শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পরিবর্তন

            পুজো আসলেই মনটা কেমন কেমন করে ওঠে অজয়ের । সারা বছরের মূল রোজগারটা যে এই সময়েই হত । দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গেলে নাওয়াখাওয়ার সময় থাকত না । বিচিত্রানুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা অনেক আগে থেকে বরাত দিয়ে যেতেন । বিশেষ কদর ছিল অজয়ের বাইশ মিনিটের একটি অনুষ্ঠানের । একদল দামাল ছেলের ট্রেনে চড়ে বরযাত্রী হিসেবে গ্রামের এক বিয়ে বাড়িতে যাওয়া নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে একা গল্প বলত অজয় । ছবির মত একেকটা দৃশ্য ফুটে উঠত দর্শকদের চোখের সামনে । কীভাবে ? মুখ দিয়ে বের হওয়া নানারকম ধ্বনিতে । এককালে পেশাদার হরবোলা ছিল অজয় । ট্রেনের শব্দ , বরযাত্রীদের গলার আওয়াজ , বিয়ে বাড়ির ব্যস্ততা , পঙক্তিভোজনের হাঁকডাক, সব একা গলার স্বরে ফুটিয়ে তোলার মধ্যে একটা আলাদা চ্যালেঞ্জ ছিল । এ কাজে টাকার চেয়েও বড় পুরস্কার ছিল দর্শকদের মুগ্ধ হয়ে হাততালি দিয়ে ওঠা । একটা দলও ছিল অজয়দের । ওরা তিনজন একসঙ্গে অনুষ্ঠান করতে যেত । এক বন্ধু হাতের কারসাজিতে জাদু দেখাত , আর একজন কথা বলাতো পুতুলকে । পুতুল নয় , আসলে গলা পাল্টে বন্ধুই ঠোঁট-মুখ না নাড়িয়ে মজার মজার কথা বলত , লোকে ধরতে পারত না । ইংরেজিতে নাকি , এই কাজটার একটা গালভরা নাম আছে --- ভেন্ট্রিলোকুইজম । একবার সত্যজিৎ রায়ের একটা গল্প পড়ে শিখেছিল অজয় । ভাল লেগেছিল গল্পটা । এটা তো তাদেরই জীবনের গল্প । 

          লোককে আমোদিত করে বেশ কাটছিল দিনগুলো । হঠাৎ টিভিতে একগাদা চ্যানেল এসে আস্তে আস্তে দর্শকদের চাহিদা পাল্টে দিল । হরবোলা-জাদুকর-কথা বলা পুতুল নয় , লোকে এখন সারা বছরই সপ্তাহভর সন্ধে থেকে বাড়িতে বসে টিভি সিরিয়াল দেখে , আই পি এল , আই সি এল দেখে । পুজোর ক'টা দিনও এই রুটিনের অন্যথা হয়না । বিনোদনের সংজ্ঞাটা কী পাল্টে গেছে ? অজয়দের দিন শেষ ? না বোধহয় । অজয় টিভিতেই দেখেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিরল প্রতিভাদের জনসমক্ষে তুলে আনার অনুষ্ঠান করছে কিছু চ্যানেল , সেইসব অনুষ্ঠানের গালভরা নামও আছে একটা --- ট্যালেন্ট হান্ট শো । সেইসব অনুষ্ঠানে যেতে গেলে অডিশন দিতে হয় । এরপরেরবার যখন ব্যারাকপুরে অডিশন নেবে ওই চ্যানেল , তখন সেখানে নাম দেবে অজয় হরবোলা । দুনিয়াকে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখিয়ে দেবে , ঠিক করেই রেখেছে অজয় । 

           অজয় তাই আজকাল নিয়ম করে প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার সেই বাইশ মিনিটের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মহড়া দেয় , আর পেট চালাতে একটা বৈদ্যুতিন যন্ত্র সারাইয়ের দোকান চালায় । বুভুক্ষুর মত যে কোনও কাজ পেলেই হাতে নেয় না সে । যে ইন্ডাকশন , মিক্সি , টিভি সারাই করতে গিয়ে আর পাঁচজন হাল ছেড়ে দিয়েছে , বেছে বেছে সেই কঠিন কাজগুলো হাতে নেয় অজয় । যে কাজে মাথা খাটিয়ে সফল হতে হয় , সেই কাজগুলোই অজয়কে মানসিক তৃপ্তি দেয় । সে অজয় হরবোলা । বাঘ থেকে বিড়ালের ডাক নিখুঁতভাবে অনুকরণ করে লোককে একসময়ে সে মুগ্ধ করেছে । অজয় মিস্ত্রির কাজেও যেন সবার তাক লেগে যায় । তারিফ করে সবাই সেই আগের মতই যেন বলে --- "নাহ , এলেম আছে আপনার !"

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/09/%20pub-9792609886530610_25.html






শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

স্যর । লেখক : ঁশঙ্করদেব গোস্বামী ।

               কিছুদিন আগে টিভিতে একটা খবর দেখে আমি হতবাক । খবরটা দেখামাত্রই আমার ষাট বছর আগেকার একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল । টিভিতে কী দেখেছি , পরে বলছি । আগে ষাট বছর আগেকার ঘটনাটার কথা বলে নিই । বুড়ো হলে, পুরনো দিনের স্মৃতিচারণায় মন বড় আনন্দ পায় । তখন আমি সবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছি । আমার এক সহপাঠীর বাবা সদ্য বড় অপারেশন করিয়ে বাড়ি ফিরেছেন । আমি তাঁকে দেখতে গেছি । তাঁর ঘরে ঢুকতেই হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানালেন । তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে ,তিনি বেশ ভাল আছেন দেখে , বন্ধুর ঘরে এসে জমিয়ে গল্প করছি । ওই বয়সে যা হয় , সমকালীন রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় বেশ মেতে উঠেছি দু'জন । এমন সময়ে একটা ফোন এল । তর্ক থামিয়ে , ফোন ধরার ইচ্ছে না থাকলেও , বন্ধুটি রিসিভার তুলে কিছুটা বিরক্তির সঙ্গেই গম্ভীরভাবে বলে উঠল --- "হ্যালো !" ওপার থেকে কী কথা ভেসে এল শুনতে পেলাম না । হঠাৎ দেখি রিসিভার হাতেই বন্ধুটি তড়াক করে উঠে দাঁড়িয়ে বলছে --- "হ্যাঁ স্যর , ভাল আছেন স্যর । পরশুদিন বাড়ি এসেছেন । ঘরের মধ্যেই একটু একটু করে হাঁটানো হচ্ছে । আপনি আসবেন স্যর ! খুব ভাল হবে । বাবার তো ভাল লাগবেই , আমিও খুব আনন্দ পাব । আপনার শরীর ভাল আছে স্যর ? আপনি আসবেন , আমার কী যে আনন্দ হচ্ছে !" তারপর আরও কয়েকবার হ্যাঁ স্যর , হ্যাঁ স্যর , আচ্ছা স্যর বলে রিসিভার নামিয়ে রাখল । এই যে এতগুলি কথা হল , এতক্ষণ কিন্তু বন্ধুটি ঠায় দাঁড়িয়ে । এত সবিনয়ে স্যর - স্যর করা ভাল লাগল না । বিরক্তি চাপতে পারলাম না । একটু কটাক্ষের সুরে বললাম --- "এত স্যর -স্যর করছিলি , অফিসের বস বুঝি !" এতক্ষণে বন্ধুটি একগাল হেসে বলল --- "না রে , আমাদের হেডস্যর কথা বলছিলেন । কারও কাছ থেকে বাবার অসুখের খবর পেয়েছেন । বাবাকে দেখতে আসবেন বললেন । চিন্তা কর , ক-বে রিটায়ার করেছেন স্যর । এখনও , এই বয়সেও , বাবাকে দেখতে আসবেন বলছেন । ভাবা যায় !" আমি বললাম --- "তা , ফোন ধরে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লি কেন ?" ও বলল --- "স্যরের গলা পেয়ে আমার খেয়ালই নাই যে ফোনে কথা বলছি । মনে হচ্ছিল , আমি স্যরের সামনে দাঁড়িয়ে । স্যরের সামনে আমরা কখনও বসে কথা বলার কথা ভাবতে পেরেছি, বল !" 

            এবার বলি টিভিতে কী দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম । টিভিতে দেখাচ্ছিল , কোনও এক গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক , যুবা বয়সের হলেও স্কুলের প্রবেশপথে নালায় পড়ে , ছোট ছোট ছেলেদের দিকে হাত বাড়িয়ে তাঁকে তুলে দিতে বলছেন জড়ানো গলায় । কয়েকটি বাচ্চা ছেলে তাঁকে তোলার বৃথা চেষ্টা করছে । বাকিরা আশপাশে হেসে গড়িয়ে যাচ্ছে । বাচ্চাদের চেঁচামেচি শুনে মুহূর্তে পথচারী ও সংলগ্ন গ্রামবাসীরা ছুটে এসেই মাস্টারমশাইকে এলোপাথাড়ি চড়-চাপড় মারছে , সঙ্গে গালাগাল । সংবাদ পাঠকের কণ্ঠে জানা গেল , ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন । প্রতিদিনই তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্কুলে আসেন । সংবাদ পাঠক আরও কী কী সব বলছিলেন রসিয়ে রসিয়ে । আমার আর শুনতে ভাল লাগল না , টিভি বন্ধ করে দিলাম । ষাট বছর আগের ঘটনাটি যখন প্রত্যক্ষ করি , তখন প্রতি বাড়িতে টিভি ছিল না , ফ্রিজ ছিল না , টেলিফোনও পল্লীতে দু'টো-একটা বাড়িতে । এখন প্রতি বাড়িতেই টিভি - ফ্রিজ , ফোন তো একাধিক । স্বাধীনতার পরে আমরা দিনকে দিন ক-ত সভ্য হয়ে উঠছি বলুন ! মাস্টারমশাইরা মদ খেয়ে স্কুলে আসছেন , ডাক্তারবাবুরা কিডনি কিংবা শিশু পাচার চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন , ইঞ্জিনিয়ারেরা কোটি কোটি টাকা বালিশ-তোশক, এমনকি কমোডের ভিতরেও গুছিয়ে রাখার দক্ষতা অর্জন করছেন কেউ কেউ ! সভ্যতা বিকাশের আর কী প্রমাণ চাই ?    

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/09/%20pub-9792609886530610_26.html


          





বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ

 

আমি আগাম ক্ষমাপ্রার্থনা করে নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ(ARCHAEOLOGICAL SURVEY OF INDIA / A.S.I) সম্পর্কে আমার খুব একটা শ্রদ্ধামিশ্রিত ধারণা নেই । আমার মনে হয় এটি একটি সাইনবোর্ডসর্বস্ব সংস্থা । আগ্রা কেল্লা দেখতে গিয়ে দেওয়ান-ই-আম , দেওয়ান-ই-খাস এমনকি অন্দরমহলের দেওয়ালে পর্যন্ত অমুক প্লাস অমুক , তমুক প্লাস তমুক লেখা ইট দিয়ে । অথচ পর্যটকদের হাতে কিছু নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়না , ভেতরে নজরদারিও করা হয় । প্রশ্ন হল , তাহলে এগুলো লেখে কে ? ওড়িশায় উদয়গিরি-খণ্ডগিরির গুহাতেও একই চিত্র । ঘরের কাছে , মায়াপুরে একটি পূতিগন্ধময় বস্তির পিছনে খুঁজতে খুঁজতে বল্লাল সেনের ঢিপি বা স্থানীয়দের ভাষায় বল্লাল ঢিপি খুঁজে পাওয়া যায় । সেখানে এ এস আই-এর একটি বড়সড় সাইনবোর্ড আছে বটে , কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কিচ্ছু নেই । চোখের সামনে বহু পর্যটককে ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বল্লাল ঢিপির ইট বা ইটের টুকরো সংগ্রহ করতে দেখেছি । মুর্শিদাবাদে সিরাজের পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র খোশবাগে গেলেও একই অভিজ্ঞতা হয় । জায়গাটি আগাছায় ভরা তো বটেই , কোনটি কার সমাধি , তা-ও আলাদাভাবে চিহ্নিত নেই । ব্যারাকপুরে বেশ কিছু পোড়োবাড়ির ভিতরের মন্দিরে পোড়ামাটির কারুকাজ ছিল । ভগ্নস্তূপ হলেও মন্দিরের গায়ের সূক্ষ্ম কাজ বোঝা যেত । বহু পোড়োবাড়িতে আমি নিজেই ইংরেজ মালিকের নামের ফলক দেখেছি , সে ছবিও আমার কাছে আছে । হঠাৎ কী কারণে কে জানে , দেখছি এই ধরণের স্মৃতিচিহ্ন গুলি ভেঙে , গুঁড়িয়ে দিয়ে এলাকাগুলি লোহার জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে । হয়ত জবরদখল হওয়ার ভয়ে বা সমাজবিরোধীদের আনাগোনা বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ । কিন্তু এমন কাজে হাত দেওয়ার আগে সতর্ক থাকা দরকার , যাতে দেশের প্রাচীনতম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ঐতিহাসিক স্মারকগুলি মুছে না যায় । দৃষ্টান্ত হিসেবে এ তল্লাটের , সম্ভবত এই জেলারও প্রথম রেল স্টেশনটির কথা বলা যায় , যেখানে কলকাতা থেকে সরাসরি সেনা শিবিরে রসদ নিয়ে যাওয়া হত । সেই কাজ করতে গিয়ে প্রথম উত্তর চব্বিশ পরগনায় রেল লাইন পাতা হয় । ক্যান্টনমেন্টের একেবারে কোর এরিয়ায় সেই স্টেশনটি এখন পরিত্যক্ত হয়েও বহু ইতিহাসের সাক্ষী এবং সেই কারণেই স্টেশনটিকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার । এখনকার ব্যারাকপুর স্টেশনের নির্মাণশৈলীই বলে দেয় , যে এটি হেরিটেজ স্টেশন । এই ঐতিহ্যবাহী নির্মাণটিও কিন্তু ওই পরিত্যক্ত স্টেশনটির অনেক পরে তৈরি । ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ভিতরে ঘোরাফেরা – ছবি তোলায় এখন বজ্র আঁটুনি । তাই এ বিষয়ে স্থানীয় ইতিহাদবিদ এবং এ এস আই কর্তৃপক্ষের সরব হওয়া দরকার ।  












ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ভিডিও গেম

দৃশ্য ১ : একটি পাড়ার মন্দিরের চাতালে বাবু হয়ে বসে সমবয়সী তিন কিশোর । তিনজনেরই দৃষ্টি হাতের স্মার্টফোনের দিকে । সেইদিকেই চোখ রেখে একে অপরকে নির্দেশ দিচ্ছে , এটা কর - সেটা কর , কিন্তু একবারের জন্যও কেউ পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছে না । খেলা করা , খুনসুটি করা বা গল্প করা তো দূরস্থান । আমার ছোটবেলায় মোবাইল ছিল না , তাই গতকাল হাঁটতে হাঁটতে দেখা এই দৃশ্য আমার ভীষণরকম অস্বাভাবিক লেগেছে । 


দৃশ্য ২ : ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক মা এসেছেন পরীক্ষা করাতে , পাঁচ-ছ'বছরের পুত্র আর শাশুড়িকে নিয়ে । পুত্রের চোখে এই বয়সেই চশমা এবং শ্রীমান স্বাভাবিকভাবেই অতিশয় দুরন্ত । আক্ষরিক অর্থে এক মুহূর্ত স্থির হয়ে বসে থাকতে পারেনা । সঙ্গে মুখে কথার ফুলঝুরি , কোনও আড়ষ্টতা নেই । মা হঠাৎ ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে স্মার্টফোন বার করলেন । সেটা চালু করে দিতেই যেন কোন জাদুমন্ত্রে দুরন্ত ছেলে এক্কেবারে চুপ , এবং ওই বয়সে যতটা শান্ত হওয়া যায় , ততটা শান্ত হয়ে গেল । রিসেপশনে বসা কর্মী এবার মজা করতে করতেই খুদেটিকে বললেন , "বাড়ি থেকে একটা বই নিয়ে এলিনা কেন ?" 

বিষয়টা পাবজি-সহ ১১৮ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নয় , সস্নেহ প্রশ্রয়ে হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতও নয় । সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে ছোটদের স্বভাব পাল্টানোয় । ছোটরা ভিডিও গেম নয় , বই হাতে পেয়ে শান্ত হোক ।    

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/09/%20pub-9792609886530610_23.html







ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

WINGS OF FIRE . DR. A. P. J. ABDUL KALAM

 EACH INDIVIDUAL CREATURE ON THE BEAUTIFUL PLANET IS CREATED BY GOD TO FULFILL A PARTICULAR ROLE. WHATEVER I HAVE ACHIEVED IN LIFE IS THROUGH HIS HELP, AND ON EXPRESSION OF HIS WILL. HE SHOWERED HIS GRACE ON ME THROUGH SOME OUTSTANDING TEACHERS AND COLLEAGUES , AND WHEN I PAY MY TRIBUTES TO THESE FINE PERSONS , I AM MERELY PRAISING HIS GLORY. ALL THESE ROCKETS AND MISSILES ARE HIS WORK THROUGH A SMALL PERSON CALLED KALAM, IN ORDER TO TELL THE SEVERAL MILLION MANS OF INDIA , TO NEVER FEEL SMALL OR HELPLESS. WE ARE ALL BORN WITH A DIVINE FIRE IN US. OUR EFFORTS SHOULD BE TO GIVE WINGS TO THIS FIRE AND FILL THE WORLD WITH THE GLOW OF IT'S GOODNESS.


PAGE NUMBER -- 15.


courtesy: economic times


Wings of Fire

Book by A. P. J. Abdul Kalam and Arun Tiwari

wings of fire autobiography

wings of fire book

https://g.co/kgs/UcegQP


wings of fire quotes


wings of fire written by

wings of fire online reading

wings of fire meaning



সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

বাবার ডায়েরি থেকে

"মানুষের মরণ আমাকে বড় আঘাত করেনা , করে মনুষ্যত্বের মরণ দেখিলে । এ যেন আমি সহিতেই পারি না ।"


------ শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , দশম অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/blog-post_30.html




Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay


রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

পিছুটান

নিয়তি বোধহয় একেই বলে । আজ যেন সৌগতর সঙ্গে দেখা হওয়ারই ছিল , দার্জিলিং মেলের বার্থে বসে ভাবছিলেন ষাটোর্ধ্ব  সুরঙ্গনা । সেই কলেজ জীবনের মত এখনও সৌগতকে দেখলেই বুকের রক্ত চলকে ওঠে , স্থির রাখতে পারেননা নিজেকে । আজই যেমন ভরা কামরায় সৌগতকে দেখে অষ্টাদশীর মত আনন্দে নেচে উঠেছিলেন , কী করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না । সৌগতর সঙ্গে আছে অনিন্দ্য , বাবার সাথে কলকাতার বড় কলেজে যাচ্ছে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে । আজকালকার ছেলেগুলো বড্ড ডেঁপো , কেমন সব বুঝে গেছি টাইপের হাসি ঠোঁটে টেনে রেখেছিল সুরঙ্গনার ছটফটানি দেখে । ও কি কিছু জানে ? কারও কাছ থেকে কিছু শুনেছে ? হতেও পারে । বড় হয়েছে , জানতেও পারে সৌগত- সুরঙ্গনার উথালপাথাল প্রেমের কথা । এই বয়েসে চিত্তদৌর্বল্য কী ভীমরতির লক্ষণ ? না । মানুষের মন স্বাভাবিক ভাবেই বহুগামী হয় , জানেন সুরঙ্গনা । ক'টা প্রণয়ের সম্পর্ক আর পরিণয়ের দিকে এগিয়ে যায় ! আজ থেকে দুই কুড়ি বছর আগেও ওঁদের কলেজের সহপাঠীরা জানত যে সৌগত আর সুরঙ্গনার বিয়েটা শুধু সময়ের অপেক্ষা । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ওদের দু'জনেরই বন্ধু বিজয় গিয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে সৌগতর মায়ের কাছে ওদের বিয়ের কথাটা পাড়তে । সম্ভাবনাটাকে এককথায় নাকচ করে দিয়েছিলেন কাকীমা , জাতপাতের কথা তুলে । এদিকে সৌগত মাতৃঅন্তপ্রাণ , কিছুতেই মায়ের বিরুদ্ধাচরণ করবে না । ফলে সুরঙ্গনার আর সৌগতর ঘরণী হওয়া হল না , কিন্তু দুর্বলতাটা রয়ে গেল । বিজয় আগে থেকেই সুরঙ্গনার প্রতি অনুরক্ত ছিল । এই ঘটনার পর , বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেরী করেনি । বিজয় - সুরঙ্গনার একমাত্র মেয়ে নবনীতা এখন পড়ছে যাদবপুরে । 

সৌগতর সঙ্গে আর দেখা না হলেই ভাল হত , পুরনো ক্ষত খুঁচিয়ে তুলে কী লাভ ? কিন্তু, এই যে জীবনসায়াহ্নে অন্যরূপে , পরিণত রূপে দেখা হওয়া , জীবনে সঞ্চয়ের খাতায় এইটুকু লিখে রাখলেই বা ক্ষতি কী ?  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/09/%20pub-9792609886530610_25.html







বাবার ডায়েরি থেকে

"একের মর্মান্তিক দুঃখ যখন অপরের কাছে উপহাসের বস্তু হইয়া দাঁড়ায় , তাহার চেয়ে ট্র্যাজেডি পৃথিবীতে আর আছে কি !" 

   ----------- শ্রীকান্ত , তৃতীয় খণ্ড , দশম অধ্যায় , শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।   

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/blog-post.html





Sarat Chandra Chattopadhyay

Novelist


https://g.co/kgs/AyDsHc


srikanta book



শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমূহ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প সমগ্র


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছোট গল্প


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস এর নাম


devdas sarat chandra chattopadhyay


বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০

মনুষ্যেতর' শব্দটি কি ভুল ?

আজ রাস্তায় একটা মর্মস্পর্শী দৃশ্য চোখে পড়ল । রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে  পুরসভার একটা ANIMAL MORTUARY VAN । আর তার পেছন পেছন ছুটছে সরবে , অন্তত দশ থেকে বারোটা রাস্তার কুকুর । 'বল হরি' বলছিল কি ? আমি বুঝতে পারিনি ওদের ভাষা । তবে এটুকু বুঝেছি ওদের কোনও নিকটাত্মীয় মারা গেছে । অথবা একই পাড়ার কুকুর । আগে - পরে খেয়াল করেছি, এমনটা প্রায়ই হয় । মানুষের ক্ষেত্রে শববাহী শকট হয় স্বচ্ছ , মৃতদেহ দেখা যায় বাইরে থেকে । অনেকে তা দেখে ঘন ঘন কপালে-বুকে ডানহাতের তর্জনী ছোঁয়ান । কিন্তু মানুষের চেয়ে ইতর প্রাণী যারা, তাদের দেহবাহী গাড়ি তো আগাগোড়া ঢাকা থাকে , তাহলে কুকুরেরা বোঝে কী করে স্বজাতির কেউ মারা গেছে ? নিশ্চয়ই গন্ধে । কুকুরের ঘ্রাণশক্তি এবং স্মৃতিশক্তির কথা তো সর্বজনবিদিত । সম্প্রতি রাজ্যে প্রাণীদেহ দাহ করার আলাদা শ্মশান হয়েছে , গোর দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে । সাধারণ কুকুরেরা কী সেই খবর জানে এবং শ্মশানযাত্রী হয় ? কে না জানে --- রাজদ্বারে-শ্মশানে চ য তিষ্ঠত স বান্ধব । মানুষ প্রভু মারা গেলে কুকুরকে কাঁদতে দেখেছি, গরুর কাঁদার গল্প শুনেছি, আর কুকুর মারা গেলে কুকুর কাঁদবে না , তাও কী হয় ? আসলে ইতরদের কান্নার ভাষা আমরা বুঝি না , চেষ্টাও করিনা ।  মনে পড়ল কয়েকদিন আগে ব্যারাকপুরে তথাকথিত সমাজ পরিত্যক্ত একজন পরিচিত মারা গেছেন । আমরা একসময়ে তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতাম । ওই ভদ্রলোকের জ্ঞাতি এবং এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এক ডাক্তারবাবু , যিনি শহরের একজন পুরনো বাসিন্দাও বটে , নিজে উদ্যোগী হয়ে ডাকাডাকি করেও রাতে শ্মশানযাত্রী হওয়ার জন্য তিন - চারজনের বেশি লোক পাননি । আবার আজ, স্টেশনে ঢোকার পথে দেখলাম একজন ট্রেনে কাটা পড়েছেন । মাঝেমধ্যেই পড়েন । পুলিশ-ডোম ঘিরে রয়েছে দেহটিকে । পুলিশ আধিকারিক দেহের উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন । ওঁদের তো এসব গাসওয়া , তবুও দেখে মনে হল, ওঁর ভেতরে কোথাও একটা অস্বস্তি কাজ করছে । আর দেখলাম কিছু অপেক্ষমাণ যাত্রী খুব আগ্রহ নিয়ে কাজটা দেখছেন, মধুর ওপরে পিঁপড়ে জমা হওয়ার মত করে , ঠিক যেমনটা দেখেন এসব ক্ষেত্রে । আচ্ছা, একটা কাটা পড়া মানুষের দেহ বিন্যস্ত করার প্রক্রিয়া ঠিক কতখানি দর্শনীয় হতে পারে ? সিগমুন্ড ফ্রয়েড বেঁচে থাকলে হয়ত এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন । বীভৎসতার প্রতি আগ্রহ-নির্মমতা বোধহয় মানুষের সহজাত । অবচেতনে সুপ্ত অবস্থায় থাকে , আর সুযোগ পেলে জেগে ওঠে ।  মানুষ নাকি বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন সামাজিক জীব ! কুকুর আর মানুষের সমাজের মধ্যে ফারাকটা দেখে ওদের মনুষ্যেতর বলতে লজ্জা হয় । ইতর কারা ? বিচার করে কে ?   

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/08/%20pub-9792609886530610_61.html


মনুষ্যেতর শব্দটি কি ঠিক ?




ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example



কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...