শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

উপলব্ধি REALISATION.

 #উপলব্ধি


জীবন বড় খরস্রোতা পাথরে ভাঙে জল
আগামী বলছে , আধা পথ বাকি , এবার সামলে চল
লাগাম পরে তৈরি আছে সাদা ঘোড়া , রথ
হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোকে সমুদ্রসৈকত ।







বাংলা কবিতা রোমান্টিক

বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা ক্যাপশন

বাংলা কবিতার লাইন



বাংলা কবিতা প্রেমের



শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০

সুকুমার রায়

 তোমরা যারা খুঁজে ফেরো অসম্ভবের ছন্দ

নিশ্চয় করে বালিশ কোরো আবোল-তাবোল গন্ধ
যাঁদের বাড়ি প্রতি বিজয়ায় পাগলা দাশু যায়
তাঁদের ঘরে সম্বৎসর সুকুমার রায় ।






ছড়া


ছড়া কবিতা

ছড়া বাচ্চাদের বাংলা


ছড়া কাকে বলে


শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

মহাষ্টমী২০২০

 #মহাষ্টমী২০২০



গাঙ্গেয় বঙ্গে গভীর নিম্নচাপের কারণে আমাদের এখানে আকাশ মেঘলা , বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে । অক্টোবরের ২৪ তারিখেই বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব , ফ্যান চালালে হাঁচি পড়ছে । কবীর সুমন লিখেছিলেন --- "গান তুমি হও বিশ্রী গরম ভুলিয়ে দেওয়া বৃষ্টি/ সজীবতার ভরসা দেওয়া সফল অনাসৃষ্টি ।" হ্যাঁ , আজ সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় গান বাজছে , কারণ আজ মহাষ্টমী । তবে কিছু অনাসৃষ্টি কাণ্ডও ঘটছে । মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কথা ছিল এ বছর ভার্চুয়ালি অঞ্জলি হবে , কিন্তু সকালে বেরিয়ে দেখলাম অ্যাকচুয়ালি অঞ্জলি হচ্ছে সব জায়গায় । তবে জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টাও আছে । মাইকে মুহুর্মুহু ঘোষণা হচ্ছে --- এলাকার সমস্ত বাসিন্দার কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, যে আপনারা কেউ মাস্ক না পড়ে মণ্ডপে আসবেন না । মাইকে মন্ত্রোচ্চারণ করতে করতেই পুরোহিত মশাই হঠাৎ বলছেন --- "দাঁড়ান হাতে একটু স্যানিটাইজার দিয়ে নিই ।" শুনে মজাই লাগছিল । দেবী দুর্গার সামনে বসে সবাইকে দিয়ে নিজেদের মঙ্গলকামনা করাচ্ছেন , কিন্তু একইসাথে নিজেই জানেন, সার্স কোভ-২ তেমনভাবে একবার শরীরের ভিতরে সেঁধিয়ে গেলে জগজ্জননীও রক্ষা করতে পারবেন না । করোনা-কালে গঙ্গা জলে নয় , স্যানিটাইজারেই হাত শুদ্ধ করতে হবে পুজোর সময় । আমাদের এখানে বহু পুরনো , ঐতিহ্যবাহী একটা পুজো হয় একটি প্রাথমিক স্কুল বাড়িতে । এবার স্কুলে নো এন্ট্রি , গেটে তালা , ভিতরে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী । স্কুলের জানলার পাশে রাস্তা , পুজোর স্পেশ্যাল মাঞ্জা দিয়ে , রাস্তায় চটি খুলে সবাই অঞ্জলি দিচ্ছেন , অঞ্জলির ফুল একটি বড় ডালায় করে মা দুর্গার চরণতলে পৌঁছে দিচ্ছেন পুজো কমিটির এক সদস্য । এমনিতে ঠিকই আছে , তবে অষ্টমীর অঞ্জলির সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে অঞ্জলির ফুল অনেক সময় অন্য দেবীর পায়ে বা মাথায় পড়ে ! এবার সে সুযোগ নেই । তবে রাস্তাতেও যাঁরা অঞ্জলি দিতে দাঁড়িয়েছেন , তাঁরাও পারস্পরিক দূরত্ববিধি না মেনে করতলে রাখা অঞ্জলির ফুলগুলির মতই ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়েছেন । আরও মজার দৃশ্য দেখলাম এক পাড়ায় । মণ্ডপের সামনে একফালি জমিতে ঘাসের ওপর চুন দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে বৃত্ত আঁকা হয়েছিল অঞ্জলি দেওয়ার জন্য । নিজের নিজের বৃত্তে না ঢুকে সেই পুজোয় সবাই, সিধে নো এন্ট্রি জোনে ঢুকে অঞ্জলি দিচ্ছেন ! দৃশ্যটা দেখে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় আর একটা প্রিয় গান মনে পড়ছে একটু শীত-একটু রোদ্দুর মাখা এই মিষ্টি সকালে --- "সোজা পথের ধাঁধায় আমি অনেক ধেঁধেছি / পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি ।" কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন --- হে বঙ্গজন , তুমি কি পুজো দেখিতে গিয়া পথ হারাইয়াছো ? আজকের দিনে এই প্রশ্নের সাহসী উত্তর হবে --- হ্যাঁ ।




মহাষ্টমী পূজা


মহাষ্টমী সন্ধিপূজা


মহাষ্টমী 2020

মহাষ্টমী সকাল


মহাষ্টমীর ছবি

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

দুর্গাষষ্ঠী২০২০

 #মহাষষ্ঠী২০২০


পুজো মানে আসলে কতগুলো দৃশ্যের সমাহার । বাড়ি থেকে যাতায়াতের রাস্তায় একটা পুজো হয় , সেখানে মণ্ডপে দু'দিন আগেই প্রতিমা এসেছে , কিন্তু মুখ খবরের কাগজ দিয়ে ঢাকা । বোধনের আগে দেবীর মুখ দেখতে নেই যে ! বিষয়টাকে দু'ভাবে দেখা যায় । এক , করোনা-কালে দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানাদির মুখ মুখাবরণে ঢাকার যে চল এ বছর দেখা যাচ্ছে , এটা তারই অঙ্গ এবং এই সচেতনতা এসেছে খবরের কাগজ পড়ে । আর দুই , সঠিক সময়ের আগে যে মুখ মাস্কে ঢেকে রাখতে হয় , বাঙালি ছোটবেলা থেকে সেরা সামাজিক মিলনোৎসব থেকে সেই শিক্ষা পেয়ে আসছে । আজ ষষ্ঠী , সব মণ্ডপেই প্রতিমা চলে এসেছে । এই ২০২০ সালে করোনার কল্যাণে একচালা প্রতিমার পিগমি সংস্করণের মিছিল এই প্রথমবার দেখলাম । বারোয়ারি পুজোর বারো ইয়ারের কারওরই যে পকেটের অবস্থা এবার ভাল নয় , তা দিব্যি বোঝা যায় । যদিও কোনও মণ্ডপের বাইরে লেখা নেই ---- 'পকেটখালির জমিদার বাড়ির পুজো' , তবুও এটাই এবার নিউ নর্মাল । রাস্তার পাশে তৈরি একটা মণ্ডপের সামনে বেশ কয়েকজন মহিলা ও কচিকাঁচাদের করজোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম , কারও মুখেই মাস্ক নেই । পুজোর সাজের সঙ্গে মাস্ক জিনিসটা ঠিক মানানসই নয় বলেই বোধহয় । কিন্তু নিজে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা না করলে, দুর্গতিনাশিনী বাঁচাতে পারবেন কী ? প্রশ্ন রয়ে যায় । আমাদের স্টেশন চত্বরে যতজন ভবঘুরের আস্তানা ছিল , তারা এখন দিনের বেলা ছড়িয়েছিটিয়ে রাস্তায় বসে থাকে আর ভিক্ষা করে । রাতে কোথায় ঘুমায় জানিনা । স্টেশনের সমস্ত প্রবেশপথে তো টিন -বাঁশ দিয়ে এমন ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে যে অবাঞ্ছিত যাত্রী কেন , মাছিও গলতে পারবে না । স্পেশ্যাল লোকাল ট্রেনে ওঠা তো দূর অস্ত । একটা মণ্ডপের সামনে ফুটপাতে খুব সুন্দর একটা দৃশ্য চোখে পড়ল --- এক মহিলা ভবঘুরে যত্ন করে তাঁর সঙ্গীর জট পড়া চুল আঁচড়ে দিচ্ছেন চিরুনি দিয়ে । ওঁদের সামনে দাঁড়িয়ে দেখলাম , দূউরে মণ্ডপে রাখা দশভুজার মূর্তি আর ওঁরা ঠিক এক সরলরেখায় । রূপসজ্জা চলছে , তাই বোধহয় মুখে কোনও আবরণ নেই , কিন্তু কে না জানে পুজোর দিনে অপরিচ্ছন্ন থাকতে নেই , একটু সাজতে হয় , মন খারাপ করে থাকতে নেই , একটু হাসতে হয় , ইচ্ছা না করলেও । কিন্তু "ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় / পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি" --- লাইনটা কে না জানে । খালি পেটে কি হাসি আসে ? তাই বোধহয় এবার বেশিরভাগ পুজো কমিটি প্রতিমা ছোট করে , মনটা একটু বড় করেছেন । পুজোর ক'দিন বাজেট কাটছাঁট করে এই ভবঘুরে মানুষগুলির কিছুটা খিদে মেটানোর ব্যবস্থা করেছেন । একচালার প্রতিমায় দুর্গার পাশে তাঁর ছেলেমেয়েরা না থাকলে যেমন দেখতে ভাল লাগে না , এই মহা-মিলনোৎসবের বৃত্তটাও সব্বার মুখে হাসি ফোটাতে না পারলে সম্পূর্ণ হয়না ।






দুর্গাপূজা নিয়ে লেখা


দুর্গাপূজা নিয়ে

মহাষষ্ঠী 2020


মহাষষ্ঠী কি


মহাষষ্ঠী ২০২০

আজ মহাষষ্ঠী

শুভ মহাষষ্ঠী


মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০

টিকটিকি

টেলি-নাটকের জন্য বাংলাদেশ টিভি বিখ্যাত 'তারা টিভি'তে দেখা এরকমইএকটি টেলি-নাটক আমার খুব প্রিয় , বহুবার দেখেছি নাটকটি হলসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় লিখিত এবং পরিচালিত 'টিকটিকি' অভিনয়ে পরিচালক-লেখক স্বয়ং এবং কৌশিক সেন নেটফ্লিক্সে যারাতৃতীয় শ্রেণির সাইকো-থ্রিলার দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন এবং জঘন্য প্লটকে বাহবা দেন , তাঁদের একবার নাটকটা দেখতে অনুরোধ করব দেখা সম্ভবনা হলে নিদেনপক্ষে একবার পড়তে বলবো (আনন্দ পাবলিশার্স) এই নাটকেদুই দুর্দান্ত অভিনেতার যুগলবন্দী দেখার মত নাট্যকারেরসাক্ষাৎকারে পড়েছি উৎপল দত্ত প্রথম হলিউডি ছবি SLEUTH অবলম্বনে এই নাটকটি তাঁকেলিখতে অনুপ্রাণিত করেন উৎপল দত্তেরএই নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করবার কথাও ছিল পরবর্তীকালে উত্তমকুমারওএই নাটকে অভিনয় করতে ভীষণ আগ্রহী ছিলেন , কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়ে ওঠেনি একটিমাত্র ঘরে নাটকের গল্প আবর্তিত নাটকে কেবলমাত্রদু'জন অভিনেতা তৎসত্ত্বেও পূর্ণাঙ্গ নাটকটির দিক থেকে এক মুহূর্তের জন্যওচোখ ফেরানো যায় না , গল্পের বাঁধুনি আর অভিনয়ের গুণে এটা একটা রিভেঞ্জ ড্রামা , প্রতিশোধ নেওয়ার গল্প কিন্তু তাসত্ত্বেও সেক্স-ভায়লেন্স এবং খেঁউড় সর্বস্ব নয় সেটাহওয়ার কথাও নয় অবশ্য , নাটকের তো আর টিআর পি বাড়াবার তাড়ানেই ! কৌশিক সেন নাটকে দুই রকম স্বরে চেহারায় কথাবলেন স্বর চেহারা পাল্টে কৌশিক যখন স্ফীতোদর ছদ্মবেশী পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন , তখন সত্যিই তাঁকে চেনা দায় হয়ে পড়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরচরিত্রটা একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত লেখকের , যিনি মানুষকে ভীষণ হেনস্থা করে মজা পান কৌশিক সেনেরচরিত্রটিকে তিনি একবার এমনভাবে অকারণে হেনস্থা করেন , যে তিনি মানসিকভাবেবিধ্বস্ত হয়ে পড়েন লেখকের অনুকরণেইতিনি এক সাজানো কাহিনিদিয়ে কীভাবে প্রতিশোধ নেন , তাই নিয়েই গল্প Sleuth মানে গোয়েন্দা আর ব্যঙ্গার্থেগোয়েন্দাকে যে টিকটিকি বলাহয় , সে তো গোয়েন্দাকাহিনিপ্রিয়বাঙালি মাত্রেই জানেন ! প্রসঙ্গত, কৌশিক সেন একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন , যে তাঁদের নাটকেরদল 'স্বপ্ন-সন্ধানী' নামকরণ করেছিলেনসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং ছবিটি ইউটিউবেদেখা যায়











টিকটিকি নাটক





ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example






কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...