেবল অস্পৃশ্য ও অশূচি হয়  , মানুষ হয় না ।" 


----- শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , চতুর্থ অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । 






Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay


কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...