বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০

রসিক মানিক




     ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির শুটিং চলছে দার্জিলিঙে । মনীষা নামে যে চরিত্রটি , তাঁর বার্ড ওয়াচার মামার হাতে বিভিন্ন পাখির পরিচিতি বিষয়ে লেখা একটা ইংরেজি বই । পাহাড়ি সান্যালকে পাখি খোঁজার দৃশ্যটি বুঝিয়ে বলছেন সত্যজিৎ রায় । এমন সময়ে এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক , যিনি ম্যালের বেঞ্চে বসেছিলেন অনেকক্ষণ , উঠে এসে সত্যজিৎকে ক্রমাগত একই প্রশ্ন করতে লাগলেন কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর । সাদামাটা জিজ্ঞাসা --- কী পাখি খুঁজছেন পাহাড়ি সান্যাল ? সত্যজিৎ যতই হিমালয়ান বার্ড, হিমালয়ান বার্ড বলে , কাজের সময়ে উটকো ঝামেলা হিসেবে লোকটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন , লোকটার কৌতূহলও যেন ততই বেড়ে চলেছে । অথচ শট নিতে দেরি করলে চলবে না । শুটিঙের রুটিন ভাঙা একেবারেই সত্যজিতের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাপার । উপায়ান্তর না দেখে সত্যজিৎ অনিল চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে বললেন --- “তুমি একটু ম্যানেজ করো ।“ বীরবিক্রমে ‘ম্যানেজ’ করতে গিয়ে , বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মত ছিটকে আবার পরিচালকের কাছে ফিরে এলেন অনিলবাবু । তারপর চাপা গলায় যা বললেন , তাতে ইউনিটের সবার চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ! ওই ‘উটকো লোকটি’র নাম সালিম আলি , বিখ্যাত পক্ষী বিশারদ । পাহাড়ি সান্যাল হাতে যে বইটি ধরে শট দিচ্ছেন , সেটি তাঁরই লেখা ! কাগজপত্রে পড়েছেন সত্যজিৎ রায় পারফেকশনিস্ট । তাই তাঁকে সাধ্যমত সাহায্য করতে চেয়েই বারবার জানতে চাইছিলেন , চরিত্রটি কী পাখি খুঁজছে । কারণ, দার্জিলিঙের কোন এলাকায় , কখন , কোন পাখির দেখা মেলা সহজ , সে ব্যাপারে তাঁর ‘কিঞ্চিৎ’ পড়াশোনা আছে ! সবটা শুনে সত্যজিৎ স্বগতোক্তি করলেন --- “সব্বনাশ !”
       সত্যজিতের শৃঙ্খলাবোধ সম্পর্কে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি । বছর দশ – বারো আগে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে সত্যজিৎ রায়ের শুটিঙের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভিন্ন জিনিস নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন সন্দীপ রায় । আমি যখন যাই , তখন ললিতা রায় ঘরে ছিলেন , বেশ কিছু অজানা তথ্য জানতে পেরেছিলাম ওঁর কাছ থেকে । যেমন, মরুভূমির কাছে ‘সোনার কেল্লা’ ছবির শুটিং করার ফাঁকে আর্ট পেপারের ওপর নীল কালির ঝর্না কলম দিয়ে আঁকা পাগড়িওয়ালা – বৃদ্ধ উটওয়ালার মুখ । এই ছবিটির কাছেই ছিল হলুদ আর্ট পেপারের ওপর সত্যজিৎ রায়ের নিজের হাতে তৈরি করা ‘সোনার কেল্লা’ ছবির শুটিং শিডিউল । যতদূর মনে আছে আটাশ দিনে গোটা ছবির শুটিং শেষ করার পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক । এ জিনিস আগে একমাত্র দেখেছি স্কুলে । স্যরেরা নতুন ক্লাসে উঠলে ঠিক এভাবে তৈরি রুটিন বলে যেতেন । মাথা নত হয়ে গিয়েছিল অসাধারণ নিয়মানুবর্তিতা দেখে । গোটা আর্ট পেপার জুড়ে স্কেল দিয়ে টানা অসংখ্য খোপ । লম্বা করে তৈরি করা প্রতিদিনের শুটিঙের আগাম পরিকল্পনা , তারিখ এবং সময়ের উল্লেখ – সহ । যেমন , এত তারিখ , সকাল আটটার থেকে বারোটা এই শট , রোদ যখন মাথার ওপরে তখন ওই শট । এমনকি লাঞ্চ ব্রেক , প্যাক আপের সময়ও আগাম লিখে রাখা । প্রতিদিন ।
         হিউমার বা নির্মল হাস্যরস , স্যাটায়ার বা ব্যঙ্গরস / পরিহাস এবং সর্বোপরি উইট বা বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরসের পরিমিত ব্যবহার বারবার এসেছে তাঁর ছবিতে, তাঁর লেখা চিত্রনাট্যে , সংলাপে । ‘জন- অরণ্য’ ছবিতে সোমনাথকে কথা প্রসঙ্গে নটবর মিত্তির জিজ্ঞেস করেন --- “কেমন দেখলেন ?” সোমনাথ --- “এমনিতে তো বেশ ভদ্র বলেই মনে হয় ।“  নটবর ---- “আর ওমনিতে ?” অথবা, ‘পরশপাথর’ ছবির শেষের দিকে পুলিশ আধিকারিকের সেই সকৌতুক প্রশ্ন --- “তা , পেটের ভিতরে  পাথরটা এখন কোথায় ? কোলনে, না সেমিকোলনে !”  ব্যক্তিগত জীবনেও সত্যজিৎ ছিলেন খুব রসিক মানুষ । ‘অভিযান’ ছবির শুটিং চলছে । সে সময়ে ওয়াহিদা রহমানের রূপে – গুণে – নাচে এবং সর্বোপরি অভিনয়ে , আসমুদ্রহিমাচল মাতোয়ারা । তাঁকে ঘিরে যে বাড়তি আগ্রহ থাকবে , সেটাই স্বাভাবিক । একটি দৃশ্য গ্রহণের আগে সত্যজিতের চোখে পড়ল , ওয়াহিদা রহমানের মুখের ওপর চুল এসে পড়ছে । ক্যামেরাম্যান সৌমেন্দু রায়কে ডেকে, ঠিক করে দিয়ে আসতে বললেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে । তিনি অভিনেত্রীর দিকে খানিকটা এগিয়ে যেতেই, পাশ ফিরে মুচকি হেসে সত্যজিৎ বললেন – “ওকে একটা চান্স দিলাম !”   
        ‘গুপি গায়েন বাঘা বায়েন’ ছবিতে গুপি – বাঘার বড় বড় রসগোল্লা খাওয়ার দৃশ্য ছিল । শুটিঙে ব্যবহারের জন্য ময়দার বলের ওপর ছানা দিয়ে গোটা দশেক রসগোল্লা তৈরি করা হয়েছিল । রবি ঘোষ ও তপেন চট্টোপাধ্যায়কে বলে দেওয়া হয়েছিল ওপর ওপর কামড়াতে । তো , দৃশ্য গ্রহণের পর, দলে পেটুক বলে পরিচিত কামু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সত্যজিতের একটু রসিকতা করতে ইচ্ছে হল । তিনি কামুবাবুকে ডেকে বললেন --- “কি কামু , তুমি তো শুনেছি খুব খেতে পারো । একটা গোটা রসগোল্লা খাও দেখি !” কামুবাবু যেন এই কথার অপেক্ষাতেই ছিলেন । বিলম্ব না করে একটা রসগোল্লা নিয়ে তিনি বড় করে কামড় বসালেন এবং কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বুঝতে পারলেন , কী ফাঁদে পা দিয়েছেন ! কিন্তু তিনিও কামু মুখোপাধ্যায় ! সবার সামনে তাঁকে নিয়ে মজা করা যে খুব সহজ নয় , সেটা বুঝিয়ে দিতেই মনের ভাব গোপন করে খুব সপ্রতিভভাবে , তাঁর প্রিয় মানিকদাকে বললেন --- “বুঝলেন দাদা , ভালই করেছে । তবে এত বড় তো , তাই রসটা ভেতর পর্যন্ত যায়নি , মাঝখানটা শক্ত থেকে গেছে !” এতক্ষণ খুব কষ্ট করে সবাই হাসি চেপে ছিলেন , এবার আর পারলেন না । অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন সত্যজিৎ - সহ সক্কলে ! প্রসঙ্গত , ফেলুদার গল্পে আমরা ‘ডায়মণ্ডা’র উল্লেখ পাই । ডায়মন্ড আকারের মণ্ডা , তাই ডায়মণ্ডা । লেখার সময় আদৌ কিন্তু এমন কোনও মিষ্টির অস্তিত্ব ছিল না । এই মিষ্টির ধারণাটি সম্পূর্ণ ভাবে সত্যজিতের স্বকপোলপ্রসূত । তবে বেশ কয়েক বছর আগে টিভিতে দেখেছি , কলকাতার এক বিখ্যাত মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান মিষ্টিটি তৈরি করে সন্দীপ রায়কে খাইয়ে এসেছে ।
     গুগাবাবার শুটিঙের সময় তপেনবাবু এবং সত্যজিৎ রায়ের একই ঘরে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল রামপুরহাটে । সেই ঘরের ঠিক সামনের হলঘরে আরও অনেকের সঙ্গেই থাকতেন কামু মুখোপাধ্যায় । একদিন রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে আলো নিভিয়ে পরিচালক শুয়ে পড়েছেন । এমন সময়ে দেখা গেল , হামাগুড়ি দিয়ে একজন হলঘর থেকে তাঁর ঘরে ঢুকল । ছায়ামূর্তিটি মানিকবাবুর বিছানার পাশের টেবিল থেকে কিছু একটা নিয়ে , ঠিক আগের জায়গায় সেটি রেখে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম করতেই , সত্যজিৎ অন্ধকারের মধ্যেই গমগমে গলায় বলে উঠলেন --- “কি কামু , আমার জন্যে দু ‘একটা আছে , না সবগুলোই মেরে দিলে ?” বমাল সমেত ধরা পড়লেন কামু মুখোপাধ্যায় । আসলে স্টকে টান পড়াতে তিনি ঘরে ঢুকেছিলেন সত্যজিতের প্যাকেট থেকে সিগারেট সরাবেন বলে ! কথায় বলে , শঠে শাঠ্যং সমাচরেৎ । বহুদিন পর দেখা হওয়াতে খুশি হয়ে কথাবার্তার পর সত্যজিৎ, বন্ধুস্থানীয় ‘অন্তর্জলি যাত্রা’র লেখক কমলকুমার মজুমদারকে একদিন বাড়িতে আসতে বললেন । কমলবাবু মিঠেকড়া সুরে বললেন ---- “কী করে যাই বলুন , আপনার বাড়িতে যে বড্ড ভদ্রলোকের ভিড় !” পত্রপাঠ জবাব এলো ---- “ঠিক আছে , কবে আসবেন বলুন । সেদিন না হয় কিছু ছোটলোক আনিয়ে রাখব !”
       গুরুতর পরিস্থিতিতেও সত্যজিৎ বহুবার নিখুঁত রসবোধ ও বরফ শীতল মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়েছেন । একবার , নৃপতি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি দৃশ্যগ্রহণের জন্য পরিচালক – সহ সবাই তৈরি হওয়ার পর দেখা গেল নৃপতিবাবুই হাওয়া । দীর্ঘক্ষণ সবাইকে ঠায় বসিয়ে রেখে , দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরে তিনি যখন আবির্ভূত হলেন , তখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াবার অবস্থায় নেই । আকণ্ঠ মদ্যপান করে রয়েছেন । এভাবে তৈরি হয়ে বসে থাকা মানে প্রযোজকের বহু টাকা ক্ষতি । স্বাভাবিকভাবেই সত্যজিৎ থম মেরে বসেছিলেন ফ্লোরের একপাশে । নৃপতিবাবুর অবস্থা তাঁকে জানানোর পর , একটু চুপ করে থেকে বললেন --- “বসে থাকতে পারবে তো ? – তাহলেই আমার শটটা হয়ে যাবে ।“ দেখা গেল , পারবেন । নৃপতিবাবুকে মেকআপ করিয়ে ফ্লোরে এনে, একটি চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হল । দূর থেকে সত্যজিৎ সবটা লক্ষ্য করছিলেন । এবার এগিয়ে এসে নৃপতিবাবুকে জিজ্ঞেস করলেন , ---- “একটু বসে থাকতে পারবেন তো ?” স্যালুট করার ভঙ্গীতে অভিনেতা উত্তর দিলেন --- “ওয়ার্ক ইজ ওয়ার্ক ।“ সত্যজিৎ স্মিত হেসে ক্যামেরায় গিয়ে বসলেন ।    

                                                        ঋণ : ‘দেশ’ পত্রিকা ।   






ফিচার প্রতিবেদন

ফিচার নিউজ



ফিচার পাতা


ফিচার সংবাদ


ফিচার রাইটিং


ফিচার লেখা



মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

গঙ্গায় বান । ধোবি ঘাট । ব্যারাকপুর ।






dhobi ghat barrackpore Dhobi Ghat,Cantonment,Barrackpur Cantonment,West Bengal,dhobi ghat barrackpore address,dhobi ghat to barrackpore distance,Dhobi Ghat,River Side Road,Barrackpore,West Bengal Dhobi Ghat ground,West Bengal Dhobighat,BarrackPore,ধোবি ঘাট,ব্যারাকপুর







https://g.co/kgs/YKz5wK

nature photography ideas

nature photography quotes

nature photography hd

nature photography images

nature photography tips

nature photography logo

nature photography for beginners

nature photography camera


জোয়ার ভাটা সময়সূচি

জোয়ার ভাটার ফলাফল

গঙ্গার জোয়ার ভাটা

প্যায়ার বান

জোয়ার ভাটার সময়ের ব্যবধান


জোয়ারের কত সময় পর ভাটার সৃষ্টি হয়

গঙ্গা স্থান

Page navigation



সোনার কেল্লা উদ্যান । আনন্দবাজার পত্রিকা_স্কুলে ।






ফিচার প্রতিবেদন

ফিচার নিউজ



ফিচার পাতা


ফিচার সংবাদ


ফিচার রাইটিং


ফিচার লেখা


https://g.co/kgs/4m8nvz


https://g.co/kgs/EsWh5X


গোটা পার্ক জুড়ে ফেলুদা


সত্যজিৎ রায় গল্প সমগ্র

সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র

জন্মশতবর্ষে সত্যজিৎ রায়

শতবর্ষে সত্যজিৎ রায় রচনা





সত্যজিৎ রায় রচনাবলী pdf

বিষয় চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায় pdf

সত্যজিৎ রায়ের গল্প

সত্যজিৎ রায়ের বই


রাজস্থানের সোনার কেল্লা

সোনার কেল্লা সারাংশ

সোনার কেল্লার ইতিহাস

সোনার কেল্লা pdf





সোনার কেল্লা উপন্যাস

সোনার কেল্লা সংলাপ

জয়সলমীর সোনার কেল্লা

সোনার কেল্লা cast

বসন্ত এসে গেছে ।






nature photography ideas

nature photography quotes

nature photography hd

nature photography images

nature photography poses

nature photography tips

nature photography logo

nature photography for beginners

পলাশ ফুল in english

হলুদ পলাশ ফুল

সাদা পলাশ ফুল

পলাশ ফুল কোন ঋতুতে ফোটে

পলাশ ফুল কোন কালে ফোটে

পলাশ ফুল কবিতা

পলাশ ফুল গাছের চারা

পলাশ ফুল english name


https://g.co/kgs/YNhBRR

পলাশ ফুল গাছ,পলাশ ফুল গাছের চারা তৈরি,পলাশ ফুল গান,পলাশ ফুল পুরুলিয়া,পলাশ ফুল নিয়ে গান,পলাশ ফুল গাছের চারা,পলাশ ফুল গাছের ছবি,পলাশ ফুল আঁকা,পলাশ ফুল দেখতে কেমন,পলাশ ফুলের রং কেন লাল,পলাশ ফুলের গান,পলাশ ফুলের গেলাস ভরি,পলাশের ফুল,palash flower,পলাশ ফুল,palash flower pictures,palash flower benefits,palash flower tree,palash flower purulia,palash flower plant,palash flower colour,palash flower uses,palash flower for skin,palash flower seasonবসন্ত কাল

বসন্ত বাতাসে

বসন্তের গান  




                                                                             

Page navigation

পলাশ ফুল গাছ,পলাশ ফুল গাছের চারা তৈরি,পলাশ ফুল গান,পলাশ ফুল পুরুলিয়া,পলাশ ফুল নিয়ে গান,পলাশ ফুল গাছের চারা,পলাশ ফুল গাছের ছবি,পলাশ ফুল আঁকা,পলাশ ফুল দেখতে কেমন,পলাশ ফুলের রং কেন লাল,পলাশ ফুলের গান,পলাশ ফুলের গেলাস ভরি,পলাশের ফুল,palash flower,পলাশ ফুল,palash flower pictures,palash flower benefits,palash flower tree,palash flower purulia,palash flower plant,palash flower colour,palash flower uses,palash flower for skin,palash flower seasonFooter links



চিরকুট


চিরকুট


      অর্ক আর যূথিকা দু’জনেই পঁয়তাল্লিশ নম্বরের ! এ সি কলেজে ওরা বাংলা সাম্মানিক স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া । আর ওই বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরের নম্বরটি হল পঁয়তাল্লিশ । সৈয়দ মুজতবা আলির ‘দেশে – বিদেশে’ মনে পড়ছে ? ঠিকই ! কী নিয়ে পড়ছো , এই প্রশ্ন কেউ করলেই এই বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা উত্তর দেয় ---- “আমি এখন পঁয়তাল্লিশ নম্বরের !” পলিটিকালি কারেক্ট থাকা আরকি ! দু’জনের খুব বন্ধুত্ব , একসাথে কলেজে যায় , মাঠে আড্ডা দেয় , সুবোধদার দোকানে খায় , পড়তে যায় । ক্লাসেও সম্ভব হলে পাশাপাশিই বসে । সবাই ভাবে ওরা চুটিয়ে প্রেম করছে , কিন্তু সেটা ঠিক না । ওরা আসলে খুব ভাল বন্ধু । বিশ্বচরাচরের এমন কোনও বিষয় নেই , যা নিয়ে ওদের গল্প হয় না । যূথিকা সুন্দরী , বিদুষী । স্বল্প প্রসাধনে স্নিগ্ধরূপা । তাই প্রতিদিনই হয় কলেজের , নয়ত বাইরে থেকে আসা কোনও না কোনও ছেলে যূথিকাকে প্রেম প্রস্তাব দেয় এবং নিয়ম করে সে , সেইসব প্রস্তাব পত্রপাঠ উড়িয়ে দেয় । শুধু তাইই নয় , মোবাইলে নোট করে রাখে কত তম প্রস্তাব , কে, কোন তারিখে দিল ! তবে এই হিসেবের ব্যাপারটা জানে একমাত্র অর্ক । শহরে ও বন্ধুমহলে ওদের প্রেম নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হয় । এবং সেটা নিয়ে ওদের দু’জনের মধ্যে হাসাহাসি বাড়ে ।
        এভাবেই স্বতঃস্ফূর্ততার চেনা খাতে বয়ে চলছিল ওদের জীবনটা । জন্মদিন বলে সেদিন যূথিকা একটু বেশি খুশি খুশি স্বাভাবিকভাবেই । মনটা আনন্দে থাকলে , ভাল থাকলে, মানুষকে দেখতে  ভাল লাগে । সেই ছাপ পড়ে তার মুখে এবং বিশেষ করে চোখে । ফলে আজ যেন ওকে ডানা মেলা বহুবর্ণ প্রজাপতির মত লাগছে । আজ যেন মুনি ঋষিদেরও মতিভ্রম হবে ওকে দেখলে । ঘিয়ে রঙের একটা সালোয়ার – কামিজ যূথিকার খুব প্রিয় । আজ ও সেটাই পড়েছে । বুকের ওপর ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মত নেমে এসেছে একই রঙের ওড়না । আর ওর দুই ভ্রূর মাঝখানে একটা ছোট্ট টিপ , যেন কেউ কালো কালির ডট পেন দিয়ে এঁকে দিয়েছে । এমন মুগ্ধতা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার মতন বেরসিক অর্ক নয় । তাই সবার  অলক্ষ্যে, দোতলার করিডরের রেলিঙে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় , সে অন্য প্রান্তে লাইব্রেরির দিক থেকে পেখম তোলা ময়ূরের মত হেঁটে আসা যূথিকার চোখে চোখ রেখে ডান হাতের তর্জনী আর বুড়ো আঙুল ছুঁইয়ে তারিফ করার মুদ্রা দেখাল । লাজুক হেসে উত্তর দিল যূথিকা । ইতিমধ্যে তন্বীদি এসে পড়ায় , ওরা তড়িঘড়ি ঢুকে পড়ল ক্লাসে । আজ অর্ক , যূথিকার ঠিক পিছনে বসেছে । তন্বীদির এখন পঁয়তাল্লিশ মিনিটের দু’টো পিরিয়ড পরপর । প্রথমটা নির্বিঘ্নেই কাটল । তারপরেই ঘটল সেই বিপত্তি । প্রজাপতির মতন উড়তে উড়তে যূথিকা খেয়ালই করেনি পিঠের চেনটা কখন আলগা হয়ে গেছে । ওর ছটফটানির চোটে চেনটা এই মুহূর্তে ওর কোমরের কাছে নেমে এসেছে । যূথিকার গম রঙা পিঠ আর বক্ষবন্ধনীর দিকে এখন ওর পিছনে বসা সব ছেলের তৃষ্ণার্ত চোখ । অর্ক নিজেও চোখ ফিরাতে পারছিল না সেদিক থেকে । টের পাচ্ছিল নিঃশ্বাস ঘন হচ্ছে । কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পরেই অন্য বন্ধুদের লুব্ধ চোখের দিকে নজর পড়তেই , কেমন যেন একটা অস্বস্তি শুরু হল অর্কর । যূথিকার যে সম্ভ্রমহানি হচ্ছে সম্পূর্ণ ভাবে নিজের অজান্তে । সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে ও কিছুতেই চুপ করে বসে থেকে এমনটা হতে দিতে পারেনা । অর্ক কয়েক মুহূর্ত সময় নিল নিজেকে গুছিয়ে নিতে । তারপর কর্তব্য স্থির করে ডায়েরির একটা সাদা পাতার অর্ধেকটা ছিঁড়ল । তারপর সবার চোখের আড়ালে লিখল ---
“তোর পিঠের চেনটা গোটাটা নেমে গেছে । একটু দেখে নে ।“ চিরকুটটা ভাঁজ করে চাপা গলায় যূথিকাকে ডাকল অর্ক । ও মুখ ফিরাতেই এগিয়ে দিল সেটা । একবার চোখ বুলিয়েই যূথিকা প্রথমে শান্ত ভাবে চিরকুটটা ঢুকিয়ে রাখল ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতরে । তারপর দ্রুত গুছিয়ে নিল নিজেকে ।
সেদিনের পরে আর কখনও ওদের দু’জনের মধ্যে এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি । অর্ক জানেনা প্রেম প্রস্তাবের হিসেব রাখার মত , যূথিকা চিরকুটটাও সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে কিনা । তবে ওদের বন্ধুত্ব এখনও অটুট রয়েছে ।


মুখ ও মুখোশ । dr. jekyll and mr.hyde







dr. jekyll and mr.hyde


dr jekyll and mr hyde the strange case summary



dr jekyll and mr hyde characters


dr jekyll and mr hyde meaning



digital drawing on laptop

digital painting vs digital drawing

digital drawing easy

digital drawing app










digital drawing for beginners

digital drawing tablet

digital drawing online

digital art


প্রজাতন্ত্র দিবস ২০২০ । শিয়ালদহ । কলকাতা ।
















republic day speech

republic day 2020

republic day celebration in school

republic day essay

why we celebrate republic day

why do we celebrate republic day

india republic day 2020

72 republic day



republic day of india 2021,republic day of india in hindi,republic day of india celebration,1st republic day of india,republic day year of india,1 republic day of india,republic day india reaction,republic day india 2019,republic day india song,republic day india 2020,lighting at sealdah,kolkata,west bengal,republic day celebration at sealdah,tricolour light




বকফুলসজ্জা ! শিয়ালদা স্টেশনে ।

https://g.co/kgs/gtxQBW

Aharer Bahar- আহারের বাহার

https://g.co/kgs/Zd86UQ

vegetable hummingbird benefits

hummingbird tree

agasti flower benefits

sesbania grandiflora seeds

sesbania grandiflora medicinal uses

hummingbird tree leaves

hummingbird tree for sale

sesbania grandiflora benefits













বক ফুল গাছ,বক ফুল চাষ,বক ফুল রান্না,বক ফুল গাছের পরিচর্যা,বক ফুল ভাজা,বক ফুলের বড়া,রেসিপি,বক ফুলের উপকারিতা,বক ফুলের রেসিপি,লাল বক ফুল,"বক","ফুল",sesbania,grandiflora,সজ্জা !,বকফুল,vegetable,humming,bird,hummingbird,sesbania grandiflora cultivation,sesbania grandiflora seeds,sesbania grandiflora tree,sesbania grandiflora recipes,sesbania grandiflora in hindi,sesbania grandiflora hindi name,sesbania grandiflora powder,sesbania grandiflora nitrogen fixing

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...