পরিবেশ বন্ধু
ব্যারাকপুরে গঙ্গার ঘাট অনেকগুলি । ফেরি ঘাট দু’টি , আর স্নানের ঘাট হিসেবে ব্যস্ততম হল শ্মশান ঘাট আর তার পাশেই অন্নপূর্ণা ঘাট । আর একটু দূরে গান্ধী ঘাট ভারতের প্রাচীনতম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হওয়ায় সেখানে সবসময়ে উর্দিধারী নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া নজর থাকে । ফুল , মালা , বেলপাতা , কলাপাতা , কাপড়চোপড় ইত্যাদি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নদীতে ফেলা হয় এই দু’টি ঘাটেই । এভাবে নাগাড়ে নদী দূষণ আটকাতে ব্যারাকপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ দু’জন মহিলা কর্মী বহাল করেছেন । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এঁরা খুব নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন । যারাই নদীতে কিছু ফেলতে আসছেন , তাঁদের ভদ্রভাবে তা করতে নিষেধ করছেন এবং ঘাটের সামনে রাখা বিরাট ডাস্টবিনে সেগুলি ফেলতে বলছেন । খুব কাছের মানুষকে দাহ করতে যারা আসছেন , তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে সযত্নে লালিত একটা অভ্যেস পাল্টাতে অনুরোধ করা ও ভদ্রভাবে সেটা করতে বাধ্য করাটা ওই মুহূর্তে খুব সহজ কাজ নয় । পুজোয় ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসও গঙ্গায় ফেলতেই হবে , এমন বিশ্বাসও আছে অনেকেরই । ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে কাজটির সাথে । তাই বাধা দিতে গেলে অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পুরোমাত্রায় । তবু ওঁরা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন ।
এবং আশার কথা , প্রায় সবাই ওঁদের কথা
শুনছেন , বুঝছেন । বর্জ্য পদার্থ ফেলছেন নির্দিষ্ট জায়গায় । এক ঘণ্টা ঘাটে বসলেই
দেখা যাচ্ছে গঙ্গা দূষণের হার কমেছে অনেকখানি । বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হয় । আমরা
স্বপ্ন দেখতেই পারি , এইরকম ছোট ছোট উদ্যোগে গঙ্গা একদিন পুরোপুরি কলুষ মুক্ত হবে
। ধন্যবাদ ব্যারাকপুর পুরসভা । আর কুর্নিশ ওই দুই দিদিকে ।
প্রসঙ্গত , আমার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে অতিমারির প্রাদুর্ভাব আছড়ে পড়ার আগে ।
প্রসঙ্গত , আমার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে অতিমারির প্রাদুর্ভাব আছড়ে পড়ার আগে ।
https://sankhamanigoswami.blogspot.com/2020/11/pub-9792609886530610_40.html

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.