বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১
An anti-fascist parody based on SukumarRoy's rhyme KatukutuBuro on the e...
বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১
কলকাতায় জলপাইগুড়ি
বেশ কয়েকবার খুব চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হয়েছে । আপাতত দু'টো ঘটনা বলি । যাদবপুরে আমাদের টি ভি সাংবাদিকতার ক্লাস নিতেন (২০০৫ সালে) কলকাতা দূরদর্শনের বার্তা সম্পাদক স্নেহাশিস শূর । সেদিন ওঁর প্রথম ক্লাস । আলাপ - পরিচয় পর্ব চলছে । ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে উঠে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছি । আমার বাড়ি(তখনও) জলপাইগুড়ি শুনে থমকে গেলেন ।
--- জলপাইগুড়ি , মানে জলপাইগুড়ি টাউন ? --- হ্যাঁ স্যর । --- কোথায় বাড়ি ? --- শান্তিপাড়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে । --- শান্তি পাড়া বাস ডিপোর পাশে অনেক পাড়া । তোমার বাড়ি কোথায় ? (একটু অধৈর্য হয়ে ) এবার আমার অবাক হওয়ার পালা । কথা হচ্ছে কলকাতায় বসে , কথা বলছি বিখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে । জলপাইগুড়ি শহর চিনতেই পারেন , কিন্তু এতো খুঁটিয়ে প্রশ্ন করার অর্থ খুব ভাল ভাবে শহরটাকে চেনেন , হাতের তালুর মত , কিন্তু কীভাবে ? যাইহোক উত্তর দিলাম --- ডঃ অনুপম সেন... ---হুম... --- ওনার ডিসপেনসারির উল্টোদিকের পাড়ায় । শিল্পসমিতি পাড়ায় । সুহৃদ লেনে । --- সে তো শান্তি পাড়ার অনেক আগে ! আচ্ছা , তোমাদের পাড়ার মোড়ে একটা বড় দুর্গা পুজো হয় কি ? --- দিশারী ক্লাব । না স্যর , ওটার দু'টো রাস্তা আগে । --- আআআআচ্ছা । বুঝলাম । বসো । বসবো কী , আমার তখন হতভম্ব অবস্থা ! পরে, আমাদের পাশের বাড়ির মাসির কাছ থেকে শুনলাম , ওনার দিদি জলপাইগুড়িতে থাকতেন । কিন্তু সেই মুহূর্তে এমন ভাবে কথা বলছিলেন , যেন নিয়মিত যাতায়াত করেন । পরে জিজ্ঞেস করে জেনেছি , আদৌ তা নয় । প্রসঙ্গত , আমাদের জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসার প্রায় সতেরো বছর হতে চলল! এখানে , মানে ব্যারাকপুরে মাঝেমধ্যেই অ্যাটেস্ট করাতে যেতে হত প্রশাসনিক ভবনে , ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরেটের কাছে । মোট ছ'জন আছেন বোধহয় । যাইহোক , একজনের ঘরে ঢুকেছি । তিনি সই করে আমাকে বসতে বললেন । ইতিমধ্যেই আমার মার্কশিট , সার্টিফিকেট দেখে জেনেছেন , যে আমার পড়াশোনা জলপাইগুড়িতে । ততদিন অব্দি বাড়িটাও ছিল আমাদের । উনি একসময়ে জলপাইগুড়িতে পোস্টেড ছিলেন । অবসর গ্রহণের পরে বাকি জীবনটা ওখানেই কাটানোর ইচ্ছে । ভালবেসে ফেলেছেন শহরটাকে । নাটক দেখতেন নিয়মিত । জেনে , দারুণ লেগেছিল । লোকে বলে , কলকাতা হল যৌবনের বৃন্দাবন, আর জলপাইগুড়ি বার্ধক্যের বারানসী । কেন বলে , সেদিন আরেকবার বুঝলাম !মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১
Congress nominated candidate from Jalpaiguri Dr. Sukhabilas Barma sings ...
The campaign for the 2021 Assembly elections in Barrackpore saw impeccab...
রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১
Trinamool Congress nominee Raj Chakraborty in the campaign for Assembly ...
শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১
ভোটে নৈকট্য ২০২১!
চিত্রতারকা ভোট প্রার্থী এসেছেন পাড়ায় । ভোটের কথা মাথায় উঠেছে । তারকার সাথে সবাই নিজস্বী তুলতে চায় । তেমনই এক ষোড়শী পুরুষ প্রার্থীর গা ঘেঁষে দাঁড়ালো সেলফি তুলবে বলে , স্বাভাবিক সঙ্কোচে একটু দূরত্ব বজায় রেখে , গায়ে গা না ঠেকিয়ে । পাশে , মা - কাকীমার বয়সের একজন মহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন । তিনি মুখ টিপে হেসে, চাপা গলায় বললেন --- "আরে যা না , আরেকটু কাছে" , বলে মেয়েটিকে তারকার দিকে ঠেলে দিলেন ! তারকা হওয়ার কত সুবিধা ! কাকীমারা পর্যন্ত নৈকট্যে বাধা হয়ে দাঁড়ান না ! একেবারে স্বপন বসুর 'নন্দলাল - দেবদুলাল' গানটির লাইন যেন চোখের সামনে --- "মন্ত্রী বা এম এল এ হলে , সব কলঙ্ক যাবে চলে / জয় কালী , জয় কালী বলে দাও ঝুলিয়ে , দাও ঝুলিয়ে !"
দৃশ্যটা দেখে একটা অভিজ্ঞতা মনে পড়লো । একটি কাগজ থেকে আমাকে একটি ফ্যাশন ইন্সটিটিউটের একটি অনুষ্ঠান কভার করতে পাঠানো হয়েছিল । আমি আসনে বসে অনুষ্ঠান দেখছি , হঠাৎ এক সুন্দরী তন্বী আমার পাশে এসে বসলেন । বুঝলাম , মিডিয়ার ব্যাপারটা উনিই সামলাচ্ছেন । সামলাতেই পারেন , কিন্তু নিজে বেশ বেসামাল হয়ে পড়ছিলেন , প্রথমে গা ঘেঁষে কথা বলা(ভালই লাগছিল), তারপর প্রায় কোলে চড়ার উপক্রম । বক্তব্য একটাই , রিভিউটা যেন বে-শ ব-ড় করে বের হয় ! যত বলি , সেটা আমার ওপর নির্ভর করে না , লেখা জমা দিয়েই আমার কাজ শেষ , তিনি সে কথা মানবেনই না । আমি যেন বিরাট কেউকেটা(কাজ হাসিল করার জন্য কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল দাওয়া , রিভিউ বেরোবার পরে দেখা হলে আর চিনবেনই না ! এই ধরণের মানুষদের অল্পবিস্তর চিনি অনেকদিন থেকে ) । প্রভাবিত করার রাস্তাটি বুঝে খুব বিরক্ত লেগেছিল । পরে বেরোনোর সময় সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আরেক দফা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । আমি আবার মেয়েদের সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারটা একেবারে মেনে নিতে পারিনা । চোখে লাগে । চোখ অভ্যস্ত নয় বলেই । জলপাইগুড়িতে পঁচিশ বছর কাটিয়েছি । কোনওদিন কোনও বান্ধবী সিগারেট খায়নি । বিরক্তিটা তাই আরও প্রবল হল । ঠিক করলাম , ফিরে গিয়ে অফিসকে ঘটনাটা জানাবো । এমন ঘটনা তো বড়দের বলা যায়না চট করে । তাই আমার প্রায় সমবয়সী এক বিখ্যাত সাংবাদিককে ঘটনাটা বললাম । বিরক্তিও গোপন করলাম না । কিমাশ্চর্যম অতঃপরম, সে সব শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো ! তারপর , কিছুক্ষণ বাদে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললো , তোমার যেটা মনে হয় , সেটাই লিখবে । লিখেওছিলাম ! সে গল্প আরেকদিন !শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১
জীবন যেমন
২০১১ সাল । একটা এস এম এস প্রতিযোগিতায় জিতে এ বি পি আনন্দের এক তর্কযুদ্ধের আসরে গিয়েছি । আমন্ত্রণ পত্রের নীচেই লেখা , শেষে 'হাই টি'-এর আয়োজন আছে । কথাটার মানে জানতাম না , বাবার কাছ থেকে জেনে নিলাম । প্রসঙ্গত , আমি অভিধান দেখা শুরু করেছি বাবা গত হওয়ার পরে । যাইহোক , অনুষ্ঠানে তাবড় তাবড় সব বক্তা ছিলেন । তালিকা দিয়ে লেখা দীর্ঘায়িত করতে চাইনা । ওঁদের তো টিভিতে দেখিই । আমি আমার চারপাশটা ভালভাবে দেখছিলাম । অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের 'দ্য পার্ক' হোটেলের প্রেক্ষাগৃহ 'গ্যালাক্সিতে' । সত্যিই সেদিন নক্ষত্র সমাবেশ হয়েছিল ওখানে । পাশেই 'ট্রিঙ্কা'জ' । ঊষা উথথুপের উত্থান এখান থেকেই , কাগজে পড়েছিলাম । 'দ্য পার্ক'- এ ক'টা তারা ? আমার জানা নেই । জানার আগ্রহও নেই । তবে কাচের দরজার সামনে দাঁড়ালে স্বয়ংক্রিয় দরজা আপনিই খুলে যায় , বেসিনের কলের তলায় হাত রাখলে জল পড়ে , হাত সরালে জল পড়া বন্ধ হয়ে যায় । হাত শুকানোর জন্য রুমাল বের করার দরকার হয়না , একটা মেশিনের নীচে হাত পাতলে , হাত নিজেই শুকিয়ে যায় , কিন্তু কষ্ট করে হাতটা পাততে হয় ! আমার কাছে সম্পূর্ণ এক নতুন জগৎ । এসব দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে । এ বি পি আনন্দের গেস্ট , ঘ্যাম ব্যাপার । অবশ্য শুধু আমি নই , আরও অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন । প্রেক্ষাগৃহে আমাদের বসার জায়গার বাঁদিকে টি ভি চ্যানেলের যন্ত্রের সারি বা প্যানেল । উপর থেকে ছবি নেওয়ার জন্য ছোট ক্রেন । আমি যে টেবিলে বসেছি , তারই একদিকে বসেছেন শাঁওলি মিত্র । প্যানেলের পিছন দিকে , হাতে স্ক্রিপ্ট নিয়ে, খুব টেনশনে ভোগা ছাত্রের মত চিন্তিত মুখে পায়চারি করছেন সুমন দে । এই অবস্থাটা আমার খুব চেনা , কারণ ছোটবেলায় এবং বড়বেলায় আমি পড়া মুখস্থ করতে হলে এভাবেই করি , এবং আরও অনেককে জানি যাঁদের একই অভ্যেস । কিছুক্ষণ পরে সুমন আসনে এসে বসলেন । অতিথিদের সাথে কথা বলছেন , কিন্তু চোখেমুখে টেনশনের ছাপ স্পষ্ট পড়া যায় । হঠাৎ আমাদের পিছন দিক থেকে অনুষ্ঠান পরিচালকের গলা ভেসে এল মাইক্রোফোনে । প্রথম নির্দেশ দর্শকদের প্রতি --- অনুষ্ঠান চলাকালীন আপনারা উঠবেন না বা হাঁটাহাঁটি করবেন না । তার পরের কথাটা সুমন দে-কে উদ্দেশ্য করে বলা ---- সুমন রেডি ? এবার যাব । সুমন অস্ফুটে উত্তর দিলেন --- রেডি । তারপর স্টার্ট সাউন্ড , রোল ক্যামেরা ... ফাইভ , ফোর , থ্রি , টু , ওয়ান ... তারপর ঠিক দশ সেকেন্ড মত বিরতি দিয়ে সুমন সহাস্যে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন -- নমস্কার , আমি ... ... ... । মুখে টেনশনের চিহ্নমাত্র নেই । এই সুইচ অফ আর অনটা উনি কী করে করলেন , আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি ।
অনুষ্ঠান শেষে আমাদের 'সামান্য' আপ্যায়নের আয়োজন । দামি ডিশ -কাঁটা-চামচ । কাঁটা-চামচ সামলাবার চেষ্টাই করিনা কোনওদিন । যে যাই করুক , আমার দক্ষিণ হস্তের উপরেই খাওয়ার ব্যাপারটা ছেড়ে দিই । দেখলাম একজন চামচ দিয়ে আলু ভাঙতে যাওয়ায় , আলু ছিটকে পড়ল দামি কার্পেটে । মনে আরও একটু বল পেলাম । বুফে সিস্টেমে খাওয়ার ব্যবস্থায় সম্ভবত মোট চব্বিশ রকম পদ ছিল সেদিন । বিখ্যাত মানুষদের কেউই কিচ্ছু খেলেন না , একজন ছাড়া --- সুগত মারজিত । উনি নামী অধ্যাপক , কলাম লেখক , শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গায়ক জানতাম , । জানা ছিল না , উনি খুব খাদ্যরসিকও । সেদিন দু'জন মাত্র , স-ব পদ্গুলি এক হাতা করে চেখে দেখেছিল । প্রথমজন উনি , দ্বিতীয় আমি । আক্ষরিক অর্থেই সেদিন ওনাকে আমি অনুসরণ এবং অনুকরণ করছিলাম । কিছু পদের নাম আমি সেদিনই প্রথম শুনেছিলাম । যেমন -- আর্জেন্টিনার বিখ্যাত চিকেন স্যালাড । আমি তো সাধারণ স্যালাডের মধ্যে সিদ্ধ করা মাংসের লম্বা লম্বা টুকরো ছাড়া আর কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি । তবে হ্যাঁ , দ্য পার্কের রাঁধুনি বড় ভাল রাঁধে , তাই খাওয়াটা কিঞ্চিৎ বেশি হয়ে গিয়েছিল । তারপর আরেক টেবিলের আয়োজনও ছিল ! এবার ছোট্ট করে একটা চেনা গল্প বলি । একবার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এসে এক ভক্ত বললেন , ওই জায়গায় খুব বড় সঙ্গীতানুষ্ঠান হচ্ছে । এক ওস্তাদ আসবেন , তিনি বড় ভাল গান । কথাসাহিত্যিকের প্রশ্ন ছিল ---- তোমার ওস্তাদ থামতে জানে তো ? শেষ করলাম , কেমন !বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
After a busy day in the hot summer, drinking a glass of yoghurt before s...
বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১
মিত্র না অমিত্র ? সাংবাদিকতার নীতিমালা
মাস কমিউনিকেশন যারা পড়তে যায় তাদের একটা বড় লাভ এই যে , তাবড় তাবড় সাংবাদিকদের শিক্ষক হিসেবে পাওয়া যায় । ২০০৫ সালে আমাদের তেমনি সম্পাদনা(Editing) পড়াতেন আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক রথীন মুখোপাধ্যায় । স্যর একজন অগ্রজের গল্প করেছিলেন একদিন । হয়ত নিউজ বিভাগে খবর এল , কোনও এক জায়গায় একটা দুর্ঘটনায় সাতজন মারা গেছে । এই শুনে ওই বিভাগীয় প্রধান বলতেন --" ধুর , মাত্র সাত জন !" এরকম মন্তব্য তখন শিক্ষানবিশ স্যরের কানে লাগত । খারাপ লাগত । একদিন সাহস করে বিভাগীয় প্রধানকে জিজ্ঞেসই করে ফেলেছিলেন --- "আপনার খারাপ লাগে না এরকম কথা বলতে ? আরও বেশি লোক মারা গেলে আমাদের কী লাভ ?" শিক্ষানবিশের সংবেদনশীলতার জায়গাটি বুঝতে পেরে অল্প হেসে স্যরের বস উত্তর দিয়েছিলেন --- "আমাদের লাভ, ভাল শিরোনাম হবে । ৭ জনের মৃত্যু মানুষের মনে-চোখে-মস্তিষ্কে যতটা প্রভাব ফেলে , ৭০ জনের প্রভাব বা ৭০০ জনের প্রভাব তার চেয়ে অ-নে-ক বেশি । আর খবরটা যদি একমাত্র আমরাই দিই , তবে তো আরও বেশি লাভ ।" পোড় খাওয়া সেই সাংবাদিক সেদিন মানবিকতা আর ব্যবসা -- দু'দিকেই ভারসাম্য বজায় রেখে চলার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কঠিন দায়িত্বের কথা অনেকটা সময় ধরে স্যরকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ।
বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১
বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর প্রচারে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে মনোনীত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী ।
মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১
Raj Chakraborty, TMC nominee from Barrackpore constituency in WestBengal...
সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১
সহযাত্রী
বেশ কয়েক বছর আগের কথা , ২০১০ বা ২০১১ হবে । বাবা জলপাইগুড়ি যাবেন তিস্তা তোর্সায় , সাথে আমি যাচ্ছি শিয়ালদায় তুলে দিতে । ব্যারাকপুরে লালগোলা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার দাঁড়িয়ে । উঠে পড়লাম । কারণ, এর পরে শিয়ালদার আগে একটাই স্টপে থামবে , দমদম । তো দমদম পর্যন্ত ট্রেন পক্ষীরাজ ঘোড়ার মত ছুটল । তারপর দমদম স্টেশনের একটু আগে দাঁড়িয়ে পড়ল , এবং দাঁড়িয়েই রইল পরবর্তী পাক্কা দু'ঘণ্টা । ট্রেন থেকে নেমে, আমরা যখন তিস্তা তোর্সার সামনে হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছলাম , তখন গা ঝাড়া দিয়ে ট্রেন চলতে শুরু করেছে । প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার আগে, সব ট্রেনের গার্ডই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সামনে নজর রাখেন , যাতে শেষ মুহূর্তে ওঠানামা করতে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে । আমি দেখলাম ট্রেন যদি না থামে , বাবার পক্ষে ওঠা অসম্ভব । নিরুপায় হয়ে বাবার কাছ থেকে টিকিটটা নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে গার্ডের কাছে পৌঁছে গপ্পোটা ছোট করে বললাম । গার্ড দূরে দাঁড়ানো বাবার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন , ওনাকে ডাকুন । ট্রেন কয়েক সেকেন্ডের জন্য থামল । ওনার নির্দেশে বাবাকে গার্ডের কেবিনের পর, ট্রেনের লেজের দিকে প্রথম, মহিলা কামরায় তুলে দিলাম । বাবার যাওয়ার ঠিক আগে চলন্ত ট্রেনের মহিলা কামরা থেকে, অনন্যোপায় হয়ে মহিলা কামরায় ওঠা পুরুষ যাত্রীকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা কাগজে বেরিয়েছিল । সেটা মাথায় ছিল । ফলে বারে বারে ট্রেনের ওই কামরার মহিলা যাত্রীদের বলে দিয়েছিলাম , বাবা নৈহাটিতেই কামরা বদল করে নেবেন । বাবা তখনও হাঁপাচ্ছেন , তাই দেখে আমার নম্বরটা দিয়ে বলেছিলাম , প্রয়োজনে দয়া করে যেন ফোন করেন ।
এরপর বাড়িতে ফিরে এসে কিছুক্ষণ খুব উদ্বেগে কাটল । তারপর বাবার বহু আকাঙ্ক্ষিত ফোনটা এলো । বাবা জানালেন , নৈহাটি পর্যন্ত কামরার সব বয়সী মহিলারা রীতিমত বাবার পরিচর্যা করেছেন । নৈহাটি এলে বাবা তুলনামূলক ভাবে সুস্থ , এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপর গার্ডকে বলে, নিজেরাই বাবার ব্যাগ বয়ে নির্দিষ্ট কামরায় তুলে দিয়েছেন শতবার বারণ করা সত্ত্বেও । কথাগুলো বলতে বলতে বাবা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন , আর আমরাও । এমন সহযাত্রী পেলে বেঁচে থাকাটা সত্যিই খানিকটা সহজ হয়ে ওঠে ।বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১
Violin for 3 year old. My first violin toy.Violin for beginners.Toy Viol...
বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১
বসন্তের বার্তা দিতে শিমুল গাছের ডালে পাখিদের কিচিরমিচির , নীল আকাশের বুক...
রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
সংস্কারের অভাবে ২৪০ বছরের পুরনো জগদ্ধাত্রী ও শিব মন্দির ধূলিসাৎ হওয়ার দি...
শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
কিছুটা ঘটে । ভূতের গল্প বাংলায় ।
রোমানিয়ার হোয়া বাচু অরণ্যের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই । এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভৌতিক অরণ্য বলা হয় । গভীর অরণ্যের মাঝখানে একটি ফাঁকা জায়গা আছে , যেখানে ঘাসও জন্মায় না । গাছ লাগালেও মরে যায় । বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মত, এই রহস্য উন্মোচন করতেও বহু অভিযান করা হয়েছে । কিন্তু ভৌতিক-অলৌকিক ঘটনাগুলি কেন ঘটে , এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি । রোমানিয়া যেতে সময় লাগবে । আপাতত , খুব নিকটজনেদের কাছে শোনা তিনটি ঘটনা বলি ।
রবীন্দ্রনাথ সত্যিই প্ল্যানচেট করতেন কিনা জানা নেই , তবে কয়েক দশক আগে পর্যন্ত প্ল্যানচেট করার খুব চল ছিল । আমার এক নিকটাত্মীয়ের এতে খুব আগ্রহ ছিল । ঠাকুরদার এ ব্যাপারে কড়া নিষেধ ছিল বলে , তাঁর অজ্ঞাতে গ্রামের বাড়ির একটা অংশে বোর্ড বসেছিল । সেই ঘটনার আগে আমাদের এক জ্ঞাতি মারা যান । ঠিক করা হয়, তাঁকেই ডাকা হবে । পরিকল্পনামাফিকই সব এগোচ্ছিল । হঠাৎ মিডিয়াম হয়েছিলেন যিনি , তিনি কাগজে পেনসিল দিয়ে খসখস করে ঝড়ের বেগে কিছু লিখে দেন । সবাই দেখেন , তাতে লেখা --- "এভাবে ডেকো না , বড্ড কষ্ট হয় ।" এর অব্যবহিত পরেই গোটা বাড়ি মড়া পোড়ার গন্ধে ভরে ওঠে । ঠাকুরদা ছুটে আসেন । সবাই ভীষণ বকা খান ।
দ্বিতীয় ঘটনাটা আমার এক বন্ধুর স্বর্গত বাবার মুখ থেকে শোনা । কাকু উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থায় কাজ করতেন । চাকরিজীবনের প্রথম দিকের ঘটনা , তখন কাকুর পোস্টিং কোচবিহারে । বয়স কম , বিয়ে করেননি , রক্তে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা । যা হয় , ইচ্ছে করেই একটা পাণ্ডববর্জিত জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়েছেন । একাই থাকেন । বাড়ির চারপাশে ফাঁকা মাঠ । তখন শীতকাল । এটা সেই সময়ের কথা বলছি , যখন উত্তরবঙ্গে সত্যিই মাঘের শীতে বাঘ পালাত । একদিন কাকু ডিউটি করে এসে , রাতের খাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছেন । ঘণ্টা দুয়েক কাটার পর , কাকুর আচমকা ঘুম ভাঙল, দরজা আর জানলাগুলোয় একসঙ্গে প্রচণ্ড কাঁপুনির শব্দে । কালবৈশাখী ঝড় এলে যেমনটা হয় । অথচ শীতকাল । মেঘমুক্ত আকাশ , ঝড়ের আভাসটুকুও নেই । কাকু প্রথম ভাবলেন পাড়ায় নতুন অতিথির সাথে বোধহয় পাড়ার ছেলেরা মশকরা করছে ! "অ্যাই , কে রে" -- হাঁক ছেড়ে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলেন কেউ নেই । চক্ষু-কর্ণের বিবাদভঞ্জন করতে গোটা বাড়ি বড় টর্চ হাতে পাক খেলেন । নাহ , কেউ কোথাও নেই । ভাবলেন ভয় পেয়ে সবাই লুকিয়ে পড়েছে । নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরে ফিরে শুতেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । এবার কাকু দৌড়ে বাইরে বেরোলেন । চারিদিকে ফাঁকা মাঠ , একপাশে জঙ্গল । লুকোতেও তো সময় লাগবে । হাতেনাতে পাকড়াও করবেন সবাইকে , এমন একটা ভাব নিয়ে বাইরে বেরোতেই আবারও একই অভিজ্ঞতা হল । সে রাতে আরও কয়েকবার দরজা-জানলা কেঁপেছিল , কাকু আর দরজা খোলেননি । এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যাও স্থানীয় মানুষদের থেকে না পেয়ে বাড়ি পাল্টে নিয়েছিলেন ।
তৃতীয় ঘটনাটা ব্যারাকপুরে আমাদের এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে শোনা । অভিজ্ঞতাটা লোকাল ট্রেনে তাঁর সহযাত্রীর । এখানে সাইকেল-স্কুটার গ্যারেজগুলো রাত এগারোটা , বড়জোর সাড়ে এগারোটার পর সব বন্ধ হয়ে যায় । ট্রেন বিভ্রাটে সেদিন কাকুর সহযাত্রী সেই ভদ্রলোকের ফিরতে সাড়ে বারোটা হয়ে গেছে । গ্যারেজ বন্ধ হয়ে গেছে বলে বাইক নিতে পারেননি , হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন । ওনার বাড়ি যাওয়ার পথে তেরো নব্বর রেল গেট পড়ে । অভ্যেসবশত দু'দিক দেখতে দেখতে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময়, হঠাৎ ভদ্রলোক রেল লাইন ধরে সালোয়ার-কামিজ পড়া এক ভদ্রমহিলাকে হেঁটে আসতে দেখেন । এই সময় ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে আসে বলে অনেকেই রেল লাইন ধরে হেঁটে আসেন , সময় বাঁচাতে । কিন্তু অত রাতে একজন মহিলাকে লাইন ধরে অন্ধকারের মধ্যে এগিয়ে আসতে দেখে ভদ্রলোক স্বাভাবিকভাবেই একটু অবাক হন । চেনা কেউ কিনা দেখতে দাঁড়িয়ে যান । ততক্ষণে মহিলা অনেকটা কাছে চলে এসেছেন । তারপর ভদ্রলোক যা দেখেন তা রীতিমত রোমহর্ষক । ওঁর নিজের কথায় -- "সবই ঠিক আছে , শুধু ধড়ের ওপর মাথাটা নেই ।" চেতনার শেষ পর্যায়ে গিয়েও কোনওমতে নিজেকে সামলে ভদ্রলোক দৌড়তে দৌড়তে বাড়ি পৌঁছন সেদিন । আজব ব্যাপার , এই ঘটনার কিন্তু পুনরাবৃত্তি হয়নি ।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু , তর্কে বহুদূর ।
TEDDY BEAR , LET US CHEER ! @ Surendranath Banerjee Road, Barrackpore. F...
মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
সরস্বতী পুজোর বাজার । নোনা চন্দনপুকুর ও তালপুকুর , ব্যারাকপুর । বসন্ত পঞ...
সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
"কেউ যদি বেশি খাও , খাওয়ার হিসেব নাও ; কেননা অনেক লোক ভাল করে খায়না ।" ছ...
সারদা মায়ের বাড়ি ও গঙ্গায় স্নানের ঘাট , উদ্বোধন কার্যালয় , প্রথম মঠ ও মি...
কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport
### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...
-
" ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প সে অনেকদিন আগের কথা ----- ১৯৫৫ - ৫৬ সাল হবে । আমি সে সময় কলেজের ছাত্র । তখন জলপাইগুড়ি বাবু পাড়া পাঠাগারের ...
-
তনয়ের জন্য পাত্রী দেখছেন তার বাবা । রোববার কাগজ এলে গোটা সকালবেলাটা তার কেটে যায় পুত্রের জন্য সম্ভাব্য পাত্রী নির্বাচনে ...
-
Thinking aloud --- উচ্চস্বরে ভাবা । কানে, প্রায় অদৃশ্য হেডফোন গুঁজে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে চলার কথা বা মোবাইলের পর্দায় নিমগ...
-
পুষ্পাঞ্জলি ট্র্যাভেলস ডুয়ার্সে এখন পর্যটকদের যে দলটা আসে কলকাতা থেকে, তাঁদেরকে নিয়ে ঘোরেন সৈকত । পরিভাষায় তিনি ট্যুর অপারেট...
-
ট্রিপল টি --- টি , টিম্বার আর টোব্যাকো জলপাইগুড়ি জেলা তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির অভিজ্ঞান ছিল একসময় । সে রাম নেই...
-
অফিস থেকে বেরোতে আজ বড্ড দেরী হয়ে গেছে রাপ্তীর । মেন লাইনে এই সময়ে , এত রাতে লেডিজ কম্পার্ট্মেন্ট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় ...
-
শিমুল ফুলের উপকারিতা,শিমুল গাছের ফুল,bombax ceiba,red cotton tree,cotton tree,shimul flower,shimul flower drawing,shimul flower in bengali,s...
-
আমি আগাম ক্ষমাপ্রার্থনা করে নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ(ARCHAEOLOGICAL SURVEY OF INDIA / A.S.I) সম্পর্কে আমার খুব এক...
-
শতবর্ষে সত্যজিৎ ---- একটি জীবন , একটি প্রতিষ্ঠান সত্যজিৎ রায়ের জন্ম ২ মে ১৯২১ সালে এবং মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৯২ – এ । ছ...
-
Graffiti Visual art genre https://g.co/kgs/2181h1 graffiti art graffiti art drawings graffiti drawings graffiti artist Barrackpor...





