মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

ইমারত


আমরা তাঁদেরকে বলতাম শিলিগুড়ির দাদু – দিদা । বাড়ির বড়রা ডাকতেন , কাকু – কাকীমা বলে । হাতে গোনা যে কয়েকজন বাবার সাথে রীতিমত শাসনের সুরে কথা বলতেন, আর বাবা চুপ করে শুনতেন  আমাদের সামনেই , তাঁদের মধ্যে দাদু একজন ! বড় হয়ে জানলাম ওঁরা আমাদের রক্তের সম্পর্কের কেউ নন , দেশভাগের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে পাড়াতুতো কাকু , পরিবারের একজন হয়ে গেছেন । এই দাদুর একটা বড় চোঙওয়ালা গ্রামোফোন ছিল , হাতল ঘুরিয়ে দম দিয়ে চালাতে হত । আমি গেলেই বায়না জুড়তাম --- “দাদু , আমি ঘোরাব !” উনি স্মিত হেসে বলতেন – “ঘোরাও , কিন্তু আস্তে আস্তে ।“ মায়ের কাছে পরে শুনেছি , দাদু নিজের বউ – ছেলেকেও ও জিনিস ছুঁতে দিতেন না । এহেন দাদু জাগতিক নিয়মেই একদিন গত হলেন , কিন্তু গোটা দোতলা বাড়িতে একা দিদা কিছুতেই বাড়ি ছেড়ে , ছেলের কাছে যাবেন না । তো , তখন আমি সবে একটু লায়েক হয়েছি ! একদিন দেখা করতে গিয়ে বলেই ফেললাম – “কেন জেদ করছো দিদা , একা থাকো , অসুস্থ হলে কাউকে তো ডাকতেও পারবে না । বাড়ির মায়া ছাড়ো , দাদার কাছে চলে যাও ।“ দিদা সবটা শুনলেন , তারপর ধীরে ধীরে বললেন – “তখন তো তোর দাদুর মায়নাকড়ি বেশি ছিল না ; তাই অল্প অল্প করে ইট-বালি কেনা , আর রোদে পুড়ে – বৃষ্টিতে ভিজে , পালা করে আমরা দু’জন দাঁড়িয়ে থেকে এই বাড়িটা তৈরি । এর দেওয়ালে হাত দিলে আমি তোর দাদুর ছোঁওয়া পাই । চোখ বোজার আগে আমি এ বাড়ি ছেড়ে যেতে পারবো না রে ।“ সেদিন আর কথা খুঁজে পাইনি । এখন , সরস্বতী পুজোর দিন হলুদ গাঁদা রঙের নতুন শাড়ি – পাঞ্জাবী পরে যারা আঙুলে আঙুল ছুঁইয়ে হাঁটে , তাদের মধ্যে আমি জীবন – মরণের সীমানা ছাড়িয়ে বন্ধু  দাদু –দিদাকে দেখতে পাই ।




১০০ শব্দের ছোট গল্প

অণুগল্প pdf

২০ শব্দের গল্প

অনুবাদ অনুগল্প

সামাজিক অনুগল্প

রোমান্টিক অনুগল্প

৫০ শব্দের গল্প

দশ শব্দের গল্প    




অণুগল্প অর্থ কি

অণুগল্প বৈশিষ্ট্য

অনুগল্পের উদাহরণ

অণুগল্পের ইতিহাস


২০ শব্দের অনুগল্প

অনুগল্প লেখার নিয়ম





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.

কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...