টেলি-নাটকের জন্য বাংলাদেশ টিভি বিখ্যাত । 'তারা টিভি'তে দেখা এরকমইএকটি টেলি-নাটক আমার খুব প্রিয় , বহুবার দেখেছি । নাটকটি হলসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় লিখিত এবং পরিচালিত 'টিকটিকি' । অভিনয়ে পরিচালক-লেখক স্বয়ং এবং কৌশিক সেন । নেটফ্লিক্সে যারাতৃতীয় শ্রেণির সাইকো-থ্রিলার দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন এবং জঘন্য প্লটকে বাহবা দেন , তাঁদের একবার নাটকটা দেখতে অনুরোধ করব । দেখা সম্ভবনা হলে নিদেনপক্ষে একবার পড়তে বলবো (আনন্দ পাবলিশার্স) । এই নাটকেদুই দুর্দান্ত অভিনেতার যুগলবন্দী দেখার মত । নাট্যকারেরসাক্ষাৎকারে পড়েছি উৎপল দত্ত প্রথম হলিউডি ছবি SLEUTH অবলম্বনে এই নাটকটি তাঁকেলিখতে অনুপ্রাণিত করেন । উৎপল দত্তেরএই নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করবার কথাও ছিল । পরবর্তীকালে উত্তমকুমারওএই নাটকে অভিনয় করতে ভীষণ আগ্রহী ছিলেন , কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়ে ওঠেনি। একটিমাত্র ঘরে নাটকের গল্প আবর্তিত । নাটকে কেবলমাত্রদু'জন অভিনেতা ।তৎসত্ত্বেও পূর্ণাঙ্গ নাটকটির দিক থেকে এক মুহূর্তের জন্যওচোখ ফেরানো যায় না , গল্পের বাঁধুনি আর অভিনয়ের গুণে। এটা একটা রিভেঞ্জ ড্রামা , প্রতিশোধ নেওয়ার গল্প । কিন্তু তাসত্ত্বেও সেক্স-ভায়লেন্স এবং খেঁউড় সর্বস্ব নয় । সেটাহওয়ার কথাও নয় অবশ্য , এনাটকের তো আর টিআর পি বাড়াবার তাড়ানেই ! কৌশিক সেন নাটকে দুই রকম স্বরে ও চেহারায় কথাবলেন । স্বর ওচেহারা পাল্টে কৌশিক যখন স্ফীতোদর ছদ্মবেশী পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন , তখন সত্যিই তাঁকে চেনা দায় হয়ে পড়ে । সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরচরিত্রটা একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত লেখকের , যিনি মানুষকে ভীষণ হেনস্থা করে মজা পান । কৌশিক সেনেরচরিত্রটিকে তিনি একবার এমনভাবে অকারণে হেনস্থা করেন , যে তিনি মানসিকভাবেবিধ্বস্ত হয়ে পড়েন । লেখকের অনুকরণেইতিনি এক সাজানো কাহিনিদিয়ে কীভাবে প্রতিশোধ নেন , তাই নিয়েই গল্প । Sleuth মানে গোয়েন্দা । আর ব্যঙ্গার্থেগোয়েন্দাকে যে টিকটিকি বলাহয় , সে তো গোয়েন্দাকাহিনিপ্রিয়বাঙালি মাত্রেই জানেন ! প্রসঙ্গত, কৌশিক সেন একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন , যে তাঁদের নাটকেরদল 'স্বপ্ন-সন্ধানী'র নামকরণ করেছিলেনসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং । ছবিটি ইউটিউবেদেখা যায় ।
মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০
টিকটিকি
দুর্গা পুজো২০২০
দুর্গা পুজো ২০২০
সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
জীবনযাপন
পরিবর্তন
আড্ডা থেকে পালাই পালাই , বাড়ির দিকে মন
বন্ধুরা সব নিয়ম মতই সংসারী এখন ।
ঘুম
অজাতশত্রু নই তো আমি , কেউকেটা নই অতি
কাল সকালে ঘুম না ভাঙলে , কার কী এমন ক্ষতি
বলবে তুমি চেষ্টা করে , কষ্ট পাবে বেশ
আসলে কিন্তু চোখ বুজলেই , সবটা আমি শেষ
তবু আলো দেখব বলেই জানলায় চোখ রাখি
জেগে ওঠা অভ্যেস হতে অনেকটা পথ বাকি ।
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/10/pub-9792609886530610_20.html
গল্প এইটুকুই
দাবদাহ
পুষ্ট দেহ হৃষ্ট চিত্ত
নব্য বঙ্গ মধ্যবিত্ত
লোডশেডিঙয়ের জ্বালায় নিত্য
উত্তেজনায় ঝরান পিত্ত ।
যাঁর পকেট যত স্থূল
ততগুলি ঘর বাতানুকূল
প্রতি পরিবারে না বলা রুল
গিন্নি যেন থাকেন কুল !
বাসে-ট্রেনে-পথে অফিসে হায়
তেতে ওঠা মন বিষ ওগরায়
জল-শরবতে শান্তি চায়
ক্লান্ত দেহ , ভিজে গায়ে ।
দিনগত পাপক্ষয়
যাঁরা ভাবেন , ঠিক নয়
বাড়ি ফিরে যারা মেঝেতে শুই
তাদের গল্প এইটুকুই ।
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/04/pub-9792609886530610_78.html
রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
জলপাইগুড়িতে সুভাষ চন্দ্র বসু
জলপাইগুড়িতে
সুভাষ চন্দ্র বসু
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্তর্গত
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে বেশ কিছু দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য ছবি এবং বিরল তথ্য
প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছেন ‘জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ মিউজিয়াম ও কালচারাল ফাউন্ডেশন’
, এই শহরে সুভাষ চন্দ্র বসুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের পঁচাত্তর বর্ষপূর্তিতে । জলপাইগুড়িতে
বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস সম্মেলন (১৯৩৯) উপলক্ষে এসেছিলেন নেতাজি । ৫ ফেব্রুয়ারি
১৯৩৯ জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রধান কার্যালয়ের পাশে , পাওয়ার হাউসে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন
জেনারেটর উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি সুভাষ বসুর ছবি আছে এখানে । আছে , এই শহরে অবস্থানকালে
বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির সামনে রাজা প্রসন্নদেব রায়কতের সঙ্গে ছবি । প্রসন্নদেব রায়কতের নামে বর্তমানে শহরে একটি মহিলা
কলেজ আছে । এই অধিবেশনে ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ , রাত সাড়ে আটটায় বক্তৃতা দিতে উঠে সুভাষ
চন্দ্র বসু ঘোষণা করেন ---- “আজ পরিষ্কারভাবে বলিবার সময় আসিয়াছে , কোন পথে আমরা চলিব
, আমরা কোন কৌশল অবলম্বন করিব , কী ভাবে চলিলে অদূর ভবিষ্যতে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা
লাভ করিতে পারিব । আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই যে , যে সুবর্ণ সুযোগ এতদিন পরে
উপস্থিত হইয়াছে , তাহা গ্রহণ করিয়া যদি আমরা জাতীয় দাবি উপস্থিত করি এবং তাহার পশ্চাতে
আসন্ন সংগ্রামের সমস্ত আয়োজন তৈয়ারি রাখি , তাহা হইলে অতি শীঘ্র আমাদের অভীষ্ট ---
পূর্ণ স্বাধীনতা আমরা লাভ করিতে পারিব ।“ এই অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাব ছিল --- “ইংরেজ
রাজশক্তিকে ছয় মাসের চরমপত্র(ULTIMATUM) প্রদান করিতে হইবে ।“
সম্মেলনটি হয়েছিল জলপাইগুড়ি টাউন রেল
স্টেশনের কাছে , বোদা রোডের পাশে , হরিজনদের বাসস্থানের জন্য চিহ্নিত ৩০ বিঘা জমিতে
, পুরসভার অনুমতিসাপেক্ষে । সম্মেলন স্থলটির নামকরণ করা হয় জেলা কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি
স্বর্গীয় জগদীন্দ্র দেব রায়কতের স্মরণে , ‘জগদীন্দ্র নগর’ হিসেবে । ৩ – ৫ ফেব্রুয়ারি
১৯৩৯ সম্মেলন হয়েছিল । নেতাজি আসেন শরৎ চন্দ্র বসু – সহ অন্যান্য প্রাদেশিক ও সর্বভারতীয়
নেতাদের নিয়ে ৪ তারিখে । ‘রাষ্ট্রপতি’ সুভাষকে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ‘গার্ড অব অনার’
দেন । তাঁকে নিয়ে শহরে শোভাযাত্রা হয় এবং তাঁদের দেখতে বিপুল জনসমাগম ঘটে । এরপর সম্মেলনস্থলে
শ্রী আশরাফউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন । রাষ্ট্রপতি সুভাষ চন্দ্র
বসুকে আর্যনাট্য সমাজ সভাঘরে পুরসভা ও অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা
জ্ঞাপন করা হয় । এরপর অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ডাঃ চারুচন্দ্র সান্যাল স্বাগত ভাষণ
দেন । তারপর একে একে ভাষণ দেন শরৎ চন্দ্র বসু এবং সুভাষ চন্দ্র বসু । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য
, শহরের ‘মাদ্রাসার মাঠ’ বলে পরিচিত মাঠটিতেও নেতাজি ও অন্যান্য প্রাতঃস্মরণীয় জাতীয়
নেতারা বক্তৃতা করেছেন । পুরসভা থেকে জায়গাটি চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে ।
বর্তমানে শহরে দিনবাজারে সান্যাল বাড়ির রাস্তাটির নাম রাখা হয়েছে চারুচন্দ্র সান্যাল
সরণি । তাঁর ছেলে হীরেন(মানিক) সান্যালও স্বনামধন্য বামপন্থী সাংসদ – রাজনীতিক ছিলেন
।
এই সম্মেলনের আয়োজনও ছিল সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে
মনে রাখার মত । ৩২ টি জেলার জন্য বাঁশ ও ভাবুনী দিয়ে ৩২ টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল ।
৮০০ জনের রোজ খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল । উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তালিকায় মুজাফফর
আহম্মদের নামটি কৌতূহলোদ্দীপক ! যাঁর নামে মুজাফফর আহম্মদ ভবন কলকাতায় , তিনি আর ইনি
কি অভিন্ন ব্যক্তি ? প্রশ্ন থেকে যায় । কারণ তালিকার অনেকেই পরে বামপন্থী দলে যোগ দিয়েছিলেন
। এই সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন শরৎচন্দ্র বসু । সম্মেলনের খবর ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে
প্রকাশিত হয়েছিল অমৃতবাজার পত্রিকায় । লেখা হয়েছিল ---- “THE PRESIDENT TOOK HIS
SEAT ON THE DIAS WHICH WAS DECORATED WITH FLOWERS AND FOLIAGE , PICTURES OF
MAHATMA GANDHI , PANDIT JAWAHARLAL AND SJ. SUBHASH CHANDRA BOSE WERE HUNG UP
PROMINENTLY . AS ALSO SOME QUOTATIONS FROM THE POETICAL WORKS OF RABINDRANATH
TAGORE. DR. CHARUCHANDRA SANYAL , CHAIRMAN OF THE RECEPTION COMMITTTEE WELCOMED
THE DELEGATES. HIS WELCOME TO SJ. SUBHASH CHANDRA BOSE, THE PRESIDENT—ELECT OF
THE INDIAN NATIONAL CONGRESS, WAS LOUDLY CHEERED BY THE ENTIRE ASSEMBLY. “
এই সম্মেলনে সুভাষ চন্দ্র বসু বলেন
--- “বন্ধুগণ , আমি মনে করি এখানকার প্রাদেশিক সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত হইয়াছে , আশাতীতভাবে
সাফল্যমণ্ডিত হইয়াছে । “ এই গ্যালারিতে জেলার তৎকালীন বিশিষ্ট চা – শিল্পপতি , তারিণী
প্রসাদ রায়ের বাবু পাড়ার বাড়িতে , অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শরৎ ও সুভাষ চন্দ্র বসুর
ছবি আছে ।
ঋণ
: ‘জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ মিউজিয়াম ও কালচারাল ফাউন্ডেশন’ ।
কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport
### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...
-
" ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প সে অনেকদিন আগের কথা ----- ১৯৫৫ - ৫৬ সাল হবে । আমি সে সময় কলেজের ছাত্র । তখন জলপাইগুড়ি বাবু পাড়া পাঠাগারের ...
-
তনয়ের জন্য পাত্রী দেখছেন তার বাবা । রোববার কাগজ এলে গোটা সকালবেলাটা তার কেটে যায় পুত্রের জন্য সম্ভাব্য পাত্রী নির্বাচনে ...
-
Thinking aloud --- উচ্চস্বরে ভাবা । কানে, প্রায় অদৃশ্য হেডফোন গুঁজে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে চলার কথা বা মোবাইলের পর্দায় নিমগ...
-
পুষ্পাঞ্জলি ট্র্যাভেলস ডুয়ার্সে এখন পর্যটকদের যে দলটা আসে কলকাতা থেকে, তাঁদেরকে নিয়ে ঘোরেন সৈকত । পরিভাষায় তিনি ট্যুর অপারেট...
-
ট্রিপল টি --- টি , টিম্বার আর টোব্যাকো জলপাইগুড়ি জেলা তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির অভিজ্ঞান ছিল একসময় । সে রাম নেই...
-
অফিস থেকে বেরোতে আজ বড্ড দেরী হয়ে গেছে রাপ্তীর । মেন লাইনে এই সময়ে , এত রাতে লেডিজ কম্পার্ট্মেন্ট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় ...
-
শিমুল ফুলের উপকারিতা,শিমুল গাছের ফুল,bombax ceiba,red cotton tree,cotton tree,shimul flower,shimul flower drawing,shimul flower in bengali,s...
-
আমি আগাম ক্ষমাপ্রার্থনা করে নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ(ARCHAEOLOGICAL SURVEY OF INDIA / A.S.I) সম্পর্কে আমার খুব এক...
-
শতবর্ষে সত্যজিৎ ---- একটি জীবন , একটি প্রতিষ্ঠান সত্যজিৎ রায়ের জন্ম ২ মে ১৯২১ সালে এবং মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৯২ – এ । ছ...
-
Graffiti Visual art genre https://g.co/kgs/2181h1 graffiti art graffiti art drawings graffiti drawings graffiti artist Barrackpor...

















