শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

কলকাতারনাটক

 

#কলকাতারনাটক

 

 কলকাতা দেখতে আসলে , বাবা বলতেন , এমন কিছু দেখবি , যা অন্য জায়গায় পাবিনা বয়েস বাড়ার সাথে সাথে এই দেখার তালিকাটা পাল্টাতে পাল্টাতে , কলেজে পড়ার সময় এসে দাঁড়াল নাটক দেখাতে এভাবে আমরা অনেক নাটক দেখেছি সবাই মিলে যেমন 'তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত' , 'সময় - অসময়ের বৃত্তান্ত' , স্বপ্নসন্ধানীর 'প্রাচ্য' (আমার কাছে এখনও এই নাটকের টিকিট রাখা আছে যখন দেখেছিলাম , তখন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা ঋদ্ধি সেন মাটির সাথে কথা বলেন এই নাটক দেখতে গিয়ে আর একটা মনে রাখার মত ঘটনা ঘটেছিল নাটক শুরুর আগে নিয়মমাফিক মোবাইল বন্ধ করে বা সাইলেন্ট মোডে রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল তা সত্ত্বেও নাটকের দ্বিতীয়ার্ধে কোনও একজনের মোবাইল পিড়িং পিড়িং করে বেজে উঠল , এবং বাজতেই থাকল সম্ভবত , ২০০২ - এর মহাসপ্তমীর দিন ছিল সেটা রবীন্দ্র সদনে , মঞ্চের একদম মাঝখানে , সামনের দিকে , তখন একটি দৃশ্যে অভিনয় করছেন চিত্রা সেন , কৌশিক সেন , ঋদ্ধি সেন বসে অভিনয় করতে করতে হঠাৎ চাবুকের মত উঠে দাঁড়ালেন কৌশিক মেঘমন্দ্র স্বর ভেসে এল অন্ধকার দর্শকাসনের দিকে "মোবাইল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল এতই যখন ব্যস্ত , আসেন কেন নাটক দেখতে ?" প্রেক্ষাগৃহে তখন গাছের পাতা পড়লেও যেন শব্দ শোনা যাবে রিংটোন দুম করে বন্ধ হল ! নাটক শেষ হওয়ার পরে কৌশিক প্রায় আভূমি নত হয়ে দর্শকদের নমস্কার করলেন মনে হচ্ছিল ওঁর চঞ্চল চোখ কাউকে খুঁজছে সেলিম আল দিনের লেখা এই নাটকের বিজ্ঞাপনে একটি লাইন লেখা থাকত , যেটা খুব মনে ধরেছিল "শোভাযাত্রা আর শেষযাত্রায় আকাশপাতাল মিল " ) অভিনেতা গৌতম হালদারকেও চেনা নাটক দেখতে গিয়ে তখনকার 'মেঘনাদবধ কাব্য' থেকে এখনকার 'ময়মনসিংহ গীতিকা' -- এই তালিকার শুরু আছে , শেষ নেই এভাবেই দেখেছিলাম প্রেমচাঁদ মুন্সীর গল্প অবলম্বনে নান্দীকারের নাটক 'বড়দা' একাঙ্ক নাটক , বোধহয় বড়জোর ঘণ্টাখানেকের মঞ্চে একজনই অভিনেতা - গৌতম হালদার , একটি কেদারায় বসে আর একজন ভিডিওগ্রাফার , নামভূমিকায় তাঁর তোলা ক্লোজ আপ দেখা যাচ্ছে গৌতমবাবুর মাথার উপরে বড় সাদা পর্দায় অভিনেতা এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে অভিনয়ে এমন ভেলকি দেখালেন , যে হাততালি দেওয়ার সময় খেয়াল হল এতক্ষণ অন্য দিকে চোখ সরাইনি শুধু গলার ওঠানামা আর মুখের পেশি নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে চুম্বকের মত দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখা যায় , তা সেই প্রথম দেখলাম


কৌশিক সেন , শান্তনু মৈত্র(সুরকার) এঁরা মানুষ হিসেবে আমার খুব প্রিয় । কৌশিক সেনকে নিয়ে আরও দু'টি ঘটনা বলি । ২০০৯ সাল । ভোটের আগের দিন কলকাতার খ্যাতনামা মানুষদের মিছিল বেরিয়েছে । সেই ছবি আমি দিয়েছি এই ব্লগে । যাইহোক , সবাই যখন সামনে , মিডিয়ার নজর কেড়ে নিতে ব্যস্ত , তখন কৌশিক সেন একেবারে মিছিলের পেছনে হাঁটছিলেন সেদিন , আর পাঁচজনের সাথে , একা । ২০১৬ সালে অ্যাকাডেমিতে ঢুকছি , দেখি লিফলেট হাতে গেটে স্বয়ং কৌশিক সেন দাঁড়িয়ে । বললেন , আমাদের নাটক আছে -- 'নটীর পুজো' , অবশ্যই আসবেন । ওনার এই অনুরোধের জন্যই আরও বেশি করে নাটকটা দেখেছিলাম । নাটকটা দেখে আরেকটা বিরাট প্রাপ্তি হয়েছিল -- অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের মধুর গলায় লাইভ রবীন্দ্র গান শোনা । নাটক যাঁরা করেন , তাঁরা লিফলেট বিলি করেন , এটা সাধারণ ঘটনা । কিন্তু ওই মাপের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা নিজে অ্যাকাডেমির গেটে দাঁড়িয়ে নাটক দেখার অনুরোধ করছেন কাউকে , এই দৃশ্য কলকাতা ছাড়া আর কোথাও কল্পনা করা যায় ?  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_92.html



courtesy : the asian age





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


আজব কলকাতা

 

কলকাতার আনাচকানাচে সত্যিই চমক লুকিয়ে থাকে অলিয়ঁস ফ্রসেঁ দেখব বলে একদিন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোড ধরে হাঁটা শুরু করেছি এন আর এসের দিকের ফুটপাত ধরে বেশ কিছুটা যাওয়ার পর 'ঋত্বিক' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস পড়ল তাদের সাইনবোর্ড দেখতে গিয়েই চোখ আটকে গেল প্রাচীন বাড়িটির গেটের নামফলকে বড় বড় করে আলঙ্কারিকভাবে বাড়ির পুরনো মালিকের নাম লেখা ---- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও আবার বালিগঞ্জ স্টেশনে নেমে গড়িয়াহাট শপিং মলের( বি পি আনন্দের অফিস) ঠিক উল্টোদিকের বাড়িটির নাম 'ইন্দ্রজাল' সহজেই অনুমেয় বাড়িটি কার ! এই জামির লেন দিয়েই সোওজা হাঁটতে হাঁটতে এমন একটি বাড়ি খুঁজে পেয়েছিলাম , যার কথা অনেকবার অনেক লেখকের কলমে পড়েছি বাড়ির নাম 'কবিতা' বু মানে বুদ্ধদেব বসু , প্রতিভা বসুর বাড়ি

শেষে একটি মজাদার অভিজ্ঞতা দিয়ে ইতি টানব ২০০৯ সাল লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলছে শিয়ালদার কাছে সূর্য সেন স্ট্রিট দিয়ে হাঁটছি হঠাৎ দেখি ওই কেন্দ্রের এক জাঁদরেল নেতার নামে গ্লো সাইন বোর্ডে তাঁকে ভোট দেওয়ার নিয়মমাফিক আর্জি সৌজন্যে : 'ছদ্মরূপী সঙ্ঘ' ! তখন আমার মোবাইল ক্যামেরা ছিল না , থাকলে এই সুযোগ ছাড়তাম না !

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_17.html






ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


অ-সাধারণ

এক আত্মীয় অসুস্থ ।  মাসেই তাঁকে দেখে এসেছেন 'এক টাকার ডাক্তার' তাছাড়াও মায়ের কাছে ওঁর , কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় , মুক্তি বন্দ্যোপাধ্যায় , প্রভাত মুখোপাধ্যায় , অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য -এর মত মানুষদের গল্প শুনতে শুনতেই তো বড় হলাম সেদিন কাগজে অমর্ত্য সেনের একটা ছবি দেখে মন ভরে গেল প্রতীচীর নীচের বারান্দায় বসে কাগজ পড়ছেন , পাশেই তরকারি কুটছেন একজন মহিলা স্বাভাবিক দৃশ্য , তবুও মনোযোগ দাবি করে



ছোট্ট একটা ঘটনা বলি ; অসলোতে অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার নেওয়ার ঠিক পরপর বোলপুরে গেছি স্বাভাবিক ভাবেই সাইকেল নিয়ে প্রতীচীর আশেপাশে চক্কর কাটছি ওঁকে দেখিনি , তবে ওঁর মা -কে দেখেছিলাম দালান থেকে গেট পর্যন্ত মোরাম বিছনো রাস্তায় পায়চারি করছিলেন পরিচিতজন এসে কুশল সংবাদ বিনিময় করছিলেন মাঝে মাঝে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শ্রমজীবী সাঁওতাল রমণীও ছিলেন ঘণ্টা খানেক দাঁড়িয়ে শুধু ওঁর কথা শুনছিলাম বলে না দিলে বোঝা অসম্ভব উনি তখন সদ্য নোবেলজয়ীর মা মনে দাগ কেটে গেছে সেই সকালটা




Amartya Sen

Indian economist

https://g.co/kgs/gfSmuV



ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example


শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০

অপ্রিয় কথা

 

অপ্রিয় কথা

উত্তরপ্রদেশে জনবহুল স্থানে এবার দুর্গাপুজো নিষিদ্ধ হয়েছে ঠিক হয়েছে নবরাত্রি এবং রামলীলা নিষিদ্ধ হয়নি ঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি তিনটেই জমায়েত , বাঙালিদের আলাদা করে উপেক্ষা করার কোনও প্রয়োজন ছিল না রুপোর প্যান্ডেল আর সোনার অলঙ্কার ভূষিতা দুর্গা পুজো করা যতখানি সামাজিক অসভ্যতা , করোনা-কালে দুর্গা পুজো করা ততখানিই অন্যায় কী উৎসবের সময় ? দুনিয়া জুড়ে করোনায় মৃত্যুমিছিল এখনও থামেনি তদুপরি বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসছে দেশ-বিদেশে এক আমেরিকান জনস্বাস্থ্য বিশারদ কটাক্ষ করে বলেছেন --- প্রথম ঢেউই গেল না এখনও , তো দ্বিতীয় ! সাম্রাজ্যবাদীদের কথা থাক , নিজেদের কথা ভাবি বিদেশ থেকে উড়ান চলাচল উৎসবের মরসুমে আরও বাড়বে বলে খবর সংক্রমণ থেমে থাকবে ? পুজোর এবং অন্যান্য উৎসবের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত অসম্ভব , যে কোনও মানুষ বোঝেন অর্থনীতি নিয়ে ভাবার দায়িত্ব না হয় প্রাবন্ধিকদের দিলাম , এই মোচ্ছবের বাজারে করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে জায়গা পাব তো ? আশঙ্কা হচ্ছে, করোনা আক্রান্ত বাছতে এই সময় গাঁ উজাড় না হয়ে যায় অলিম্পিক পিছিয়ে গেল , ফাঁকা স্টেডিয়ামে বড় টুর্নামেন্ট হচ্ছে , পুরসভা নির্বাচন না হয়ে , এতগুলি পুরসভা প্রশাসকমণ্ডলী দিয়ে চলছে এমনি এমনি ? স্কুল-কলেজ নভেম্বর অব্দি বন্ধ এমনি এমনি ? "যা দেবী সর্বভূতেষু সৃষ্টিরূপেণ সংস্থিতা" --- এই সেদিনই শুনলাম আবার তা সেই সৃষ্টির অস্তিত্বই যখন সঙ্কটের মুখোমুখি , তখন দেবীর আবাহনের কী প্রয়োজন , তা আমার স্থূল বুদ্ধিতে বোধগম্য হলনা আমরা সবথেকে খারাপ সম্ভাবনাটা ভাবতে চাইনা , কিন্তু অনেক সময় সেটাই সত্যি হয় এমন হবে না তো , হাসপাতাল(সরকারি - বেসরকারি) , নার্সিংহোম থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে , জায়গা নেই ? মাফ করবেন , আমি কিন্তু স্পষ্ট সিঁদুরে মেঘ দেখছি এখনও আছে সময় , এবারের মত কঠোরভাবে এই বছরের শেষ পর্যন্ত সমস্ত উৎসব , জমায়েতের আয়োজন অবিলম্বে বন্ধ করা হোক মতামত ব্যক্তিগত , বলা বাহুল্য

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610.html






ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example

একটি গানের গল্প

আজ সকালে কোন বাড়িতে যেন অমর পালের কণ্ঠে -- 'প্রভাত সময়ে শচীর আঙিনার মাঝে গৌর চাঁদ নাচিয়া বেড়ায় রে' বাজছিল । আমার অন্যতম প্রিয় গান এটি । আর এই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছোটবেলার এক আদুরে অভিজ্ঞতা । আমি যখন খুব ছোট , আমাদের বাড়িতে কাঠের কাজ করতেন হ্যাঞ্চাক জ্যেঠু । করাত দিয়ে কাঠ কাটার সময় ওইরকম শব্দ হত বলে, শিশুসুলভ সরলতায় জ্যেঠুর এই অভিনব নামকরণ করেছিলাম ! যাইহোক , মানুষটির কীর্তনের গলা ছিল অপূর্ব । অমর পাল নয় , হ্যাঞ্চাক জ্যেঠুর গলাতেই কিছু কিছু কীর্তন গান আমার মনে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে । মানুষটি কাজ করতে করতেই গুনগুন করে গাইতেন । আমার ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে যাঁরা আসতেন , তাঁদের সঙ্গে গল্প করার অভ্যেস । সেই ভাবেই গল্পের ছলে একদিন হ্যাঞ্চাক জ্যেঠুকে বলেছিলাম , তোমার গানের গলা দারুণ তো ! আর তারপর অনুরোধ করেছিলাম , এই গানটা গাইতে । ভীষণ খুশি হয়েছিলেন মানুষটি । তারপর যতদিন বেঁচেছিলেন , রোজ ভোরে এসে যে ঘরে আমরা শুতাম , সেই ঘরের পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে, এই গান শুনিয়ে যেতেন । আমার ঘুম ভেঙে যেত । আধোতন্দ্রায় শুনতাম , বাবা কিংবা মা বলছেন ,--- "ওই যে হ্যাঞ্চাক জ্যেঠু এসেছেন, তোকে গান শোনাতে ।" সেই মিঠে গলায় প্রভাতী গান প্রতিদিন শোনা, সত্যিই এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা । তোমার গলা ভুলিনি জ্যেঠু ।  

https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/%20pub-9792609886530610.html




ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example



কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...