তপন সিনহার 'ঝিন্দের বন্দী'র একদম শেষে , যেখানে আসল শঙ্কর সিং আর নকল শঙ্কর সিং , অর্থাৎ গৌরীশঙ্কর রায় মুখোমুখি , সেখানে আসল শঙ্কর সিং -এর মুখে একটা বিপন্নতা ফুটে ওঠে , আর সাজানো শঙ্কর সিং - এর মুখে - কুটিলতা । সে ভাবে আশেপাশে কেউ নেই , এই লম্পট - মদ্যপ -টাকে যদি নিকেশ করে দিই , তবে ঝিন্দ , ঝড়োয়া , সুন্দরী - বিদূষী কস্তুরীবাঈ ----- সব আমার । তা ছাড়া উত্তরাধিকারসূত্রেও আমার সে অধিকার আছে । (কারণ , শঙ্কর সিং , উদিত সিং , গৌরীশঙ্কর রায় --- এঁরা জ্ঞাতিভাই ।) কিন্তু উল্টোদিকের অসহায় মানুষটাকে দেখে গৌরীর সম্বিত ফেরে , তাঁর বিবেক এই অন্যায়ে সায় দেয়না । সে মাথা নত করে ঝিন্দের প্রকৃত রাজাকে অভিবাদন জানায় । আলেকজান্ডার দ্যুমার - 'প্রিজনার অব জেন্ডা' অবলম্বনে লিখিত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ঝিন্দের বন্দী'র চলচ্চিত্রায়নের সময় পরিচালক শেষটা বদলে দিয়েছিলেন । ঠিকই করেছিলেন । কলকাতার থেকে গৌরীশঙ্কর উড়ে এসে হঠাৎ ঝিন্দে জুড়ে বসবে কেন ?
ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে উত্তমকুমার । এই দৃশ্যে কোনও ভয়েস ওভার নেই , কোনও সংলাপ নেই । এতক্ষণ যত কথা হল , সবই ওই মানুষটির অভিব্যক্তির প্রকাশ । শুধু অভিনয় , শুধু মুখের টাইট ক্লোজ আপ । আর নেপথ্য সঙ্গীত । ওস্তাদের মার । কিস্তি মাত !
উনি তো আছেন । এখনও । "ইজ নট ইট এনাফ ?!"
(ছবি - সংগৃহীত)
Uttam Kumar
ফিচার প্রতিবেদন
ফিচার সংবাদ
ফিচার নিউজ
ফিচার পাতা
ফিচার লেখা
news feature article
news feature story
news feature example

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Don't forget to like, comment, share and subscribe to my Blog. Thank you.