রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১

অতিমারি

 এ দুনিয়ার সব কিছুই একটা কার্য – কারণ সম্পর্কে বাঁধা । লকডাউন চলাকালীন অনেকেই বলছেন, এই গ্রহ এখন রিস্টার্ট মোডে আছে । তাঁরা একদম ঠিক কথা বলছেন । ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বারবার বলেছে কিয়োটো প্রোটোকল মানো , কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাও , নইলে শেষ হয়ে যাব আমরা, কিন্তু সে কথায় কেউ কর্ণপাত করিনি । ষোড়শী গ্রেটা থুনবার্গ, নিজেকে সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ মনে করা রাষ্ট্রপ্রধানকে ধমকে বলেছেন --- “হাউ ডেয়ার ইউ ? তোমাদের সাহস হয় কী করে যাবতীয় পরিবেশবিধি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ।“ বড়দের দল তাঁর স্বাভাবিক ক্রোধকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেননি । পৃথিবীর ফুসফুস অ্যামাজন বৃষ্টিবনানী কেটে সাফ করে , সেখানকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে , বহুজাতিক সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান । চরম ঔদ্ধত্যে সে কাজের পক্ষে সওয়ালও করেছেন । উপগ্রহ চিত্রটি আমরা দেখেছি , সন্দর্ভ রচনা হয়েছে দিস্তে দিস্তে , কাজের কাজ কিস্যু হয়নি , অ্যামাজনকে বাঁচানো যায়নি । যে কয়েকজন পরিবেশবিদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানব সভ্যতার পায়ে কুড়ুল মারা প্রাণপণে আটকাতে গিয়েছিলেন , তাঁদের সৎ প্রচেষ্টাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো । কোভিড’১৯ –এর রক্তচক্ষুতে ভয় পেয়ে উপায়ান্তর না দেখে তিনি এখন ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন হাত পেতে চাইছেন । হয়ত অদূর ভবিষ্যতে এমন অনেক বরাত সরবরাহ হবে বি টি রোডের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে ! মন বলছে , যৌথ খামারের দিন এল বলে ! হিস্ট্রি ইজ নট কাইন্ড টু ম্যান হু প্লে গড --- কথাটা পুরোপুরি খেটে যায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্বন্ধে । যিনি নিজেকে প্রায় সুপারম্যান মনে করেন , তিনি আতান্তরে পড়ে গান পয়েন্টে একটা গরিব দেশকে বলছেন --- হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দে , নইলে কিন্তু অনর্থ করবো ! হলিউডি ছবিতে এই গ্রহের যাবতীয় সমস্যা – সঙ্কটে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় যে আমেরিকা , বিত্ত – বৈভব – ঐশ্বর্যের শেষ কথা ছিল যে রাষ্ট্র , সে এখন নিজেই ত্রাণ চাইছে । ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস !

কোভিড’১৯ আসলে পরিষ্কার রেড কার্ড । পৃথিবী এখন SEVERE ACUTE RESPIRATORY ILLNESS(SARI)—এ আক্রান্ত । এবার SURVIVAL OF THE FITTEST তত্ত্বটা নতুন করে মনে করার পালা । নোয়ার নৌকায় কে কে ঠাঁই পাবে কেউ জানেনা । এখন আবার নতুন করে শেখার সুযোগ এসেছে যে, খোদার ওপর খোদকারি করা যায় না । এভারেস্টের বেস ক্যাম্প পর্যন্ত গাড়ি যাওয়ার রাস্তা তৈরি করতে নেই , অতি সভ্য হতে নেই । ২১০০ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন সমাধিস্থল হতে চলেছে ফেসবুক, বলছে একটি সমীক্ষা । “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে / আমি বাইব না মোর খেয়ার তরী এই ঘাটে / চুকিয়ে দেব বেচাকেনা / মিটিয়ে দেব গো , মিটিয়ে দেব লেনা দেনা / বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে , তখন” ---- আজি হতে শতবর্ষ পরে , কে তুমি পড়িছ বসে আমার পোস্টখানি ! আশায় বাঁচে চাষা ।





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...