মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কেউ বা কারা বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বেঁধে দিয়েছে !
সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১
খেত থেকে সাদা চন্দ্রমল্লিকা ফুল সংগ্রহ করার মুহূর্ত ।
“A Flower Among Flowers”.
যখন প্রথম ধরেছে কলি সাদা চন্দ্রমল্লিকা বনে
"কত শত অনুভূতি বিবর্ণ রঙে, তুলি ধরে কুয়াশা যখন ।" mist-fog and mystery!
রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১
"পাখিরা বুঝি মাইনে পায় / মেঘেরা বুঝি অফিস যায় রোজ ?"
আস্থা
আমার এক বান্ধবীর মায়ের আজ মৃত্যুবার্ষিকী , দেখলাম ফেসবুকে । কত তাড়াতাড়ি জীবনের দিনগুলো পিছনে চলে যায় ! কুড়ি-বাইশ বছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়ল কাকীমাকে নিয়ে , ভাগ করে নিই । আমার, প্রায় স-ব বন্ধু এবং বান্ধবীদের বাবা-মায়ের সাথেই সহজ সম্পর্ক ছিল । কিছু ক্ষেত্রে বন্ধুর মতনও । আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাবাকে ওদের বাড়িতে গেলে , আমি বহুদিন ইনসুলিন ইঞ্জেকশন দিয়ে দিয়েছি কোমরে , বাড়ির সবাই ব্যস্ত থাকলে । কাকীমার সাথে সম্পর্কটাও বন্ধুর মতই ছিল । কলেজের অনেক গল্প মায়ের মত কাকীমার সঙ্গেও ভাগ করে নিতাম । কাকীমা কোনও বক্তব্য থাকলে বলতেন । আমরা তখন খুব অ্যামেচার নাটক করতাম । কাকীমা আমাদের অভিনয় দেখতে যেতেন নিয়ম করে । ওঁর বিশ্লেষণী শক্তি ছিল অসাধারণ । কাকীমার মতামতের অপেক্ষায় থাকতাম আমরা । এক বিকেলে ওঁদের বাড়িতে গেছি একটা কাজে । কাকীমা বললেন , ও দোতলায় ঘুমোচ্ছে , চলে যা । খুব অবাক হয়েছিলাম । কারণ তখনও কিছু বান্ধবীর অভিভাবকেরা , আমরা ওদের বাড়িতে গেলে , হয় আড়াল থেকে আড়ি পাততেন , নয়ত সামনে থেকে নড়তেন না । দোলের দিন তো নয়ই !
যাইহোক গেলাম দোতলায় । গিয়ে দেখি উপরে আর কেউ নেই । ও একটা ঘরে অকাতরে ঘুমোচ্ছে , পোশাক স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অবিন্যস্ত । কয়েক মুহূর্ত ঠিক করতে সময় লেগেছিল , কী করব । শেষমেশ , ঘর থেকে বেরিয়ে ইচ্ছা করে যেন সিঁড়ির দিক থেকে এগিয়ে আসছি , এমন অভিনয় করে খুব জোরে ওর নাম ধরে ডাকতে ডাকতে এগোলাম । ও নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেল , দু'জনের পক্ষেই একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানো গেল । জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত বহু বার আসে , যখন অনেক কিছু করতে বা বলতে ইচ্ছে করে , কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইচ্ছেয় রাশ টানতে হয় । সেদিন আমার জীবনে তেমন একটা মুহূর্ত এসেছিল । সুন্দরী মেয়েদের ঘুমোলে যে আরও সুন্দর লাগে , সেদিন জেনেছিলাম ।
আর , সবচেয়ে ভাল লেগেছিল কাকীমা আমার উপরে আস্থা রাখেন বুঝে । সেদিনের পর থেকে কাকীমার প্রতি শ্রদ্ধাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল । কালের নিয়মে কাকীমা আর ইহলোকে নেই , আমিও বুড়িয়ে গেছি , কিন্তু মনের ভেতরে একটা সুখস্মৃতি বেঁচে আছে ।
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১
মুক্ত বিহঙ্গ । বনের পাখি - খাঁচার পাখি ।
আ-দেখ-লে
তৃণে জন্ম পদ্মে পা
টিভিতে মুখ দেখাগে
যা !
বঙ্গ রাজনীতি বেশ কিছুদিন লিফট প্রসঙ্গ
নিয়ে সরগরম থাকল ! কে লিফটে চড়ে রাজনীতির জগতে উপরে উঠেছেন আর কে সিঁড়ি ভেঙে উঠেছেন,
সেই তর্কেও উত্তপ্ত হল খবরের চ্যানেলের আলোচনার প্যানেল । কিন্তু হঠাৎ সিঁড়ি-লিফট নিয়ে
পড়লাম কেন , তার কারণটা বলি । ২০১৯-এর শেষের দিকে শিয়ালদা স্টেশনের মূল প্রবেশপথের
সামনে ওই চত্বরেই বেড়ে ওঠা একটি রেস্তরাঁয় ঢোকার ব্যবস্থা দেখে পিত্তি জ্বলে গিয়েছিল
। রেস্তরাঁটি একতলায় , সেখানে যাওয়ার জন্য ক্যাপসুল লিফটের ব্যবস্থা ! আলো দেওয়া একটা
কাচের ঘর উঠছে আর নামছে , আর বুভুক্ষুদের অভ্যর্থনা জানাবার জন্য স্টেশন চত্বরে খিদমতগার
দাঁড়িয়ে আছে । এই ধরণের ব্যবস্থা সিনেমায় বা পাঁচ তারা হোটেলে দেখা যায় , সেখানে এসব
মানায় । কিন্তু, একতলা ওঠার জন্য রেল স্টেশনে লিফট ! মনে হয়েছিল, খাবারের মান-দাম না
দেখে লোকে ওরকম হ্যাংলার মত লিফটে ঢুকছে কেন ? কেন বলছে না , যে – না , আমি সিঁড়ি দিয়েই
উঠবো ? একটা কাগজের অফিস জানি , যেখানে রিসেপশন থেকেই বলে দেওয়া হয় , --- একতলায় গেলে
, সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন । আর সেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় চোখে পড়ে, প্রতিষ্ঠানটির ব্লু কলার
কর্মীদের ছবি । আক্ষরিক অর্থেই, যাঁদের ছবি দামী ফ্রেমে বাঁধানো ধাপে ধাপে , তাঁরা
নীল পোশাক পরা কর্মী । ওঁরা হাত তুলে দিলে, পরের দিন কাগজ বেরোবে না । হাঁড়ির একটা
ভাত টিপেই যেমন ভাত সেদ্ধ হয়েছে কিনা বোঝা যায় , তেমনি একটি বড় প্রতিষ্ঠান, কেন বড়
, তার কিছুটা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলেই মালুম হয় ।
তো , এরপর আচমকা আমাদের গল্পে করোনা ভাইরাস
ঢুকে পড়ল । মাসের পর মাস স-ব বন্ধ । একবছর হতে চলল মার্চ মাসের শেষের দিকের পর থেকে
, এই ২২-০১-২০২১ তারিখ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলেনি । আদৌ কোনও দিন খুলবে কিনা সন্দেহ
আছে , কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতর থেকে বাড়িতে আন্তর্জালে পড়াশোনার জন্য ট্যাব(লেট!)
কেনার জন্য দশ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ।
দশ মাস পরে সেদিন আবার শিয়ালদায় গেছিলাম
। দেখলাম, ওই লিফট বন্ধ । কাচের দরজায় বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে --- এখানে ৫৬ টাকায় ভাত পাওয়া
যায় । দেখে , কেন জানিনা ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছি । পথে এসো বাওয়া ! অতিমারির কিছু সুফলও
আছে , এই কথাটা অস্বীকার করলে চলবে ? “বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা /
বিপদে আমি না যেন করি ভয় / … আমারে তুমি করিবে
ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা / তরিতে পারি শকতি যেন রয় ।“ কী দারুণ কথা না ! এক্কেবারে
যেন মনের কথাটি বলা । পকেটে এখন লিফট নয় , ছাপ্পান্ন টাকা সইতেও যে পাবলিকের বেজায়
কষ্ট হচ্ছে , ওই বিজ্ঞপ্তিই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ ।
কাজেই , তৃণ হোক বা পদ্ম , এই অতিমারির
বাজারে পকেট ও স্বাস্থ্যের জন্য সিঁড়িই ভাল ! কায়দা নেই , ফায়দা আছে ! আবদ্ধ স্থানেই
তো করোনা ভাইরাসের ভয় বেশি , তাই না ?
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2021/01/pub-9792609886530610-18.html
সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১
রিয়েল এস্টেট শোনে কী কখনও মেঘমল্লার ?
শহরে থাকার জায়গা কম কিন্তু জনসংখ্যা - জনঘনত্ব ক্রমবর্ধমান ---- এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামলাবার জন্য একটা রাস্তাই খোলা থাকে , অল্প জায়গায় বেশি লোকের থাকার ব্যবস্থা করা , বহুতল বাড়ি তৈরি হওয়া । ছবিটা জলপাইগুড়ি থেকে ব্যারাকপুর , সর্বত্র এক । দু'কাঠা - আড়াই কাঠা থেকে চার কাঠা জমিতে একটি বাড়ি থাকবে এবং সেখানে মাত্র একটিই পরিবার বাস করছে বা করবে , এমন ছবি খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে এবং জনসংখ্যার চাপে আরও পালটাবে । যে শহরে থাকি , সেই ব্যারাকপুরে ,প্রতিদিন কোনও না কোনও গলিতে একটা করে পুরনো বাড়ি ভাঙা হতে দেখি বহুতল উঠবে বলে । শুনি , কলকাতা থেকে ছ'শ কিলোমিটার দূরের জলপাইগুড়ি শহরেও ছবিটা একই । বাড়ি করবার জন্য সেখানেও জমি কম পড়িয়াছে ! আমাদের ছোটবেলায় রাজমিস্ত্রিদের রয়েসয়ে কাজ করতে দেখতাম । ছাদ ঢালাই বা গাঁথনির পর অন্তত সপ্তাহ তিনেক ভাল করে নির্মাণটিকে 'জল খাওয়ানো' আবশ্যক জানা ছিল । এখন বোধহয় সিমেন্টের ক্ষমতা বেড়ে গেছে । আজ যে বাড়ির ভিত তৈরি হল , সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তার গাঁথনি- ছাদ ঢালাই শুরু হয়ে যায় এখন । চোখের সামনেই একটি বহুতল খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হল , আরও দ্রুত তার বাইরের দেওয়ালে হলুদ রঙ হল । তারপর এক পশলা বৃষ্টি হতেই, হলুদ রঙ দেওয়াল ছেড়ে সামনের রাস্তায় নেমে এল, আর দেওয়ালের অবস্থাটা দাঁড়াল ডোরাকাটা বাঘের মতন ! দ্বিতীয় দফায় আবার রঙ হল , সেটা আপাতত দেওয়ালকে জড়িয়েই আছে !
আসলে যে কথাটা বলতে চাইছি , রোটি-কাপড়া অর মকান-এই তিনটেরই নিশ্চিত ব্যবস্থা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে । ছোটবেলায় বড়রা একটা কথা বলে বলে মুখস্থ করিয়ে ছেড়েছিলেন --- সাফল্য লাভ করা কঠিন , তার চেয়েও কঠিন, সাফল্য ধরে রাখা । এই অতিমারি ধ্বস্ত দুনিয়ায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যতটা কঠিন , তার চেয়েও বেশি কঠিন এই তিনটির সংস্থান নিশ্চিত করা । কিন্তু এমনটা হল কেন ? আমার স্বল্পবুদ্ধি বলে শরীরের সমস্ত রক্ত মাথায় এসে জমা হওয়ার কারণে । অর্থাৎ সমস্ত সুযোগ সুবিধে মহানগর ও নগরকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে । কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ আর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা ব্যবস্থা কী এক ? দু'টির মধ্যে পার্থক্য কতখানি , যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরাই জানেন । আবার গেলেই যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে , তার নিশ্চয়তা নেই কোথাও । দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনেই তার প্রমাণ মেলে । সুন্দরবনে কাউকে কালাচ সাপে কামড়ালে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এনে , হাসপাতাল চত্বরে গাছতলায় বসে থাকতে হয় , কিংবা পাথর কাটার ড্রিলিং মেশিন ছিটকে পেটে ঢুকে গেলে, তাকে সকলের প্রিয় পর্যটনস্থল দার্জিলিং থেকে যে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য রক্তাপ্লুত - মরণাপন্ন অবস্থায় নামিয়ে আনতে হয় , সেও তো নিজের চোখে দেখা । সব সুবিধে এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হলে এই সমস্যা হবেই এবং তা থেকে নানাবিধ জটিলতাও জন্ম নেবে । সব দিক থেকে দুর্বল মানুষের সুস্থভাবে বাঁচা দিনকে দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে এই কারণেই । কলকাতা বা শহরতলি এবং জলপাইগুড়ির মধ্যে টিকে থাকা যেমন এক নয় , জলপাইগুড়ি আর লাটাগুড়ির মধ্যে টিকে থাকাতেও বিস্তর পার্থক্য আছে মাত্র কয়েক কিমি'র ব্যবধানে ।
সেদিন কলকাতার কাছেই এক গ্রামে গিয়েছিলাম । সেখানে পাকা বাড়ির সংখ্যা কম , পাকা শৌচাগার আরও কম । যেদিকে দু'চোখ যায় ফুলের- ফসলের খেত । সেইখানে কাঁচা রাস্তার পাশে বহুতল উঠছে । কেন ? মনের মধ্যে ভুসভুসিয়ে ওঠা প্রশ্নটার উত্তর পেলাম পুকুরে স্নান করতে আসা দুই মহিলার কথোপকথনে । --- এখন লোকে ঘুরতে আসছে , এরপর নায়িকা শুটিং করতে আসবে । পাকা বাথরুম তো লাগবেই । মাছ ধরতে নদীতে যেভাবে জাল ছড়িয়ে, ছুঁড়ে ফেলা হয় , সেভাবে জাল বিছাচ্ছে ধনতন্ত্র । রাঘব বোয়াল না হোক , পুঁটিমাছও ধরা না পড়লে লোকে খাবে কী !
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2021/01/pub-9792609886530610_60.html
"THERE WAS A BROWN CROW! দরওয়াজা বন্ধ করো!"
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কি
রিয়েল এস্টেট
জমি ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
রিয়েল এস্টেট মানে কি
কন্সট্রাকশন ব্যবসা
হাউজিং ব্যবসা
রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১
সাদা-হলুদ চন্দ্রমল্লিকা ফুলের ক্ষেত । পুরাতন চাপড়া গ্রাম । রাণাঘাট । নদী...
ফুলের ক্ষেত পুরাতন চাপড়া গ্রাম রাণাঘাট নদীয়া । Field Of Flowers, Puratan...
সূর্যমুখী - সর্ষে ফুলের খেত । পুরাতন চাপড়া গ্রাম । রাণাঘাট । নদীয়া । Mus...
দর্শকদের প্রতি বার্তা । Message to viewers
মোহিত ঘোষ , রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছড়াকারের নামফলকও নেই ! উত্তরবঙ্গ সংবাদ ১৭-০১-২০২১
https://www.uttarbangasambad.in/admin_epaper/uploadedfiles/2021-01-17_9.gif
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১
ক্ষতিগ্রস্ত 'পথের পাঁচালী'র পাণ্ডুলিপি এবং বাড়ি - বলছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্...
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১
আস্তাকুঁড়
আমাদের পুরসভা থেকে দিয়েছে । তোমাদের দিয়েছে ? এই দু'টির সঙ্গে একটি প্রচারপত্রও আছে । তাতে লেখা-- পচনশীল বর্জ্য(WET WASTE যেমন-- খাবারের উচ্ছিষ্ট , ফল-সবজি - ফুল - পাতা , মাছের আঁশ ও কাঁটা , মাংসের হাড় , ডিমের খোসা ইত্যাদি) সবুজ পাত্রে ও অপচনশীল বর্জ্য(DRY WASTE যেমন--- কাগজ , কার্ডবোর্ড , টেট্রা প্যাক , খাতা , কাগজের বাক্স , পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজ , প্লাস্টিকের বোতল , অন্যান্য প্লাস্টিক বর্জ্য , রাবার এবং কাঠ , গ্লাস , সিডি , ধাতু , শোলা ইত্যাদি) নীল পাত্রে ফেলতে হবে । আর, বিপজ্জনক বর্জ্য(HAZARDOUS WASTE , যেমন -- ব্যাটারি , টিউব লাইট ও বাল্ব , পরিষ্কার করার পদার্থ , ওষুধ , রঙ , তার , ইলেকট্রনিক বর্জ্য , সিরিঞ্জ , কীটনাশক , মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনসামগ্রী , স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার , ওষুধের মোড়ক) ফেলতে হবে, কালো প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে (বলা নেই, কিন্তু ছবি দেখে তাই-ই মনে হচ্ছে ।)। সেটা কে দেবে ? নিজেরাই কিনে নিতে হবে ? তাছাড়া, কালো প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ/ মোড়ক আইনত নিষিদ্ধ না ? প্রচারপত্রটি বিলি করার দায়িত্বে রয়েছে ব্যারাকপুর পুরসভা । এটি ছাপা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে , মিশন নির্মল বাংলার অংশ হিসেবে । ভাল উদ্যোগ নিঃসন্দেহে । কিন্তু তালিকায় বিপজ্জনক বর্জ্য গোত্রে ফেলা হচ্ছে যে বস্তুগুলিকে , সেগুলি তো আমাদের এখানে পুরসভার জঞ্জাল সংগ্রহকারী কর্মী নিতেই চান না । মানে এতদিন চাননি । বরং ইচ্ছা করে এমন মন্তব্য করেন , যাতে উল্টোদিকের মানুষটি লজ্জা পান, অস্বস্তিতে পড়েন এবং দ্বিতীয় দিন থেকে ওই বস্তুগুলি আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ না করেন । এখন কী হবে জানিনা । স্যানিটারি ন্যাপকিন পুরসভার জঞ্জাল ফেলার গাড়িতেই যদি ফেলা যেত , তবে কী সেগুলি আর কুকুরের টানাটানির ফলে প্রতিটি পাড়ার রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকত প্রতিদিন ? আর এই তালিকার বাইরেও কিছু বর্জ্য আছে , যেমন রাসায়নিক বর্জ্য , তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ইত্যাদি । সেগুলি পুরসভার গাড়ি নেবে ? পুরীষসিক্ত ডায়াপার নেবে ? রক্তমাখা তুলো , অন্যান্য চিকিৎসা বর্জ্য নেবে ? প্রশ্ন থেকে যায় । এখনও গভীর নালায় / ম্যানহোলে নেমে, বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচার কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই আমাদের ময়লা সাফ করেন কিছু মানুষ । এমন দৃষ্টান্ত এই ২০২১ সালেও পশ্চিমবঙ্গে যে বিরল নয় , সেটাও কী খুব কম লজ্জাজনক ?
তবে কিনা বর্জ্যের কাহিনিতেও মজা থাকে । ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়, রাস্তার পাশে একটি ভ্যাটের গায়ে লেখা রয়েছে --- WEST WASTE !
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/04/pub-9792609886530610_61.html
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/11/pub-9792609886530610_40.html
মাচা
তুমি যাকে বলছ মাচা
অনেকের কাছে সেটাই বাঁচা
মঞ্চ যেমন হোক না কেন
তাকে সম্মান করি যেন
'মনের মানুষ' প্রসেনজিৎ
এই মাচাতেই সুপারহিট
যার টাকাতে পেট চলে
তাকেই কী কেউ নীচু বলে ?
বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১
হলুদ চন্দ্রমল্লিকা ফুলের খেত । পুরাতন চাপড়া গ্রাম । রাণাঘাট । নদীয়া । Ye...
ফুলের গ্রাম পুরাতন চাপড়া ২০২১ । রাণাঘাট নদীয়া । VILLAGE OF FLOWERS- PURA...
রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১
অতিমারি
এ দুনিয়ার সব কিছুই একটা কার্য – কারণ সম্পর্কে বাঁধা । লকডাউন চলাকালীন অনেকেই বলছেন, এই গ্রহ এখন রিস্টার্ট মোডে আছে । তাঁরা একদম ঠিক কথা বলছেন । ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বারবার বলেছে কিয়োটো প্রোটোকল মানো , কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাও , নইলে শেষ হয়ে যাব আমরা, কিন্তু সে কথায় কেউ কর্ণপাত করিনি । ষোড়শী গ্রেটা থুনবার্গ, নিজেকে সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ মনে করা রাষ্ট্রপ্রধানকে ধমকে বলেছেন --- “হাউ ডেয়ার ইউ ? তোমাদের সাহস হয় কী করে যাবতীয় পরিবেশবিধি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ।“ বড়দের দল তাঁর স্বাভাবিক ক্রোধকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেননি । পৃথিবীর ফুসফুস অ্যামাজন বৃষ্টিবনানী কেটে সাফ করে , সেখানকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে , বহুজাতিক সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান । চরম ঔদ্ধত্যে সে কাজের পক্ষে সওয়ালও করেছেন । উপগ্রহ চিত্রটি আমরা দেখেছি , সন্দর্ভ রচনা হয়েছে দিস্তে দিস্তে , কাজের কাজ কিস্যু হয়নি , অ্যামাজনকে বাঁচানো যায়নি । যে কয়েকজন পরিবেশবিদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানব সভ্যতার পায়ে কুড়ুল মারা প্রাণপণে আটকাতে গিয়েছিলেন , তাঁদের সৎ প্রচেষ্টাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো । কোভিড’১৯ –এর রক্তচক্ষুতে ভয় পেয়ে উপায়ান্তর না দেখে তিনি এখন ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন হাত পেতে চাইছেন । হয়ত অদূর ভবিষ্যতে এমন অনেক বরাত সরবরাহ হবে বি টি রোডের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে ! মন বলছে , যৌথ খামারের দিন এল বলে ! হিস্ট্রি ইজ নট কাইন্ড টু ম্যান হু প্লে গড --- কথাটা পুরোপুরি খেটে যায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্বন্ধে । যিনি নিজেকে প্রায় সুপারম্যান মনে করেন , তিনি আতান্তরে পড়ে গান পয়েন্টে একটা গরিব দেশকে বলছেন --- হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দে , নইলে কিন্তু অনর্থ করবো ! হলিউডি ছবিতে এই গ্রহের যাবতীয় সমস্যা – সঙ্কটে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় যে আমেরিকা , বিত্ত – বৈভব – ঐশ্বর্যের শেষ কথা ছিল যে রাষ্ট্র , সে এখন নিজেই ত্রাণ চাইছে । ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস !
কোভিড’১৯ আসলে পরিষ্কার রেড কার্ড । পৃথিবী এখন SEVERE ACUTE RESPIRATORY ILLNESS(SARI)—এ আক্রান্ত । এবার SURVIVAL OF THE FITTEST তত্ত্বটা নতুন করে মনে করার পালা । নোয়ার নৌকায় কে কে ঠাঁই পাবে কেউ জানেনা । এখন আবার নতুন করে শেখার সুযোগ এসেছে যে, খোদার ওপর খোদকারি করা যায় না । এভারেস্টের বেস ক্যাম্প পর্যন্ত গাড়ি যাওয়ার রাস্তা তৈরি করতে নেই , অতি সভ্য হতে নেই । ২১০০ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন সমাধিস্থল হতে চলেছে ফেসবুক, বলছে একটি সমীক্ষা । “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে / আমি বাইব না মোর খেয়ার তরী এই ঘাটে / চুকিয়ে দেব বেচাকেনা / মিটিয়ে দেব গো , মিটিয়ে দেব লেনা দেনা / বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে , তখন” ---- আজি হতে শতবর্ষ পরে , কে তুমি পড়িছ বসে আমার পোস্টখানি ! আশায় বাঁচে চাষা ।শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১
মহানগরের জনারণ্যে
শংকরের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সত্যজিৎ রায়ের 'জন-অরণ্য'('THE MIDDLEMAN'. A TOUCHING TALE OF HUMANITY) ছবিটি আমার ভীষণ ভাবে সমসাময়িক মনে হয়, যদিও গল্পে সত্তরের দশকের অরাজকতার কথাই বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হয় । গল্পের সাথে এই ২০২১ সালের বাস্তবের অনেক মিল আছে । তখনকার মত এখনও বাজারে চাকরির আকাল । চাকরির পিছনে না লেগে থেকে গল্পের নায়ক সোমনাথ(প্রদীপ মুখোপাধ্যায়) ব্যবসা করতে নেমেছে । এই লাইনে পোড় খাওয়া মানুষ বিশুদা(উৎপল দত্ত) হলেন তাঁর নিজের ভাষায় সোমনাথের 'লঞ্চিং প্যাড' ! বিশুদার সাহায্যে সোমনাথ চাঁদে না পৌঁছলেও চাঁদি(টাকা) জোগাড়ের অবস্থায় পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস পায় ! ছবির অনেকগুলো চরিত্র বিখ্যাত --- যেমন বিশুদা , যেমন রবি ঘোষের নটবর মিত্তির । যে দালালি করে খায় কলকাতা শহরে এবং সে ব্যাপারে কোনও রাখঢাক নেই । সে রূঢ় বাস্তবটা খুব ভালভাবে বোঝে এবং সে আদতে দালাল হলেও একজন আদ্যন্ত সৎ ও ভণিতাহীন মানুষ । সিনেমাটায় কতগুলো দৃশ্য ভীষণ ঝাঁকুনি দেওয়ার মত । সোমনাথের প্রেমিকার ছোট্ট চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন অপর্ণা সেন । সোমনাথ চাকরি না পাওয়ায় , অনেক কান্নাকাটির পর তাঁর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় । বিয়ের পরেও সে সোমনাথকে খামে ভরে চিঠি লেখে । ব্যবসার কাজ শেষ করে সন্ধেবেলা বাড়িতে ফেরার পর বন্ধুর মত বউদি ডাকে আসা পুরনো প্রেমিকার চিঠি সোমনাথের হাতে তুলে দেয় । এর পরের দৃশ্যটাই শকিং ! বৌদি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সোমনাথ চিঠিটা না পড়েই খামটা কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ফেলে দেয় এবং ব্যবসা সংক্রান্ত একটা চিঠি খোলে । পুরনো প্রেমিকা তাঁর কাছে অতীত , আর এখন অতীতের কানাকড়িও মূল্য নেই সোমনাথের কাছে । সেটা এখন বুঝি , আগে বুঝতাম না ওটাই বাস্তব ।
ছবির অনেকটা অংশ জুড়ে আছে পৃথিবীর আদিমতম ব্যবসা --- দেহ ব্যবসা । এই প্রসঙ্গে একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি । একদিন সন্ধেবেলা লোকাল ট্রেনে ব্যারাকপুর স্টেশনে সবেমাত্র নেমেছি । দেখলাম , পাশের দরজা দিয়ে যে যুবতী নামলেন , তাঁর সঙ্গে দরজায় দাঁড়ানো এক ব্যক্তির খোলাখুলি পাওনা টাকা নিয়ে কথা চলছে , সবার সামনে । সিনেমাতেও এমন কিছু আঘাত করার মত দৃশ্য আছে , যেখানে স্বামী স্ত্রীকে , মা মেয়েদেরকে ভদ্রজনের মুখোশ পরে দেহ ব্যবসায় কাজে লাগিয়ে উপার্জন করছে নির্দ্বিধায় । আপাত অসম্ভব এই ঘটনাগুলোকে এখনও দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরের পাশাপাশি রেখে বিচার করলে ভীষণ বাস্তব , ভীষণ অপ্রিয় সত্য মনে হয় , যেগুলো সাধারণত প্রকাশ্যে আলোচনায় আমরা এড়িয়ে যাই ।
সত্যজিতের চিত্রনাট্যের ভাষায় --- "কুছ কাম সিধা , অউর কুছ কাম টেরা , এই নিয়েই হল বেওসা !('অভিযান') কিন্তু কতটা ট্যারা কাজ ব্যবসার স্বার্থে একজন মোটের ওপর নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ বাস্তবে করে উঠতে পারে , এই নিয়ে এখনও আমার মনে প্রশ্ন আছে । এই ছবির শেষে যেমন দেখানো হয়, মরমে মরে গিয়েও দেহ ব্যবসায় নামা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বোনকে সোমনাথ হোটেলের ঘরে এক দামী ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছে দেয় একটা বড় বরাত পাবে বলে । এই দৃশ্যটা নিয়ে আমার মনে এখনও প্রশ্ন আছে । সোমনাথ মধ্যবিত্ত পরিবারে , পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা স্নাতক যুবক । ব্যবসার মই বেয়ে উঠতে গিয়ে, কেউ কী বাস্তবে এতটা নামতে পারে ? প্রশ্ন রয়ে যায় । বন্ধুর বোন , মানে তো ব্যতিক্রম ছাড়া নিজেরও বোনের মত । এতটা কালো কী বাস্তবের সোমনাথদের জীবন হয় ? আমার ধারণা নেই । তবে কথাতেই তো আছে ---facts are stranger than fiction . কাজেই জীবনে পোড় খাওয়া দুই কৃতী মানুষের অভিজ্ঞতায় জারিত হয়ে এই দৃশ্য যখন সামনে আসে, তখন তার দিক থেকে জোর করে মুখ ফিরিয়ে থাকি কী করে ?
https://www.youtube.com/watch?v=VXQVzarS_gs
মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
সত্যজিৎ রায়ের ছিন্নমস্তার অভিশাপ ফেলুদা কাহিনি অবলম্বনে সৃজিত মুখোপাধ্যা...
রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
রাজযোটক
বেশ কিছুদিন হল একটা বাঙালি ঘটকালির ওয়েবসাইটে নাম লিখিয়েছে অমিতাভ । এখনও পর্যন্ত পাত্রী জোটেনি , তাই অমিতাভ ভেতরে ভেতরে একটু অস্থির হয়ে আছে , একটু রেগে আছে । তবে উপকারও হয়েছে কিছু । বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে গেছে । সমাজটা যে অনেকটা পাল্টে গেছে সেটা বেশ বুঝতে পারছে অমিতাভ । যে বয়স পেরোলে চালসে ধরে , সে সেই বয়স পেরিয়ে এসেছে । তার স্কুল-কলেজের বান্ধবীরা একেকজন এখন পাক্কা গৃহিণী , টিনএজার ছেলেমেয়ের মা । কথায় বলে মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি । সেই ধারণাটা যে সামাজিক ভাবে একদম পাল্টে গেছে , সেটা বেশ বোঝা যায় এই সাইটে চোখ বোলালে । যাঁদের বয়স পঁয়ত্রিশের ওপরে এবং যাঁরা স্বাবলম্বী বা কিছু করেন না , তাঁদেরও যেন বিয়ে করার বিশেষ তাড়া নেই , পাত্রের বয়স চল্লিশের ওপর হলেও দিব্যি চলবে । বোঝা যায় পাত্রী এবং তাঁদের বাবা-মাদের চিন্তাধারা অনেক পাল্টেছে । পাত্রস্থ হওয়া বা করাতেই মোক্ষলাভ , এমনটা আর ভাবছেন না সকলে । অনেক পাত্রীই আবার নিজের চেয়ে বয়সে ছোট পাত্র চাইছেন , এটা অমিতাভের বিয়ে সম্পর্কে ধারণায় একটা বড়সড় ধাক্কা ! অনেক বাবা-মা আবার ঘরজামাই পাত্র চাইছেন , কিন্তু কেউ কী রাজি হবে ? নিশ্চয়ই হবে , এবং হচ্ছে আজকাল ! অমিতাভ ভেবেছিল তার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও পাত্রী আর বসে নেই , কিন্তু দেখল দিনকাল পাল্টেছে । অনেক দুই কুড়ি পাত্রী আছেন । তবে, বেশ ভাল লাগছে এটা দেখে যে গোত্র-রাশি-জাত নিয়ে অনেকেরই আর মাথাব্যথা নেই । এক ভদ্রমহিলার ছবি দেখেছে অমিতাভ যিনি পেশায় শিক্ষিকা । বাড়ি কলকাতায় , কর্মসূত্রে থাকেন বহরমপুরে । তিনি নিজের জন্য পাত্র চাইছেন এটা জানিয়ে যে তাঁর আগে কখনও বিয়ে হয়নি , কিন্তু তাঁর পুরনো সম্পর্কের চিহ্নস্বরূপ একটি তিন বছরের সন্তান আছে । অমিতাভ বুঝছে সমাজ মেনে নিতে , মানিয়ে নিতে শিখেছে অনেকখানি , নইলে ওই ভদ্রমহিলা প্রকাশ্যে এত কথা বলতে পারতেন না । অমিতাভ দেখেছে অ্যাসিড আক্রান্ত পাত্রীরা নিজেদের ছবি দিতে দ্বিধা করছেন না । এমনকি পাত্রী হিসেবে ছবি আপলোড করেছেন সমকামীরাও । এগুলো পর্যবেক্ষণ করে ওর ভাল লেগেছে ।
কিন্তু ভেতরে যে অদম্য পুরুষ সত্তাটি রয়েছে , সেটি ঘুণ পোকার কুরে কুরে খাওয়ার মত অমিতাভকে সমানে খেপিয়ে চলেছে । কারণটা আর কিছুই নয় , অমিতাভর প্রস্তাবকে অনেক পছন্দের পাত্রী বাতিল করেছে । কেউ ভদ্রতা বজায় রেখে , কেউ একেবারে মাছি তাড়াবার ভঙ্গীতে । এটা অমিতাভর একেবারে সহ্য হচ্ছে না । সত্যজিৎ রায়ের 'গুপী গায়েন বাঘা বায়েন' ছবির ক্লাইম্যাক্সে গুপীর বিয়ে পছন্দের রাজকন্যার সাথে ঠিক হয়ে যেতে দেখে , যেমনভাবে বাঘা ফুঁসে উঠেছিল এই বলে যে ---- "কেন , আমি কম কীসে ?" --- সেই প্রশ্নটা অমিতাভরও পাত্রীদের খোলাখুলি জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে খুব , কিন্তু পারেনা । গুপীর মত পত্রপাঠ কেউ জবাব দেয়নি বটে --- "এই অ্যাত্তোখানি !" --- কিন্তু অমিতাভর কেন যেন মনে হয় পাত্রীরা নীরবে সেই কথাটাই বলতে চায় , এবং এটাই ওর একেবারে অসহ্য লাগে । তাই অমিতাভ রাগের চোটে বিবাহোন্মুখ পাত্রীদের কিছু খামতি খুঁজে বের করেছে । যেমন এক , মদ্যপান করেন কিনা , সেই প্রশ্নের জবাবে অনেক পাত্রীই লিখেছেন --- "সোশ্যালি ইয়েস ।" সোশ্যালি ইয়েস ! কোন সোসাইটির কথা বলতে চাইছেন ওঁরা ? মদ খেয়ে রাস্তায় আছড়ে পড়লে, যে সোসাইটি ফিরেও তাকাবে না , সেই সোসাইটি ? সোসাইটি ! মাই ফুট ! কিছুদিন আগে কাগজে একটা খবর পড়েছিল অমিতাভ এবং স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল । সম্ভবত খবরটা তাকে আমৃত্যু তাড়া করবে । কলকাতার রাজপথে একজন যুবক গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন , রাজধানী শহরে প্রতিদিনই অনেকে এভাবে প্রাণ হারান । ওসব কেউ ধর্তব্যের মধ্যে আনেনা । দুর্ঘটনার খবরটা অমিতাভর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল খবরের আসল অংশটা পড়ে । ভদ্রলোক শুধু গাড়িতে পিষ্ট হননি , তার প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার পর, একের পর এক গাড়ি অবলীলায় চলে গেছে তাঁর দেহাবশেষের ওপর দিয়ে , যেমন ছুঁচো, মেঠো ইঁদুর , কুকুর , বেড়ালের দেহের ওপর দিয়ে যায় । কেউ থামেনি । একসময় ওঁর শরীরের অবশেষ বলেও আর কিছু রাস্তায় পড়ে থাকেনি রক্ত ছাড়া । তবু এক মুহূর্তের জন্যও সদাব্যস্ত কলকাতা শহর ওঁকে চিঁড়েচ্যাপটা করে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি । মৃতের মায়ের আকুল প্রশ্ন ছিল --- "কেউ কি একবারও একটা আস্ত মানুষকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলেন না , একবারও ভাবলেন না , আগামীকাল তাঁরও ওই হাল হতে পারে ?" এই প্রশ্নের কী উত্তর দেবে সো কলড সোসাইটি , যেখানে কারও কারও মদ্যপান --- ইয়েস !
আরও একটা দিক অমিতাভকে ভাবিয়েছে । ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত , স্বাবলম্বী , সরকারি বা বেসরকারি মোটা মাইনের চাকুরে পাত্রীরা তো বটেই , এমনকি যারা উপার্জন করেন না তাঁরাও অনেকে চান পাত্রের আয় যেন ছয় লাখ থেকে শুরু হয় , তারপর যত ওঠা যায় , ততটাই উঠতে চান প্রায় সকলে । ছয় লাখ ! মানে, মাসে নগদে পঞ্চাশ হাজার ! পশ্চিমবঙ্গের ক'টা লোক রোজগার করে মামণি ? পয়সা কী গাছে ফলে ? নাকি, অনেক ছেলেরা যেমন তোমাদের শুধু সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র মনে করে , পাল্টা তোমরাও তেমনি ছেলেদের কলুর বলদ নয়ত টাকা উৎপাদনের যন্ত্র মনে করো ? সংসারে টাকা উৎপাদন আর ব্যয় ছাড়া তাদের আর কোনও জীবন নেই ? থাকতেও নেই ? টাকার ট্যাঁকে ছেলেরা পোরা , খুচরো ছেলে খরচ হয় ?
অমিতাভ সঠিক পাত্রীর সন্ধানে আছে । আপনাদের জানাশোনা কেউ থাকলে জানাবেন , নইলে সে পাড়ার ল্যাম্পপোস্টে পাত্রীর জন্য বিজ্ঞাপন দেবে ! কী বললেন ? অবাস্তব ? আজ্ঞে না , এমনটাও দেখা যাচ্ছে অতিমারির বাজারে । একসময় আপনাদের সামনে সচিত্র প্রমাণ উপস্থিত করা যাবে 'খন !
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_65.html
পাত্রী চাই সরাসরি 2021
হিন্দু পাত্র চাই সরাসরি
পাত্র পাত্রী চাই আনন্দবাজার
হঠাৎ বিয়ে ভালোবাসার গল্প
রোমান্টিক প্রেমের গল্প ১৮+
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
বিয়ের পর ভালোবাসার গল্প
রোমান্টিক গল্পের লিংক
খুনসুটি ভালবাসার গল্প
প্রতিশোধের বিয়ে
রোমান্টিক স্ট্যাটাস
ভালোবাসার গল্প ২০২০
আবেগি ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসার গল্প কাহিনী
খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসার গল্প 2020
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসার গল্প ছবি
বিয়ের পর ভালোবাসার গল্প
আপনারা কী রাজযোটক!
INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY. 21ST FEBRUARY.
In 1948, Urdu was declared the national language in present-day Bangladesh and then East Pakistan. The Bengali-speaking people there were outraged by this decision. Many politicians and common people gathered with the students of Dhaka University in a protest meeting. Four students of Dhaka University --- Salam, Barkat, Rafiq, and Jabbar were killed when police opened fire to quell the protest. The day was February 21, 1952.
This tragic incident had a profound effect on the national life of then East Pakistan. As a result of intense protests and language movement, the government was forced to recognize Bengali as the official language in 1956. Kabir Sumon wrote the song titled 'Ekushey February' ----
The language for which salam-Barkat and friends gave blood
Fifty-two years of fighting, I was born
That language is my song, your drink, my promise;
I'm so excited about the language ...
Let the West be enlightened in that inauguration of the East
Ekushey February is my light, my eyes.
The West has been enlightened, apparently. On 16 November 1999, UNESCO declared 21st February as International Mother Language Day, and every year since 2000, the day has been celebrated around the world as Mother Language Day. Rebel poet Kazi Nazrul Islam, the national poet of Bangladesh, is fast asleep on the premises of the traditional Dhaka University.
According to a survey conducted by a website called 'Visual Capitalist' in 2020, Bangla is at number 7 in the list of the most spoken languages in the world. The Bengalis of West Bengal celebrate this day every year. This wonderful sculpture bears that testimony. This language-martyr memorial has been erected on Jawaharlal Nehru Road in Kolkata under the supervision of renowned artist Yogen Chowdhury. The pin code of this place is also significant ----- Kolkata - (7000) 71.
-------------------------
paragraph international mother language day
international mother language day 2020
international mother language day theme 2020
international mother language day essay
কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport
### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...
-
" ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প সে অনেকদিন আগের কথা ----- ১৯৫৫ - ৫৬ সাল হবে । আমি সে সময় কলেজের ছাত্র । তখন জলপাইগুড়ি বাবু পাড়া পাঠাগারের ...
-
তনয়ের জন্য পাত্রী দেখছেন তার বাবা । রোববার কাগজ এলে গোটা সকালবেলাটা তার কেটে যায় পুত্রের জন্য সম্ভাব্য পাত্রী নির্বাচনে ...
-
Thinking aloud --- উচ্চস্বরে ভাবা । কানে, প্রায় অদৃশ্য হেডফোন গুঁজে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে চলার কথা বা মোবাইলের পর্দায় নিমগ...
-
পুষ্পাঞ্জলি ট্র্যাভেলস ডুয়ার্সে এখন পর্যটকদের যে দলটা আসে কলকাতা থেকে, তাঁদেরকে নিয়ে ঘোরেন সৈকত । পরিভাষায় তিনি ট্যুর অপারেট...
-
ট্রিপল টি --- টি , টিম্বার আর টোব্যাকো জলপাইগুড়ি জেলা তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির অভিজ্ঞান ছিল একসময় । সে রাম নেই...
-
অফিস থেকে বেরোতে আজ বড্ড দেরী হয়ে গেছে রাপ্তীর । মেন লাইনে এই সময়ে , এত রাতে লেডিজ কম্পার্ট্মেন্ট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় ...
-
শিমুল ফুলের উপকারিতা,শিমুল গাছের ফুল,bombax ceiba,red cotton tree,cotton tree,shimul flower,shimul flower drawing,shimul flower in bengali,s...
-
আমি আগাম ক্ষমাপ্রার্থনা করে নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ(ARCHAEOLOGICAL SURVEY OF INDIA / A.S.I) সম্পর্কে আমার খুব এক...
-
শতবর্ষে সত্যজিৎ ---- একটি জীবন , একটি প্রতিষ্ঠান সত্যজিৎ রায়ের জন্ম ২ মে ১৯২১ সালে এবং মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৯২ – এ । ছ...
-
Graffiti Visual art genre https://g.co/kgs/2181h1 graffiti art graffiti art drawings graffiti drawings graffiti artist Barrackpor...













