শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

ভাল বাসা । Graffiti Visual art genre





Graffiti

Visual art genre

https://g.co/kgs/pqKFG4

graffiti art

graffiti drawings

graffiti art drawings

"পলাশের নেশা মাখি চলেছি দু'জনে / বাসনার রঙে মিশি শ্যামলে - স্বপনে / কুহু...






পলাশ ফুল in english
হলুদ পলাশ ফুল
সাদা পলাশ ফুল
পলাশ ফুল কোন ঋতুতে ফোটে
পলাশ ফুল কোন কালে ফোটে
পলাশ ফুল কবিতা
পলাশ ফুল গাছের চারা
লাল পলাশ ফুল









পলাশ ফুল গাছ,পলাশ ফুল গাছের চারা তৈরি,পলাশ ফুল গান,পলাশ ফুল পুরুলিয়া,পলাশ ফুল নিয়ে গান,পলাশ ফুল গাছের চারা,পলাশ ফুল গাছের ছবি,পলাশ ফুল আঁকা,পলাশ ফুল দেখতে কেমন,পলাশ ফুলের রং কেন লাল,পলাশ ফুলের গান,পলাশ ফুলের গেলাস ভরি,পলাশের ফুল,palash flower,পলাশ ফুল,palash flower pictures,palash flower benefits,palash flower tree,palash flower purulia,palash flower plant,palash flower colour,palash flower uses,palash flower for skin,palash flower season



সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

রাস্তাঘাটে


রাস্তাঘাটে

এক ডাক্তারবাবুর চেম্বারে বসে আছি । পাশেই অপেক্ষারত এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ফোনে ডাকছে কাউকে , তাড়াতাড়ি আসতে বলছে । একটু পরে সেই বন্ধুটি এলেন হন্তদন্ত হয়ে । তারপরের কথোপকথন এ রকম :
--- কি রে , এত দেরি করলি কেন ?
--- আরে , ট্রাম লাইনের কতগুলো পাত খাড়া হয়ে থাকে না , সেই রকমই একটা পাত ফাঁসিয়ে দিল পুরো ।
--- কী রকম ?
--- স্পিডে বাইক চালাচ্ছিলাম , খেয়াল করিনি । ব্যস , প্যান্টের কোণাটা লেগে ফ্যাচাৎ করে অনেকখানি ছিঁড়ে গেল ।
--- তারপর ?
--- একটা দোকান থেকে এক গোছা সেফটিপিন কিনলাম । সেগুলো দিয়েই রিফু করে নিয়েছি কাজ চালাবার মত । এখন আর দেখলেও চট করে কেউ বুঝবে না ।
   দু’জনেই পাশে বসে । ডান পা- টা সঙ্গীকে উঁচু করে দেখানোতে , লক্ষ্য করলাম সত্যিই ভাল করে নজর না করলে , কিস্যু বোঝা যাচ্ছে না । মনে মনে বললাম : সাবাশ উপস্থিত বুদ্ধি ! আমার মনের কথাটাই অন্য জনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো ।
   সেফটিপিনের নাম সার্থক !









শতবর্ষে সত্যজিৎ ---- একটি জীবন , একটি প্রতিষ্ঠান

শতবর্ষে সত্যজিৎ ---- একটি জীবন , একটি প্রতিষ্ঠান

       সত্যজিৎ রায়ের জন্ম ২ মে ১৯২১ সালে এবং মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৯২ – এ । ছ‘ফুট চার ইঞ্চির মানুষটি লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন । তাঁর আগে এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন গ্রেটা গার্বো , ক্যারি গ্রান্ট , সোফিয়া লোরেন , স্যর চার্লি চ্যাপলিন এবং আকিরা কুরোসাওয়া । উৎকৃষ্ট সাহিত্য সৃষ্টি , বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকা , নামাঙ্কন , সুরসৃষ্টি , গান লেখা , এবং বইয়ের প্রচ্ছদ নির্মাণেও তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন আজীবন । কার্যত , যখন যে কাজে হাত দিয়েছেন , তাতেই সোনা ফলেছে । যদিও ‘আমাদের কথা’য় বিজয়া রায় স্পষ্ট লিখেছেন যে , সংসার চলত মূলত লেখার টাকায় । সঙ্গে এটাও লিখেছেন , দৈনন্দিন সাংসারিক বিষয়ে কোনও দিন মাথা ঘামাননি সত্যজিৎ । ভাগ্যিস ঘামাননি ! তাই শতবর্ষে পৌঁছে তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান । ১/১, বিশপ লেফ্রয় রোডের বাসিন্দার মত শিক্ষক কোটিকে গুটিক । তাঁর চলে যাওয়ার এতগুলো বছর পরে , আমরা যদি আর একবার , সারা জীবনে যত পুরস্কার পেয়েছেন তিনি , তার একটা কালানুক্রমিক তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিই , তবে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার বিস্তার ও গভীরতা সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা আছে , তা খানিকটা পুষ্ট হয় । তাঁর কাজ থেকে আমরা যদি অনুপ্রেরণা খুঁজে নিই , লাভ আমাদেরই ।
         জীবনের প্রথম স্বীকৃতি যে কোনও মানুষের জীবনেই অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠে । সত্যজিতের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি । জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি মনে রেখেছিলেন , ১৯৩৬ সালে ভয়েটল্যান্ডার ক্যমেরায় ছবি তুলে বিলেতের ‘বয়েজ ওন পেপার’ পত্রিকায় প্রথম পুরস্কার পাওয়ার কথা । ১৯৫৫ সালের ২৬ অগাস্ট তাঁর তৈরি প্রথম কাহিনিচিত্র ‘পথের পাঁচালি’ মুক্তি পায় । দেশে, এই বছরেই ছবিটি রাষ্ট্রপতির স্বর্ণ ও রৌপ্য পদকে সম্মানিত হয় । এই বিন্দু থেকেই ‘পথের পাঁচালি’র জয়যাত্রা শুরু হয় ও সত্যজিতের সৃষ্টিশীল জীবনের অভিমুখ নির্দিষ্ট হয়ে যায় । ১৯৫৬ সালে তিনি দিল্লিতে আন্তর্জাতিক প্রচ্ছদ প্রদর্শনীতে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘সংবর্ত’ বইটির প্রচ্ছদ অঙ্কনের জন্য স্বর্ণপদক পান । এই বছরেই ১১ অক্টোবর ‘অপরাজিত’ মুক্তি পায় । ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পথের পাঁচালি’, ‘শ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল’ হিসেবে পুরস্কৃত হয় । এছাড়াও ছবিটি, স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ডিপ্লোমা অব মেরিট’ , ফিলিপিন্সের ম্যানিলা চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন ক্যারবাও’ এবং রোম চলচ্চিত্র উৎসবে ভ্যাটিকান পুরস্কার লাভ করে । ১৯৫৭ সালে সানফ্রান্সিস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পথের পাঁচালি’, শ্রেষ্ঠ ছবি ও শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে এবং বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সেলজনিক গোল্ডেন লরেল’ পুরস্কার পায় । এই বছরেই ‘অপরাজিত’ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে ‘গোল্ডেন লায়ন অব সেন্ট মার্ক’ , ‘সিনেমা ন্যুভো’ পুরস্কার পায় ও সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে বিবেচিত হয় । ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় , ইডেন গার্ডেনসে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয় । ১৯৫৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ‘পরশ পাথর’ ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পায় । ১০ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘জলসাঘর’ । এই বছরেই ‘পথের পাঁচালি’ কানাডার ভ্যাঙ্কুবার চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি নির্বাচিত হয় এবং স্ট্রাটফোর্ড চলচ্চিত্র উৎসবে চিত্র সমালোচকদের বিচারে সেরা ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয় । ‘অপরাজিত’ এই বছরে সানফ্রান্সিস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ ছবি ও শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য পুরস্কৃত হয় । এই বছরেই সত্যজিৎ ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত হন । ‘জলসাঘর’ , জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ছবি ও রাষ্ট্রপতির রৌপ্যপদক পায় । ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ , ‘সঙ্গীত নাটক আকাদেমি’র বিশেষ সম্মান পান । ‘অপুর সংসার’ জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক লাভ করে । ‘জলসাঘর’ মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত বিভাগে পুরস্কৃত হয় । ‘পথের পাঁচালি’ নিউ ইয়র্কে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ছবি হিসেবে সাংস্কৃতিক পুরস্কার পায় এবং ‘অপরাজিত’ ১৯৫৮ – ’৫৯ সালের শ্রেষ্ঠ বিদেশি ছবি হিসেবে ‘গোল্ডেন লরেল’ পুরস্কার পায় । ১৯৬০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ‘অপুর সংসার’ এবং কয়েকটিতে ‘দেবী’ মুক্তি পায় । ‘অপরাজিত’ বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সেলজনিক গোল্ডেন লরেল’ পুরস্কার পায় । ‘অপুর সংসার’ লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘বেস্ট অরিজিনাল অ্যান্ড ইমাজিনেটিভ ফিল্ম’ হিসেবে সাদারল্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ট্রফি , এডিনবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ডিপ্লোমা অব মেরিট’ , এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ অব মোশন পিকচার্স’ থেকে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ছবির পুরস্কার পায় । অপু ট্রিলজি লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিটি ছবির জন্য ‘উইংটন’ পুরস্কার পায় । ‘দেবী’ ছবিটি দেশে সেরা ছবি নির্বাচিত হয় এবং রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পায় ।  সত্যজিৎ ভিয়েনা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হিসেবে মনোনীত হন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ সম্মান পান । ১৯৬১ সালের ৫ মে ‘তিনকন্যা’ মুক্তি পায় । এই বছরেই ন্যাশনাল ফিল্মস ডিভিশনের প্রযোজনায় সত্যজিতের নিজের ভয়েস ওভার , চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় তৈরি হয় তথ্যচিত্র ‘রবীন্দ্রনাথ’ । ‘তিনকন্যা’র ‘সমাপ্তি’ ছবিটির জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির রৌপ্যপদক পান । ‘রবীন্দ্রনাথ’ তথ্যচিত্রটি দেশে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক এবং লোকার্নো (সুইৎজারল্যান্ড) চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার --- ‘গোল্ডেন শিল’ পায় । সত্যজিৎ বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে , বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি নির্বাচিত হন এবং জার্মানির বেটা ফিল্মসের মতে বিশ্বের ছয়জন সেরা পরিচালকের অন্যতম বিবেচিত হন । আত্মপ্রকাশের কয়েক বছরের মধ্যেই যে তিনি সিনেমা জগতের সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছিলেন , এই তথ্য থেকে তা স্পষ্ট বোঝা যায় ।
       ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ১৯৬২ সালের ১৯ মে মুক্তি পায় । ওই বছরেই ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় ‘অভিযান’ । এই বছরে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ‘সমাপ্তি’ ও ‘পোস্টমাস্টার’ শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে মেলবোর্ন ট্রফি – ‘গোল্ডেন বুমেরাং’ পায় । ‘অভিযান’ দেশে রাষ্ট্রপতির রৌপ্যপদক এবং ‘রবীন্দ্রনাথ’ তথ্যচিত্রটি উরুগুয়ের মন্টেভিডোতে তথ্যচিত্র ও পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্র’ হিসেবে পুরস্কৃত হয় । ১৯৬৩ সালে মার্কিন টাইম পত্রিকার মতে সত্যজিৎ বিশ্বের সেরা এগারোজন চলচ্চিত্র পরিচালকের অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হন এবং মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি নির্বাচিত হন । ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়  ‘মহানগর’ । ‘তিনকন্যা’ এ বছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সেলজনিক গোল্ডেন লরেল’ পুরস্কার এবং ‘মহানগর’ রাষ্ট্রীয় মানপত্র পায় । ১৯৬৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় ‘চারুলতা’ । এই বছরে দূরদর্শন চিত্র ‘টু’ নির্মিত হয় এসো ওয়ার্ল্ড থিয়েটারের প্রযোজনায় , সত্যজিতের কাহিনি – চিত্রনাট্য – সঙ্গীত ও পরিচালনায় । বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মহানগর’ সেরা পরিচালকের পুরস্কার – ‘সিল্ভার বিয়ার’ এনে দেয় সত্যজিতের হাতে । ‘চারুলতা’ ছবিটির জন্য সত্যজিৎ রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পান । পরে একাধিক সাক্ষাৎকারে সত্যজিৎ আত্মসমীক্ষা করে বলেছেন যে , তিনি নিজে মনে করেন, ‘চারুলতা’ ছবিতে তিনি সবচেয়ে কম ভুল করেছেন ।  ১৯৬৫ তে সত্যজিৎ ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কার পান এবং দিল্লি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেন । এই বছরে ৭ মে ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ মুক্তি পায় । ‘চারুলতা’ বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার --- ‘সিলভার বিয়ার’ ও বিশেষ ক্যাথলিক পুরস্কার পায় এবং মেক্সিকোর আকাপুলকা চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি হিসেবে বিবেচিত হয় । ১৯৬৬ সালের ৬ মে মুক্তি পায় ‘নায়ক’ । ‘পথের পাঁচালি’ ডেনমার্কের চলচ্চিত্র সম্পাদক সমিতি কর্তৃক সেরা বিদেশি ছবি হিসেবে ‘বোডিল’ পুরস্কার এবং জাপানে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ছবি হিসেবে ‘কিনিমা জামপো’ পুরস্কার পায় । ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ - এর , ‘কাপুরুষ’-- বিশেষ পুরস্কার পায় ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে । ‘নায়ক’ দেশে দ্বিতীয় সেরা ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির রৌপ্যপদক পায় শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিভাগে । এছাড়াও এই ছবি বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার এবং সিনেমা সমালোচক সঙ্ঘ থেকে ‘ইউনিক্রিট’ পুরস্কার পায় । ১৯৬৭ সালে ‘প্রফেসর শঙ্কু’ , বছরের শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্য গ্রন্থ হিসেবে অ্যাকাডেমি পুরস্কার পায় । সত্যজিৎ ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান এবং বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক মনোনীত হন । ২৯ সেপ্টেম্বর ‘চিড়িয়াখানা’ মুক্তি পায় । ‘অপরাজিত’ ডেনমার্কে বছরের শ্রেষ্ঠ অ – ইউরোপীয় ছবি হিসেবে বোডিল পুরস্কার পায় এবং ‘চিড়িয়াখানা’ শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার পায় এবং মহানায়ক উত্তমকুমার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান ।  ১৯৬৮ সালে মেলবোর্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন সত্যজিৎ । ১৯৬৯ – এ আংশিক রঙিন ছবি গুপি গায়েন বাঘা বায়েন মুক্তি পায় ৮ মে । এই ছবিটি সত্যজিৎ রায়ের সবচেয়ে বাণিজ্য – সফল ছবি । এই ছবিটি দেশে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক এবং সেরা পরিচালক বিভাগে রৌপ্যপদক পায় । অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড চলচ্চিত্র উৎসবে অসাধারণ গুণসম্পন্ন শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র হিসেবে ‘সিলভার সাদার্ন ক্রস’ এবং নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ মৌলিক ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার এনে দেয় । ১৯৭০ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে পরপর দু’টি   ছবি মুক্তি পায় । ১৬ জানুয়ারি ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ২৯ অক্টোবর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় । গুগাবাবা টোকিও চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেরিট অ্যাওয়ার্ড’ এবং মেলবোর্ন চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয় । ১৯৭১ সালে যুগোস্লাভিয়া সরকার কর্তৃক সত্যজিৎ ‘স্টার অব যুগোস্লাভিয়া’ সম্মানে ভূষিত হন । এই বছরেই তিনি সাহিত্যে ‘আনন্দ পুরস্কার’ (সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার) পান । এছাড়াও তেহরান চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক মনোনীত হন ।  ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির রৌপ্যপদক পায় এবং সত্যজিৎ দেশের সেরা পরিচালক হিসেবে পুরস্কৃত হন । এই বছরেই সিকিমের রাজার উদ্যোগে , সত্যজিতের পরিচালনায় রঙিন তথ্যচিত্র ‘সিকিম’ তৈরি হয় । আংশিক রঙিন চলচ্চিত্র ‘সীমাবদ্ধ’ মুক্তি পায় ২৪ সেপ্টেম্বর । ১৯৭২ সালে ‘সীমাবদ্ধ’ শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পায় । এছাড়া ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে , চলচ্চিত্র সমালোচক সঙ্ঘ ‘FIPRESCI’ কর্তৃক পুরস্কৃত হয় । এ বছর ‘দ্য ইনার আই’ তথ্যচিত্রটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পায় । এই বছরেই কানাডার টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে সত্যজিৎ বিচারক হিসেবে যোগ দেন । ১৯৭৩ সালে সত্যজিৎ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টর অব লেটারস’ শিরোপা পান । শিকাগো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন হুগো’ খেতাব পান । সম্পূর্ণ রঙিন ছবি ‘অশনি সঙ্কেত’ ১৫ অগাস্ট করমুক্ত ছবি হিসেবে মুক্তি পায় । ছবিটি দেশে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পায় এবং শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীতের জন্যও পুরস্কৃত হয় । এছাড়াও ছবিটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ বিভাগে পুরস্কার পায় । ১৯৭৪ সালে সত্যজিতের নিজের কাহিনি অবলম্বনে রঙিন ছবি ‘সোনার কেল্লা’ করমুক্ত ছবি হিসেবে মুক্তি পায় ২৭ ডিসেম্বর । ‘অশনি সঙ্কেত’ বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার ‘গোল্ডেন বিয়ার’ পায় এবং ‘সোনার কেল্লা’ দেশে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে রাষ্ট্রপতির রৌপ্যপদক  পায় । ‘সোনার কেল্লা’ শ্রেষ্ঠ পরিচালক – শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য – এবং শ্রেষ্ঠ রঙিন ছবির খেতাব জেতে । পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ছবিটি শ্রেষ্ঠ ছবি ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মানে ভূষিত হয় । সত্যজিৎ লন্ডনের রয়াল কলেজ অব আর্টস থেকে ডক্টরেট উপাধি পান । এই বছরে বিশ্বকোষ --- ‘এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা’তে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয় । ১৯৭৫ সালে ‘সোনার কেল্লা’ ইরানের তেহরান চলচ্চিত্র উৎসবে – কিশোর ও তরুণদের জন্য নির্মিত শ্রেষ্ঠ প্রাণবন্ত কাহিনিচিত্র হিসেবে ‘গোল্ডেন স্ট্যাচুয়েট’ পুরস্কার পায় । মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত ‘জন – অরণ্য’ ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পায় । এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে শ্রেষ্ঠ ছবি – শ্রেষ্ঠ পরিচালক – শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কার পায় । সত্যজিৎ দিল্লি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি হন । ‘ব্রিটিশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি’ তাঁকে বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের শ্রেষ্ঠ চিত্র পরিচালক হিসেবে সম্মান জানায় । মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।  ১৯৭৬ সালে পদ্মবিভূষণ পান সত্যজিৎ । ‘জন-অরণ্য’ ছবিটি মুক্তি পায় ২০ ফেব্রুয়ারী । তৈরি হয় রঙিন তথ্যচিত্র ‘বালা’ । ‘জন-অরণ্য’ ছবিটি চেকোস্লোভাকিয়ার কার্লোভি ভ্যারি চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ পুরস্কার পায় । ১৯৭৭ সালে সত্যজিৎ দিল্লি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নর্টন লেকচারস’ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হন । এই বছরে শতরঞ্জ কে খিলাড়ি ছবিটি ভারতে শ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবি এবং শ্রেষ্ঠ রঙিন চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায় । ১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডি-লিট’ খেতাব পান । বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পান ‘দেশিকোত্তম’ । বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব কমিটি তাঁকে ‘সর্বকালের তিনজন সেরা চিত্রপরিচালকের অন্যতম’ আখ্যা দেয় । অপর দু’জন হলেন চার্লি চ্যাপলিন এবং ইঙ্গমার বার্গম্যান । এই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দেশে মুক্তি পায় রঙিন ছবি ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ । ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ শ্রেষ্ঠ শিশু-চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায় । ১৯৭৯ সালের ৫ জানুয়ারি দেশে মুক্তি পায় রঙিন ছবি ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ । হংকং চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয় ছবিটি । এই বছরই সাইপ্রাস চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হীরক রাজার দেশে’ বিশেষ পুরস্কার পায় । সত্যজিৎ রায় ‘বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্ব – চলচ্চিত্রে সেরা ন’জন চিত্রপরিচালকের অন্যতম’ হিসেবে সম্মানিত হন মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে । ১৯৮০ সালে সত্যজিৎ বর্ধমান ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডি-লিট’ খেতাব পান । এছাড়া ‘পথের পাঁচালি’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে DAVP-র উদ্যোগে বর্ষব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয় বেঙ্গালুরু চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ভারতীয় ডাক বিভাগ বিশেষ ক্যান্সেলেশন প্রকাশ করে । এই বছরে ১৯ ডিসেম্বর করমুক্ত ছবি হিসেবে মুক্তি পায় ‘হীরক রাজার দেশে’ । শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতরচনার জন্য জাতীয় পুরস্কার পায় ছবিটি । প্রসঙ্গত , এই ছবিটি তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজনায় । ১৯৮১ সালে সত্যজিৎ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট পান । তিনি শিশিরকুমার সাহিত্য পুরস্কারও পান এবছর । এছাড়া ‘একেই বলে শুটিং’ বইটির জন্য শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে পান বছরের শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিক হিসেবে ফটিক স্মৃতি পুরস্কার । ১৯৮২ সালে ম্যানিলা চলচ্চিত্র উৎসবে সত্যজিৎ বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি মনোনীত হন । কান চলচ্চিত্র উৎসব কমিটি তাঁকে বিশ্ব চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘হেডলেস অ্যাঞ্জেল ট্রফি’ দিয়ে সম্মান জানায় । এই বছরই তিনি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হিসেবে যোগ দেন । ওই উৎসবে তাঁকে বিশ্বের সেরা দশজন চিত্র পরিচালকের অন্যতমরূপে ‘গোল্ডেন লায়ন অব সেন্ট মার্ক’ প্রদান করা হয় । রোম চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি ‘ভিসকান্তি’ পুরস্কার পান । শিশু সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বিদ্যাসাগর পুরস্কার দেয় । ২৫ এপ্রিল ভারতীয় দূরদর্শন প্রযোজিত ‘সদ্গতি’ টেলিফিল্মটি প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় টিভি চ্যানেলে রঙিন ছবির সম্প্রচার শুরু হয় । এই টেলিফিল্মটি জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পায় । এই বছরই সত্যজিৎ আরও একটি রঙিন টেলিছবি ‘পিকু’ তৈরি করেন । ১৯৮৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট থেকে তিনি বিশেষ ফেলোশিপ পান । ১৯৮৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর লন্ডনে মুক্তি পায় ‘ঘরে-বাইরে’ । রঙিন ছবিটি পরের বছর ৪ জানুয়ারি মুক্তি পায় কলকাতায় । ছবিটি এ বছর জাতীয় পুরস্কার পায় শ্রেষ্ঠ ছবি , শ্রেষ্ঠ পোশাক পরিকল্পনা ও শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেতা , এই তিনটি বিভাগে । ১৯৮৫ সালে সত্যজিৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট পান । এই বছরেই দেশের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে বড় সরকারি সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ পান । এছাড়া এই বছর ‘সোভিয়েত দেশ নেহ্রু পুরস্কার’ পান । ‘ঘরে বাইরে’ সিরিয়ার দামাস্কাস চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ স্বর্ণপদক পায় । ১৯৮৬ --- এ বছর সত্যজিৎ সঙ্গীত নাটক আকাদেমির বিশেষ ফেলোশিপ পান । ১৯৮৭ তে ফরাসি সরকার থেকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান ‘লিজিয়ন অব অনার’ পান । এই বছরেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট পান । পান দাদাভাই নওরোজি স্মৃতি পুরস্কার । ফেলুদা কাহিনি ‘টিনটোরেটোর যিশু’ বইটির জন্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং থেকে শিশু সাহিত্যের পুরস্কার পান । সত্যজিৎ এ বছর তাঁর বাবা সুকুমার রায়কে নিয়ে একটি রঙিন তথ্যচিত্র তৈরি করেন । ১৯৮৮ – নেই । ১৯৮৯ সালে প্যারিসে ২৮ জুন এবং লন্ডনে ২৯ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ‘গণশত্রু’ । ছবিটি পরের বছর ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পায় কলকাতায় । ছবিটি শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক ছবি হিসেবে এ বছর জাতীয় পুরস্কার পায় । সত্যজিৎ অসম সরকার থেকে শঙ্করদেব বঁটা পুরস্কার এবং ফ্রান্সে সেরা বিদেশি গ্রন্থের জন্য বিশেষ পুরস্কার পান । এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অরসন ওয়ালেস পুরস্কার পান । ১৯৯০ সালে এশিয়ান পেন্টস শিরোমণি পুরস্কার পান । ১৯৯১ সালে প্যারিসে ‘শাখা-প্রশাখা’ মুক্তি পায় ২১ অগাস্ট , জাতীয় টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত হয় ৫ মে । ‘আগন্তুক’ মুম্বইয়ে মুক্তি পায় ২০ ডিসেম্বর । এই ছবিটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্র সমালোচক পুরস্কার পায় । টোকিও চলচ্চিত্র উৎসব কমিটি থেকে বিশেষ সম্মান পান সত্যজিৎ । কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সত্যজিৎ রায় রেট্রোস্পেক্টিভ’ এবং সত্যজিৎ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় । ১৯৯২ তে নিউ ইয়র্কের অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার্স থেকে সত্যজিৎ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য ‘অস্কার পুরস্কার’ পান , যা তিনি অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার বেল্ভিউ নার্সিংহোমের শয্যায় শুয়ে গ্রহণ করেন । এ বছরই তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক সম্মান জ্ঞাপন করা হয় ।
                                  
তথ্যসূত্র : বিশেষ সত্যজিৎ সংখ্যা , দেশ পত্রিকা , ২৮ মার্চ ১৯৯২     






www.httpssankhamanigoswami.xyz







Satyajit Ray

Indian film director


https://g.co/kgs/xd7Hdf



satyajit ray awards


satyajit ray movies



ফিচার প্রতিবেদন


ফিচার সংবাদ

ফিচার নিউজ


ফিচার পাতা

ফিচার লেখা


news feature article


news feature story


news feature example



বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

মশা নিধন ও গাপ্পি মাছ ।


দ্য রয়াল সোসাইটি পাবলিশিং – এর ‘বায়োলজি লেটারস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের মতে , মশা নিয়ন্ত্রণে গাপ্পি মাছের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ ক্ষেত্রবিশেষে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে । অনেক সময়ে ডেঙ্গি – জাইকার মত রোগের মহামারি ঠেকাতে গাপ্পি মাছ(পোয়েসিলিয়া রেটিকুলাটা) দ্রুত বিভিন্ন জলাশয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রশাসনিক স্তরে । কিন্তু একই দ্রুততায় মশা নিয়ন্ত্রণে প্রথাগত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করাই বাঞ্ছনীয় বলে এই জার্নালের মত । যেমন বাড়ি বা লোকালয়ের আশপাশে জল জমতে না দেওয়া , জানলায় জাল লাগানো ইত্যাদি । কারণ গাপ্পি মাছ , গাম্বুশিয়া মাছ অনেকসময় প্রকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । এই নিবন্ধে তাই মশার জীবনচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করার ওপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে । কারণ দেখা গেছে কিছু ক্ষেত্রে এই প্রজাতির মাছ মশার লার্ভার সাথে সাথে অন্যান্য জলজ প্রাণীর অস্তিত্বও বিপন্ন করে । তাই খাল – বিল – নদী ইত্যাদিতে নয় , বরং স্বল্প পরিসরে , যেখানে দ্রুত প্রজননের মাধ্যমে বিরাট এলাকায় এই মাছ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই , সেখানেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ সমীক্ষার পরে , এই মাছের ব্যবহার নিরাপদ । কোনও কোনও জায়গায় জলাশয় – নদীতে প্রাকৃতিক ভাবেই গাপ্পি মাছ সংখ্যায় বেশি – যেমন ত্রিনিদাদ , হাওয়াই , ব্রাজিল ইত্যাদি । আবার কোনও কোনও স্থানে এই মাছের কোনও অস্তিত্বই নেই প্রাকৃতিক কারণে । সেসব জায়গায় এই মাছের বেলাগাম ব্যবহার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করতে পারে এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে ।  








গাপ্পি মাছের উপকারিতা

গাপ্পি মাছের প্রকারভেদ


গাপ্পি মাছের খাবার কি


গাপ্পি মাছের খাবার

গাপ্পি মাছের প্রজনন



মশা মারা


মশা মারার উপায়






বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

ব্যারাকপুরের অন্নপূর্ণা মন্দির


কুকথায় পঞ্চমুখ কণ্ঠ ভরা বিষ
কেবলই আমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব অহর্নিশ ।।
---- রায়গুনাকর ভারতচন্দ্র

                           উত্তর চব্বিশ পরগনার চানক তথা ব্যারাকপুরে কলকাতার জানবাজারের রানি রাসমণিদেবীর কনিষ্ঠা কন্যা জগদম্বাদেবী তাঁর স্বামী মথুরামোহন বিশ্বাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নির্মিত শিবশক্তি - অন্নপূর্ণা মন্দিরে , অন্নপূর্ণা নীল পুজো হল ১৩/০৪/২০১৯ তারিখে রানি রাসমণির স্বপ্নের ফসল এই দ্বিতীয় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরটির ইতিহাস ঘাঁটলে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসে । ‘চানক’ জায়গাটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় বিপ্রদাস পিপিলাইয়ের ‘মনসাবিজয় কাব্য’ – তে(১৪১৭ শকাব্দ / ১৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ) । এখনও এখানকার জমির খাজনার রসিদে চানক মৌজা উল্লিখিত হয় । এই মন্দিরের বিগ্রহটি অষ্টধাতুর । দেবী অন্নপূর্ণার বাঁ হাতে অন্নপাত্র , ডান হাতে, হাতা । পাশে দাঁড়িয়ে শিব খেতে চাইছেন । দেবীর পায়ের নীচে গরুড়ের মূর্তি । গর্ভগৃহের মেঝে মার্বেলের । মন্দিরের প্রবেশ ফটকের উপরে আছে একটি সিংহ মূর্তি । মন্দিরে ঢুকেই বাঁদিকে নাটমন্দির , ডান দিকে দফতরখানা । মন্দিরের পিছনের গেটের দু’পাশে, সম্ভবত ছিল দারোয়ানের ঘর । এই মন্দির চত্বরে ছ’টি শিব মন্দিরও আছে । দক্ষিণেশ্বর ও অন্নপূর্ণা মন্দিরের নির্মাণশৈলী হুবহু এক । তবে, তুলনায় অন্নপূর্ণা মন্দিরটি সামান্য উঁচু । রামকৃষ্ণ পরমহংস মোট চারবার এই মন্দিরে এসেছেন । প্রথমবার , মন্দিরের জমি কেনার সময় , তারপর ভিতপুজো উপলক্ষে । তৃতীয়বার ১৮৭৫ সালের ১২ এপ্রিল মন্দিরের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার দিন , আর শেষবার মূল বিগ্রহটি দেখতে । রানির জামাই মথুরামোহনবাবুই সব কাজের তদারকি করতেন । যদিও এই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন তিনি দেখে যেতে পারেননি । ১৮৭১ সালের ১৬ জুলাই তিনি মারা যান । এই মন্দিরটি তৈরি করতে সেই সময়েই খরচ হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা । শেষবার এসে রামকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে বেলতলায় কিছুক্ষণ বসেছিলেন উল্টোরথের দিন । ‘রামকৃষ্ণ কথামৃত’তে এই মন্দিরের উল্লেখ আছে । শেষবার এখানে এসে রামকৃষ্ণ, রানি রাসমণি ঘাটে স্নান করেছিলেন । মন্দির তোরণে সিংহমূর্তি স্থাপন নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে ব্রিটিশদের বিরোধ বাধে । তারা একেবারেই চায়নি ব্রিটিশদের শৌর্যের প্রতীক সিংহ মন্দির – তোরণে ঠাঁই পাক । এই নিয়ে মামলা হয় এবং ব্রিটিশরা হেরে যায় । এই মন্দিরে আমিষ ভোগ হয় । রানির উত্তরপুরুষেরাই বিগ্রহের সেবা করেন । রোজ ভোর পাঁচটায় মঙ্গলারতি , দশটায় পুজো , বারোটায় ভোগ ও আরতি , বিকেল চারটেয় বৈকালিক ও গীতাপাঠ , এবং সন্ধ্যায় আরতি হয় - শীতে সাড়ে ছ’টা ও গ্রীষ্মে সাতটায় । এরপর ভোগ সাড়ে সাতটায় । মন্দিরটি বি টি রোডের কাছে , গান্ধীঘাটের রাস্তায় । (তথ্যসূত্র : ‘ব্যারাকপুরের সেকাল – একাল’ , প্রথম খণ্ড , সম্পাদনা : কানাইপদ রায় ।)   

                           স্থানিয়েরা তো বটেই , পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি থেকেও এই দিনটিতে প্রতিবছর বহু মানুষ আসেন পুজো দিয়ে ভোগ নিতে বছরও তার অন্যথা হয়নি অন্যান্যদিন মন্দিরের পিছনের গেটটি পুরোপুরি বন্ধ থাকে , এবং সামনের গেটটিও মানুষ চলাচলের মত ফাঁক রেখে শেকল দিয়ে বাঁধা থাকে একমাত্র পুজোর দিনটিতেই বিরাট জনসমাগমের কারণে ফটক দু 'টি খুলে দেওয়া হয় দেবোত্তর এস্টেটের পক্ষ থেকে মন্দিরে ঢুকতেই ডানদিকে টিটাগড় পুলিশের তাঁবু বাঁ দিকে ভোগ রান্না বিতরণের এলাহি আয়োজন দেবোত্তর এস্টেটের ব্যাজ পরা স্বেচ্ছাসেবকেরা মূল মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছিলেন , যাতে সকলে সুষ্ঠুভাবে পুজো দিতে পারেন গর্ভগৃহে ঢোকার লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে অনেকেই গঙ্গাজল-ফুল- বেলপাতা - প্রণামি বন্ধ দরজার সামনেই দিয়ে যাওয়াতে শান বাঁধানো চাতালটা জলে থইথই করছে একটু অসতর্ক হলেই পা হড়কে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা অন্নপূর্ণা ঘাটে গঙ্গায় স্নান করে এসে পেছনের ফটক দিয়ে ঢুকে পরপর 'টি শিবমন্দিরে পুজো দিচ্ছেন অনেকে সিক্ত বসনে নাট মন্দিরে অনেকগুলি পেডেসটাল পাখা রাখা যাতে প্রচণ্ড গরমে পুণ্য করতে আসা মানুষেরা একটু স্বস্তি পান এর মধ্যেই হঠাৎ সরে যান , সরে যান রব সস্ত্রীক পুজো দিতে এসেছেন পুলিশ কমিশনার নাট মন্দিরের সামনে বস্তা ভর্তি নকুলদানা বিলি করছিলেন এক বৃদ্ধ এক সিভিক ভলান্টিয়ার দু' হাত ভরে নকুলদানা নিয়ে ঢেলে দিলেন কমিশনারের স্ত্রী - এর রেকাবিতে ওনাদের সঙ্গে যে সব পুলিশ আধিকারিকেরা এসেছিলেন , তাঁরা নিচেই দাঁড়িয়ে রইলেন ওঁরা যেমনভাবে এসেছিলেন তেমনই পুজো দিয়ে বেরিয়ে গেলেন  

                           স্নান করে ভেজা কাপড় মন্দিরপ্রাঙ্গণেই ঘাসে শুকোতে দিয়েছেন মহিলারা পিছনের ফটক দিয়ে নাক বরাবর অন্নপূর্ণা ঘাটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তায় থিকথিকে ভিড় প্রতি বছরের মতই সে রাস্তার ওপর বিক্রি হচ্ছে পুজোর নানা উপকরণ আর ঘাটের সামনেটায় আর পাঁচটা তীর্থস্থানের মতই সারিবদ্ধভাবে হাত পেতে বসে ভিখিরিরা মায়েরা ছেলেমেয়েদের হাত দিয়ে দান সামগ্রী ঢেলে দিচ্ছেন ভিক্ষাপাত্রে গত দেড়শ বছরের মধ্যে বোধহয় এই দৃশ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি দেশের অন্যান্য তীর্থস্থানের মতই গঙ্গার ঘাটে পুজো দেওয়া স্নান করার পরিচিত ভিড় পর্যন্ত যা কিছু চোখে পড়েছে তার মধ্যে বিসদৃশ কিছু নেই বিশৃঙ্খলা শুধু একটি ক্ষেত্রেই ---------- গঙ্গায় স্নান করে উঠে নানা বয়সী মেয়ে মহিলারা প্রকাশ্যেই ঘাটের একপাশে নাটমন্দিরে পোশাক পরিবর্তন করছেন সামান্য আড়ালটুকুও নেই যিনি নকুলদানা বিলি করছিলেন তাঁকে ব্যাপারটা বললাম উত্তর এল , "মায়ের মন্দিরে লজ্জা কীসের ? সবাই তো এভাবেই ... যদি একান্তই অসুবিধে হয় তবে শিবমন্দিরের পিছন দিকটায় চলে যেতে বলুন " বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ , তর্ক করতে ইচ্ছে করলনা , শুধু মনে মনে বললাম , মায়ের মন্দিরে লজ্জা করতে নেই তো বুঝলাম , কিন্তু এতশত ক্যামেরাকে বাধা দিতেও কি নেই ? তাছাড়া এত লোকের মাঝে মন্দিরে তো চুরির ভয়ও থাকা উচিৎ না তাহলে প্রণামির বাক্সটা সিঁড়ির হাতলের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা কেন ? লজ্জা পেতে মানা অথচ চুরির ভয় পেতে মানা নেই ------ এটাই বা কেমনতর কথা ? এই ঘাটে নেমে ডানদিকে তাকালে গান্ধিঘাট সেখানে যে মহিলাদের আলাদা কাপড় পাল্টানোর ব্যবস্থা আছে তাই- নয় , ভি আই পি শৌচাগারও আছে দস্তুরমত পাশাপাশি দু' টি ঘাটের ব্যবস্থাপনায় এমন বৈষম্য কেন ? আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এত মানুষ স্নান করছেন , অথচ কোন বিপদ মোকাবিলা বাহিনি নেই কেন , রিভার ট্র্যাফিক পুলিশই বা নেই কেন ? কেন নেই লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা বা টিউব ? ঘাটে প্রশাসনিক ঘোষণার কোন ব্যবস্থাও নেই কোথাও  জোয়ার এলে কী হবে ?


                          কিছুদিন আগেই এক সমীক্ষায় দেখা গেছে গঙ্গাজলে অত্যন্ত বিপজ্জনক মাত্রায় কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া রয়েছে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অথচ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারি বা বেসরকারি কোনরকম উদ্যোগই চোখে পড়ল না   অন্নপূর্ণা মন্দির দক্ষিণেশ্বর মন্দির রানি রাসমণির মাধ্যমে একই সূত্রে বাঁধা অন্নপূর্ণা মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বর থেকে সামান্য উঁচু   রামকৃষ্ণ পরমহংসের নামটি দু' টি মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ------ তবুও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জন্য বরাদ্দ তৎপরতা , আর অন্নপূর্ণা মন্দিরের জন্য শুধুই উদাসীনতা কেন ?

                           সন্ধেবেলায় আলোর সাজে মন্দিরের অন্যরূপ ভিড়টা হালকা , ঘাট সুনসান বেশ কিছু বিত্তবান মানুষ পুজো দিয়ে প্রচুর মিষ্টি বিলি করলেন সবার মধ্যে যাকে বলে মধুরেন সমাপয়েৎ !


































annapurna temple barrackpore,

annapurna temple varanasi,annapurna temple karnataka,annapurna temple tirwa kannauj,annapurna temple horanadu,annapurna temple indore,annapurna temple kashi,annapurna temple in india,annapurna temple kannauj,annapurna temple ambasan,annapurna temple trimbakeshwar,annapurna temple surat,annapurna temple in south india,annapurna temple mehsana


কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন adventure sport

  ### কেরালার বৃহত্তম জিপলাইন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য কেরালা, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, সেখানে এ...