ব্যারাকপুর ধোবি ঘাটের
কিছুটা আগে , সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রোড দিয়ে যেতে যেতে একটা পোড়োবাড়ির আবছা
হয়ে আসা নাম ফলকে হঠাৎ চোখ আটকে গেল ! মালকিনের নাম মিসেস ই সি সোয়ারিস , ঠিকানা
--- ‘বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট , ক্যালকাটা !’ এই রাস্তা দিয়ে সো-ও-জা গেলেই তো
রাষ্ট্রগুরুর বাড়ি । ভাবলাম, একবার ঢুঁ মেরেই আসা যাক সেখানে । সেদিন যা ছিল স্যর
সুরেন্দ্রনাথের বাড়ি , আজ তা মহাদেবানন্দ মহাবিদ্যালয় । একজন আধিকারিককে আসার
উদ্দেশ্য জানাতেই খুব আগ্রহ নিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন গোটা ক্যাম্পাস । বাড়ির এক কোণে ,
যেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল , তা – ও দেখালেন । একটি তালাবন্ধ ঘর খুলে
দেখালেন সুরেন্দ্রনাথের বাবা – মা‘র বিবর্ণ হয়ে আসা ছবি , তাঁর ব্যবহৃত কেদারা ,
আবক্ষ মূর্তি ।
রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১০ নভেম্বর ১৮৪৮ সালে কলকাতার তালতলায় হলেও , তাঁর পৈতৃক
ভিটে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের মণিরামপুরে । গঙ্গার ধারে প্রাসাদোপম
বাড়িটিতে তিনি ১৮৮০ সাল থেকে থাকতে শুরু করেন । ১৯২৫ সালের ৬ মে অসুস্থ
সুরেন্দ্রনাথকে দেখতে এই বাড়িতে আসেন জাতির পিতা মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী । পরের
সপ্তাহেই ১৪ মে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ কাগজে তিনি এই সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা সবিস্তারে লেখেন ।
গান্ধী সুরেন্দ্রনাথকে কথা দিয়েছিলেন , সে যাত্রায় বাংলা ছেড়ে যাওয়ার আগে , আবার দেখা করতে আসবেন । কিন্তু সে সুযোগ আর মেলেনি । ১৯২৫
সালের ৬ অগাস্ট সুরেন্দ্রনাথ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । পরদিন ৭ অগাস্ট চার্লি
অ্যানড্রুজকে সাথে নিয়ে মহাত্মা গান্ধী এ বাড়িতে আসেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ।
‘ইয়ং ইন্ডিয়া’র ১৩ অগাস্ট সংখ্যায় গান্ধী তাঁকে ‘বঙ্গ – কেশরী’ হিসেবে উল্লেখ করেন
এবং আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে তাঁর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ।
প্রসঙ্গত , তাঁর অনমনীয় মনোভাবের জন্য ব্রিটিশরা তাঁকে ডাকত ‘সারেন্ডার নট’ বলে !
Surendranath Banerjee
https://g.co/kgs/UWqu2V
স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
ফিচার প্রতিবেদন
ফিচার নিউজ
ফিচার পাতা
ফিচার সংবাদ
ফিচার রাইটিং
ফিচার লেখা













কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.