বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১

কলকাতায় জলপাইগুড়ি

বেশ কয়েকবার খুব চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হয়েছে । আপাতত দু'টো ঘটনা বলি । যাদবপুরে আমাদের টি ভি সাংবাদিকতার ক্লাস নিতেন (২০০৫ সালে) কলকাতা দূরদর্শনের বার্তা সম্পাদক স্নেহাশিস শূর । সেদিন ওঁর প্রথম ক্লাস । আলাপ - পরিচয় পর্ব চলছে । ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে উঠে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছি । আমার বাড়ি(তখনও) জলপাইগুড়ি শুনে থমকে গেলেন ।

--- জলপাইগুড়ি , মানে জলপাইগুড়ি টাউন ? --- হ্যাঁ স্যর । --- কোথায় বাড়ি ? --- শান্তিপাড়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে । --- শান্তি পাড়া বাস ডিপোর পাশে অনেক পাড়া । তোমার বাড়ি কোথায় ? (একটু অধৈর্য হয়ে ) এবার আমার অবাক হওয়ার পালা । কথা হচ্ছে কলকাতায় বসে , কথা বলছি বিখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে । জলপাইগুড়ি শহর চিনতেই পারেন , কিন্তু এতো খুঁটিয়ে প্রশ্ন করার অর্থ খুব ভাল ভাবে শহরটাকে চেনেন , হাতের তালুর মত , কিন্তু কীভাবে ? যাইহোক উত্তর দিলাম --- ডঃ অনুপম সেন... ---হুম... --- ওনার ডিসপেনসারির উল্টোদিকের পাড়ায় । শিল্পসমিতি পাড়ায় । সুহৃদ লেনে । --- সে তো শান্তি পাড়ার অনেক আগে ! আচ্ছা , তোমাদের পাড়ার মোড়ে একটা বড় দুর্গা পুজো হয় কি ? --- দিশারী ক্লাব । না স্যর , ওটার দু'টো রাস্তা আগে । --- আআআআচ্ছা । বুঝলাম । বসো । বসবো কী , আমার তখন হতভম্ব অবস্থা ! পরে, আমাদের পাশের বাড়ির মাসির কাছ থেকে শুনলাম , ওনার দিদি জলপাইগুড়িতে থাকতেন । কিন্তু সেই মুহূর্তে এমন ভাবে কথা বলছিলেন , যেন নিয়মিত যাতায়াত করেন । পরে জিজ্ঞেস করে জেনেছি , আদৌ তা নয় । প্রসঙ্গত , আমাদের জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসার প্রায় সতেরো বছর হতে চলল! এখানে , মানে ব্যারাকপুরে মাঝেমধ্যেই অ্যাটেস্ট করাতে যেতে হত প্রশাসনিক ভবনে , ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরেটের কাছে । মোট ছ'জন আছেন বোধহয় । যাইহোক , একজনের ঘরে ঢুকেছি । তিনি সই করে আমাকে বসতে বললেন । ইতিমধ্যেই আমার মার্কশিট , সার্টিফিকেট দেখে জেনেছেন , যে আমার পড়াশোনা জলপাইগুড়িতে । ততদিন অব্দি বাড়িটাও ছিল আমাদের । উনি একসময়ে জলপাইগুড়িতে পোস্টেড ছিলেন । অবসর গ্রহণের পরে বাকি জীবনটা ওখানেই কাটানোর ইচ্ছে । ভালবেসে ফেলেছেন শহরটাকে । নাটক দেখতেন নিয়মিত । জেনে , দারুণ লেগেছিল । লোকে বলে , কলকাতা হল যৌবনের বৃন্দাবন, আর জলপাইগুড়ি বার্ধক্যের বারানসী । কেন বলে , সেদিন আরেকবার বুঝলাম !


কলকাতায় জলপাইগুড়ি




জলপাইগুড়ি লোকাল খবর আজকের


জলপাইগুড়ি শহর


জলপাইগুড়ি শহরের খবর

জলপাইগুড়ি শহরের ইতিহাস

জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ি জেলা

জলপাইগুড়ি লোকাল খবর




মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

Congress nominated candidate from Jalpaiguri Dr. Sukhabilas Barma sings ...





ভাওয়াইয়া গান বাংলা,ভাওয়াইয়া গান নতুন,ভাওয়াইয়া গান রাজবংশী,ভাওয়াইয়া গান ভিডিও,ভাওয়াইয়া গান রংপুর,"Dr. Sukhbilas Barma","Musical artist",https://g.co/kgs/hSyqXt,"dr. sukhbilas barma","Bhawaiya",https://g.co/kgs/SBw6Ka,"ভাওয়াইয়া সং","ভাওয়াইয়া গানের লিরিক্স","ভাওয়াইয়া সঙ্গীত","কোচবিহারের ভাওয়াইয়া গান","উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া গান",Dr. Sukhabilas Barma sings,Bhawaiya in Barrackpore

The campaign for the 2021 Assembly elections in Barrackpore saw impeccab...




raj chakraborty tmc,রাজ চক্রবর্তী ভোট প্রচার,Raju Chakraborty Indian film director,https://g.co/kgs/Mz8hWj,রাজ চক্রবর্তী,raj chakraborty,raj chakraborty first wife,raj chakraborty baby,raj chakraborty movie,raj chakraborty song,raj chakraborty lifestyle,raj chakraborty interview,raj chakraborty house,raj chakraborty new movie,raj chakraborty halisahar house,raj chakraborty family,raj chakraborty entertainment

রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

Trinamool Congress nominee Raj Chakraborty in the campaign for Assembly ...






raj chakraborty tmc,রাজ চক্রবর্তী ভোট প্রচার,Raju Chakraborty Indian film director,https://g.co/kgs/Mz8hWj,রাজ চক্রবর্তী,raj chakraborty,raj chakraborty first wife,raj chakraborty baby,raj chakraborty movie,raj chakraborty song,raj chakraborty lifestyle,raj chakraborty interview,raj chakraborty house,raj chakraborty new movie,raj chakraborty halisahar house,raj chakraborty family,raj chakraborty entertainment

শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

ভোটে নৈকট্য ২০২১!

চিত্রতারকা ভোট প্রার্থী এসেছেন পাড়ায় । ভোটের কথা মাথায় উঠেছে । তারকার সাথে সবাই নিজস্বী তুলতে চায় । তেমনই এক ষোড়শী পুরুষ প্রার্থীর গা ঘেঁষে দাঁড়ালো সেলফি তুলবে বলে , স্বাভাবিক সঙ্কোচে একটু দূরত্ব বজায় রেখে , গায়ে গা না ঠেকিয়ে । পাশে , মা - কাকীমার বয়সের একজন মহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন । তিনি মুখ টিপে হেসে, চাপা গলায় বললেন --- "আরে যা না , আরেকটু কাছে" , বলে মেয়েটিকে তারকার দিকে ঠেলে দিলেন ! তারকা হওয়ার কত সুবিধা ! কাকীমারা পর্যন্ত নৈকট্যে বাধা হয়ে দাঁড়ান না ! একেবারে স্বপন বসুর 'নন্দলাল - দেবদুলাল' গানটির লাইন যেন চোখের সামনে --- "মন্ত্রী বা এম এল এ হলে , সব কলঙ্ক যাবে চলে / জয় কালী , জয় কালী বলে দাও ঝুলিয়ে , দাও ঝুলিয়ে !"

দৃশ্যটা দেখে একটা অভিজ্ঞতা মনে পড়লো । একটি কাগজ থেকে আমাকে একটি ফ্যাশন ইন্সটিটিউটের একটি অনুষ্ঠান কভার করতে পাঠানো হয়েছিল । আমি আসনে বসে অনুষ্ঠান দেখছি , হঠাৎ এক সুন্দরী তন্বী আমার পাশে এসে বসলেন । বুঝলাম , মিডিয়ার ব্যাপারটা উনিই সামলাচ্ছেন । সামলাতেই পারেন , কিন্তু নিজে বেশ বেসামাল হয়ে পড়ছিলেন , প্রথমে গা ঘেঁষে কথা বলা(ভালই লাগছিল), তারপর প্রায় কোলে চড়ার উপক্রম । বক্তব্য একটাই , রিভিউটা যেন বে-শ ব-ড় করে বের হয় ! যত বলি , সেটা আমার ওপর নির্ভর করে না , লেখা জমা দিয়েই আমার কাজ শেষ , তিনি সে কথা মানবেনই না । আমি যেন বিরাট কেউকেটা(কাজ হাসিল করার জন্য কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল দাওয়া , রিভিউ বেরোবার পরে দেখা হলে আর চিনবেনই না ! এই ধরণের মানুষদের অল্পবিস্তর চিনি অনেকদিন থেকে ) । প্রভাবিত করার রাস্তাটি বুঝে খুব বিরক্ত লেগেছিল । পরে বেরোনোর সময় সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আরেক দফা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । আমি আবার মেয়েদের সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারটা একেবারে মেনে নিতে পারিনা । চোখে লাগে । চোখ অভ্যস্ত নয় বলেই । জলপাইগুড়িতে পঁচিশ বছর কাটিয়েছি । কোনওদিন কোনও বান্ধবী সিগারেট খায়নি । বিরক্তিটা তাই আরও প্রবল হল । ঠিক করলাম , ফিরে গিয়ে অফিসকে ঘটনাটা জানাবো । এমন ঘটনা তো বড়দের বলা যায়না চট করে । তাই আমার প্রায় সমবয়সী এক বিখ্যাত সাংবাদিককে ঘটনাটা বললাম । বিরক্তিও গোপন করলাম না । কিমাশ্চর্যম অতঃপরম, সে সব শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো ! তারপর , কিছুক্ষণ বাদে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললো , তোমার যেটা মনে হয় , সেটাই লিখবে । লিখেওছিলাম ! সে গল্প আরেকদিন !



দিনলিপি

দিনলিপি লিখন

দিনলিপি কি


দিনলিপি রচনা

দিনলিপি মানে কি

দিনলিপি কাকে বলে


দিনলিপি অর্থ







শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১

জীবন যেমন

২০১১ সাল । একটা এস এম এস প্রতিযোগিতায় জিতে এ বি পি আনন্দের এক তর্কযুদ্ধের আসরে গিয়েছি । আমন্ত্রণ পত্রের নীচেই লেখা , শেষে 'হাই টি'-এর আয়োজন আছে । কথাটার মানে জানতাম না , বাবার কাছ থেকে জেনে নিলাম । প্রসঙ্গত , আমি অভিধান দেখা শুরু করেছি বাবা গত হওয়ার পরে । যাইহোক , অনুষ্ঠানে তাবড় তাবড় সব বক্তা ছিলেন । তালিকা দিয়ে লেখা দীর্ঘায়িত করতে চাইনা । ওঁদের তো টিভিতে দেখিই । আমি আমার চারপাশটা ভালভাবে দেখছিলাম । অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের 'দ্য পার্ক' হোটেলের প্রেক্ষাগৃহ 'গ্যালাক্সিতে' । সত্যিই সেদিন নক্ষত্র সমাবেশ হয়েছিল ওখানে । পাশেই 'ট্রিঙ্কা'জ' । ঊষা উথথুপের উত্থান এখান থেকেই , কাগজে পড়েছিলাম । 'দ্য পার্ক'- এ ক'টা তারা ? আমার জানা নেই । জানার আগ্রহও নেই । তবে কাচের দরজার সামনে দাঁড়ালে স্বয়ংক্রিয় দরজা আপনিই খুলে যায় , বেসিনের কলের তলায় হাত রাখলে জল পড়ে , হাত সরালে জল পড়া বন্ধ হয়ে যায় । হাত শুকানোর জন্য রুমাল বের করার দরকার হয়না , একটা মেশিনের নীচে হাত পাতলে , হাত নিজেই শুকিয়ে যায় , কিন্তু কষ্ট করে হাতটা পাততে হয় ! আমার কাছে সম্পূর্ণ এক নতুন জগৎ । এসব দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে । এ বি পি আনন্দের গেস্ট , ঘ্যাম ব্যাপার । অবশ্য শুধু আমি নই , আরও অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন । প্রেক্ষাগৃহে আমাদের বসার জায়গার বাঁদিকে টি ভি চ্যানেলের যন্ত্রের সারি বা প্যানেল । উপর থেকে ছবি নেওয়ার জন্য ছোট ক্রেন । আমি যে টেবিলে বসেছি , তারই একদিকে বসেছেন শাঁওলি মিত্র । প্যানেলের পিছন দিকে , হাতে স্ক্রিপ্ট নিয়ে, খুব টেনশনে ভোগা ছাত্রের মত চিন্তিত মুখে পায়চারি করছেন সুমন দে । এই অবস্থাটা আমার খুব চেনা , কারণ ছোটবেলায় এবং বড়বেলায় আমি পড়া মুখস্থ করতে হলে এভাবেই করি , এবং আরও অনেককে জানি যাঁদের একই অভ্যেস । কিছুক্ষণ পরে সুমন আসনে এসে বসলেন । অতিথিদের সাথে কথা বলছেন , কিন্তু চোখেমুখে টেনশনের ছাপ স্পষ্ট পড়া যায় । হঠাৎ আমাদের পিছন দিক থেকে অনুষ্ঠান পরিচালকের গলা ভেসে এল মাইক্রোফোনে । প্রথম নির্দেশ দর্শকদের প্রতি --- অনুষ্ঠান চলাকালীন আপনারা উঠবেন না বা হাঁটাহাঁটি করবেন না । তার পরের কথাটা সুমন দে-কে উদ্দেশ্য করে বলা ---- সুমন রেডি ? এবার যাব । সুমন অস্ফুটে উত্তর দিলেন --- রেডি । তারপর স্টার্ট সাউন্ড , রোল ক্যামেরা ... ফাইভ , ফোর , থ্রি , টু , ওয়ান ... তারপর ঠিক দশ সেকেন্ড মত বিরতি দিয়ে সুমন সহাস্যে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন -- নমস্কার , আমি ... ... ... । মুখে টেনশনের চিহ্নমাত্র নেই । এই সুইচ অফ আর অনটা উনি কী করে করলেন , আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি ।

অনুষ্ঠান শেষে আমাদের 'সামান্য' আপ্যায়নের আয়োজন । দামি ডিশ -কাঁটা-চামচ । কাঁটা-চামচ সামলাবার চেষ্টাই করিনা কোনওদিন । যে যাই করুক , আমার দক্ষিণ হস্তের উপরেই খাওয়ার ব্যাপারটা ছেড়ে দিই । দেখলাম একজন চামচ দিয়ে আলু ভাঙতে যাওয়ায় , আলু ছিটকে পড়ল দামি কার্পেটে । মনে আরও একটু বল পেলাম । বুফে সিস্টেমে খাওয়ার ব্যবস্থায় সম্ভবত মোট চব্বিশ রকম পদ ছিল সেদিন । বিখ্যাত মানুষদের কেউই কিচ্ছু খেলেন না , একজন ছাড়া --- সুগত মারজিত । উনি নামী অধ্যাপক , কলাম লেখক , শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গায়ক জানতাম , । জানা ছিল না , উনি খুব খাদ্যরসিকও । সেদিন দু'জন মাত্র , স-ব পদ্গুলি এক হাতা করে চেখে দেখেছিল । প্রথমজন উনি , দ্বিতীয় আমি । আক্ষরিক অর্থেই সেদিন ওনাকে আমি অনুসরণ এবং অনুকরণ করছিলাম । কিছু পদের নাম আমি সেদিনই প্রথম শুনেছিলাম । যেমন -- আর্জেন্টিনার বিখ্যাত চিকেন স্যালাড । আমি তো সাধারণ স্যালাডের মধ্যে সিদ্ধ করা মাংসের লম্বা লম্বা টুকরো ছাড়া আর কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি । তবে হ্যাঁ , দ্য পার্কের রাঁধুনি বড় ভাল রাঁধে , তাই খাওয়াটা কিঞ্চিৎ বেশি হয়ে গিয়েছিল । তারপর আরেক টেবিলের আয়োজনও ছিল ! এবার ছোট্ট করে একটা চেনা গল্প বলি । একবার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এসে এক ভক্ত বললেন , ওই জায়গায় খুব বড় সঙ্গীতানুষ্ঠান হচ্ছে । এক ওস্তাদ আসবেন , তিনি বড় ভাল গান । কথাসাহিত্যিকের প্রশ্ন ছিল ---- তোমার ওস্তাদ থামতে জানে তো ? শেষ করলাম , কেমন !
sankhamanigoswami.blogspot.com

এ বি পি আনন্দ খবর



এ বি পি আনন্দ বাংলা খবর


এ বি পি আনন্দ আজকের খবর


এ বি পি আনন্দ লাইভ


এ বি পি আনন্দ খবর লাইভ






বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

After a busy day in the hot summer, drinking a glass of yoghurt before s...





"yoghurt","lassi","https://g.co/kgs/wRMjF4","Salted lassi","sweet lassi","salted lassi benefits","salted lassi calories","salted lassi vs sweet lassi","masaledar lassi","salt lassi recipe","masala lassi","sweet and salt lassi","barrackpore","vlog","west bengal","north 24 parganas","kolkata",After a busy day in the hot summer,drinking a glass of yoghurt before sunset will add to the soul.

বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১

মিত্র না অমিত্র ? সাংবাদিকতার নীতিমালা

মাস কমিউনিকেশন যারা পড়তে যায় তাদের একটা বড় লাভ এই যে , তাবড় তাবড় সাংবাদিকদের শিক্ষক হিসেবে পাওয়া যায় । ২০০৫ সালে আমাদের তেমনি সম্পাদনা(Editing) পড়াতেন আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক রথীন মুখোপাধ্যায় । স্যর একজন অগ্রজের গল্প করেছিলেন একদিন । হয়ত নিউজ বিভাগে খবর এল , কোনও এক জায়গায় একটা দুর্ঘটনায় সাতজন মারা গেছে । এই শুনে ওই বিভাগীয় প্রধান বলতেন --" ধুর , মাত্র সাত জন !" এরকম মন্তব্য তখন শিক্ষানবিশ স্যরের কানে লাগত । খারাপ লাগত । একদিন সাহস করে বিভাগীয় প্রধানকে জিজ্ঞেসই করে ফেলেছিলেন --- "আপনার খারাপ লাগে না এরকম কথা বলতে ? আরও বেশি লোক মারা গেলে আমাদের কী লাভ ?" শিক্ষানবিশের সংবেদনশীলতার জায়গাটি বুঝতে পেরে অল্প হেসে স্যরের বস উত্তর দিয়েছিলেন --- "আমাদের লাভ, ভাল শিরোনাম হবে । ৭ জনের মৃত্যু মানুষের মনে-চোখে-মস্তিষ্কে যতটা প্রভাব ফেলে , ৭০ জনের প্রভাব বা ৭০০ জনের প্রভাব তার চেয়ে অ-নে-ক বেশি । আর খবরটা যদি একমাত্র আমরাই দিই , তবে তো আরও বেশি লাভ ।" পোড় খাওয়া সেই সাংবাদিক সেদিন মানবিকতা আর ব্যবসা -- দু'দিকেই ভারসাম্য বজায় রেখে চলার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কঠিন দায়িত্বের কথা অনেকটা সময় ধরে স্যরকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ।

বেশ কয়েক বছর আগে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়ে পর্যটকদের একটা দল জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েছিল । ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পর্যটক মারা যান , বাকিরা মারাত্মক আহত হন এবং তাঁদের অঙ্গহানি হয় । পর্যটকদের কফিনবন্দী দেহ যখন কলকাতা বিমানবন্দরে নামানো হয় , তখন অন্য সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল , বেশ কয়েকজন সাংবাদিক কফিনবন্দী দেহগুলির ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন । সমাজে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছিল , বহু কাগজের উত্তর সম্পাদকীয় ও সম্পাদকীয় স্তম্ভে উঠে এসেছিল সেই পুরনো প্রশ্ন । মানবিকতা আগে , না সাংবাদিকতা আগে ? সাংবাদিকদের অবস্থাটা আসলে শাঁখের করাতের মত , আসতেও কাটে , যেতেও । খবর না করলে তুমুল প্রতিযোগিতার বাজারে কাগজ বা চ্যানেল উঠে যাবে । আবার কাজের সময় সব দিক বজায় রেখে - চিন্তা করে কাজ করতে হলে হয় কাজটাই হবে না , নয়ত অন্য কেউ আগে করে ফেলবে । ফলে সাংবাদিকদের একটা কথাই মাথায় থাকে , যেন তেন প্রকারেণ কাজটা করতে হবে এবং সফলভাবে করতে হবে । আজ থেকে একশো বছর পরে ছবিটা বা ভিডিওটা থাকবে , সেটা কফিনের ওপর দাঁড়িয়ে তোলা হয়েছিল কিনা সে কথা কেউ মনে রাখবে না । এটাই নির্মম বাস্তব ।
আজ এই প্রসঙ্গ আসছে কেন ? কারণ আজ, ১৮- ০৩ -২০২১
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবার পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছেন এক রাজনীতিক । একটি চ্যানেলে দেখছিলাম , সাংবাদিক একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই রাজনীতিককে বারবার করছিলেন । আপনি কি ওই দল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন ? উত্তরে না বলা সত্ত্বেও প্রতিবার একই প্রশ্ন করা হচ্ছিল । দেখা গেল , পাশে বসে থাকা ওই রাজনীতিকের পুত্র একবার কথা বলতে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করলেন । কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দিয়ে পোড় খাওয়া রাজনীতিক আবারও একই উত্তর দিলেন । কারণ তিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় খুব ভালভাবে জানতেন , এটা সাংবাদিকদের খবর জোগাড়ের একটা কৌশল । রাজনীতিকরা একটা কথা বলে বা কোনও কাজ করে পরমুহূর্তেই বলবেন যে সেই কথাটা আদৌ কোনওদিন তিনি বলেনইনি বা সেই কাজটা করেনইনি । আর সাংবাদিকও তাঁর পেট থেকে সত্যি কথাটা বের করতে একই প্রশ্ন বারবার করে যাবেন এই আশায় যে , বিরক্ত হয়ে বা ভুল করে যদি তিনি সত্যি কথাটা বলে ফেলেন । পরিবারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি থাকায় , এই খেলার সঙ্গে তিনি পরিচিত ছিলেন , তাই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন স্বেচ্ছায় ।

কিন্তু খুব কাকতালীয় ও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই খবর সম্প্রচার হওয়ার পর একই দিনে তিনি গত হলেন । হয়ত তিনি অসুস্থ ছিলেন , হয়ত সেই কারণেই তাঁর পুত্র তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিলেন । কিন্তু কিছু মানুষ এখন বলবেনই কেন তাঁকে একই প্রশ্ন বারবার করা হল ? অসুস্থ শরীরে এমন ইমোশনাল অত্যাচারই তাঁর মৃত্যুর কারণ এমন জল্পনাই দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা আগামিদিনে প্রবল ।

sankhamani goswami




সাংবাদিকতা

সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য

সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ


সাংবাদিকতার সংজ্ঞা


সাংবাদিকতার নীতিমালা





বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১

বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর প্রচারে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে মনোনীত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী ।

১০৮ব্যারাকপুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১- এর নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী , তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক , কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ব্যারাকপুর পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান উত্তম দাস প্রমুখ । প্রথমবার , রবিবার , ০৭/০৩/২০২১ তারিখে । ছবি : শমীক গোস্বামী । 

raaj chakraborty.

raaj chakraborty

raaj chakraborty in his constituency nona chandanpukur, barrackpore.

raaj chakraborty in barrackpore constituency

raaj chakraborty in barrackpore constituency

raaj chakraborty in barrackpore constituency

raaj chakraborty

raaj chakraborty

raaj chakraborty

raaj chakraborty

raaj chakraborty

Uttam das. chairman, barrackpore municipality

Uttam Das. chairman, barrackpore municipality




raj chakraborty tmc,রাজ চক্রবর্তী ভোট প্রচার,Raju Chakraborty Indian film director,https://g.co/kgs/Mz8hWj,রাজ চক্রবর্তী,raj chakraborty,raj chakraborty first wife,raj chakraborty baby,raj chakraborty movie,raj chakraborty song,raj chakraborty lifestyle,raj chakraborty interview,raj chakraborty house,raj chakraborty new movie,raj chakraborty halisahar house,raj chakraborty family,raj chakraborty entertainment

 

মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

Raj Chakraborty, TMC nominee from Barrackpore constituency in WestBengal...





raj chakraborty tmc,রাজ চক্রবর্তী ভোট প্রচার,Raju Chakraborty Indian film director,https://g.co/kgs/Mz8hWj,রাজ চক্রবর্তী,raj chakraborty,raj chakraborty first wife,raj chakraborty baby,raj chakraborty movie,raj chakraborty song,raj chakraborty lifestyle,raj chakraborty interview,raj chakraborty house,raj chakraborty new movie,raj chakraborty halisahar house,raj chakraborty family,raj chakraborty entertainment

সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

সহযাত্রী

বেশ কয়েক বছর আগের কথা , ২০১০ বা ২০১১ হবে । বাবা জলপাইগুড়ি যাবেন তিস্তা তোর্সায় , সাথে আমি যাচ্ছি শিয়ালদায় তুলে দিতে । ব্যারাকপুরে লালগোলা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার দাঁড়িয়ে । উঠে পড়লাম । কারণ, এর পরে শিয়ালদার আগে একটাই স্টপে থামবে , দমদম । তো দমদম পর্যন্ত ট্রেন পক্ষীরাজ ঘোড়ার মত ছুটল । তারপর দমদম স্টেশনের একটু আগে দাঁড়িয়ে পড়ল , এবং দাঁড়িয়েই রইল পরবর্তী পাক্কা দু'ঘণ্টা । ট্রেন থেকে নেমে, আমরা যখন তিস্তা তোর্সার সামনে হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছলাম , তখন গা ঝাড়া দিয়ে ট্রেন চলতে শুরু করেছে । প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার আগে, সব ট্রেনের গার্ডই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সামনে নজর রাখেন , যাতে শেষ মুহূর্তে ওঠানামা করতে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে । আমি দেখলাম ট্রেন যদি না থামে , বাবার পক্ষে ওঠা অসম্ভব । নিরুপায় হয়ে বাবার কাছ থেকে টিকিটটা নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে গার্ডের কাছে পৌঁছে গপ্পোটা ছোট করে বললাম । গার্ড দূরে দাঁড়ানো বাবার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন , ওনাকে ডাকুন । ট্রেন কয়েক সেকেন্ডের জন্য থামল । ওনার নির্দেশে বাবাকে গার্ডের কেবিনের পর, ট্রেনের লেজের দিকে প্রথম, মহিলা কামরায় তুলে দিলাম । বাবার যাওয়ার ঠিক আগে চলন্ত ট্রেনের মহিলা কামরা থেকে, অনন্যোপায় হয়ে মহিলা কামরায় ওঠা পুরুষ যাত্রীকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা কাগজে বেরিয়েছিল । সেটা মাথায় ছিল । ফলে বারে বারে ট্রেনের ওই কামরার মহিলা যাত্রীদের বলে দিয়েছিলাম , বাবা নৈহাটিতেই কামরা বদল করে নেবেন । বাবা তখনও হাঁপাচ্ছেন , তাই দেখে আমার নম্বরটা দিয়ে বলেছিলাম , প্রয়োজনে দয়া করে যেন ফোন করেন ।

এরপর বাড়িতে ফিরে এসে কিছুক্ষণ খুব উদ্বেগে কাটল । তারপর বাবার বহু আকাঙ্ক্ষিত ফোনটা এলো । বাবা জানালেন , নৈহাটি পর্যন্ত কামরার সব বয়সী মহিলারা রীতিমত বাবার পরিচর্যা করেছেন । নৈহাটি এলে বাবা তুলনামূলক ভাবে সুস্থ , এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপর গার্ডকে বলে, নিজেরাই বাবার ব্যাগ বয়ে নির্দিষ্ট কামরায় তুলে দিয়েছেন শতবার বারণ করা সত্ত্বেও । কথাগুলো বলতে বলতে বাবা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন , আর আমরাও । এমন সহযাত্রী পেলে বেঁচে থাকাটা সত্যিই খানিকটা সহজ হয়ে ওঠে ।



ladies compartment

দিনলিপি


দিনলিপি লিখন

দিনলিপি কি




বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

Violin for 3 year old. My first violin toy.Violin for beginners.Toy Viol...





বাদ্যযন্ত্র বাজানো,জলতরঙ্গ বাদ্যযন্ত্র,সারেঙ্গী বাদ্যযন্ত্র,কাহন বাদ্যযন্ত্র,এসরাজ বাদ্যযন্ত্র,musical instruments sounds,musical instruments songs,musical instruments for kids,musical instruments names,musical instruments drawing,musical instruments ringtone,musical instruments cocomelon,musical instruments and their sounds,musical instruments sounds for kids,musical instruments,music musical instruments names and sounds

বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১

বসন্তের বার্তা দিতে শিমুল গাছের ডালে পাখিদের কিচিরমিচির , নীল আকাশের বুক...








শিমুল ফুলের উপকারিতা,শিমুল গাছের ফুল,bombax ceiba,red cotton tree,cotton tree,shimul flower,shimul flower drawing,shimul flower in bengali,shimul flower season,red cotton tree bombax ceiba,red silk cotton tree,bombax ceiba tree,bombax ceiba seed germination,bombax ceiba bonsai,bombax ceiba cotton,bombax ceiba root powder benefits,bombax ceiba flower,bombax ceiba seeds,bombax ceiba leaf,bombax ceiba flowering season,bombax ceiba fruit

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...