সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১

রিয়েল এস্টেট শোনে কী কখনও মেঘমল্লার ?

           শহরে থাকার জায়গা কম কিন্তু জনসংখ্যা - জনঘনত্ব ক্রমবর্ধমান ---- এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামলাবার জন্য একটা রাস্তাই খোলা থাকে , অল্প জায়গায় বেশি লোকের থাকার ব্যবস্থা করা , বহুতল বাড়ি তৈরি হওয়া । ছবিটা জলপাইগুড়ি থেকে ব্যারাকপুর , সর্বত্র এক । দু'কাঠা - আড়াই কাঠা থেকে চার কাঠা জমিতে একটি বাড়ি থাকবে এবং সেখানে মাত্র একটিই পরিবার বাস করছে বা করবে , এমন ছবি খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে এবং জনসংখ্যার চাপে আরও পালটাবে । যে শহরে থাকি , সেই ব্যারাকপুরে ,প্রতিদিন কোনও না কোনও গলিতে একটা করে পুরনো বাড়ি ভাঙা হতে দেখি বহুতল উঠবে বলে । শুনি , কলকাতা থেকে ছ'শ কিলোমিটার দূরের জলপাইগুড়ি শহরেও ছবিটা একই । বাড়ি করবার জন্য সেখানেও জমি কম পড়িয়াছে ! আমাদের ছোটবেলায় রাজমিস্ত্রিদের রয়েসয়ে কাজ করতে দেখতাম । ছাদ ঢালাই বা গাঁথনির পর অন্তত সপ্তাহ তিনেক ভাল করে নির্মাণটিকে 'জল খাওয়ানো' আবশ্যক জানা ছিল । এখন বোধহয় সিমেন্টের ক্ষমতা বেড়ে গেছে । আজ যে বাড়ির ভিত তৈরি হল , সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তার গাঁথনি- ছাদ ঢালাই শুরু হয়ে যায় এখন । চোখের সামনেই একটি বহুতল খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হল , আরও দ্রুত তার বাইরের দেওয়ালে হলুদ রঙ হল । তারপর এক পশলা বৃষ্টি হতেই, হলুদ রঙ দেওয়াল ছেড়ে সামনের রাস্তায় নেমে এল, আর দেওয়ালের অবস্থাটা দাঁড়াল ডোরাকাটা বাঘের মতন ! দ্বিতীয় দফায় আবার রঙ হল , সেটা আপাতত দেওয়ালকে জড়িয়েই আছে !

          আসলে যে কথাটা বলতে চাইছি , রোটি-কাপড়া অর মকান-এই তিনটেরই নিশ্চিত ব্যবস্থা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে । ছোটবেলায় বড়রা একটা কথা বলে বলে মুখস্থ করিয়ে ছেড়েছিলেন --- সাফল্য লাভ করা কঠিন , তার চেয়েও কঠিন, সাফল্য ধরে রাখা । এই অতিমারি ধ্বস্ত দুনিয়ায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যতটা কঠিন , তার চেয়েও বেশি কঠিন এই তিনটির সংস্থান নিশ্চিত করা । কিন্তু এমনটা হল কেন ? আমার স্বল্পবুদ্ধি বলে শরীরের সমস্ত রক্ত মাথায় এসে জমা হওয়ার কারণে । অর্থাৎ সমস্ত সুযোগ সুবিধে মহানগর ও নগরকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে । কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ আর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা ব্যবস্থা কী এক ? দু'টির মধ্যে পার্থক্য কতখানি , যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরাই জানেন । আবার গেলেই যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে , তার নিশ্চয়তা নেই কোথাও । দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনেই তার প্রমাণ মেলে । সুন্দরবনে কাউকে কালাচ সাপে কামড়ালে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এনে , হাসপাতাল চত্বরে গাছতলায় বসে থাকতে হয় , কিংবা পাথর কাটার ড্রিলিং মেশিন ছিটকে পেটে ঢুকে গেলে, তাকে সকলের প্রিয় পর্যটনস্থল দার্জিলিং থেকে যে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য রক্তাপ্লুত - মরণাপন্ন অবস্থায় নামিয়ে আনতে হয় , সেও তো নিজের চোখে দেখা । সব সুবিধে এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হলে এই সমস্যা হবেই এবং তা থেকে নানাবিধ জটিলতাও জন্ম নেবে । সব দিক থেকে দুর্বল মানুষের সুস্থভাবে বাঁচা দিনকে দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে এই কারণেই । কলকাতা বা শহরতলি এবং জলপাইগুড়ির মধ্যে টিকে থাকা যেমন এক নয় , জলপাইগুড়ি আর লাটাগুড়ির মধ্যে টিকে থাকাতেও বিস্তর পার্থক্য আছে মাত্র কয়েক কিমি'র ব্যবধানে । 

            সেদিন কলকাতার কাছেই এক গ্রামে গিয়েছিলাম । সেখানে পাকা বাড়ির সংখ্যা কম , পাকা শৌচাগার আরও কম । যেদিকে দু'চোখ যায় ফুলের- ফসলের খেত । সেইখানে কাঁচা রাস্তার পাশে বহুতল উঠছে । কেন ? মনের মধ্যে ভুসভুসিয়ে ওঠা প্রশ্নটার উত্তর পেলাম পুকুরে স্নান করতে আসা দুই মহিলার কথোপকথনে । --- এখন লোকে ঘুরতে আসছে , এরপর নায়িকা শুটিং করতে আসবে । পাকা বাথরুম তো লাগবেই । মাছ ধরতে নদীতে যেভাবে জাল ছড়িয়ে, ছুঁড়ে ফেলা হয় , সেভাবে জাল বিছাচ্ছে ধনতন্ত্র । রাঘব বোয়াল না হোক , পুঁটিমাছও ধরা না পড়লে লোকে খাবে কী !  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2021/01/pub-9792609886530610_60.html

   



"THERE WAS A BROWN CROW! দরওয়াজা বন্ধ করো!"  


রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কি

রিয়েল এস্টেট 

জমি ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা


রিয়েল এস্টেট মানে কি

কন্সট্রাকশন ব্যবসা



হাউজিং ব্যবসা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...